কেউ জানেন কিনা জানিনা, পাগলদের স্বাভাবিক সেন্স কিন্তু খুব ভাল হয়। মাঝে মাঝে খুবই দার্শনিক টাইপ কথা বলবে যা আপনি আমি অনেক চিন্তা করেও মাথাতে আনতে পারিনা। আবার খেয়াল করে দেখবেন পাগলরা রাস্তায় চলাকালীন কখনও গাড়ির নিচে পরেনা। তবে ছোট একটা সমস্যা আছে, সমস্যাটা হল এদের এক সাইড ঠিক থাকলে আরেক সাইড ঠিক থাকেনা। যেমন ধরেন একটা পাগল বাইরে বের হবে, বাইরে বের হলে যে ভাল জামা কাপড় পরে ফিটফাট হয়ে বেরোতে হবে সেটা সে খুব ভাল করেই জানে। হোক না দু পায়ে দু’রকমের কিংবা দু’রঙের জুতো (শুনেছি দু’রঙ্গের জুতো এখন বাজারে স্টাইলের বড় একটা যায়গা দখল করে নিয়েছে। মানুষ হুড় হুড় করে সে জুতো কিনে পরছে। যাই হোক পাগলেরও অনেক শ্রেনীবিভেদ আছে)।
পাগল বিষয়ে ছোট্ট একটা গল্প বলিঃ
পাগলদের যখন পাগলা গারদে রেখে আসা হয় তখন ওখানে থাকতে থাকতে পাগলদেরও কিছু পাগল বন্ধু জুটে যায় এবং এরা একে অপরের প্রতি খুবই যত্নশীল হয়। মাঝে মাঝে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনরা দেখতে যায়। মাস দু’তিনেক গেলে পাগল নিজেও বুঝতে পারে এরা তাদের বাবা-মা। তো একদিন দুই পাগল বস্ত্র বিহীন দিগম্বর অবস্থায় খোশ গল্প করিতেছিল, এমতাবস্থায় তাহাদের বাবা-মা তাহাদের দেখতে এসেছেন। আরেক দুই পাগল দিগম্বর দুই পাগলের বাবা-মাকে আসতে দেখে দৌড়ে এসে বলল এই তোরা নেংটা হয়ে আছিস কেন?? তোদের বাবা-মা আসতেছে, আরে পাগল বাবা-মার সামনে কেউ নেংটা হয়ে থাকে??? এই কথা বলেই দ্বিতীয় দুই পাগল তাদের জামা কাপড় খুলে দিগম্বর হয়ে ওই দুই দিগম্বর পাগলকে দিয়ে বলল জলদি পড়ে ফেল।
অতঃপর তাহারা চার জন একসাথে আঙ্কেল আন্টিদের সালাম দিল.........
মর্যাল অফ দা স্টোরিঃ পজিটিভ নেগেটিভ দুটোই হতে পারে। আপনি আপনার অবস্থান থেকে ভাল লাগা, খারাপ লাগা যে কোন প্রসঙ্গ এর সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন, সে স্বাধীনতা আমার তরফ থেকে দেয়া হল। শুধু এইটুকু জানি শুদ্ধ ও অশুদ্ধে ভরা আমরা, আমাদের পৃথিবী।