আমি এখন ছুঁটতে পারি
সময়ের এক প্রান্ত থেকে
আরেক প্রান্তে, কিছু
মুহূর্ত্য থেকে গল্পতে ।
আঠারো বছর ধরে অল্প
অল্প করে আমি বেড়ে
উঠেছি । এখনো
বাড়ছি । মাঝের সময়
গুলোতে আমি ছুঁটতে
পারি । অথচ গড়ে নিতে
আমার অনেক সময়
লেগেছে ।
একটায়
কাঁদছি, খারাপ
সবসময় লাগে । তাই
দ্বিতীয়টায় ছুটে গেলাম,
এই প্রথম আমার
বড়সিতে মাছ ধরা
পড়লো । আনন্দে
নাচছি । আজ স্কুল
ফাংশানে নাচে
প্রথম হলাম । সে দিন
দৌড়ে ও প্রথম হলাম ।
কিন্তু দাদু বাড়িতে কুকুরের
সাথে পারলাম না । ঠিকই
শয়তানটা হাত থেকে
পুরি কেড়ে নিলো ।
প্রতিশোধ নিতে একদিন
পানিতে ছুঁড়ে দিলাম ।
বৃষ্টির কোন একদিন তারা
ও আমাকে ছুঁড়ে দিলো ।
প্রথম সাঁতার শিখতে
গিয়ে আমি হাবুডুবু
খাচ্ছিলাম । পরের দিন
পিচ্ছিটাকে ও পানিতে চেপে
ধরলাম । হাত গলে
বেড়িয়ে গেলো প্রথম
সুযোগ । দ্বিতীয় সুযোগ
নেওয়ার ইচ্ছে কখনোই
আমার হয় নি । তাহলে পরী
আমার হতো ।
আজ ও স্বপ্নে দেখলাম
আমি পানিতে হেঁটে
বেড়াচ্ছি । অনেকবার
দেখেছি ।
বাগানে শিয়াল দেখার
কথা প্রায় শুনতে
পেতাম । সৌভাগ্য শুধু
শেয়ালের গর্ত পর্যন্ত ।
তেঁতুল গাছের নিচে ও গর্ত
ছিলো । ওইটা সাপের ছিলো ।
একদিন দুধ রাজকে
দেখলাম । রাস্তা কেটে
যাচ্ছিলো । তেঁতুল গাছটা
ঝড়ে পুকুরে পড়ে গেলো ।
প্রথম সিগারেট টানটা
ছিলো কৌতুহলবশত ।
মুখে গন্ধ ছিলো বলে
সারাদিন বাসায় যাই নেই ।
বাবল গাম খেলাম
অনেকগুলো ।
দশটা কিনলে লটারির
মাধ্যমে ভিডিও গেম
পাওয়ার সুযোগ ছিলো ।
ভাগ্য কখনোই ভালো
ছিলো না ।
হঠাৎ করে ভাগ্য ফিরতে
শুরু হলো । খেলতে
লাগলাম । জীবন মানেই
একটা । যত ইচ্ছা
পরীক্ষা করা যাক ।
দেখা যাক । তাই সুযোগের
ব্যবহার করি নি ।
দেখতে থাকি । চলতে
থাকি একটু ভিন্ন পথে
দেখি কি হয় । প্রথম
ফেল করাটা ও ছিলো
কৌতুহলবশত । করে
দেখি কি হয়
শেষের দিকে একদিন নিশ্চই বলবো সুসাইড করে দেখি, কি হয়
করবো না কোনদিন । এইসব কথা লেখায় অহরহর বলা যায় । এতো দামের প্রাণটা এতো সস্তায় বিকাবো কেনো হে ?