somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেলিভিশন দেশকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশে এখন টেলিভিশনের সংখ্যা কত? আগে আমাদের শুধু সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স বিটিভি'র উপর নির্ভর করতে হত। আর এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২০-২১-২২...!!! অথচ ঈদ-পূজা'র মত বড় বড় অনুষ্ঠানগুলোতে নতুন এবং উপভোগ্য অনুষ্ঠানের সংখ্যা কত? দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিশেষ করে যারা প্রোগ্রামে কাজ করেন, তাদের মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই! এটা একটা বিস্ময়কর ব্যাপার। আরে ভাই, বস্তা পচা একই ধরনের অনুষ্ঠান আর কত চালাবেন?
পারলে নতুন কিছু দেখান, নইলে সাফ জানিয়ে দেন আমাদের যোগ্যতা এটুকুই। তাই দিয়ে যা পেরেছি তাই করছি। কিন্তু ভাবটা এমন পৃথিবীর সেরা অনুষ্ঠান এরা করছেন! দেশে কোনো বিশেষায়িত টেলিভিশন নেই এটা একটা বিশাল গ্যাপ। কেউ তা নিয়ে ভাবছে তাও মনে হয় না। সবাই সংবাদ, বস্তাপচা নাটক, ফাউল টকশো, ইনিয়ে বিনিয়ে নানা কাহিনী দেখাচ্ছেন কিন্তু একটাও দেখার মত নয়, তারা কি সেটা জানে? এছাড়া বিজ্ঞাপনের বিড়াম্বনা তো আছেই। বিজ্ঞাপনের আবার কোনো মানদণ্ড নেই। একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য এরকম হাইব্রিড বিজ্ঞাপনই যথেষ্ট। যারা টেলিভিশনের উপস্থাপক, তাদের উচ্চারণ তো মাশাল্লা সেইরাম! বান ঝালাপালা হয়ে যায়। একটা দেশ চোখের সামনে এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সম্মিলিত ধান্দাবাজদের খপ্পরে পড়ে। আহা টেলিভিশন...
দুই লাইন গাইতে জানলেই সে গিয়ে হাজির হয় টেলিভিশনে। দুই পাতা লিখতে পারলেই সে গিয়ে হাজির হয় টেলিভিশনে। দুই কথা বলতে পারলেই সে গিয়ে বকরবকর শুরু করে টেলিভিশনে। একি? এতো সত্যিই মগের মুল্লুক। যার যা খুশি তাই করছে। আহারে টেলিযুগ!!
নতুন আমদানি হয়েছে আবার বিদেশি কালচার। এক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আবার হরেব রকম সাজগোজ নিয়ে রঙ-চঙ মেখে হাজির হচ্ছেন। বলতে পারেন, আপনে একটা গাইয়া...আমনে শহুরে কালচার বোঝেন না...হে হে হে...যতোটুকু বুঝি তা দিয়ে বলতে চাই, এটা হাইব্রিড যুগ চলছে। কিছু না শিখে না জেনেই শর্টকাট এখানে সবাই বড় বড় স্টার। স্টারের খনি এখন বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোতে। কেউ সুপার স্টার। কেউ মেগাস্টার। কেউ পাতি স্টার। কেউ পোয়াতি স্টার। কেউ খোয়াতি স্টার। কেউ গোয়াতি স্টার। কেউ শোয়াতি স্টার। কেউ চোয়াতি স্টার। স্টারে স্টারে ভরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আহা এই না হলে টেলিযুগ কেমনে চলবে...
সৃজনশীলতার প্রকাশ যদি হয় এমন স্টারে স্টারে লোটপাট, তাহলে এই জাতি শুধু টেলিভিশনের কল্যানেই আমাদের শিশুদের মগজ নষ্ট করার জন্য একদিন কাঠগড়ায় দাড়াবে। কিন্তু তখন আর সময় থাকবে না। ফাজলামি'রও একটা সীমা থাকে রে ভাই....দেশের টেলিভিশনগুলো সম্মিলিতভাবে সেই নষ্ট ফাজলামিগুলো করে যাচ্ছে চোখের সামনে।
টেলিভিশন দেখে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। এসব টেলিভিশনের কল্যানে এখন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ অনেক কমে গেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেইসবুক। টেলিভিশন আর ফেইসবুক মিলে নতুন প্রজন্ম এখন বই থেকে যোজন যোজন দূরে। এভাবে একটা দেশ বিকশিত হতে পারে না। সেই সুযোগে সেখানে বাসা বাধে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। সো, সাধু সময় থাকতে সাবধান...
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×