somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইমেলার ডায়েরি (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) !!! রেজা ঘটক

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, শনিবার। অমর একুশে বইমেলার আজ ছিল শেষ দিন। আজও মেলায় ছিল বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। আজ বই যেমন বিক্রি হয়েছে, তেমনি আড্ডাও হয়েছে লাগাতার। আড্ডায় সবার কথায় ঘুরে ফিরেই অভিজিতের হত্যা প্রসঙ্গ এসেছে। পুলিশ কেন নিরব ভূমিকায় ছিল, তা নিয়ে সবাই প্রশ্ন তুলেছে। একজন লেখককে এভাবে হত্যা করার পরেও বাংলা একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। যা সবাইকে খুব আহত করেছে। বাংলা একাডেমি জাতির মননের প্রতীক থেকে দিন দিন নপুংসকদের মত আচরণ করছে। অথচ এই বাংলা একাডেমি হেফাজতের নালিশের কারণে আগ বাড়িয়ে রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দিয়েছিল। এমন কি বিতর্কিত বইটি না পড়েই একাডেমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেউ কেউ মন্তব্য করেন যে, রোদেলা প্রকাশনীকে বন্ধ করে দেওয়ার পর ধর্মান্ধরা আরো শক্তি পেয়েছে। এবারের বইমেলায়ও অনেকটা ২০০৪ সালের মত এক ভূতুরে পরিবেশ ছিল। যতই পুলিশ দাবি করুক গোটা ক্যাম্পাসে তিন-চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ছিল, কিন্তু হাজার হাজার মানুষের সামনে এভাবে অভিজিতকে সন্ত্রাসীরা হামলা করল, আর পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল, এখানেই পুলিশের যথাযথ দায়িত্ব পালন নিয়ে সবাই প্রশ্ন তুলেছে। বিষয়টি এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ইনভেস্টিগেশনে থাকায় অনেককেই এই বিষয়ে কথা বলতে অনাগ্রহীও দেখা গেছে।
আজ অমর একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে আলোচনার বিষয় ছিল 'নাট্যকার শম্ভুমিত্র'। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প সমালোচক আবুল হাসনাত। আলোচক ছিলেন হাসান ইমাম, এস.এম. মহসীন এবং শাহাদাৎ হোসেন নিপু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল অমর একুশে বইমেলা ২০১৫-র সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। বইমেলার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫’র সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গ্রন্থমেলা আয়োজন সহযোগী টেলিটক বাংলাদেশের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ জুলফিকার হায়দার এবং লন্ডনে বাংলা একাডেমি বইমেলা আয়োজনের সংগঠক গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, বইমেলার সম্মুখে মৌলবাদী ঘাতকচক্র যেভাবে অভিজিৎ রায়কে হত্যা করেছে, তাতে প্রমাণ হয় এ অন্ধকারের অপশক্তি জ্ঞান বা যুক্তি নয় বরং হত্যা, ঘৃণা ও সন্ত্রাসের পথে দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের পর, দু’দিন গ্রন্থমেলায় যে বিপুল জনসমাগম ঘটেছে, তা প্রকৃতপক্ষে এই হত্যাকাণ্ড এবং দেশে বিরাজমান সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ।
এবছর অমর একুশে বইমেলায় মোট ৩৮২৫টি নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে। বাংলা একাডেমি এবারের মেলায় প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে। আর প্রকাশকরা প্রায় ২২ কোটি টাকার বই বিক্রি করেছে।
প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি পরিচালিত 'সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ পুরস্কার ২০১৪' প্রদান করা হয় কবি ও কথাসাহিত্যিক ইকবাল হাসান এবং লেখক ও চিত্রশিল্পী সৈয়দ ইকবালকে। পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, পুষ্পস্তবক, সনদ এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
২০১৪ সালে সর্বাধিক সংখ্যক গুণমানসম্মত গ্রন্থ প্রকাশের জন্য মাওলা ব্রাদার্স-কে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’, মুর্তজা বশীরের আমার জীবন ও অন্যান্য গ্রন্থ প্রকাশের জন্যে বেঙ্গল পাবলিকেশন্স লিমিটেড এবং রবীন্দ্রসমগ্র খণ্ড-২৩ প্রকাশের জন্যে পাঠক সমাবেশ-কে ‘শহিদ মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০১৪ সালে সর্বাধিক সংখ্যক গুণমানসম্মত শিশুতোষ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য সময় প্রকাশন-কে ‘রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ হিসেবে পচিশ হাজার টাকার চেক, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
২০১৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-কে বিশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ এবং স্টল ক্যাটাগরিতে প্রথমা প্রকাশন এবং জ্যার্নিম্যান বুকস্-কে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ হিসেবে প্রত্যেককে পনের হাজার টাকার চেক, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন প্রকাশক এবং পাঠক প্রজন্ম গড়ে উঠছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের ভিত্তি তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অশুভশক্তি যখন মুক্তচিন্তার দিকে ঘাতক হয়ে তেড়ে আসছে, তখন আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটি ২০১৫-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ ২৩ দফা সম্মিলিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। যেখানে দ্বিতীয় দফায় বাংলা একাডেমির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করার কথা বলা হয়। যে সম্মেলন থেকে দেশের নতুন প্রজন্মের কবি-সাহিত্যিক-লেখকরা সত্যি সত্যিই কিছুই পায়নি। শুধুমাত্র লোক দেখানো এমন আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করে বাংলা একাডেমি গোটা জাতিকে মিডিয়ার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে একটি বড় ধরনের ধোকা দিয়েছে। দেশের নতুন প্রজন্মের কোনো কবি-লেখক এই আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন থেকে কিছুই অর্জন করতে পারেনি।
প্রতিবেদনের চতুর্থ দফায় একাডেমি প্রাঙ্গনে যে ৩২টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪২টি ইউনিট, ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৪টি ইউনিট, ১৯টি মিডিয়া ও আইটি প্রতিষ্ঠানকে ২০টি ইউনিট এবং ১৭টি অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২২টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে হাতে গোনা তিন-চারটি শিশু-কিশোর প্রকাশনা ছাড়া বাকি প্রকাশনাগুলো শিশু-কিশোরদের জন্য এক ধরনের অখাদ্য-কুখাদ্য প্রকাশনা এবার মেলায় এনেছে। যে ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এবার মেলায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তাদের সবারই নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র থাকা সত্বেও অমর একুশে বইমেলায় তাদের জন্য প্রতিবছর স্টল বরাদ্দ করার সত্যি সত্যিই কোনো যুক্তি নেই। কারণ প্রতিবছর এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান পুরনো বই বিক্রি করে থাকে। অমর একুশে বইমেলায় ১৯টি মিডিয়া ও আইটি প্রতিষ্ঠানকে এবং ১৭টি অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে যেসব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, বাংলা একাডেমি বরং এসব বরাদ্দ দিয়ে অমর একুশে বইমেলার পরিবেশ নষ্ট করেছে। মিডিয়া কেন বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাবে? বাংলা একাডেমি কোন যুক্তিতে মিডিয়াকে ১৯টি স্টল বরাদ্দ দিল, তারা সেসব স্টলে কি করেছে, তা মেলায় আগত সকল বইপ্রেমীরা সরাসরি দেখেছে। মেলায় আগত এসব মিডিয়া বরং মেলার সুন্দর পরিবেশকে একটি আবর্জনায় পরিনত করার চেষ্টা করেছে।
প্রতিবেদনের নবম দফায় বলা হয় একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে দুটি লেখককুঞ্জ ছিল। এসব লেখককুঞ্জ বিশেষ করে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের লেখককুঞ্জে দেশের নবীন ও প্রবীণ লেখকেরা নিজেদের মধ্যে, প্রকাশক ও পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আড্ডায় অংশ নিয়েছেন। প্রকৃত সত্য হল, আমি মেলায় এবার মোট ২৬ দিন গেছি। কোনো দিন এসব কথিত লেখককুঞ্জে কোনো লেখক-প্রকাশককে আড্ডা দিতে দেখিনি। বরং এসব লেখককুঞ্জ মেলায় আগত রাম-শ্যাম-যদু-মধুরা নিজেদের ইচ্ছেমত বসেছে, আড্ডা দিয়েছে। বাংলা একাডেমির প্রতিবেদনের নবম দফায় উল্লেখিত এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রতিবেদনের পনেরোতম দফায় বলা হয়, প্রতিবারের মতো এবারেও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল নজরুল মঞ্চে। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে অনেক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। নানা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। এবার অন্তত ২৭৫ টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এসবের খবর সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছে। প্রকৃত সত্য হল, এসব মোড়ক উন্মোচিত হওয়া বইগুলোর অন্তত শতকরা ৯৫ ভাগই অখাদ্য-কুখাদ্য ও আবর্জনা। বরং এভাবে অখাদ্য-কুখাদ্য বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে দেশের মন্ত্রী, সাংসদ, আমলা, কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবীরা অংশ নিয়ে বই প্রকাশে অখাদ্য-কুখাদ্য বইকে এক ধরনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। যা বইমেলার নামে সাহিত্যের দিন দিন বারোটা বাজাচ্ছে।
প্রতিবেদনের ষোলতম দফায় বলা হয়, ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমকালীন প্রসঙ্গ এবং বিস্মৃতপ্রায় বিশিষ্ট বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেশের নবীন-প্রবীণ কবি-লেখক ও গবেষকবৃন্দ। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে ২১শে ফেব্রুয়ারি স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর এবং অমর একুশে বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন ছিল গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে। আসলে প্রতিবছরই বাংলা একাডেমি একুশের বইমেলায় যে সেমিনার বা আলোচনার নামে যে জ্ঞানগর্ব বিষয়টি উপস্থাপন করে, তা যে কতোটা বাস্তবতা বিবর্জিত, কতোটা অশালীন, কতোটা শ্রোতাবিমুখ, তা যদি কেউ সরাসরি না দেখে থাকেন, তাহলে বলব, এদের মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রতিবছর ফাঁকা চেয়ারের উদ্দেশ্য বা মেলায় আগত বইপ্রেমীদের যারা একটু বিশ্রাম নিতে ওসব ফাঁকা চেয়ারে বসেন, তাদের উদ্দেশ্যে এমন জ্ঞানগর্ব আলোচনা যে কতোটা দৃষ্টিকটু, কতোটা অসহায়, কতোটা হাস্যকার, এই বিষয়টা বুঝতে বাংলা একাডেমিকে আর কত হাজার বছর অপেক্ষা করতে হবে? যারা আলোচনায় অংশগ্রহন করেন, তাদেরও কি একটুও লজ্বা লাগে না???
প্রতিবেদনের আঠারোতম দফায় বলা হয়, ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫’-এর নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে দুটি প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ বাতিল করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কপিরাইট অফিসের সহায়তায় বই পাইরেসির বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হয় বিশেষ ব্যবস্থা। এখানে একটি বিষয় আবারো উল্লেখ করা প্রয়োজন, রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দিয়ে বাংলা একাডেমি যে সরকারের পুতুল হিসেবে শুধু হুকুম পালন করেছে এবং বিতর্কিত বইটি যে তারা এখন পর্যন্ত ছুঁয়েও দেখেনি, তাহলে বাংলা একাডেমির এই সিদ্ধান্তটি কেমন ছিল, যা বইমেলায় ধর্মান্ধদের আরো উৎসাহিত করেছে। যারই ধারাবাহিকতায় লেখক অভিজিৎ রায়কে সন্ত্রাসীরা হত্যা করতে পেরেছে। বাংলা একাডেমি এই দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না।
প্রতিবেদনের বাঁইশতম দফায় একাডেমি কিছু সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে দায় এড়াতে চেয়েছে। সেগুলো হল-(১) টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তায় কোনো কোনো দিন সম্পূর্ণভাবে হকারমুক্ত রাখা যায়নি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীদের সদস্যদের আন্তরিক চেষ্টা সত্বেও এক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সফল হয়নি বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে। (২) ভীড়ের দিনগুলোতে মেলায় প্রবেশ ও বহির্মুখগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলাফেরা করা যায় এমন অবস্থায় রাখা যায়নি। সেই দিনগুলোতে অনেকের কষ্ট হয়েছে। (৩) এবার মেলার পরিসর অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে পূর্বদিকে যাঁরা ছিলেন তাঁদের কাছে পাঠক-বইপ্রেমীদের খুব সমাগম হয়নি। আমরা আগামী বছর এদিকটা বিবেচনায় রেখে নতুনভাবে পুরো স্থানটিকে বিন্যস্ত করার চেষ্টা করবো। (৪) আমরা জানি ৩ হাজারের বেশি নতুন বই এবার প্রকাশিত হয়েছে। তবে বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। সুন্দর পরিবেশ ও মানসম্মত বইই মেলার প্রাণশক্তি। মানসম্মত বই প্রকাশ করার ব্যাপারে লেখক-প্রকাশ-পাঠকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। এই বিষয় নিয়ে পরবর্তী কোনো লেখায় আমার বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইল।
প্রতিবেদনের চৌদ্দতম দফায় বলা হয়, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলা প্রাঙ্গণে ছিল ৭৫টি ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা। অথচ পুলিশের সামনে সন্ত্রাসীরা লেখক অভিজিত রায়কে হত্যা করে নিরাপদে কেটে পড়তে সক্ষম হল। এখন পর্যন্ত পুলিশ অভিজিতের উপর হামলাকারীদের ধরতে পারেনি। তাহলে অমর একুশে বইমেলা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ছিল, এই কথাটি কতোটা যৌক্তিক। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই আরো বড় এরিয়া জুড়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হবে। গোটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যে পথ দিয়েই বইমেলায় প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ রয়েছে, সেই পথগুলোও যে ভবিষ্যতে নজরদারির আওতায় আনতে হবে, সেটি হয়তো তাদের নতুন করে পরিকল্পনায় নেওয়া উচিত। নতুবা কথিত নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়টি কেবল লোক-দেখানো হবে।
দেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংশতার ভেতরেও হাজার হাজার বইপ্রেমী মানুষ জীবনের নিরাপত্তার কথা আমলে না নিয়েও যে প্রতিদিন একুশের বইমেলায় গেছে, বইমেলাকে প্রাণবন্ত করেছে, তাদের বরং সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ ও সাধুবাদটি পাবার কথা। সরকার ও বাংলা একাডেমিকে অমর একুশে বইমেলা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এখন। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একটি বইমেলা সামলাতে রাষ্ট্র এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং হাজার হাজার শ্রেণীপেশার মানুষ যে হাজার হাজার শ্রমঘণ্টা ব্যয় করছে, এই হিসেবটি সবার আগে করা উচিত। একুশে বইমেলা মাসব্যাপী করে আমরা কি ফল পাচ্ছি? এবার অন্তত ৩৮২৫টি নতুন বই মেলায় প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে কয়টি বই গুণগত মানসম্পন্ন সেই প্রশ্নটি সবার আগে আসার কথা। মেলা উপলক্ষ্যে এতো বই প্রকাশ করার কি মানে আছে? এর মধ্যে কয়টি বই পড়ার যোগ্য? একুশের বইমেলাকে মিনিমাম সাতদিনের মধ্যে সীমিত করার পক্ষে আমি। মেলা উদ্ধোধন হতে পারে প্রতিবছর ১২ ফেব্রুয়ারি। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি এই সাতদিন চলবে অমর একুশে বইমেলা। এছাড়া গুণগত মানসম্মত বই প্রকাশের ব্যাপারে বাংলা একাডেমিকেই এগিয়ে আসতে হবে। লেখক-প্রকাশকদেরও আন্তরিক হতে হবে। হাজার হাজার অখাদ্য-কুখাদ্য বই প্রকাশ করে কি পাচ্ছি আমরা? আমাদের শিশুরা এসব আবর্জনা দিয়ে কি শিখবে? আমাদের মন্ত্রী, সাংসদ, আমলা, কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবীরা যারা বইটি সম্পর্কে না জেনেই মোড়ক উন্মোচন করার জন্য এক পায়ে লাফিয়ে বেড়ান, তারা জাতিকে আসলে কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে, এসব ভাবার হয়তো এখনই সময়। সরকারি প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ দিয়ে বাংলা একাডেমি একুশের বইমেলাকে আবর্জনার স্তূপে পরিনত করছে।
একুশের বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও একাডেমি প্রাঙ্গন এই দুইভাগে ভাগ হওয়ায়, প্রকৃত বইপ্রেমীদের আসল বইটি খুঁজতে এবারো অনেক কসরত করতে হয়েছে। অনেকে পছন্দের বইটি শেষ পর্যন্ত কিনতে পারেননি। যা কিনেছেন বা অনুরোধের ঢেকুর গিলে যে বইটি নিয়েছেন, তা কতোটা পাঠযোগ্য, এসব এখনই ভাবার সময়। নইলে এই জাতিকে কোনো দিন সত্যিকারের মানুষ বানানো যাবে না।
প্রতিবেদনের তৃতীয় দফায় বলা হয়, বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে স্থাপিত হয় একটি সুউচ্চ টাওয়ার। এটি মেলার সামগ্রিক বিন্যাস ও সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যুক্ত করে। এই প্রসঙ্গে বলব, বাংলা একাডেমি চত্বরে টেলিটকের টাওয়ার স্থাপন করে একাডেমি যে অসভ্যতা করেছে, তা কারো রুচিতে লাগতে পারার কথা নয়। এবারের একুশের মেলায় সবচেয়ে ডিসটার্বিং এলিমেন্ট ছিল টেলিটকের সিম বিক্রি করা। মেলার স্পন্সর হয়ে তারা বইমেলার সকল সৌন্দর্য ধ্বংস করেছে। অনেকে বইমেলায় এসেছে কেবলমাত্র টেলিটকের সিম কেনার জন্য। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত সিম কেনা ও ফরম পূরণের লম্বা লাইন ছিল। যাকে একাডেমি কোন রুচিতে সৌন্দর্য বলছে, এটা আমার ঠিক মাথায় আসে না। বাংলা একাডেমি চত্বর থেকে টেলিটকের টাওয়ার অচিরেই সরিয়ে ফেলা হোক। দেশের সকল কবি-লেখক-প্রকাশক-পাঠক এবং সর্বস্তরের জনসাধারণকে আহবান জানাচ্ছি, বাংলা একাডেমি চত্বর থেকে টেলিটকের টাওয়ার সরিয়ে ফেলার জোড়ালো আবেদন জানানোর জন্য।
আগামীতে শুধুমাত্র একাডেমি চত্বরেই অমর একুশের বইমেলার আয়োজন করা হোক। প্রয়োজনে নতুন নীতিমালা করে মানসম্মত প্রকাশকদের শুধু স্টল বরাদ্দ করা হোক। ফেব্রুয়ারির অন্য দিনগুলোতে বা বছরের অন্য সময়ে অন্যান্য প্রকাশকদের নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলাদাভাবে বইমেলা আয়োজন করা যেতে পারে। নইলে অমর একুশের যে ঐতিহ্য ও গৌরব, তা দিনদিন টেলিটক বা স্পন্সর কোম্পানির টাকার আড়ালে প্রতিবছরই হারিয়ে যেতে বসেছে। এই জায়গাটি যদি সরকার ও বাংলা একাডেমি গুরুত্ব না দেয়, তাহলে আগামীতে অমর একুশে বইমেলা আরো আবর্জনায় ভরে যাবে। একাডেমি চত্বরে মাত্র ৩০০ টি প্রকাশনাকে স্টল বরাদ্দ দিয়ে অত্যন্ত সুন্দরভাবে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করার কথা ভাবতে হবে। সেই ৩০০ জনকে জায়গা দেবার মত স্থান একাডেমি চত্বরেই রয়েছে। প্রকাশকরা তখন জানুয়ারি মাসেই তাদের নতুন বইয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মেলার সাতদিন পাঠকদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে বাধ্য হবেন। বইপ্রেমীরাও সাতদিনের মধ্যে কোন কোন দিন মেলায় গিয়ে কি কি বই কিনবেন, তা আগেভাগেই ঠিক করে নিতে পারবেন। খামাখা গায়ে গায়ে ভিড় করে তো বই বিক্রি হচ্ছে না। আর অমর একুশে বইমেলা চলার সময়ে গোট দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি পর্যন্ত বারোয়ারি কোনো পসরা একদম এলাউ করা উচিত নয়। হকারদের সঙ্গেও কথা বলে জেনেছি, তারা পুলিশকে টাকা দিয়েই এই রাস্তায় বসার ব্যবস্থা করেছে। আবার পুলিশ উপরের নির্দেশ পেলে মাঝে মাঝে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ ও হকারদের এই সাপলুডু খেলাটি সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
আজ বইমেলার সমাপ্তি দিনেও মেলায় ১২৫টি নতুন বই এসেছে। এটি কোনোভাবেই পাঠকদের জন্য কোনো সুখবর নয়। একুশের বইমেলা যদি ১৩ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি করা হয়, আর নিশ্চিতভাবে প্রকাশিত বইগুলো যদি একাডেমি নোটিশবোর্ডে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই টানিয়ে দেওয়া যায়, আর একুশের বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়া প্রকাশকগণ যদি সেই বইগুলো ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখের মধ্যেই প্রস্তুত রাখেন, তাহলে পাঠক নোটিশ বোর্ড দেখে পছন্দের বইগুলো আগেভাগেই ঠিক করে নিতে পারবে।
আমরা বাঙালিরা এমনিতে ভারি অলস একটা জাতি। গোটা ফেব্রুয়ারি মাস এক একুশের বইমেলাকে কেন্দ্র করে কত হাজার শ্রম ঘণ্টা নষ্ট হয়, তার হিসেব যদি বাংলাদেশ করত, তাহলে আমাদের এই অপরিপক্ক মাসব্যাপী মেলার প্রয়োজনীতার কথা বাংলা একাডেমি বা সরকার বাহাদুর আরো আগেই সংকুচিত করার কথা ভাবতেন। যেহেতু ১লা ফাল্গুন একুশের বইমেলা জমতে শুরু করে। আর ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের এই আয়োজনের প্রধান দিন। তাই এর বাইরে বর্ধিত দিনগুলো কেবল অপচয় বলেই আমি মনে করি। বাংলা একাডেমি একমাত্র একুশের বইমেলার আয়োজক হয়েই বাকি এগারো মাস নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। এক ভারী আশ্চার্য কুম্ভকর্ণ এই বাংলা একাডেমি। বাকি এগারো মাস এই একাডেমি কি করে, তা কেউ জানে না। একুশের মেলা আয়োজন করাটাই যেন একাডেমির একমাত্র কর্ম হয়ে গেছে। এই সংস্কৃতি থেকে একাডেমিকে মুক্ত করতে হবে। একাডেমির প্রধান কাজ সারা বছর গবেষণা করে, নতুন নতুন বিষয় জাতিকে উপহার দেওয়া। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, একমাত্র একুশের বইমেলা আয়োজন করেই একাডেমির দায়িত্ব পালন শেষ, এমন একটি পদ্ধতির প্রচলন হয়ে গেছে। এমন একটি গোলক ধাধায় একাডেমি দিনদিন বন্দি হয়ে গেছে। এই অকর্মন্য একাডেমিকে নিজের পায়ে শক্ত হয়েই দাঁড়াতে হবে। নইলে জাতির মননের প্রতীক থেকে এটি ধীরে ধীরে টেলিটক মার্কা অখাদ্য আবর্জনা হবার ঝুঁকি রয়ে গেছে। আমরা বাংলা একাডেমিকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে দেখতে চাই। আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন বছরের অন্যান্য সময়ে আয়োজন হলেই বরং সেখানে নতুন প্রজন্মের কবি-লেখকদের নিয়ে আরো কার্যকর সম্মেলন হতে পারে। একুশের বইমেলার সময় কবি লেখকরা নিজেদের বইপ্রকাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাদের পক্ষে এই সম্মেলনে হাজির হওয়াটাও একটা যৌক্তিক প্রশ্ন। নতুন প্রজন্মের কবি-লেখকরা যদি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে হাজির হতে না পারলো, তাহলে সেই সম্মেলন আয়োজন করে গোটা জাতির কি লাভ হবে?
বন্ধুরা, গোটা ফেব্রুয়ারি মাস আমরা প্রাণের বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে অমর একুশে বইমেলায় ছুটে গেছি। আমাদের সেই যাওয়া আসায় অনেক লাভ হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের একজন বিজ্ঞান লেখককে এবার সন্ত্রাসীদের হাতে বলি হতে দেখেছি। এই শোক যেন আমরা ভুলে না যাই। আমরা যেন বিজ্ঞান লেখক অভিজিত রায়কে ভুলে না যাই। নতুন প্রজন্মের ভেতর থেকে হাজার হাজার অভিজিত তৈরি হবে, এমন স্বপ্ন নিয়েই আমরা বেঁচে থাকব। রাষ্ট্র আমাদের এখন কোন সভ্যতার দিকে নিয়ে যাবে, সেই প্রশ্নটি বারবার মনে জাগে। আমরা কি সভ্যতার দিকে হাঁটছি নাকি ধর্মান্ধদের চাবুকের তোড়ে রক্তবর্ণ চোখ রাঙানিতে বর্বর অন্ধকার যুগের দিকে যাচ্ছি, সেই চিন্তা আপনাদেরও করতে হবে। নইলে আমরা আর কবে মানুষ হব। মনে রাখতে হবে, এই বাংলায় একজন হুমায়ুন আজাদ বা একজন অভিজিত রায় বছর বছর জন্ম নেয় না। দেশের শ্রেষ্ট সন্তানদের যদি আমরা মূল্যায়ন করতে না পারি, তাহলে আমরা যে সোনার বাংলা গড়তে চাই, সেই স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থেকেই যাবে। মাঝখানে দুবৃত্তায়নের রাজনীতি সবকিছু গুবলেট পাকিয়ে দেবে। অতএব সাধু সাবধান। সবাইকে গোটা মাস সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। একুশের বইমেলা থেকে যে বইগুলো কিনেছেন, সেগুলো পড়বেন, বই নিয়ে আলোচনা করবেন, তাহলেই আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গাটি আরো পাকাপোক্ত হবে। সবার জন্য শুভ কামনা।


...................................
১ মার্চ ২০১৫
ঢাকা
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×