পাক ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধে যে আলেমরা রুখে দাড়ান তাদেরকে দেওবন্দী বলা হয়। ইংরেজ শাসনামলে উপমহাদেশের লক্ষাধিক মাদ্রাসা ধ্বংস করা হয়। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ আলেমকে শহীদ করা হয়। বলা হয়ে থাকে দিল্লির রাস্তার পার্শ্বে ও বাংলাদেশের বাহাদুর শাহ পার্কের এমন কোন গাছ নেই যাতে কোন না কোন আলেমকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় নি।
যখন ব্রিটিশরাজ বুঝতে পারে যে মুসলমানের গায়ে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত ভারতে সম্পূর্ন আধিপত্য বিস্তার সম্ভব নয় তখন তারা devide and rule policy হাতে নেয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করে আহলে হাদিস, মাজার পূজা, শিরক ও বেরেলভী গোষ্ঠী তৈরি করে। মুসলমানদের ঐক্য শেষ হয়ে যায়।
যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া হাক্কানী আলেমগন দেখলেন এভাবে চলতে থাকলে আগামী কিছু দিনের মধ্যে উপমহাদেশে ইসলাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তখন তারা সম্মিলিতভাবে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ নামক স্থানে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন। সারা বাংলাদেশে যত কওমী মাদ্রাসা দেখেন সব দেওবন্দের আকীদা মেনে চলে। ব্রিটেন, আমেরিকা অষ্ট্রেলিয়া পাকিস্তান সহ সারা বিশ্বের বেশীরভাগ মাদ্রাসাই দেওবন্দী আকীদায় বিশ্বাসী ও সমর্থনকারি।