[এক্স রুম্মেট কে পচিয়ে লেখা]
[২০০৩ সালের কথা
CIT-তে ভর্তি হয়ে,
সব দিচ্ছে হ্যালো হাই,
আতিক নামক পোলা হইল
আমগো ব্যাচের ভাই!!
প্রিফেট শিপের রেশটা তখন
আর বুঝি না যায়,
আতিক ভাই লাঞ্চ ডিনারে
চামুচ দিয়া খায়।
তোতলামি আর আতলামিতে
বুঝতে হলো দেরী,
ডাবল স্ট্যান্ড আতিক ভাই
আসলে এক ছেরী!!
দুদিন বাদে পাগলা যখন
Physics খাতা দিলো,
আতিক ভাই সবার মাঝে
ঠিকই Highest পেলো।
রুম নম্বর ৫২৩
লাল সাঊথ হল
রুম্মেট পেলো PCC-র
Expert হোমো দল।
“JCC-র EX-প্রিফেট
না জানি কোন জিনিস!!”
সাদ্দাম হাসিয়া কয়
কইরা দিমু ফিনিশ।
চার জনের রুমটুকুতে
একটা ছিল পিসি
শত রকম উৎসুক চোখ
থাকত দিবানিশি।
প্রথম দিকে গভীর রাতে
কেবল হত শুরু
দীক্ষা নিতে ণীল বিষয়ক
সাদ্দাম দলের গুরু।
দুদিন বাদে আতিক ভাইও
সেই বারোটার শো’তে,
এমন মজা পাইল সেযে
দেখে প্রতি রাতে!!
2nd Yearল্যানে খোজে
ভায়া মোদের আতিক
নীল ছবি দর্শন তাহার
হয়ে গেল বাতিক!!
[আর এখন..................]
খালার বাসা নাকি তাহার
ফিনিশ বীচের পাশে
আতিক ভাই জানালা দিয়া
“দৃশ্য” দেইখ্যা হাসে।
সামনে নাকি আসছে সামার
দারুন রকম হট
আতিক ভাইয়ের মনের মাঝে
লাগছে কঠিন জট।
এক সময়ে আতিক ভাইয়ের
হিডেন ডিস্কের আর্কাইভ
আর এখন আতিক বইসা বইসা
জালনায় দেখে লাইভ!!!!!!!!!
আতিক ভাই থাকে এখন
হাজার কিলো দূরে
ছোলামুড়ি খেতে গেলেই
নামটা মনে পড়ে।
IUT এর গেটে সামনের
২টাকার সেই মুড়ি
আপনার কাছে আর চাবো না
কিংবা প্রিন্সের পুড়ি।
আপনে থাকেন ফিনল্যান্ডের
সাগর পাড়ের কুলে
আমরা ঠিকই মনে করি
আপনি গেছেন ভুলে।
বিদেশ গেলেন চলে আপনি
করতে পড়ালেখা
এভাবে কেন পালিয়ে গেলেন
হতই না হয় দেখা।
হয়তোবা দেখার দিনে
খাইতাম চেতে মুড়ি
আপনি না হয় সখ করে
খাওয়াতেন চা পুরি।
অভিমান কিন্তু আমার
যায়নি কভু আজ
যেদিন দেখা হবে আবার
ফেলে শরম লাজ
খাওয়াতে কিন্তু হবেই হবে
যতই থাকুক কাজ!!
৫১৩ রঙ্গিন দিন
ফিরবে নাকো আর?
৪১১ নস্টালজিক
ভাবি বারে বার।
এত গুলা ছেলের মাঝে
রুম্মেট নেবার জন্য
আমি সাদাত সেলাম জানাই
ধন্য আমরা ধন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:২৫