কাসেম বিন আবু বাকার কে আমি কখনোই চিনতাম না,তিনি যে একজন লেখক তাও জানতাম না। তার যে হাজার হাজার পাঠক আছে সেটাও জানতাম না।
গত দুইদিনের নিউজফিডের উপর ভিত্তি করে তাকে চিনতে পারলাম,শুধু নিউজফিডের উপর ভিত্তি করেই।
তিনি তার ফুটন্ত গোলাপ বইয়ে লিখেছেন,
সেলিম আর লাইলীর ধাক্কা খাওয়ার পর "ইয়া আল্লাহ
একি হল বলে লাইলী কি করবে ভেবে না পেরে
সেলিমের দীর্ঘ বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পৌরুষদীপ্ত চেহারার
দিকে লজ্জামিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে সব কিছু ভুলে
গেল। আর সেলিম তার দিকে চেয়ে খুব অবাক হল এতরূপ? যে কোন মেয়ের থাকতে পারে, সে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। লাইলীর টকটকে ফর্সা গোলগাল মুখটা শুধু দেখা যাচ্ছে। কারণ সে বোরখা পরে আছে। এত নিখুঁত সুন্দরী মেয়ে এই প্রথম সে দেখল। মেয়েটি যেন একটা 'ফুটন্ত গোলাপ'।”
আমি তার এই লাইনগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করতে আসিনি। আমার কথা হল তিনি তো শুধু টকটকে ফর্সা গোলগাল মুখ নিয়ে লিখেছেন,কারণ বাকিটায় তিনি বোরকা দিয়ে ঢেকে লিখেছেন। কিন্তু বাকি লেখকরা যে বুকের চারপাশ,ঠোঁটের উপর নিচ,লাল লিপস্টিক,মাথা থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত বা জামার ভেতরে কোনটা কেমন তা নিয়ে লিখেছেন সে দিকে লক্ষ করেছেন কখনো? ঠিকই তো দুনিয়ার চটি লেখকের(নাম বলতে চাচ্ছিনা) বই সাজিয়ে রেখেছেন বুকসেল্ফে।
কাসেম বিন আবু বাকার অবসরে যাওয়ার পর ও তাকে তার ভক্তরা ব্যস্ত রেখেছেন। তিনি এখনো ভক্তদের অনেক চিঠি পান,বিয়ের প্রস্তাব পান। বাকি আট দশটা লেখকের মত প্রস্তাব গ্রহন করে খাটে নিয়ে যান না। কিংবা ডজনে ডজনে কুমারী,কচি মেয়ে বিয়ে করেন না।
সে একজন ইসলামী ধাচের রোমান্টিক লেখক,এখানে ইসলাম টা জাস্ট একটা পুঁজি। এর মানে এটা না যে তিনি ইসলামী লেখক। তবে সে হয়ত তার গল্পের চরিত্রগুলো ইসলামী ধাচ দিয়ে লেখে এতটুকুই। এর বাইরে আর কিছুইনা।
অযথা টেনেটুনে ইসলামের সাথে কোন কিছুকে গুলিয়ে ফেলবেন না!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪