somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ ট্রিবিউট টু লিজেন্ড নায়করাজ রাজ্জাক!!!

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৮৮ সাল। বিএমএ লং কোর্সে পরীক্ষা দিতে খুলনা গেছি। খুলনার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্টে আমার পরীক্ষা ছিল। আগেই পরিকল্পনা ছিল পরীক্ষা শেষেই বন্ধু আজিজের সাথে ঘুরবো। আজিজের গার্লফ্রেন্ড পড়ে তখন খুলনার সুলতানা হামিদ আলী গার্লস স্কুলে। আমরা স্কুলের সামনে গিয়ে কয়েক রাউন্ড ঘুরপাক খেলাম। কিছুতেই দেখা হয় না। কী করা? তারপর বুদ্ধি করে আমরা সিনেমা দেখতে গেলাম। চারটায় স্কুল ছুটি হবে। তার আগেই আমরা স্কুলের উল্টো পাশের রাস্তায় এসে দাঁড়াবো। আজিজের বান্ধবী স্কুল থেকে বের হয়ে রাস্তা ক্রোস করে এপারে আসলেই যাতে আমাদের সাথে দেখা হয়!

তুমি যে আমার কবিতা
আমি এক দুরন্ত যাযাবর
পাগল পাগল মানুষ গুলো

আমরা রিকশা নিয়ে প্রথমে গেলাম পিকচার প‌্যালেস। ওখানে যে ছবি হচ্ছে, ওটা আজিজের দেখা। রিকশা ঘুরিয়ে আবার গেলাম সঙ্গীতা হলের সামনে। ওখানে যে ছবি চলছে ওটাও আজিজের পছন্দ হলো না। আমরা রিকশা ঘুরিয়ে এরপর গেলাম শঙ্খ সিনেমা হলের সামনে। শঙ্খ-তে চলছে 'বড় ভালো লোক ছিল' ছবিটি। সৈয়দ শামসুল হকের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গীতরচনা। পরিচালক মহিউদ্দিন। আমরা ১২টার শো'র দুইটা টিকিট নিলাম। তখনো হাতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময়। কী করা যায়?


আজিজ বলল, চল আবার স্কুলের সামনে থেকে ঘুরে আসি। যদি দেখা হয়ে যায়! রাস্তা থেকে আজিজের গার্লফ্রেন্ডের ক্লাশরুমটা দেখা যায়। দোতলার জানালায় যদি সে উকি দেয়, তো আমাদের নিশ্চিত দেখবে। আমরা স্কুলের সামনের রাস্তায় গিয়ে আবারো উকিঝুকি দিচ্ছিলাম। কয়েকবার আমাদের ঘুরতে দেখে দারোয়ান আমাদের সন্দেহ করলো। আমরা রাস্তার উল্টোপাশে ফিরে আবার দোতলায় চোখ দিতেই আজিজ খুব খুশি হয়ে উঠলো। ওইতো দেখা যাচ্ছে। ওরা তিন বান্ধবী দোতলার জানালায় দাঁড়িয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছে।

আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম আজিজের কথা মত। আজিজ ওদের দৃষ্টি আকর্শন করার জন্য কয়েকবার রাস্তার এপারেই হাঁটাহাঁটি করলো। একসময় ওরা দেখল কী দেখল না বোঝা গেল না। কিন্তু আজিজ হাতের ইশারায় বোঝাতে চাইলো, আমরা ১২টার শো দেখব। সিনেমা শেষ হলেই ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে আমরা রাস্তার এখানে এসে দাঁড়াবো!


আমরা আবার রিকশা নিয়ে শঙ্খ হলের সামনে গেলাম। নির্ধারিত সময়েই 'বড় ভালো লোক ছিল' ছবিটি শুরু হলো। এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ, সুলতানা, ইলোরা, আনোয়ার হোসেন, গোলাম মোস্তফা, সাইফুদ্দিন, আহমেদ শরীফ, এমএ মতিন, কালিপদ সেন, নজরুল ইসলাম, মিনু রহমান, মাহমুদা বেগম, মাধুরী সিগমা, জেসমীন মুরং, কাজী আলমগীর, উৎপল বড়ুয়া, জহীর, মুরাদ, আবুবকর সিদ্দিক, শামসু, জাকির, মামুন ও ইদ্রিস আলী। অতিথি শিল্পী ছিলেন সৈয়দ হাসান ইমাম, নাহিদ পারভেজ, আসগর আহমেদ ও প্রবীর মিত্র।

হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস রঙ ফুরাইলে ঠুস
এলাহি আল আমিন আল্লাহ বাদশা
তোরা দেখ, দেখরে চাহিয়া, রাস্তা দিয়া হাইটা চলে, রাস্তা হারাইয়া

'বড় ভালো লোক ছিল' ছবি'র চিত্রগ্রহন করেছেন কাজী বশির। সম্পাদনা করেছেন ইসরাইল তালুকদার। কণ্ঠশিল্পী ছিলেন রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, বিপুল ভট্টাচার্য ও শাম্মী আকতার। কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গীতরচনা করেছেন সৈয়দ শামসুল হক। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলম খান। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। লালন ফকিরের দুটি গানও এই ছবিতে ছিল।


সিনেমা হলে গিয়ে নায়করাজ রাজ্জাকের প্রথম যে সিনেমাটি আমি দেখেছি, তার নাম 'বড় ভালো লোক ছিল'। ছবিটি ১৯৮২ সালে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছিলেন মহিউদ্দীন। শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছিলেন আলম খান। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেয়েছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। সেরা কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু কিশোর। সৈয়দ শামসুল হকের লেখা 'হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস রঙ ফুরাইলে ঠুস', 'আমি চক্ষু দিয়া দেখতে ছিলাম জগত রঙিলা', 'তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া, রাস্তা দিয়া হাঁইটা চলে কেমন করিয়া', পাগোল পাগোল মানুষ গুলা, পাগোল সারা দুনিয়া, কেহ পাগোল রূপ দেখিয়া, কেহ পাগোল শুনিয়া', গানগুলো তখন মানুষের মুখেমুখে ছিল। কালজয়ী সেই গানগুলো এখনো মনে আছে।

ও বেহুলা সুন্দরী
মরি হায় রে হায়

ওই ছবি'র শেষ দৃশ্যে ইয়াছিন-এর চরিত্রে অভিনয় করা নায়করাজ রাজ্জাকের লাশ যখন মুক্তিরা নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সবাই বলছিল, বড় ভালো লোক ছিল। এরপর নায়করাজ রাজ্জাকের অনেক ছবি আমি দেখেছি। আমাদের ছোটবেলায় দেখা অধিকাংশ ছবি'র নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। বাংলা চলচ্চিত্র পত্রিকা চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছিলেন। সেই থেকে তিনি আমাদের নায়করাজ রাজ্জাক।


১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে (নাকতলা, দক্ষিণ কলকাতা, ভারত) জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয় দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা। ১৯৬৪ সালে ভারতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ে তিনি শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আসেন।

নীল আকাশের নিচে আমি, রাস্তায় চলেছি একা।
প্রেমের নাম বেদনা।
রুপ দেখে চোখ ধাঁধে, মন ভোলে না।

প্রথমদিকে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে "ঘরোয়া" ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন। পরবর্তী সময়ে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের 'তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন' চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন। পরবর্তী সময়ে 'কার বউ', 'ডাক বাবু', 'আখেরী স্টেশন'-সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৬৬ সালে জহির রায়হানের ''বেহুলা'' চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে।


অভিনয়জীবনে তিনি 'বেহুলা', 'আগুন নিয়ে খেলা', 'এতটুকু আশা', 'নীল আকাশের নীচে', 'জীবন থেকে নেয়া', 'ওরা ১১ জন', 'অবুঝ মন', 'রংবাজ', 'আলোর মিছিল', 'অশিক্ষিত', 'ছুটির ঘণ্টা', 'বড় ভালো লোক ছিল', 'উজালা', 'কাগজের নৌকা', 'আনোয়ারা', 'জুলেখা', ' নিশি হলো ভোর', 'দুই ভাই', 'সংসার', ' আবির্ভাব', 'সখিনা', 'সুয়োরাণী দুয়োরাণী', 'বাঁশরী', 'কুচবরন কন্যা', 'গৌরি', 'মনের মতো বউ', 'ময়নামতি', 'আগন্তুক', 'শেষ পর্যন্ত', 'মেহেরবান', 'যে আগুনে পুড়ি', 'ক, খ, গ, ঘ, ঙ', 'আঁকা বাকা', 'পীচ ঢালা পথ', 'সমাপ্তি', 'যোগ বিয়োগ', 'দর্পচুর্ণ', 'মধুমিলন', 'ঢেউয়ের পর ঢেউ', 'টাকা আনা পাই', 'কাঁচ কাটা হীরা', 'দ্বীপ নেভে নাই', 'ছদ্মবেশী', 'অধিকার', 'কত যে মিনতি', 'পিতা পুত্র', 'বড় বউ', 'পায়েল', 'নাচের পুতুল', 'স্বরলিপি', 'স্মৃতিটুকু থাক', 'গাঁয়ের বধু', 'মনের মতো মন', 'সঙ্গীতা', 'অশ্রু দিয়ে লেখা', 'এরাও মানুষ', 'ছন্দ হারিয়ে গেল', 'মানুষের মন', 'কমলা রাণীর দীঘি', 'প্রতিশোধ', 'শপথ নিলাম', 'চৌধুরী বাড়ি', 'জীবন সঙ্গী', 'ঝড়ের পাখি', 'পলাতক', 'প্রিয়তমা', 'যাহা বলিব সত্যি বলিব', 'এখানে আকাশ নীল', 'স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা', 'কে তুমি', 'অনির্বাণ', 'আমার জন্মভূমি', 'স্লোগান', 'অতিথি', 'জীবন তৃষ্ণা', 'খেলাঘর', 'ভুল যখন ভাঙল', 'বেঈমান', 'দুই পর্ব', 'পরিচয়', 'অবাক পৃথিবী', 'মাসুদ রানা', 'ভাইবোন', 'চোখের জলে', 'বাঁদী থেকে বেগম', 'সাধু শয়তান', 'আলো তুমি আলেয়া', 'চাষীর মেয়ে', 'আপনজন', 'ডাক পিয়ন', 'উপহার', 'আঁধার পেরিয়ে', 'অনেক প্রেম অনেক জ্বালা', 'কি যে করি', 'গুন্ডা', 'মায়ার বাঁধন', 'প্রতিনিধি', 'সমাধি', 'আকাঙ্খা', 'স্মাগলার', 'শাপমুক্তি', 'সেতু', 'অনুরোধ', 'আগুন', 'অমর প্রেম', 'অনন্ত প্রেম', 'মতি মহল', 'যাদুর বাঁশি', 'সোহাগ', 'অঙ্গার', 'অগ্নিশিখা', 'আসামী', 'কাপুরুষ', 'বাজিমাত', 'অলংকার', 'দুই পয়সার আলতা', 'রজনীগন্ধা', 'লাইলি মজনু', 'আনারকলি', 'শুভদা', 'ঢাকা ৮৬', 'রাজলক্ষী শ্রীকান্ত'-সহ প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।

প্রেমের নাম বেদনা, সে কথা বুঝিনি আগে
এই পৃথিবীর পরে

রাজ্জাকের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ছিল 'অনন্ত প্রেম' (১৯৭৭), নায়িকা চরিত্রে ছিলেন ববিতা। তাঁর সর্বশেষ পরিচালিত চরিত্র 'আয়না কাহিনি' (২০১৪) আর সর্বশেষ চলচ্চিত্র 'কার্তুজ' (২০১৪)। নায়ক হিসেবে শেষ ছবি ছিল 'মালামতি'। নায়িকা ছিলেন নূতন। উল্লেখ্য তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি নায়ক চরিত্রের বাইরে অভিনয় করেন।


২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাঁকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে কেন্দ্রীয় চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।

আমার এই গান তুমি শুনবে, শুনবে

তাঁর আট বছর বয়সে বাবা আকবর হোসেন ও মা নিসারুন্নেসা দুজনই মারা যান। ৩ ভাই, ৩ বোনের সংসারে বড়রা রাজ্জাককে বুঝতেই দেননি বাবা-মায়ের শূন্যতা। ছোটবেলায় পড়তেন খানপুর হাইস্কুলে। কৈশোরে রাজ্জাকের ইচ্ছা ছিল ফুটবলার হওয়ার। গোলরক্ষক হিসেবে ভালো খেলতেন। কলকাতায় রাজ্জাক যে পাড়ায় থাকতেন, সেই পাড়ায়ই থাকতেন ছবি বিশ্বাস ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনয়শিল্পীরা। ছবি বিশ্বাস পাড়ার শিশু-কিশোরদের বিপুল উৎসাহ নিয়ে আবৃত্তি শেখাতেন। রাজ্জাকও তাঁর কাছে আবৃত্তি শিখেছেন।

হায় হায় রঙিলা রঙিলা রে

রাজ্জাকের আইডল ছিলেন উত্তমকুমার। ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর রাজ্জাক ঠিক করলেন তিনি বোম্বে চলে যাবেন। পীযূষ বোস পরামর্শ দিলেন, ‘ক্যারিয়ার গড়তে হলে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাও।’ মাইগ্রেশন করে খুলনা বর্ডার দিয়ে শিমুলিয়া হয়ে ঢাকায় চলে এলেন রাজ্জাক। তত দিনে তিনি বিয়ে করেছেন (১৯৬২), স্ত্রী রাজলক্ষ্মী ও আট মাসের সন্তান বাপ্পারাজকে সঙ্গে করে ঢাকায় এলেন। শুরু হলো নতুন সংগ্রামী জীবন।

প্রভু না না না

গতকাল ২১ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। রাজ্জাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলা চলচ্চিত্রের একটি সোনালী অধ্যায়। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে যাঁদের হাত ধরে এদেশে চলচ্চিত্র দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল এক নাম রাজ্জাক। দীর্ঘ অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি জয় করেছিলেন এ দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের হৃদয়। যতদিন বাংলা চলচ্চিত্র বেঁচে থাকবে ততদিন নায়করাজ আমাদের অন্তরে চিরসবুজের মত বেঁচে থাকবেন। জয়তু নায়করাজ। জয়তু বাংলাদেশের উত্তমকুমার।



----------------------
২২ আগস্ট ২০১৭



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
৩০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×