somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ইন ফায়ার এন্ড ব্লাড

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




একজোড়া ডাহুক খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের উপর দিয়ে একটা গাঙচিল উড়ে যায়। শেয়ালের ডাক শোনা যাচ্ছে। আকাশে হালকা মেঘ করেছে। মতিন দাঁড়িয়ে আছে। তার পা কাঁপছে। তার শরীর কাঁপছে। মতিন ভয় পেয়েছে। যেদিন সে ফজল চেয়ারম্যানকে নিজ হাতে জবাই করেছিল, সেদিন ফজলের চোখেও এমন ভয় ছিল। বকরকে গুলি করার ঠিক আগে তার চোখেও এক ভয়ের পাগল করা আকুলতা দেখেছিল মতিন। দেখেছিল এবং শিহরিত হয়েছিল। মতিনের মনে হয় হত্যা করার সময় মানুষ এবং গবাদি পশু প্রায় একই রকম আচরণ করে। মানুষদের এই গবাদি পশু হয়ে ওঠাটা মতিন খুব উপভোগ করত। সেসব সময়গুলোতে বিপ্লব মতিনের অস্তিত্বজুড়ে নেচে বেড়াত। এক একজন শ্রেণী শত্রু খতমের মধ্যে একধরনের পৈশাচিক আনন্দ ছিল। এখন মতিনের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের পোশাক পরা মানুষগুলোর অস্তিত্বে সে আনন্দ খেলা করছে। তাদের কাছে এক একটা সর্বহারার লাশ মানেই উদযাপন। সফলতা! মতিনকে গুলি করে মারার আগে তারা কিছুক্ষন সময় নিচ্ছে। শিকার নিয়ে শিকারি খেলা করছে। কয়েকজন পুলিশ সিগারেট ধরিয়েছে। সম্ভবত সিগারেট শেষ হলেই তারা মতিনকে গুলি করবে!সিগারেটের গন্ধ মতিনকে খুব আলোড়িত করে। আহা! একটা সিগারেট যদি সে এখন টানতে পারত। একটা সিগারেটের লোভে তার এখন অনন্তকাল ধরে বেঁচে থাকার ইচ্ছা হচ্ছে।


সময় বিমূর্ত। সময় মৃত। সময় পরজীবী। পরজীবী সময় আলিমের ভেতর কিছু বেঁচে থাকার মুহূর্ত তৈরি করে। সময় আলিমের ভেতর জীবিত। আলিম স্রষ্টা। আলিম সময়ের উপর সুখের প্রলেপ দিতে চায়। মন্ত্রে সুখ। সুখের সন্ধানে আলিম ঘুরে বেড়ায়। মন্ত্র পায়না। মন্ত্র আছে সুপারম্যানদের কাছে। সুপারম্যানরা সুখ দেয়না। মন্ত্র দেয়। আলিমের শহরে কোন সুপারম্যান নেই। আলিমের শহরে কোন সুখ নেই। আলিমের শহরে কোন অসুখও নেই। এ শহর একদল নির্লিপ্ত মানুষ নিয়ে রোদে পুড়ে। আবার বৃষ্টিতে ভিজে। শহরের প্রান নেই। মানুষের প্রান আছে। মানুষের কল্পনাশক্তি আছে। মানুষ তার কল্পনাশক্তি দিয়ে শহরে শহরে সীমারেখা টানে। তারপর নিজেরাই কয়েদি হয়ে বসে থাকে। অপেক্ষা করে।

আলিম অপেক্ষা করছে। যে জীবনটাকে আলিম শহরের বুকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সকাল থেকে রাতে, একদিন থেকে আরেকদিনে-সে জীবনের একটা অস্তিত্ব আছে। সে জীবনের কোন সুনির্দিষ্ট অর্থ নেই। এমন কোন উদ্দেশ্য নেই যার জন্য বেঁচে থাকা যায়। আলিম সে উদ্দেশ্যের জন্য অপেক্ষা করছে। সকালের চায়ের কাপে, আঙ্গুলের ফাকে জ্বলতে থাকা সিগারেটে, বাসের অপেক্ষায়, নিহির জন্য কামনায়, মিছিলে প্রতিবাদী স্লোগানে কোথাও পূর্ণতা নেই। জীবন যেন কতগুলো মুহূর্তের যোগফল! এক মুহূর্তের দিকে তাকালে সবটা পাওয়া যায়না। সবটা অনুভব করা যায়না। উপভোগ করা যায়না।

বাসের ভীরে বসে অনেকবার আলিম বই পড়ার চেষ্টা করেছে। একবারও সফল হয়নি। তার চেয়ে তার বরং মানুষ দেখতে ভালো লাগে। মানুষের কথা শুনতে ভালো লাগে। ঢাকার লোকাল বাসগুলোর ভেতর কিছুক্ষন থাকলেই এ শহরের পালস অনুভব করা যায়। মানুষের তাড়া খাওয়া পদচারনা, বিরক্তি, রাগ, ধৈর্য্য, ভালো কিছুর অপেক্ষা-সব বোধ মিলে এক বিমূর্ত গল্পের সৃষ্টি হয়!আলিম সে গল্পের দিকে তাকিয়ে থাকে, পড়ার চেষ্টা করে। সে নিজেও সে গল্পের একটা চরিত্র। গল্পের চরিত্র হয়ে গল্প পড়ার ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। তবে এ ভাবনাটা আলিমকে বাসের কোলাহলে, গরমে খুব আরাম দেয়।

নিহির কাছে যাচ্ছে আলিম।নিহি ক্যাম্পাসে আছে। মতিন নামে কোন এক সর্বহারা ক্যাডারকে নাকি পুলিশ ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে হত্যা করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিল হবে। সে মিছিলে আলিমকেও থাকতে হবে! আলিমের মিছিল বা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন আগ্রহ নেই। তার আগ্রহ নিহিকে নিয়ে। নিহি মেয়েটা তাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। সে আকর্ষণকে আলিম কোন ভাবেই অগ্রাহ্য করতে পারেনা। মেয়েটা বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর। আলিমের কাছে মনে হয় এটা নিহির একধরনের অবসেশন। এবং আলিমের ভয় হয় এটা ভেবে যে, মেয়েটা যেকোন সময় বিপদে পরবে। বাস থেকে নেমে আলিম সিগারেট ধরায়। তারপর ক্যাম্পাসের দিকে হাটা দেয়। তার কেন যেন মনে হচ্ছে আজ খুব বড় ধরনের ঝামেলা হবে।


দুমাস আগের এক রাতে

তোমার সাহস আছে। আমার সাথে এভাবে শহরের বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কোন মেয়ে হোটেল রুমে একা দেখা করতে আসবে এটা আমি কখনো ভাবিনি। মতিন নিহির দিকে তাকায়। মেয়েটা সুন্দরী। এমন এক সুন্দরী মেয়েকে তার কাছে এত রাতে পাঠানো ঠিক হয়নি। তুমি নিজের ইচ্ছাতেই এসেছো? নাকি তোমার নেতাদের কমান্ড মানতে বাধ্য হয়েছ?

আমাকে কমরেড হিসাবে না দেখে কেন মেয়ে হিসাবেই দেখছেন? খুব নরম গলায় উত্তর দেয় নিহি। তার মুখে একটা মিষ্টি হাসি লেগে আছে। আমার বিরুদ্ধে কয়টা রেপ কেসের মামলা আছে জান? সাতটা। তার মধ্যে তিনটা আছে এমন যেখানে আমি ভিক্তিমকে রেপ করার পর হত্যাও করেছি। সুতরাং সাবধান মেয়ে। এবার মতিনও হেসে ফেলে। যদিও খুব দ্রুতই তার মুখ থেকে হাসি চলে যায়। আবার কঠোরতা এসে ভর করে। সে সিগারেট ধরায়। নিহিকেও একটা দেয়। মানুষ যেন আমাকে ঘৃণা করে তাই এসব রেপ কেস সাজানো হয়েছে। অবশ্য তার খুব একটা প্রয়োজন ছিলনা। কারন মানুষ এমনিতেই আমাকে ঘৃণা করে। তবে মাঝেমাঝে আমি তাদের ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতার ব্যাপারটাও বুঝতে পারি। উপমন্ত্রীর ডান হাত সন্ত্রাসী কালুকে হত্যা করার পর মানুষ নিশ্চয় আমাকে ভালোবেসেছিল ক্ষণিকের জন্য হলেও। তার বিরুদ্ধে নির্যাতিতারা ধর্ষণের মামলা করতে গেলেও পুলিশ তা নিতনা। বরং উল্টা তাদেরকেই হুমকি দিত। নিহি মতিনের দিকে একটা পেটমোটা খাম এগিয়ে দেয়। এর ভেতর শিকারের ছবি সহ ডিটেলস সব কিছু আছে। আর কন্ট্রাক্টের অর্ধেক টাকাও আছে। যদিও আমরা দুজন দুরকমের রাজনীতি করি তবুও আমাদের উদ্দেশ্য এক। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক! নিহি চলে যায়! মেয়েটার পারফিউমের হালকা গন্ধ রুমে ছড়িয়ে আছে। মতিন খামটার দিকে তাকিয়ে আছে। নতুন শিকার। তার চোখ চকচক করছে।

সিরিয়াস কমেডি......


হুজুরের মেজাজ খারাপ। মানুষজন তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। যদিও তাতে হুজুরের কিছু আসে যায় না। হুজুরের মেজাজ খারাপ কারন তিনি থেমিসের প্রেমে পড়েছেন। তিনি ঠিক যে মুহূর্তে গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তির দিকে তাকিয়েছিলেন, সে মুহূর্ত থেকেই থেমিস জীবন্ত। তার কাছে। থেমিস তার মাথার ভেতরেও ঢুকে বসে আছে। এমনকি আরাধনার সময়েও তিনি থেমিসের কথা ভাবেন। থেমিস তার স্বপ্নেও দেখা দিচ্ছে। কড়া আঁতরের গন্ধে নাকি থেমিসের মাথা ধরে যায়! তারপর থেকে হুজুর আঁতর মাখাই বন্ধ করে দিয়েছেন। এভাবে আর থাকা যায়না। এভাবে থাকলে হুজুর পাগল হয়ে যাবেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থেমিসকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। দেশ, জাতির জন্য সেটাই মঙ্গল! থেমিসের মূর্তিটা সরিয়ে ফেলতে হবে! সেটা জীবন্ত! কেউ জানেনা। হুজুর জানেন। কিন্তু মানুষজন হাসছে। কেউ তাকে পাত্তা দিচ্ছে না।হুজুরের খুব রাগ লাগছে! খুব কষ্ট হচ্ছে!থেমিস তাকে হাত ইশারায় ডেকেই যাচ্ছে! ডেকেই যাচ্ছে!

হুজুরের ফলোয়াররা অবশ্য এসব কিছুই বুঝতে পারেনি। তারা থেমিস দেবীর মূর্তি সরানোর জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। এসব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে তাদের দরকষাকষি হচ্ছে। হুজুর অবশ্য এসব দরকষাকষির মধ্যে নেই। সে তার এই অদ্ভুত সমস্যার হাত থেকে মুক্তি চায়।


হুজুরকে জবাই করে হত্যা করার ইচ্ছা ছিল মতিনের। কিন্তু বিভিন্ন কারনে সেটা সম্ভব হয়নি। হুজুরকে গুলি করে মারতে হয়েছে। খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে কাজটা করতে হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডটা মতিন নিজের মত করে উপভোগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। এটা মতিনের জন্য একটা আফসোসের ব্যাপার!

২৫ দিন আগের এক সকালে

গোয়েন্দা কর্মকর্তা আকবর আলীর মেজাজ খারাপ। কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করছেন না। তার সামনে নিহি নামের এক মেয়ে বসে আছে। মেয়েটা তার মেয়ের বয়সী হবে। কিন্তু আসার পর থেকেই পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানছে। মেয়েটাকে মন্ত্রী মহোদয় না পাঠালে থাপ্পর দিয়ে এতক্ষনে কয়েকটা দাঁত ফেলে দিতেন।

কাল মতিন ঢাকা আসবে। নিহি আকবর আলীর হাতে একটা খাম তুলে দেয়। কখন কোথায় তাকে পাওয়া যাবে এসব কিছুর ডিটেলস ভেতরে আছে। কাল আকবর আলীর ছোট ছেলের জন্মদিন। সেটা মনে পড়তেই তার মনটা আরো তিক্ত হয়ে ওঠে।

১০ দিনের আগে এক ভর দুপুরে

তুমি ঠিক আমার কতটা প্রেমে পড়েছ? মানে সেটার তীব্রতা কতটুকো? নিহির এমন প্রশ্নে আলিম ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়! সে উত্তর না দিয়ে বরং চায়ের কাপে চুমক দেয়! তোমার মত করে আঁতেল টাইপ উত্তর দিতে পার। তোমার আঁতেল টাইপ কথা শুনতে আমার ভালোই লাগে। আলিম নিহির দিকে তাকিয়ে আছে। মায়াবী দুটো চোখ! মুখে নিস্পাপ হাসি। অথচ নিহি কত সহজে এমন সব কথা অকপটে বলে ফেলতে পারে যা অন্যরা পারেনা। তাছাড়া মেয়েটার মধ্যে একধরনের অদ্ভুত নিষ্ঠুরতা আছে।

তোমাকে আমার ভালোলাগে। তোমার কথা শুনতে ভালো লাগে। তুমি পাশে থাকলে নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে হয়না। এটা ঠিক প্রেমে পড়া কিনা জানিনা। হলেও হতে পারে। আলিম চায়ের কাপ রেখে সিগারেট ধরায়। আমাকে নিয়ে তোমার কোন শারীরিক কামনা বাসনা নেই? মাঝেমাঝে আমাকে আদর করতে ইচ্ছে করেনা? নিহির মুখে দুষ্ট হাসি। আলিমের মুখ থমথমে। এই মেয়ের মনে হয় মাথা কিছুটা খারাপ। আলিম ভাবে। তবে সে ঠিক করেছে নিহির সাথে কোন ভান করবেনা। তাই সত্য উত্তরটাই দেয়। করে। আদর করতেও ইচ্ছা করে! কথাটা সে নিহির চোখে চোখ রেখেই বলে। নিহি চোখ নামিয়ে নেয়। মেয়েটা লজ্জা পেয়েছে। নিহির এ লজ্জাটা আলিম উপভোগ করে।

সেদিন সন্ধ্যায় আলিমের কাঁধে মাথা রেখে অনেকক্ষন বসে ছিল নিহি। আলিম তাকে পাবলো নেরুদার কবিতা আবৃতি করে শুনিয়েছিল।

I do not love you except because I love you;
I go from loving to not loving you,
From waiting to not waiting for you
My heart moves from cold to fire.

I love you only because it's you the one I love;
I hate you deeply, and hating you
Bend to you, and the measure of my changing love for you
Is that I do not see you but love you blindly.

Maybe January light will consume
My heart with its cruel
Ray, stealing my key to true calm.

In this part of the story I am the one who
Dies, the only one, and I will die of love because I love you,
Because I love you, Love, in fire and blood.

শেষ হওয়ার পর নিহি বলেছিল তোমার ইংলিশ একসেন্ট এত বাজে কেন? তারপর দুজনেই একসাথে হেসে উঠেছিল।


৫ দিন আগের এক বিকালে

মন্ত্রীসাহেব খুব বিরক্ত। তার সামনে পানি ভর্তি গ্লাস। তবে গ্লাসে একটা মশা ভাসছে। তার তৃষ্ণা পেয়েছে। কিন্তু তাকে অপেক্ষা করতে হবে। তার সামনে কিছু ছেলেপেলে বসে আছে। তাদের দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, তোমরা খুব দ্রুতই কিছু ইস্যু পাবে। তোমরা প্রস্তুত থাক। ইস্যু পাওয়া মাত্রই তোমরা রাজপথে সক্রিয় হয়ে যাবে।


ইন ফায়ার এন্ড ব্লাড

নিহি আজ শাড়ি পরে এসেছে। নীল শাড়ি। কোপালে টিপও দিয়েছে। মেয়েটা আসলেই পাগলী। কালচারাল প্রোগ্রামে সে সবসময় জিন্স আর ফতুয়া পরে আসত। আর আজ মিছিল হবে। সে এসেছে শাড়ি পরে। আলিমের খুব ইচ্ছা করছে নিহিকে নিয়ে খুব নির্জন কোন জায়গায় চলে যেতে। যেখানে তারা পাশাপাশি বসে থাকবে। হাতে হাত রেখে গল্প করবে। নিহিকে অনেক কিছু বলার আছে আলিমের। সোজা বাংলায় ভালোবাসি কথাটাও এখনও বলা হয়নি।

ছেলেমেয়েদের খুব উত্তেজিত মনে হচ্ছে। কোথাকার কোন সন্ত্রাসি মতিনের জন্য এত কিছুর কি দরকার আছে আলিম বুঝেনা। মতবাদে আসক্ত একদল ছেলেমেয়ে। নিহির কাছাকাছি যেতেই মিছিল শুরু হয়ে যায়। আলিমকে একবার দেখে নিয়েই নিহি আবার সামনের দিকে তাকায়। স্লোগান দিতে থাকে। তাদের ঠিক পাশেই কিছুটা দুরুত্ত রেখে একদল ছেলেও মিছিলের সাথে সাথে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই সেখান থেকে মিছিলে গুলি ছোড়া হয়!

আলিমের খুব কষ্ট হচ্ছে। শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। রক্তে ভিজে যাচ্ছে তার শরীর। ভিজে যাচ্ছে রাজপথ। সে দেখছে নিহিকে। নিহির চোখে নির্লিপ্ততা। নিহির মাঝে কোন আতংক নেই, ভয় নেই, ভালোবাসা নেই। নিহি মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। দূরে। অনেক দূরে।
আলিম এখন ইতিহাস। সময় তার দেহ থেকে বিদায় নিয়েছে।

সমাপ্ত.........

In this part of the story I am the one who
Dies, the only one, and I will die of love because I love you,
Because I love you, Love, in fire and blood.




সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
৩৫টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×