somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৈরিতার বিরুদ্ধে নদী ও নারীর যুদ্ধের গল্প 'হালদা' !!!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ ১ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে সারা দেশের প্রায় ১০০টি প্রেক্ষাগৃহে একসঙ্গে মুক্তি পেল চলচ্চিত্র নির্মাতা তৌকির আহমেদের নতুন ছবি 'হালদা'। আজাদ বুলবুলের গল্প থেকে চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনা করেছেন তৌকির আহমেদ। জয়যাত্রা, রূপকথার গল্প, দারুচিনি দ্বীপ ও অজ্ঞাতনামা'র পর 'হালদা' তৌকির আহমেদের এক ভিন্নমাত্রার চরম বাস্তবতার ছবি। 'হালদা' তৌকির আহমেদ পরিচালিত পঞ্চম চলচ্চিত্র।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত দেশের অন্যতম মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত নদী হলো হালদা। এককথায় হালদা নদীর দুই পাড়ের মানুষের বিচিত্র জীবন, হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ানো এবং নদীর উভয় পাড়ের হতদরিদ্র মানুষের জল, জাল ও জেলে জীবনের নানান টানাপোড়নের গল্প 'হালদা'।

সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে অমাবশ্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, কার্প ও নানান জাতের দেশি মা মাছ মিঠা পানির উৎস হালদা নদীতে গিয়ে ডিম ছাড়ে। মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে হালদা পাড়ের হতদরিদ্র জেলেরা সাধারণত মা মাছ শিকার করেন না। কিন্তু বন্দর নগরী চট্টগ্রামের খুব কাছে হালদা নদীর অবস্থান এবং হালদা নদীর উভয় পাড়ে প্রচুর শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠায়, মা মাছের ডিম পাড়া মৌসুমেও প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও হালদা নদীতে হতদরিদ্র জেলেদের জিম্মি করে রাজনীতি ও ব্যবসা করা একটা দালাল গোষ্ঠী সরকারি কর্মচারিদের সহায়তা নিয়েই মাছ শিকার করে।

হালদা নদীর উভয় পাড়ের সেই সব বিচিত্র ঘটনাপ্রবাহ, রাজনীতি, ব্যবসা, দালালি, ঘুষ, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে নিয়েই 'হালদা' ছবির ঘটনাপ্রবাহ। এমনিতে হালদা নদীর উভয় পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের ভারী শিল্প-প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বর্জ্য পদার্থ এবং চারপাশের জমিতে ব্যবহৃত সার, কীটনাশকসহ অসংখ্য কারণে হুমকির মুখে পড়েছে হালদা নদী। হালদা নদী বাঁচানোর জন্য নদী পাড়ের দেশপ্রেমিক মানুষদের প্রচেষ্টার বিপরীতে অবৈধ ব্যবসা করা ওই দালাল গোষ্ঠীর যে বিরোধ, সেই বিরোধকে ঘিরেই 'হালদা' ছবির প্রেক্ষাপট। 'নদী বাঁচাও নারী বাঁচাও' 'হালদা' ছবির মূল সুর।



হালদা নদীপাড়ের সেই বিপরীতমুখী বাস্তবতার পাশাপাশি দুটি অসম পরিবারের সম্পর্কের টানাপোড়নকে ঘিরেই 'হালদা' ছবির কাহিনী এগিয়ে যায়। যেখানে হতদরিদ্র জেলে মনু মিয়া (ফজলুর রহমান বাবু), তার একমাত্র কন্যা হাসু (নুসরাত ইমরোজ তিশা) ও হাসুর মা (মোমেনা চৌধুরী) হালদা পাড়ের একটি গরীব পরিবার। বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য জেলেদের সাথে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাতদের কবলে পড়ে মনু মিয়া। নিজের জীবন বাজি রেখে মনু মিয়াকে বাঁচাতে সহায়তা করে আরেক জেলে বদিউজ্জামান ওরফে বদি (মোশাররফ করিম)।

একপর্যায়ে বদিকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেয় মনু মিয়া। হাসু'র মা বদিকে খুব পছন্দ করেন। হাসুকে বদির সাথে বিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবেন হাসুর মা। কিন্তু টানাপোড়নের সংসারে সমুদ্রে নৌকা, জাল সবকিছু হারিয়ে মনু মিয়ার তখন সংসার চালানো ভীষণ দায়। মনু মিয়ার শেষ সম্বল মাত্র চার কানি জমি, তাই বিক্রি করে নতুন করে নৌকা ও জালের স্বপ্ন দেখে মনু মিয়া। কিন্তু তার স্ত্রী জমি বিক্রি করতে দিতে চায় না।

তখন পাড়ার এক লোক হাসু'র জন্য একটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। ছেলে বিরাট বড়লোক । ব্যবসা আছে। চৌধুরী বংশের মানুষ। নাদের চৌধুরী (জাহিদ হাসান)। কিন্তু তার প্রথম স্ত্রী জুই (রুনা খান)-এর সন্তান হয় না। তাই বংশে বাতি দেবার জন্য আবার বিয়ে করতে চান নাদের চৌধুরী। হাসুর যদি সেখানে বিয়ে হয়, তাহলে সে হয়তো শ্বশুরের জাল নৌকার একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। সেই ভরসায় হাসু'র অমতেই নাদের চৌধুরীর সাথে বিয়ে হয় হাসুর। ততদিনে অবশ্য হাসু ও বদির সম্পর্ক অনেকটা প্রেমের দিকে গড়ায়।

কিন্তু এদিকে টাকার চিন্তায় মনু মিয়ার ঘুম হয় না। সে বিশ্বাস করে- ভুলে হয়তো একটা বড় পাপ করে ফেলেছে। একটা মা মাছ শিকার করে বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে নাদের চৌধুরীর হাতেই নাজেহাল হয় মনু মিয়া। তার ঘরেই আবার হাসুকে বিয়ের প্রস্তাবে মনু মিয়া মাথা চক্কর দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাবার অসুস্থতা দেখে তখন বিয়েতে রাজি হয় হাসু।

কিন্তু চৌধুরী বাড়ির ছোট বউ হয়ে আসার পর থেকে হাসু'র জীবনেও নানান ঘটনা ঘটতে থাকে। হতদরিদ্র জেলের মেয়ে হলেও সে খুব প্রতিবাদী। সতীন ও শাশুড়ির সংসারে তাই নানান টানাপোড়ন শুরু হয়। পাশাপাশি হাসু'র উপর চলে স্বামীর মারপিট ও শাসন। যা হাসু মোটেও সহজভাবে মেনে নিতে পারে না। ওদিকে হাসুর বিয়ের পর মনু মিয়ার বাড়িতেই থেকে যায় বদি। আর মন থেকে হাসুর ভালোবাসা একদম ভুলতে পারে না। বিয়ের ছয় মাস পর নিজেই উদ্যোগী হয়ে মিথ্যা কথা বলে হাসুকে বাপের বাড়িতে নিতে আসে বদি।

ওদিকে ছয় মাসেও হাসু'র প্রেগন্যান্ট হওয়ার কোনো লক্ষণ না দেখে বড় সতীন ও শাশুড়ি তাকে নানান অছিলায় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে থাকে। তিন দিনের জন্য বেড়াতে এসে এক সপ্তাহ চলে যাবার পর নাদের চৌধুরী নিজেই তখন হাসুকে নিতে আসে শ্বশুর বাড়িতে। কিন্তু শ্বশুর শাশুড়ির সাথে শ্রেণিবৈষম্য বজায় রেখে সৌজন্যতা না করেই হাসুকে নিয়ে ফেরত যায়। হাসু'র প্রেগন্যান্টের খবর চাউর হবার পর থেকে চৌধুরী বাড়িতে হাসুর কদর দিনদিন বাড়তে থাকে।

হাসু'র প্রেগন্যান্টের ঘটনায় শাশুড়ি (দিলারা জামান) খুব খুশি হয়ে হাসুকে সত্যিকারের চৌধুরী বাড়ির বউয়ের মর্যাদা দিতে শুরু করেন। ওদিকে হাসুর পেটে আসা সন্তানের প্রকৃত বাবা কে, এই প্রশ্নে নাদের চৌধুরী অনেকটা ঘাবড়ে যায়। ১৭ বছর তার সাথে ঘর করা বড় বউ জুইয়ের কাছে সে তখন জানতে চায় আসল কারণ। প্রতিহিংসার কারণেই বড় সতীন জুই তাই স্বামীকে ঠিকঠাক আসল খবরের উৎস যে বদি, তা জানিয়ে দেয়। তারপর হাসুর উপর চলে স্বামীর নির্মম নির্যাতন। কিন্তু নাদের চৌধুরী মায়ের কাছেও তা নিয়ে বকা খায়।

বড় বউ এখানে ডাবল রোল প্লে করে। একদিকে স্বামীকে হাসুর পরকীয়ার কথা বলে দেয়। অন্যদিকে আবার ছোট বউ হাসু'র পেটের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হাসুকে পালিয়ে যাবার পরামর্শ দেয়। হাসুও বুঝতে পারে নাদের চৌধুরী বুঝতে পারলে তার পেটে আসা এই সন্তানকে সে বাঁচতে দেবে না। তাই বড় সতীনের পরামর্শে সে এক পর্যায়ে পালিয়ে যায়।

ওদিকে জমি বিক্রি করে নতুন বানানো নৌকা নিয়ে তখন নতুন করে মাছ ধরতে থাকে মনু মিয়া ও বদি। কিন্তু হাসু পালিয়ে আসায় মনু মিয়া একমাত্র মেয়ের ভালো'র কথা চিন্তা করেই নৌকাসহ বদি ও হাসুকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। তারপর হাসু ও বদি সমুদ্রের পাড়ে এক নতুন জায়গায় বাসবাস শুরু করে।



ওদিকে বউ পালিয়ে যাবার পর নাদের চৌধুরী তার লোকজনকে লাগায় সন্দেহ হওয়া বদি ও হাসুকে খুঁজতে। একসময় নাদেরের লোকজন ওদের সন্ধানও পায়। তারা বদিকে ঘরসহ পুড়িয়ে মারে আর হাসুকে নিয়ে আবার নাদের চৌধুরী বাড়িতে ফিরে আসে। এবার সমস্যা শুরু হয় বড় বউয়ের। ততদিনে শাশুড়ি মারা গেছে। কিন্তু হাসুর পালানোতে যে বড় বউয়ের হাত ছিল এটা নাদের চৌধুরী জানতে পারলে সমস্যা হবে, তাই সে কাজের বেটি দিয়ে হাসুকে ধুতরা বিষ খাইয়ে পাগল বানানোর চেষ্টা করে। এই পর্যায়ে নাদের চৌধুরী সব বুঝতে পারে এবং বড় বউকে কাজের বেটিসহ তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এবং নতুন করে হাসুর সাথেই জীবনটা কাটানোর সংকল্প করে। আর তখনই সুযোগমত নাদের চৌধুরীকে খুন করে প্রতিবাদী ও বদির প্রেয়সী হাসু।

'হালদা' ছবির এমন কাহিনীর পাশাপাশি হালদা নদী বাঁচানোর যে সামাজিক কার্যক্রম, স্থানীয় রাজনীতি, নাদের চৌধুরীর চর দখল করে সেখানে ইটের ভাটার ব্যবসা ইত্যাদি ঘটনাপ্রবাহ মিলিয়ে 'হালদা' ছবিটি বাংলাদেশের এক সত্যিকারের বাস্তবতার ছবি হয়ে ওঠে। ছবির ঘটনাপ্রবাহ, পাত্রপাত্রী, লোকেশান, আবহসংগীত, শব্দ প্রক্ষেপন, সংলাপ সবমিলিয়ে এটা হালদা নদী নিয়ে চলমান রাজনীতির সাথে একাকার হয়ে যায়।

ছবিতে তৌকির আহমেদ দিনের চেয়ে ভোর ও রাতের শট বেশি ব্যবহার করেছেন। মেঘ, বৃষ্টি, জল, কাদা ও আকাশ 'হালদা' ছবিতে এক অনন্যমাত্রার চরিত্র হিসাবেই প্রকাশ পেয়েছে। যা ছবিটির আলাদা বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে এবং 'হালদা' রাজনীতি বুঝতে দর্শকদের অন্তর্জগতে নাড়া দেবার মত। বিশেষ করে কবিগানের মাধ্যমে দুই কবি'র লড়াইয়ে হালদা নদীর বর্তমান দুর্দশা অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সাথে পরিচালক তুলে ধরেছেন। খাস জমিতে নাদের চৌধুরীর ইটের ভাটার সাথে সরকারি কর্মচারিদের ঘুষ খাওয়ার ঘটনাপ্রবাহ হালদা নদী নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের যে রাজনীতি পরিচালক তুলে আনেন, তা এককথায় বর্তমান সময়ের চরম বাস্তবতাই প্রকাশ করেছে।

'হালদা' ছবির চমৎকার সব লোকেশান। আউটডোরে সেই তুলনায় সিনেমাটোগ্রাফার এনামুল হক সোহেল আরেকটু মুন্সিয়ানা দেখাতে পারলে ছবিটির দৃশ্যায়ন আরো চমৎকার হতে পারতো। ছবিটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় হলেও বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই হয়তো পরিচালক সংলাপে কিছুটা সহজ ছাপ দেবার চেষ্টা করেছেন। সে কারণে হয়তো খাঁটি চাটগাঁর আঞ্চলিক উচ্চারণ ছবিতে পুরোপুরি আসেনি।

বাংলাদেশের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই পরিচালক মার্জিত মাত্রায় রস, বিনোদন ও টুইস্ট করার প্রয়াস দেখিয়েছেন। 'হালদা' ছবির গল্পটি যে কারণে দর্শকদের চিত্ত জয় করবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ছবিতে মনু মিয়ার একটা সংলাপ 'জলই জীবন, আবার এই জলই মরণ' অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সংলাপ। ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশেষ করে শব্দের ব্যবহারে পরিচালক বেশ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। সেই তুলনায় বরং সংগীতের লিরিক ও সুর ততোটা দাপুটে হয়নি। বিশেষ করে ছবির কোথাও কোথাও একেবারে ব্ল্যাংক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকায় দশর্কের অন্তর্জগতে ঘাই মারতে একটু বিলম্ব হয় বটে।

নাদের চৌধুরী চরিত্রে জাহিদ হাসান দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। হাসু চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশাও ভালো অভিনয় করেছেন। সেই তুলনায় বদি চরিত্রে মোশাররফ করিমের অভিনয় ততোটা আহামরি হয়নি। বিশেষ করে বদি চরিত্রের স্বাভাবিক কার্যাবলীর সাথে মোশাররফ করিমের শারীরিক অ্যাপ্রোচ ততোটা মানানসই হয়নি। বরং মনু মিয়ার চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু, হাসুর মায়ের চরিত্রে মোমেনা চৌধুরী, বড় বউয়ের চরিত্রে রুনা খান, নাদেরের মায়ের চরিত্রে দিলারা জামান ও নিবারণ চরিত্রে শাহেদ আলী বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।

'হালদা' ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন চিরকুট ব্যান্ডের পিন্টু ঘোষ। ‘নোনা জল’ শিরোনামের গানটি গেয়েছেন পিন্টু ঘোষ ও সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা। এছাড়া গানে আরো কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী রোকন ইমন। ছবিটির সম্মাদনা করেছেন অমিত দেবনাথ। আবহসংগীত করেছেন রিপন নাথ। কালার কারেকশান করেছেন কৌশিক রায়। ছবিতে চিত্রগ্রহণ করেছেন এনামুল হক সোহেল। আর 'হালদা' ছবিটি প্রযোজনা করেছেন এইচএম ইব্রাহিম।

বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে দর্শককে বিনোদন দেবার মত বাস্তব কাহিনী ভিত্তিক ছবি তৌকির আহমেদের 'হালদা। বর্তমান সময়ে যে হারে ভারতীয় নিম্নমানের ছবিগুলো আমাদের সিনেমা হলগুলো দখল করেছে, বাংলাদেশের সিনেমা বাজার দখল করছে, সেই তুলনায় তৌকির আহমেদের 'হালদা' ছবিটি অবশ্যই সিনেমা হলে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই দেখার মত একটা ছবি। দেশে ও বিদেশে 'হালদা' অনেক পুরস্কারও জিতবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ ছবিতে পুরস্কার পাবার মত অনেক কিছুই আছে। গল্পটা দর্শককে নাড়া দিতে বাধ্য। নৌকা বাইচের যে দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছে, এটা চিরন্তন বাংলার গ্রামকেই তুলে ধরে। 'হালদা' মূলত নদী ও নারীর বৈরি পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকারই গল্প।

'হালদা' ছবিটি আজকে প্রথমবারের মত দেখেই মূলত আমার এই অনুভূতি। ছবিটি নিয়ে ডিটেইল রিভিউ লেখার জন্য আরো কয়েকবার দেখা দরকার। আমি 'হালদা' আবারো দেখতে চাই। কারণ ছবিটি আমার ভালো লেগেছে। পরিচালক তৌকির আহমেদ ও হালদা টিমের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। পরিবার ও বন্ধুদের একসাথে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়েই 'হালদা' একটি দেখার মত ছবি। জয়তু 'হালদা'। জয়তু বাংলা সিনেমা।

--------------------------------------
১ ডিসেম্বর ২০১৭
রেজা ঘটক
কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×