somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন বই এবং প্রকাশনী নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? কাদের ভয়ে? কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা........

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বাংলা একাডেমী দুই বছরের জন্য শ্রাবণ প্রকাশনীকে বইমেলায় নিষিদ্ধ করেছে। এটা হচ্ছে খবর। কেন নিষিদ্ধ করেছে এবং সেটা কতটা যৌক্তিক সেসব নিয়ে এখন অনেক রকম আলোচনা চলছে। অন্য সব ইস্যুর মতই আলোচকরা এবং প্রতিবাদীরা বিভিন্ন মতবাদের আলোকে তর্ক বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে। ব্যাক্তি আক্রমন, প্রতিআক্রমনও চলছে। তাই ভাবলাম এ বিষয়ে আমার কিছু ভাবনাও শেয়ার করি। কারন গত কয়েক বছর ধরেই(বিশেষ করে শাহবাগ মুভমেন্টের পর থেকে) বই মেলায় এমন প্রতিক্রিয়াশীল কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। গত বইমেলায় বদ্বীপ প্রকাশনী বন্ধ করে দেওয়া হয়। একজন লেখককে গ্রেপ্তার করা হয়।একটা বই নিষিদ্ধ করা হয়। এসব কিছুর কারন হিসাবে দেখানো হয় ইসলাম ধর্মের অবমাননা, মিথ্যাচার এবং অশ্লীলতা।

অতীতের কিছু ঘটনা

প্রথম আলো এদেশের খুব জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক। প্রথম আলোর আলপিনে প্রকাশিত এক কার্টুন নিয়ে একবার খুব তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। কার্টুনিস্টকে গ্রেপ্তার করা হলো। সম্পাদক মতিউর রহমান খতিবের কাছে ক্ষমা চাইলেন।
এই ঘটনা থেকে কিছু সোজা সাপ্টা ব্যাপার বুঝার আছে। আমাদের দেশে প্রেসার গ্রুপ হিসাবে ইসলামি সংঘটনগুলো খুব সক্রিয়। ভোটের রাজনীতিতে তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাদের সাথে সখ্যতা বজায় রাখতে চায়। তবে এসব ইসলামি সংঘটন গুলোর নেতারাও নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝে। তারা সরকার বা রাষ্ট্রের সব ব্যাপারে নাক গলায় না। কারন তারাও খুব ভালো করেই জানে যে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া তারা টিকতে পারবে না। এভাবে প্রশাসনের সাথে তাদের একটা গোপন সমাঝোতার ব্যাপার আছে।

এসব সংঘটন গুলোর এদেশের সাধারন মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা আছে। তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথা বলে মানুষকে উসকে দিতে পারে। প্রথম আলোর খেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। যারা প্রথম আলোর ভক্ত ছিল, তারাই রাস্তায় নেমে পত্রিকা পোড়াতে শুরু করল। মতিউর রহমান তখন দুটো কাজ করতে পারতেন। তিনি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারতেন। কার্টুনিস্টের পাশে দাঁড়াতে পারতেন। তবে তিনি যদি তা করতেন তবে প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রথম আলো হুমকির মুখে পড়ত। ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যেত। এমনকি পত্রিকা নিষিদ্ধও হতে পারত। দ্বিতীয় অপশন ছিল ইসলামি সংঘটন গুলোর নেতাদের সাথে নেগোসিয়েট করা। মতিউর রহমান এই দ্বিতীয় অপশনটাই বেছে নিলেন।

এখন এখানে একটা ব্যাপার বুঝতে হবে। কেন তিনি নেগোসিয়েট করতে বাধ্য হলেন। তিনি ইসলামপ্রেমী না। তিনি মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেননা। বরং সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীদের সাথেই তার সখ্যতা। কিন্তু প্রেসার গ্রুপ হিসাবে ইসলামি সংঘটনগুলোর ক্ষমতা সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন। অপর দিকে সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীদের নিজস্ব বলয়ে জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব থাকলেও মাস পিপলের কাছে তাদের কোন গ্রহনযোগ্যতা বা প্রভাব নেই।

ঠিক একই কারনে তসলিমা নাসরিনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল সরকার। তখন অনেক বুদ্ধিজীবীই প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু তারা প্রেসার গ্রুপ হিসাবে শক্তিশালি ছিলনা। সরকারের ভয় ছিল মাস পিপলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে।মাস পিপলকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা যতটা ইসলামি নেতাদের আছে ততটা সেক্যুলার বুদ্ধিজীবীদের নেই। ফলে প্রসাশন তাদের কথায় কানও দেয়নি।

ব্লগ এবং ফেসবুক

ব্লগে খুব সহজে অনেকেই নিজেদের মতামত শেয়ার করতে পারত। এখানে প্রতিস্ঠান রক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য করা কিংবা লিখে উপার্জনের মত কোন ব্যাপার ছিলনা। মাস পিপলের কোন প্রেসার ছিলনা। ইসলামী সংঘটনগুলোও এসবের খবর রাখতনা। অনলাইনে আস্তিক, নাস্তিক নিজেরাই গ্রুপ করে নিজেদের মত তর্ক বিতর্ক করত। অনেকটা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত ব্যাপার। তবে এসব করে অনেকেই জনপ্রিয় হয়ে যায়। তারা ফেসবুকেও সক্রিয় হয়।

শাহবাগের মুভমেন্ট


শাহবাগের মুভমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত বলাটা এখানে অপ্রাসংগিক। তবে যে পয়েন্টগুলো এ পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। কারন এখন এমন অনেক কিছু ঘটছে যার সাথে এ মুভমেন্টকে কেন্দ্র করে কিছু ষড়যন্ত্রের গভীর সম্পর্ক আছে।

শাহবাগের মুভমেন্ট সরকারের উপর প্রচণ্ড প্রেসার ক্রিয়েট করতে পেরেছিল।মূলত সেক্যুলার ব্লগার, অনলাইন এবং অফলাইন অ্যাকটিভিস্ট, এবং বামঘেঁষা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়েই এই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রসাশনের টনক নড়েছিল অন্য কারনে। মাস পিপল এ আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করে। সবার মধ্যে একটা কমন ব্যাপার ছিল। সেটা হচ্ছে সবাই রাজাকারের বিচার চায়। যেহেতু অনেক মানুষের চাপ ছিল, সরকার তাই দাবী মেনে নিতে থাকে। আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি দেখায়। অপরদিকে রাজনৈতিক ভাবে বিপদে পরে যায় বিএনপি জামাত। তারা এ আন্দোলনকে স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করে। আর বিএনপি জামাত ডানপন্থী দল।

আওয়ামীলীগ ডানপন্থী দলনা। এ দলের মধ্যে সবরকম গ্রুপই সক্রিয় আছে। তারা প্রয়োজন মত বিভিন্ন গ্রুপকে মাঠে নামায়। আর বাইরে থেকে যে শক্তি প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারে তাদের সাথেই তারা নেগোসিয়েট করে। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। শাহবাগের মুভমেন্টের প্রথম দিকে যখন মাস পিপল আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তখন সরকার আন্দোলনকারীদের সাথে নেগোসিয়েট করার চেষ্টা করে।
অপরদিকে বিএনপি জামাতের পেইড বুদ্ধিজীবীরা খুব সুকৌশলে ইসলামি সংঘটনগুলোকে দিয়ে মুভমেন্টকে দুর্বল করতে চায়। শুরু হয় নাস্তিক আস্তিক বিতর্ক। অপপ্রচার চালানো হয় যে শাহবাগে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছে। ইসলামি সংঘটনগুলো হেফাজতের ব্যানারে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা নাস্তিকদের ফাঁসীর দাবীতে সমাবেশ করে। যেহেতু মাস পিপলকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা তাদের আছে, তাই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যায়। এবং ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে শাহবাগের কেউ কেউ নিজেদের খুব ইসলামপ্রেমী প্রমানের চেষ্টা করতে থাকে। অপরদিকে কেউ কেউ কোন যৌক্তিক কারন ছাড়াই ইসলামকে গালি গালাজ করতে থাকে। ফলে প্রেসার গ্রুপ হিসাবে খুব অল্পদিনের মধ্যেই শাহবাগের আন্দোলনকারীরা দুর্বল হয়ে পড়ে।আরো কারন আছে। এই পোস্টে আমি শুধু ধর্ম নিয়েই আলোচনা করেছি।

দুর্বল শক্তিকে নিয়ে সরকার মাথা ঘামায় না। ফলে তারা হেফাজতের দিকে নজর দেয়। গন মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগলে সরকারের বিপদ। তারা চারজন ব্লগারকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তার করে। ব্লগগুলোর উপর শুরু হয় সরকারী নজরদারি এবং হস্তক্ষেপ। নাস্তিক ব্লগাররাও আরো উগ্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকে। ইসলামি সংঘটনগুলোর প্রচার এবং অপপ্রচারের প্রভাবে মানুষ ব্লগ এবং ব্লগারদের সম্পর্কে বিরুপ ধারনা পোষণ করতে থাকে। সরকার নাস্তিকদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখাতে থাকে।

এমন সময় যখন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী লেখক, ব্লগার এবং অ্যাকটিভিস্টদের এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা তখন তারা একে অপরের প্রতি আরো প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। নাস্তিক এবং আস্তিক ইস্যুতে চলতে থাকে অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক তর্ক বিতর্ক এবং গালিগালাজ। অন্য দিকে উত্থান ঘটে জঙ্গি গোষ্ঠীর। তারা একের পর এক নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা করতে থাকে। সরকার নির্বিকার। মোডারেট মুসলিমরা নির্বিকার। ফলে জঙ্গিরা আরো উৎসাহ পেয়ে যায়। নাস্তিকরাও তর্ক কিংবা আলোচনার বদলে বিশ্বাসীদের উপর অযৌক্তিক ব্যাক্তি আক্রমন চালাতে থাকে। অথচ দুপক্ষের একে অপরের শত্রু হওয়ার কোন প্রয়োজন ছিলনা। দুপক্ষের জন্যই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠিগুলো হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিদের মতই তারা সুযোগ পেলে সব জায়গাতেই হস্তক্ষেপ শুরু করবে। নাস্তিকদের গ্রেপ্তার করা হলে তারা পহেলা বৈশাখের উৎসব বন্ধের আবদার করবে। সুযোগ পেলে তারা সক্রিয় হবেই। এবং এটা খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝতে হবে যে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রেসার ক্রিয়েট করা না যায় তবে সরকার এসব ইসলামি সংঘটন গুলোর আবদারে কান দেবে এটাই স্বাভাবিক।


এবার বাংলা একাডেমীর প্রসঙ্গে আসি। তারাও এসব কারনে বই এবং প্রকাশনী নিষিদ্ধ করছে।তারা নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে সচেতন এবং সতর্ক। দু একজন লেখক কিংবা দু একটা প্রকাশনীর জন্য তাদের উপর আক্রমন হোক এটা তারা চায়না। আজ যদি সেক্যুলাররা প্রেসারগ্রুপ হিসাবে শক্তিশালী হতো তবে বাংলা একাডেমীর কর্তারাও ইসলামি সংঘটনগুলো নিয়ে মাথা ঘামাত না।

এখানে আরেকটা ব্যাপারও ভেবে দেখতে হবে। বই নিষিদ্ধ করে আসলে কোন লাভ হয়না। এ দেশের যেসব মানুষ কখনও বই পড়েনি তারাও খুব আগ্রহ নিয়ে তসলিমার লজ্জা পড়েছে। তবে মিথ্যাচার করা হলে, ভুল তথ্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করা হলে এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো হলে আইনের সহায় নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যেসব বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে ইসলাম নিয়ে ঠিক কি ধরনের মিথ্যাচার করা হয়েছে তা একাডেমী ক্লিয়ার করে কিছু বলেনি। আলি দস্তির বইটাও আমি পড়েছি। যার বাংলা অনুবাদও নিষিদ্ধ করা হয়। স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে বাংলা একাডেমী কিছুটা ভয় থেকেই এসব করছে। তারা ধর্মীয় সংঘটনগুলোর সাথে সংঘাত এড়াতে চাচ্ছে।
আসলে মানুষকে গালি দিয়ে কোন লাভ নাই। যতদিন পর্যন্ত সেক্যুলাররা গন মানুষকে প্রভাবিত করতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত প্রসাশন তাদের গুরুত্ব দেবেনা। অনেকটা বামদলগুলোর মতই।

কেউ যদি মনে করে যে, সে সঠিক এবং যৌক্তিক এবং এ কারনেই সে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে যাবে, তবে সে ইউটোপিয়ায় বাস করে। অধিকার কেউ কাউকে এমনিতে দিয়ে দেয়না। সেটা আদায় করে নিতে হয়। কখন কিভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয় সেটা জানতে হয়।

ইসলামি দলগুলোর নেতারা নিজেদের স্বার্থ এবং ক্ষমতার জন্য ইসলামকে ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার করে। তারা খুব ভালো করেই জানে ইসলামের বলয় ছাড়া তাদের কোন ক্ষমতা বা প্রভাব নেই। তাই তারা নিজেদের শক্তি দেখাতে ফতোয়া দেয়। না হলে তাদের আর্থ-সামাজিক গুরুত্ত কমে যাবে। এভাবেই তারা কিছু মানুষকে প্রভাবিত করে মুরিদ বানিয়ে নিজেদের আরাম আয়েশের জীবন বিনির্মাণ করে। আর রাজনৈতিক দলগুলো বুঝে ক্ষমতা এবং ভোটের রাজনীতি। জনগণ ঠিক যতটা প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারবে, তারা ঠিক ততটাই উন্নয়ন করবে।

এখন যারা লেখালেখি করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের স্বার্থ কি? তাদের ভাবনা চিন্তা দ্বারা জনগণকে প্রভাবিত করা। অথবা নিজের আনন্দে বা প্রয়োজনে লিখে চলা। অনুসন্ধান করা। এখন সময়ের প্রয়োজনে আরো একটা কাজ করতে হবে। ধর্মের নামে কেউ যেন অযাজিত ভাবে এ চর্চায় হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে জন্য সেলফ ডিফেন্সের বলয় গড়ে তোলা। সরকার এবং প্রশাসন এমনিতে এসে কিছু করে দেবেনা।তাদের বাধ্য করতে হবে।

শ্রাবণ প্রকাশনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু কেন বারবার এমন করা হচ্ছে সে ব্যাপারটা বুঝে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এমন হতেই থাকবে।




সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫
২৭টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×