এত এত ভীরে পেছন টেনে হঠাৎ কেউ যদি বলে বসেঃ
বেলা বোস যদি ইচ্ছে করেই সেদিন ফোন না তোলে থাকে!
ভ্যাবাচ্যাকা! তাই না? এরকমই হয়। অতীত যা কিছু ছিলো,
অথবা যেরকমটি আছে বর্তমানে, ভবিষ্যৎ বলতে কিচ্ছুটিতো নেই,
একটা চাপা নিঃশ্বাস অথবা দু-তিনটে বাদামী রঙের পাতা,
জীবন, কখনো বলতে পারো স্রষ্টার আশির্বাদ কখনো ধূর ছাই,
ভ্যাবাচ্যাকা! তাই না? এরকমই হয়। বুক পকেটে কিসের কাগজ ওটা,
অথবা মানিব্যাগের অন্ধকারে একটা ছবি, পোস্টকার্ড অথবা কাচের চুড়ি,
কাগুজে সন্ধ্যায় যা বলি বলি করেও বলা হয়নি, তারপর নিছক হাসির ছলে বলে উঠা "আচ্ছা তাহলে আসি",
চলে যাচ্ছে বেশ, চালিয়ে যেতে হয় ছল-ছাতুরি অথবা বৃষ্টি না চাইলেও একটু মেঘ থাকা চাই আকাশে,
ভ্যাবাচ্যাকা! তাই না? এরকমই হয়। আদরের রঙ লাল রক্ত,
লাল বললে ক্ষেপে আসার জো নেই, সে রাজনীতি অপর পৃষ্ঠায়,
কত দিন আগের কথা বলো দেখি একটা সেলুলয়েডের বারান্দায় চুল আচড়াতো বনলতা সেন,
অথবা একটা সবুজ পুষ্কুরিনীতে ঝাপিয়ে পড়তো জীবনানন্দ,
ভ্যাবাচ্যাকা! তাই না? এরকমই হয়। বিছানার ওপাশে হাই তুলে মৃতুহীন ছাতিম গাছের ফুল,
একটা নোনা বাতাসে বিপদের ঢেকুর তোলা শংকা,
মৃত্যুহীন কোন সোমবারে হঠাৎ পুরোনো ছবির গান অথবা ভূলে যাওয়া কবিতার ঘ্রান,
অথবা এসবের মাঝে দিব্যি হেটে যাওয়া একজন নাগরিকের ধুক ধুক হৃদপিন্ডে শ্রাবনের সুর,
ভ্যাবাচ্যাকা! তাইনা? হেমলক সোসাইটি এরকমই হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১