আজন্ম অন্তঃপুরে যা লালন করতে চেয়েছি
তুমি আমার সেই সে অনুরণন,
আজন্ম যে অপ্রাপ্তি আমায় আক্ষেপ দিয়েছে
তুমি আমার সেই সে অনুভব,
তাই তুমি না থেকেও আছো সম্পূর্ণ মননে,স্পর্শে।

অথচ শুরুর গল্পটা ছিল টলায়মান বিন্দুসম..
একটি সুন্দর মুহূর্তের জন্ম দিবে বলেও অদৃশ্য,
তবুও আত্মবিশ্বাসহীন সে চলায় কোথাও ছিলে তুমি
আমি ছুটেছি, অমসৃণ সেই চলায় ভেঙেছি অচলায়তন।

মাঝে মাঝে ভেতর... বাকিটুকু পড়ুন

শহরে যখন প্রচণ্ড কোলাহল ভেসে আসছিল
আমি তখনো ব্যালকনিতে নিশ্চুপ, যেন ধ্যানরত;
নিজের সাথে বোঝাপড়ার সময়টাতেও
কোলাহলের প্রতি আমার দৃষ্টি ছিল পূর্ণ,
তবুও আজন্ম শহরবাসী আমি
অন্তঃপুরে এক অরণ্যবাস লালন করি যেন।

অথচ সভ্যতার সাথে হেঁটে
আমিও লৌকিকতাপ্রিয় হতে চেয়েছিলাম,
কোলাহলমুখর এক পৃথিবীর আহ্বানে
সাড়া দিয়ে হাতে নিয়েছিলাম রক্ত গোলাপ।

একদা এই শহরের সাথে চলেও
আমি ছিলাম বাস্তবিক এক নি:সঙ্গ... বাকিটুকু পড়ুন

শহরে যখন প্রচণ্ড কোলাহল ভেসে আসছিল
আমি তখনো ব্যালকনিতে নিশ্চুপ, যেন ধ্যানরত;
নিজের সাথে বোঝাপড়ার সময়টাতেও
কোলাহলের প্রতি আমার দৃষ্টি ছিল পূর্ণ,
তবুও আজন্ম শহরবাসী আমি
অন্তঃপুরে এক অরণ্যবাস লালন করি যেন।

অথচ সভ্যতার সাথে হেঁটে
আমিও লৌকিকতাপ্রিয় হতে চেয়েছিলাম,
কোলাহলমুখর এক পৃথিবীর আহ্বানে
সাড়া দিয়ে হাতে নিয়েছিলাম রক্ত গোলাপ।

একদা এই শহরের সাথে চলেও
আমি ছিলাম বাস্তবিক এক নি:সঙ্গ... বাকিটুকু পড়ুন

কর্মউদ্দীপনায় যখন সবাই প্রচণ্ড গল্পরত
আমি কিন্তু মধ্যবিরতিতে তোমাতেই আত্মমগ্ন!

মসৃণ রাস্তায় ঝিরঝির বৃষ্টির সাথে
হেঁটে বাড়ি ফিরি যখন,
তোমার সঙ্গ পিপাসু মন দৃষ্টিপথে প্রসারিত।
সেই যাত্রাপথে অলঙ্কৃত তোমার বাঁশির সুর
আত্মভোলা পথিকের মতো আমায় মন্ত্রমুগ্ধ করে!

আজ সারাদিন জোনাকিপোকার সাথে কাটালাম,
অথচ মুহূর্ত আগেও আমি তোমাকে কেমন জ্বালাতন করলাম,
তুমি আলো জ্বালাতে চাইলে আমি অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিলাম।
আজ ঝিনুকের সাথে ছিলাম অনেকটা সময়,
আনন্দ সাথে নিয়ে;
ভীষণ আত্মভোলা আর উড়ে বেড়ানোর দিন ছিল আজ,
খুব অল্পের জন্য যে সুখপাখিটাকে রোজ হারিয়ে ফেলছিলাম,
পাহাড় ঘেসে হারিয়ে যাবার মুহূর্তে ওকে বনফুলে হাসতে দেখলাম!

এরকম ভ্রমণে বরাবরের মতো... বাকিটুকু পড়ুন

'পৃথিবীটা কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে'
নিজের সাথে বলা কথা প্রতিধ্বনির মত
ফিরে আসে আর বলে সত্যিই কী তাই!
পৃথিবী ভাঙ্গছে আর গড়ছে নিজের নিয়মে,
অন্ধকার সে তো আমার অন্ত:পুরে।

বদলে যাও তুমি, বদলে যাক সব
কখনো চাইনি আমি, না চেয়েছো তুমি;
চেয়েছি বৃষ্টির এই রিমঝিম ঝরুক অবিরত।

এক টুকরো রোদ নিয়ে এসে বলেছিলাম
গচ্ছিত রেখো তোমার বুকে,
সাথে দিয়েছিলাম একটি সাদা পালক।
আজ অনেকদিন পরে দেখা হল যখন
জানালে কতটা যত্নে আগলে রেখেছো
সোনালী রোদ্দুর, সাথে সেই শুভ্র পালক!

অসমাপ্ত গল্পে অর্ধখণ্ডিত প্রয়াণে..
প্রথম যখন দেখেছিলাম
তা পঁচিশ হতে চলল, অথচ
মিশে ছিল ভ্রূণ হয়ে জন্মমুহূর্ত ক্ষণে।

সেই হতে আজ অবধি আত্মজিজ্ঞাসা..
সাধারণের খেরোখাতায় প্রতিনিয়ত
অসাধারণ সব উপলব্ধির প্রয়াস!
হারানোর ব্যথা আজো যায়নি মুছে ,তাই
প্রাপ্তিবোধ দাড়িপাল্লায় ভালোবাসার
অসম বণ্টন জানান দেয় সর্বক্ষণ।

কত শত বাঁক আর অলিগলি পেরিয়ে
রজতজয়ন্তীর সায়াহ্নে মুখোমুখি
করুণ আনত আঁখি,
পেছনে পড়ে রয়েছে বৃষ্টিস্নাত মুগ্ধ নয়ন
সজল আকাশ, উলম্ব কানন আর
মায়া কাড়া পিচঢালা পথ!

আকাশটা জুড়ে থাকে শুধুই একরাশ গল্প
সাদাকালো গল্প, বেগুনি কখনো বা নীল
হারানোর গল্প পাওয়ার গল্প পেয়ে হারানোর
আবার হয়ত কিছুই না চাওয়ার গল্প,
তোমার আমার আর আমাদের গল্প।

পাড়ি দেয়া হয় না সমুদ্র, অরণ্য সেও সুদূর
ছোঁয়া হয় না ঐ পাহাড়চূড়া; তাই তো
অন্ত:পুরের সকল গল্প গচ্ছিত থাকে
দৃষ্টির সম্মুক্ষে অন্তরীক্ষে।

বাহিরে তুমুল বর্ষণ, ঝড়োমেঘ বইছে আকাশ জুড়ে
আজ তোমাকেই বড্ড প্রয়োজন আমার,
ক্ষণিক মুহূর্তের আগমন তৃপ্তি বোধ নয়, অতৃপ্তি বাড়ায়!
তাই আজ সম্পূর্ণ করে তোমাকেই চাই আমার।

সেই কোন সুদূরে, বৃষ্টিমুখর এক সন্ধ্যায় জলের কণায়
আমি ছুঁতে চেয়ে হারিয়েছিলাম তোমায়,
বিষন্ন এক দুপুরে, একাকী পরিব্রাজনের প্রাক্কালে
একান্ত করে পেয়ে নিতে পারিনি তোমায়,
নি:সীম রাত্রির গহনে রহস্য মন ডুবে... বাকিটুকু পড়ুন

বদ্ধ ঘরে আজ তারাদের আড্ডা,
জানান দেয় ভালোবাসার কোমল গান্ধার!

কত বছর হয়ে গেল,
হারিয়েছে পোশাকি ভালোবাসার ঘ্রাণ;
জরাজীর্ণ পথে উদভ্রান্ত পথিক
মনে পড়ে আরো,
মনে করিয়ে দেয় শস্যদানার প্রাণ।

কৃষ্ণচূড়া গাছটির বেদিমূলে যে অংশটুকু ছায়াবৃত
একদা সেখানে রক্তবর্ণ কৃষ্ণচূড়া তার চরণ ছোঁয়াতো,
আজ অনেকদিন পর দুটো ফিঙে রঙা পাখি
সেই বেদিমূলে কৃষ্ণচূড়ার লালে ঠোঁট রাঙালো;

প্রশংসাস্তবক আমার সামনে নতজানু হয়,
আমি মুখ ফিরিয়ে তাকাই।

আয়নায় প্রতিবিম্বিত স্বীয় আদল দেখি
অনেকটা পথ ক্লান্ত যেন,
খুশির ঝলক নিমিষে হারায়!