somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিমগ্ন ধ্যানে জেগে থাকার গল্প।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ভেজা সকাল। ঠাণ্ডা মুড। শরীরে এবং মনে উত্তাপ নেই। এক কাপ চায়ের তৃষ্ণা আছে। ঘুম ঘুম আলস্য আছে। নূর দুটো সিঙ্গারার অর্ডার দেয়। তারপর, কিছুক্ষন অপেক্ষা! দু একটা ভাবনা খুব হালকা ভাবে একে অপরের সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। করুক। নূর হাই তোলে। অদূরে কোথাও কুকুর ডেকে যাচ্ছে। ডাকুক। দুটো সিঙ্গারা, একটি পেঁয়াজ এবং একটি মরিচ-চলে আসে নূরের কাছে। নূর মরিচে কামড় বসায়। তারপর সিঙ্গারায়! নূর ভেজা সকালটা ঠাণ্ডা মুডে ভোগ করতে শুরু করে। ভোগ থেকে উপভোগ।

দ্বিতীয় সিঙ্গারায় মুখ দেওয়ার আগেই সেটা একজন পাগলের হাতে চলে যায়! হঠাৎ করেই হোটেল ঘরে একজন পাগল ঢুকে যায়! পাগলের চেহারার সাথে কবির সুমনের একটা গানের বেশ মিল খুঁজে পায় নূর! তবে সে ভাবনা তার মাথায় খুব বেশিক্ষণ থাকেনা। কারন তার আরামদায়ক আলস্যে, উপভোগে ভয় প্রবেশ করে! পাগলটা তার সামনে এসে একটা সিঙ্গারা হাতে তুলে নেয়! তার বদলে তার প্লেটে একটা জং ধরা পেরেক রাখে! কি অদ্ভুত বিনিময়!

পাগলটা খাচ্ছে। খাক! নূর চলে যায়। অন্যকোথাও!

2
তুবা ভাবছে। নূরকে নিয়ে। কাল রাতেও ভেবেছিল। ভাবতে ভাবতে একটা শিহরন তার মাঝে খেলা করতে শুরু করেছিল। নূরের ঠোঁটের স্পর্শ সে তার শরীরে অনুভব করছিল। এমনটা তুবার আগেও হয়েছে। অনেকবার। তবে সে ভাবনায় কিংবা অনুভবে নূর ছিলনা। কেউ কেউ ছিল। তারা এখন আর তুবাকে আকর্ষণ করেনা। নূর করে।

আজ নূরের সাথে দেখা হবে। সন্ধ্যায়। আজিমপুর কবরস্থানের চায়ের দোকানগুলোতে নূর বসে থাকে। চা খায়! একের পর এক সিগারেট টানতে থাকে। আর মানুষ দেখে। আজ তুবাও তার সাথে বসে থাকবে। চা খাবে। সিগারেট টানবে আর মানুষ দেখবে। সেখানে নাকি এক পাগলা সাধু বসে থাকে। ফুটপাতে। তার চোখের দিকে তাকালে কবরের শূন্যতা অনুভব করা যায়। নূরের চোখের দিকে তাকালেও কেমন যেন একটা নেশা হয় তুবার। মনে হয় ডুবে যাবে। আজ নূরকে স্পর্শ করবে তুবা। কখনো করেনি। নূরের মাঝে এমন এক নির্লিপ্ততা আছে যা তুবাকে নূরের খুব কাছে যেতে দেয়নি।

তুবার শরীরে এবং মনে কেমন যেন একটা ঝড় হচ্ছে। খুব গোপনে। সব লন্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। লুবা থাকলে ঠিকই বুঝে যেত! লুবা! তুবার দুবছরের বড় বোন। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তুবার সব মনে পড়ে যায়! তুবার লুবাকে মনে পড়ে যায়! ভুলে থাকতে চেয়েছিল। তবু লুবা বারবার ফিরে আসে। কার নেশায় সেদিন লুবাও ঘর ছেড়েছিল। তবে ওরা লুবাকে ছাড়েনি। ওরা কয়েকজন মিলে লুবাকে মেরেই ফেলেছিল। নূর হাত ইশারায় তুবাকে ডাকে! লুবা এসে বারবার সতর্ক করে। তুবা তার ভেতরে প্রবল তৃষ্ণা এবং অবিশ্বাসের আগুন নিয়ে বসে থাকে! একা! প্রবল শীতের ভেতর।


সিগারেট জ্বলছে। নূরের হাতে। ছেলেটাকে ওরা মেরেই ফেলল। না মারলেও পারত। ছেলেটা বিশ্বাস করত ঈশ্বর মৃত। সেও এখন মৃত। নূরের কাছে। সবার কাছে। তবে ওরা বেঁচে আছে। ঈশ্বরের স্মৃতি যাদের মগজে খুনের নেশা তৈরি করেছে। আরো অনেককেই তারা মেরে ফেলেছে। মেরে ফেলবে। নূর একবার মিছিলে গিয়েছিল। কয়েকজনের সাথে। প্রতিবাদ করেছিল। স্লোগান দিয়েছিল। কিন্তু কেউ শুনেনি তাদের কথা। কেন শুনবে? শুনতে বাধ্য না করা হলে কেউ কথা শুনে না! কেউ কথা রাখেনা। নূর এখন কোথাও যায়না। কিছু বলেনা। শুধু মানুষ দেখে। মানুষের গল্প পড়ে। এটাও একরকম ধ্যান। বেঁচে থাকতে ধ্যানমগ্ন হতে হয়। প্রতিটা মানুষই গভীর ধ্যানে মগ্ন।

সিগারেটে শেষ টান দেয় নূর। তারপর ফেলে দেয়। তার ভাবনাগুলোকেও যদি এভাবে টান দিয়ে ফেলে দেওয়া যেত! বেশ হত! আজ রাস্তায় মানুষ কম। শৈত্য প্রবাহ। পুরো শহর যেন শীতে কাঁপছে। নূরও কাঁপছে। আগুনের পাশে বসে থাকতে পারলে ভালো হত। সূর্য আজ পরাজিত। শীতের কাছে। আজ আগুন দরকার। উষ্ণতা দরকার! আজ তুবা আসবে। সন্ধ্যায়। তুবা কী আগুন নাকি জল? তুবার চোখে যখন আগুন ঝরে, নূর তখন জল হয়ে যায়!


লুবা ওকে বিশ্বাস করেছিল। ছেলেটাকে তুবাও চিনত। লুবা ওকে ভালোবেসেছিল। সেসব দিনগুলোতে লুবাকে দেখে ঈর্ষা হত। তুবার। কেমন একটা ঘোরের জগত লুবাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সে জগতের ভেতরটা তুবাকে খুব আকর্ষণ করত। কিন্তু সে ধরতে গেলেই মিলিয়ে যেত! ছেলেটা লুবাকে মেরে ফেলেছিল। একা মারেনি। ওরা কয়েকজন মিলে লুবার সে ঘোরের জগতটাকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল! যেন লুবা একটা খেলনা ছিল। তাদের কাছে। ভেঙ্গেচুরে ওরা কি এমন সুখ পেয়েছিল। তাদের এমন কি অসুখ ছিল! ঈশ্বর মানুষকে কেন এমন অসুখ দিয়ে পাঠালেন! তুবা অনেকবার জানতে চেয়েছে। ঈশ্বরের কাছে। উত্তর পায়নি। কেউ দেয়নি। নূর বলেছিল ওর কাছে কিছু জানতে চেও না। ও জন্ম থেকেই মৃত!

নূরকে নিয়েও খুব ভয় হয় তুবার। যাদের কাছে ঈশ্বর মৃত, তাদের সব মেরে ফেলা হচ্ছে। এদেশে। নূরকে বলেছিল সে। এসব বলনা কাউকে। কোথাও কিছু লেখার দরকার নেই। তোমাকে ওরা মেরে ফেলবে। নূর হেসে বলেছিল, তুমিত মারনি। ঈশ্বর তোমারও খুব প্রিয়! খুব রাগ লেগেছিল তুবার। মায়াও জন্ম নিচ্ছিল। নূরের প্রতি। এলোমেলো চুল। খোঁচাখোঁচা দাড়ি! চোখের নিচে কালি! সারা চেহারায় অযত্নের ছাপ! তুবার খুব মায়া হয়! তুবার অতলে কোথাও ভালোবাসার জন্ম হয়! মনে কিসের যেন হাহাকার! শরীরে তৃষ্ণা! লুবার সে ঘোরের জগতটা এখন তুবার ভেতর। তবে ভয় এবং অবিশ্বাস তুবাকে পাখা মেলে উড়তে দেয়না। নূর কেন তার সব ভয় এবং অবিশ্বাস দূর করে তাকে কাছে টেনে নেয়না? তুবার কান্না পাচ্ছে খুব! সেদিন ঈশ্বর নির্লিপ্ত ছিল। আজ নূরও নির্লিপ্ত!


নূর অপেক্ষা করছে। তুবার জন্য। শীতের ঠাণ্ডা বাতাস যেন অস্থিমজ্জায় কামড় বসাচ্ছে। এমন দিনে মানুষ ঘরে থাকে। চায়ের দোকানে যারা বসে আছে তারা কেউ আড্ডার মুডে নেই। সবার মাঝেই ঘরে ফিরে যাবার তাড়া। এমন দিনে ঘর মানেই আরাম। উষ্ণতার চাদর! নূরেরও ঘর আছে। তবে ঘরে ফেরার তাড়া নেই। সন্ধ্যা নামি নামি করছে। অল্প কিছুক্ষনের মাঝেই নেমে যাবে। তুবাও চলে আসবে। কিছু সময় পরেই। কেন আসবে তুবা? নূরের কাছে কেন আসে তুবা?

তুবাও একটা গল্পের মত! নূর তুবাকে শোনে। পড়ে। তুবার শব্দগুলো মাঝে মাঝে নূরকে কোথায় যেন নিয়ে যায়। এমন এক জগতে, যেখান থেকে আর ফিরে আসতে ইচ্ছে করেনা। কিসের যেন মায়া! বন্ধন! নূরকে আবদ্ধ করে ফেলে। একটা ঘোরের মাঝে। মনে হয় এখান থেকে আর কোনদিন মুক্তি পাবেনা নূর। দেখা হবেনা অন্যভুবন। নূরের খুব দেখার সখ! বুঝার ইচ্ছে। মানুষের মন থকে শুরু করে মহাবিশ্বের ছুটে চলা-সব! বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলে আর হয়না মানুষের! নূর জানে। সে দেখেছে। রবার্ট ফ্রস্টের কবিতার চারটা লাইন নূরের খুব প্রিয়।
The woods are lovely, dark and deep,
But I have promises to keep,
And miles to go before I sleep,
And miles to go before I sleep.

নূর সিগারেট ধরায়। তুবা আসছে। আসুক।


তুবা এবং নূর বসে আছে। মুখোমুখি। দেয়ালের ওপাশেই কবরস্তান। মানুষগুলো কী এক পরম নির্লিপ্ততায় ঘুমিয়ে আছে।
"আমার ঈশ্বর আমাকে উত্তর দিয়েছেন।“ নূরের চোখে চোখ রাখে তুবা!
“ঈশ্বর মৃত। তার ব্যাপারে কোন আগ্রহ নেই আমার।“ নূরের চোখে নির্লিপ্ততা!
“আমি আজ আত্মসমর্পণ করতে এসেছি। আমার সব বিশ্বাস এবং ভালোবাসা নিয়ে। আমি আমার ঈশ্বরকে ভালোবাসি। তোমাকেও। হয় আমাকে মেরে ফেল! ভেঙ্গে ফেলে দাও! নাহয় আমাকে আবার জন্ম দাও। তোমার অনুভবে। তোমার স্পর্শে। ভালোবাসায়!” তুবার গলা একটুও কাঁপেনা। কোথাও কোন অস্পষ্টতা নেই। দ্বিধা নেই। ভয় নেই!

তুবার চোখে জল। তুবার চোখে আগুন। নূর ডুবে যাচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে! সে ঈশ্বরের মত মৃত না! সে জীবিত। সে মানুষ! সে ভালোবাসার জন্য সব কিছু অগ্রাহ্য করতে পারে! নূর পরম মমতায় তুবাকে নিজের বুকের মাঝে ধরে থাকে। তুবা কেঁদেই যাচ্ছে! কেঁদেই যাচ্ছে!

কিছু মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। থাকুক!


শীতের ভেতর কেঁপে ওঠে জীবন্ত মানুষের ঘুম! কয়েকটি মশার শিকারি সঙ্গিতে জেগে ওঠে মস্তিস্কের রঙ্গমঞ্চে ঘটে চলা একটি অদ্ভুত স্বপ্নের অসমাপ্ত অবয়ব। লোকটির ঘুম ভাঙে। স্বপ্ন ভাঙে। কিন্তু শীত কমেনা। শরীরের কাঁপুনি কমেনা। সে উষ্ণতার জন্য চারপাশে তাকায়! উষ্ণতা পায়না। তার ডান পাশে কয়েকজন মানুষ টঙ্গে বসে চা সিগারেট পান করছে। বামপাশে দুজন বৃদ্ধা একজন আরেকজনকে ধরে দুলছে! আর উচ্চস্বরে গান গাচ্ছে।যদিও তা অনেকটা প্রলাপের মতই শোনাচ্ছে। ফুটপাতে বসে থাকা, শুয়ে থাকা, প্রলাপ বকা মানুষগুলো সব প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে!চন্দ্ররাতে নেমে আসা মায়াবী জোছনার প্লাবন শহরের বুকে এক অপার্থিব দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে। যদিও সে মায়াবী জোছনার প্লাবন, অপার্থিব দৃশ্য কিছুই তাদের উষ্ণতা দেয়না।


ছবিঃ Salvador Dalí









সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাগতম ইরান

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

ইরানকে ধন্যবাদ। ইসরায়েলকে দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য।

হ্যাঁ, ইরানকে হয়তো এর জন্য মাসুল দেওয়া লাগবে। তবে, কোন দেশ অন্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপে করবে আর সেদেশ বসে থাকবে এটা কখনোই সুখকর... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×