somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'মাটির প্রজার দেশে' এক নতুন ভাবনার চলচ্চিত্র!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ বছর স্বাধীনতা দিবস কেটেছে সিনেমা দেখে। গুপী বাঘা প্রডাকশন্স প্রযোজিত, ইমতিয়াজ আহমেদ বিজন পরিচালিত ৮৫ মিনিটের 'মাটির প্রজার দেশে' চলচ্চিত্রটি গত ২৩ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার মুক্তি পায়। স্টার সিনেপ্লাক্সের তিন নম্বর হলে আজ ছবিটি দেখলাম। প্রথমেই বলি, স্টার সিনেপ্লাক্সের তিন নম্বর হলের স্ক্রিনে কোনো সমস্যা আছে। কালার খুব অস্পষ্ট। এটা স্টার সিনেপ্লাক্স কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি। কারণ একটি ভালো সিনেমাও অনেক সময় প্রপার কালার প্রদর্শনের অভাবে দর্শকদের কাছে ভুল বার্তা দেয়।


এবার আসি 'মাটির প্রজার দেশে' ছবিতে। এককথায় ছবিটি আমার ভালো লেগেছে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন পর ভাবনায় নেবার মতো একটি নান্দনিক ছবি বিজনের 'মাটির প্রজার দেশে'। এই ছবি'র গল্পটি বাংলাদেশের অতি পরিচিত সমাজ ব্যবস্থার। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও শুধুমাত্র একটি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারার ব্যর্থতার কারণে, আমাদের সামাজিক জীবনের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতরেই এক অদ্ভুত দ্বৈত ভূতের বসবাস।

যেখানে এক ভূতের লক্ষ্য সবার জন্য ভাওতাবাজি টাইপের এক লোকদেখানো শিক্ষা কাঠামো। আর অন্য ভূতের লক্ষ্য হলো- এই লোকদেখানো শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো কীভাবে পেছনে টেনে আটকানো যায়, সেজন্য সমাজে বাসা বাধা অন্যসব প্রচলিত ট্যাবু বা বিপত্তি। ফলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে যেভাবে একটি জটিল গেড়ো নিয়ে ধুকধুক করছে। সেই জটিল গেড়োকে ঘিরেই বা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার এই প্রধান বাধাকে ঘিরেই 'মাটির প্রজার দেশে'র গল্প। যেখানে পিতৃ পরিচয়ে সন্দেহ হওয়ায় স্কুলে ভর্তি হতে গিয়ে নাজেহাল হয় ছোট্ট শিশু জামাল।

জামালের আসল পরিচয় কী? একটি পতিতালয় থেকে পালিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার স্বপ্নে বিভোর কর্মঠ এক পরিশ্রমী নারী ফাতেমা। ফাতেমার একমাত্র ছেলে এই জামাল। জামালের বয়স কত আর হবে? দশ বা এগারো। জামাল পড়াশুনার প্রতি অদম্য আগ্রহী, প্রতিবাদী, প্রেমিক, বন্ধুবৎসল, জেদি এক বালক। যে নিজের বাবার নাম ঠিকমতো বলতে পারে না। স্কুলে ভর্তি হতে গিয়ে বাবার নাম দুইবারে দুটি বলায় এই বিপত্তি। স্কুলে ভর্তি হতে না পারার এই কষ্ট থেকেই জামাল মূলত বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।

তবুও পড়াশুনার দিকে জামালের অদম্য আগ্রহে কোনো টনক নড়ে না। কিন্তু জামালকে স্কুলে পড়ানোর মতো সামর্থ্য তার মা ফাতেমার নাই। তাই ছোট্ট জামালকে প্রথমে বাজারের একটি সাইকেল গ্যারেজে এসিসট্যান্ট হিসাবে কাজে পাঠাতো ফাতেমা। কিন্তু ওইটুকু ছেলের কী আর চাকর খাটার বয়স? তাই সে স্বাভাবিকভাবেই নানান কিসিমের ফাঁকি দেয়। তা নিয়ে সাইকেল গ্যারেজের মালিক যেমন জামালের মাকে নালিশ করার হুমকি দেয়, তেমনি জেদি জামাল মালিকের তাচ্ছিল্যমাখানো খাবারের প্রতি উষ্ঠা মেরে, কাজ না করার পাল্টা সাহসী হুমকি দিয়েই ফিরে আসে।

তবুও নতুন করে স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন দেখা ফাতেমা, ছোট্ট ছেলেকে আদর সোহাগে বুঝিয়ে, নতুন করে আবার নিজের কর্মস্থলেই একটা কাজ জুটিয়ে দেয়। যেখানে গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেবের সহযোগিতায় সেই গ্রামের এক ধনাঢ্য পরিবারে ফাতেমার গৃহপরিচারিকার কাজ জোটে। সেখানে জামালের বয়সী কর্তার শিশুকন্যাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসার এসিসট্যান্টের কাজ করে জামাল। জামাল মূলত ওই মেয়েটির স্কুলব্যাগ টানে। আর স্কুল ও বাড়ির পথের সঙ্গী। সমবয়সী হওয়ায় তারা অনেকটা বন্ধু'র মতো একসাথে খেলাধুলাও করে।

জামালের স্বপ্ন তবুও স্কুলে যাওয়া। পড়াশুনা করা। পড়াশুনার প্রতি সেই তীব্র বাসনা থেকেই জামাল স্কুলের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে খেলার সাথীদের পাশে বসে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক জামালকে বের করে দেয়। কারণ জামাল এই স্কুলের ছাত্র নয়। বন্ধুদের জন্য তাই সে স্কুলের অদূরে এক অসম্ভব স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষা করে। কবে সে বন্ধুদের মতো স্কুলে পড়তে পারবে? সেই স্বপ্ন জামালকে অস্থির করে রাখে।

এর আগে জামালের অতীত জীবনে খেলার সাথী হারানোর এক বেদনার গল্প আছে। জামালের সেই বন্ধুটি লক্ষী। জামালের চেয়ে বয়সে যদিও লক্ষী একটু বড়। লক্ষী'র ছিল কালো ঘোড়া দেখার শখ। জামাল তাকে মেলায় নিয়ে কালো ঘোড়া দেখিয়ে আনবে, এমন প্রতিশ্রুতি ছিল। লক্ষীও জামালের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল- মেলায় যাবে সে। কিন্তু তার আগেই লক্ষী'র হঠাৎ বিয়ে হয়ে যায়। লক্ষীও প্রতিবাদী এক বালিকা। কিন্তু সমাজের রক্ত চক্ষুর কাছে এই অসহায় বালিকা তার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। কিন্তু জামালকে সে মন থেকে ভুলতে পারে না।

'মাটির প্রজার দেশে' ছবিতে বাংলাদেশের সমাজে প্রচলিত বেশ কয়েকটি অসংগতির চিত্র ধরা পড়ে। প্রথমতঃ পতিতালয় থেকে ফিরে আসা ফাতেমা চরিত্রটি এই সমাজে নতুন করে স্বাভাবিক জীবনের যে স্বপ্ন দেখেছিল, এই সমাজ ফাতেমার সেই স্বপ্নের জন্য এখনো বড় বাঁধা হিসাবে দণ্ডায়মান। দ্বিতীয়তঃ ফাতেমার ছেলে জামাল পিতৃ পরিচয়ের অভাবে এখনো এই সমাজের স্কুলে ভর্তি হতে ব্যর্থ হয়। তৃতীয়তঃ এই সমাজে এখনো মেয়েদের বাল্যবিবাহ চালু আছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মেয়েদের বিবাহের বয়স কমানোর যে আইন করা হয়েছে, এই আইনটিও যে একটি মেয়েশিশুর মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায়, সেই বার্তাটি এই ছবিতে সুস্পষ্ট।

চতুর্থতঃ 'মাটির প্রজার দেশে' ছবিতে বাল্যবিবাহের পাশাপাশি যৌতুকপ্রথার প্রচলিত সংক্রমণটিও দর্শকদের নজর এড়াতে পারে না। পঞ্চমতঃ ছবিতে গ্রামীণ একজন সাধারণ ইমামের চরিত্রকে বিজ্ঞানমনস্ক ও আধুনিক চিন্তার প্রতিনিধি হিসাবে পজিটিভভাবে উপস্থাপনটি, পরিচালক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই তুলে ধরেছেন। এই ইমাম সাহেব সবাইকে আধুনিক শিক্ষায় উজ্জীবিত করেন। ধর্মের গোড়ামি ও ট্যাবুগুলোর প্রতি এই ইমাম সাহেবকে প্রতিবাদী হতে দেখা যায়।

যে কারণে ছবিতে এই ইমাম সাহেব, যিনি একসময় যদিও ফাতেমার বিশ টাকার কাস্টমার ছিলেন, শেষপর্যায়ে তিনি ফাতেমাকে নানানভাবে সহযোগিতা করেন। আর সবশেষে যিনি ইমামের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফাতেমার সাথেই পথে নেমে আসেন। ফাতেমার ছেলে জামালকে স্কুলে ভর্তি করান, নিজে গর্বের সাথে পিতার পরিচয় দেন। 'মাটির প্রজার দেশে' ছবিতে ইমাম সাহেব চরিত্রটি অত্যন্ত ইতিবাচক। ছবি'র পরিচালক বিজন এটাকে যেন বাংলাদেশের প্রচলিত সমাজকে বিনির্মাণ করার একটি উপায় হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন।

'মাটির প্রজার দেশে' ছবিতে পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বিজন অতি পরিচিত একটি গল্পকে একটু ভিন্ন প‌্যাটার্নে উপস্থাপন করেছেন। এই উপস্থাপনায় পরিচালকের মুন্সিয়ানার ছাপ স্পষ্ট। দর্শককে ছবি'র গল্পটি বুঝতে হলে শেষ মিনিট পর্যন্ত বিজন যেন ইচ্ছে করেই অপেক্ষায় রাখেন। দর্শকের সেই অপেক্ষাকে অবশ্যই খালি হাতে ফেরান না বিজন। ধর্মীয় প্রচলিত ট্যাবু থেকে বেড়িয়ে আসা ওই গ্রামীণ ইমাম সাহেবের আলোর দিকে যাত্রাই যেন এই ছবি'র প্রধান বার্তা। যেখানে স্কুলের সেক্রেটারির চরিত্রটি ওই ইমাম সাহেবের চেয়ে বরং বিপরীত ভূমিকায়।

এবার আসি 'মাটির প্রজার দেশে' ছবি'র ট্যাকনিক্যাল দিকে। ছবিটি উইদাউট ডাবিং ফরমেটে করা। ন্যাচারাল শটের সাথে সাউন্ড যোগ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত বাংলাদেশের ছবিগুলোতে যে ধরনের সাউন্ড ব্যবহার করার রীতি, পরিচালক এখানে সেই রীতি থেকে এক নতুন ধরনের সাউন্ড উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে পালকি করে লক্ষীকে নিয়ে যাবার দৃশ্যে ঘোড়ার খুড়ের শব্দ। লক্ষী কালো ঘোড়া পছন্দ করতো। বাল্যবিবাহ হলেও লক্ষী আসলে সেই ঘোড়ার কাছেই যাচ্ছে। ছবি'র এই মেটাফোরটি চমৎকার।

ছবিতে আরেকটি মেটাফোর দেখা গেছে পালকি থেকে নেমে লক্ষী যখন জামালের সঙ্গে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে, তখন, হুচোট খেয়ে লক্ষী ফসলের মাঠের ভেতরে পড়ে যায়। আর বরপক্ষের ধাওয়া করা লোকদের হাতে অসহায় বালিকা লক্ষী ধরা পড়ে। লক্ষী ও জামালের এভাবে পালিয়ে যাবার প্রচেষ্টা একটা ড্রিম সিকোয়েন্স। কিন্তু আমাদের সমাজে এই লক্ষীরা প্রতিবাদী হলেও, বিয়ের পর যার নাম বদল করে আয়েশা রাখা হবে শুনে, লক্ষী তার যথাযথ প্রতিবাদ করলেও, সমাজের ধ্বসেপড়া অন্ধ ব্যবস্থার সীমানা ডিঙ্গাতে পারে না। লক্ষীরা এখনো এভাবেই এই সমাজের প্রচলিত দশায় আসলে বন্দি আছে।

ছবিতে সেই অর্থে কোনো মিউজিক নাই। কিন্তু মিউজিক সাজেশন ও সাউন্ড চমৎকার। সম্পাদনায় মুন্সিয়ানা রয়েছে। তবে সিনেমা হলে ছবি'র ঠিক যেখানে বিরতি দেওয়া হয়, ওই জায়গাটি একটু দৃষ্টিকটু। বরং জামাল যখন মসজিদে ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে বলে, মা আপনার সাথে কথা বলবে। বাইরে অপেক্ষা করছে। বৈঠকি থেকে ইমাম সাহেবের ওঠার মুহূর্তের শটটিতে বিরতি হলে, পরবর্তী সময়ে দর্শকের মনের উক্তেজনাটি আরো তীব্র হতে পারতো।

ছবি'র সিনেমাটোগ্রাফি বেশ নান্দনিক। বেশ কয়েকটি শট আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম শটে লক্ষী'র চোখেমুখে খড়কুটোর চলন্ত মিশেল, স্কুলের শ্রেণিকক্ষ থেকে জামালকে বের করে দেবার পর ভেতর থেকে নেওয়া শটটি। যেখানে স্কুলের ভেতরে অন্ধকারে বসে আছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আর বাইরে মুক্তমাঠে আলোর ভেতরে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশু জামাল। এখানে পরিচালক দারুণ একটি ফিলোসফি চিত্রায়ন করেছেন। যারা স্কুলে আছে তারা যেন স্কুলের চার দেয়ালের অন্ধকারে বন্দি। আর স্কুলের জানালার শিকগুলো যেন জেলখানার সেই বন্দিদশার প্রতীক। আর বাইরে আলোতে মুক্ত প্রতিবাদী জামাল। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে এই শটটি তীব্র এক তীর ছুড়ে মারে।

মা ও সন্তানের তীব্র ভালোবাসা প্রকাশে এই ছবিতে বেশ কিছু নান্দনিক শট আমার নজরে পড়েছে। বিশেষ করে ফাতেমা যখন পাতা কুড়ায়, মায়ের প্রতি অভিমানী পুত্র জামাল তখন মায়ের কুড়ানো পাতাভরতি ঝুড়ি মায়ের মাথায় ঢেলে দিয়ে পালানোর দৃশ্যটি। ছবি'র শেষ দৃশ্যটিও চোখে পড়ার মতো। যেখানে ইমাম সাহেব ফাতেমা ও জামালের সাথে এক নতুন অজানায় নতুন স্বপ্নের দিকে যাত্রা করে। তাদের মুখোমুখি সূর্যোদয়। বিজন এখানে নতুন স্বপ্ন দেখানোর জন্য, সমাজের প্রচলিত ট্যাবু ভাঙার যে ইঙ্গিত করেন, সেটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট।

ছবিতে ক্লোজ, বিগ-ক্লোজ, মিড ও মিড-ক্লোজ শটের আধিক্য চোখে পড়ে। সে তুলনায় বিগ-লং শট বা লং শট কিছুটা কম। গম ক্ষেতের ভেতরে যে বিগ-ওয়াইড শট, ওটার ইফেক্টটি চোখে পড়ার মতো। বিজনের ছবিতে গল্প বলার ঢঙ্গটি একটু ব্যতিক্রম। অনেক দর্শক হয়তো ছবি'র শেষ মিনিট পর্যন্ত না দেখলে, তার পক্ষে ছবি'র কাহিনী উদ্ধার করা একটু কষ্টের। ছবিতে টানটান উক্তজনার ব্যাপারটি শুরুর চেয়ে শেষের দিকে বেশ তীব্র। তবে এই ছবি'র যে ক্যানভাস, সেই জনপদটি চিনতে কারো সমস্যা হবার কথা নয়।

'মাটির প্রজার দেশে' ছবি'র কস্টিউম নিয়ে দর্শকদের কৌতুহলের জবাব মেলে ছবি শেষ হবার পর। কারণ ফাতেমা ও জামালের পশ-পোশাক শুরুতে দর্শকের কাছে একটু খটকা লাগলেও, পরে ছবি'র ঘটনা পরম্পরা সেই খটকার গেড়ো খুলে দেয়। সবমিলিয়ে বিজন যে ফিকশানটি চিত্রায়ন করেছেন, বাংলা চলচ্চিত্রে এটি একটি নতুন মাত্রার প্রচেষ্টা। তরুণ পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বিজনকে আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। টিম 'মাটির প্রজার দেশে'-কে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

দর্শক, ভিন্নধারার একটি চমৎকার সিনেমা 'মাটির প্রজার দেশে'। পরিবারের সবাই একসাথে দেখার মতো একটি ছবি। সবাই সিনেমা হলে গিয়ে 'মাটির প্রজার দেশে' ছবিটি দেখলে তরুণ পরিচালক বিজন যেমন আরো উৎসাহ পাবেন, তেমনি সিনেমা হলগুলোতে দর্শকমুখী করতেও আপনারা আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন। বিজনের মতো একজন তরুণ পরিচালকের জন্য সর্বস্তরের দর্শকের সেই ভালোবাসাটুকু আশির্বাদ হোক। তাহলে বাংলা ছবি'র জগৎ এভাবে ধীরে ধীরে আরো সমৃদ্ধ হবে বলেই আমি আশাবাদী।

জয়তু 'মাটির প্রজার দেশে'। জয়তু বাংলা সিনেমা।

--------------------------
২৬ মার্চ ২০১৮
'মাটির প্রজার দেশে' দেখার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×