ছোটবেলায় রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ছেলেটাকে বাসায় এনে লালল পালন করা হল প্রায় বাইশটা বছর। এরই মধ্যে তার নিজের দুইটা ছেলেকে লালনপালন করা হয়েছে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ছেলেটার থেকে ভিন্ন ভাবে।
অনাথ ছেলেটাকে সবার শেষে খাবার খেতে দেয়া হত,পড়ালেখা করানো হতনা,বাসার সব কাজ থেকে শুরু করে বাইরের কাজ ও বাজারখরচের কাজটাও অনাথ ছেলেটাকে দিয়ে করানো হত।
পনেরো বছর বয়সে অনাথ ছেলেটা রাজমিস্ত্রির কাজে লেগে গেলো। ২০ বছর বয়সে ভালো টাকা পয়সা কামিয়ে দেশের বাইরে চলে গেল(নিজের টাকায়)। এক বছর পর মানে বাইশ বছর বয়সে ছেলেটা দেশের বাইরে একটা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে। তার লাশের কফিনের সাথে কিছু মোটা অংকের টাকাও আসে।
অনাথ ছেলেটাকে দাফন শেষ করার এক দেড় মাস পরে লোকটি তার বাকি একটা ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠায় অনাথ ছেলের কফিনে করে আসা টাকা দিয়ে। এর দুই বছর পর লোকটার ছেলে দেশের বাইরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়,এমনভাবে মারা যায় যে তার মৃত্যু হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর জানা যায় সে মারা গেছে।
কফিনে করে লাশ আসেনি,আসেনি মোটা অংকের টাকাও। ছেলের শোকে হায় হায় করতে করতে লোকটা বৃদ্ধ বয়সে পাগলের মত হয়ে গেল। একটা পাগলকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো সম্ভব না বলে তাকে দিয়ে বাসার সব কাজ ও বাইরের কাজ থেকে শুরু করে বাজারখরচের কাজ ও করানো হয়।
একদিন লোকটা সিড়ি বেয়ে বাসায় উঠতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে যায়,মাথায় গুরুতর আঘাতের ফলে মারা যায়। জীবন জীবনের মত করেই চলতে থাকে। মাঝে মাঝে কিছু মানুষকে জীবিত অবস্থায় শিক্ষা দিয়ে ইতি টানে জীবনের।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৮