আমি কখনো আমাকে চিনতে পারিনি। যতবার চেনার চেষ্টা করেছি ততবার হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে। আয়নায় নিজেকে দেখে একবার হা হা করে হেসেছিলাম।
একদল মানুষ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আয়না দেখতে পছন্দ করে। তারা নিজেদেরকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখতে পছন্দ করে। সুদর্শন না হলেও এরা নিজের পরিবর্তন আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
একবার আমাকে একজন বলেছিলো,কিরে দিন দিন গাঁজাখুরি চেহারা বানাচ্ছিস কেন? তার কথায় আমি কান দিইনি। মানুষ অনেক কথাই বলে,সব কথায় কান দিতে নেই।
এর কিছুমাস পর সে মানুষটি আমাকে দেখে বলল,কিরে এত পরিবর্তন কিভাবে হলি? চেহারা তো জব্বর বানিয়েছিস। সেদিন ও আমি তার কথায় কান দিইনি। লোকের কথায় কান দেয়ার অভ্যাস টা আমার মাঝে নেই।
আমার পরিবর্তন আমাকে না ভাবালেও অন্যদের ভাবিয়ে তোলে। আশেপাশের মানুষরা অন্যদের পরিবর্তন টা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখে।
তোমার চুল এভাবে কেন? মুখের দাড়ি আরেকটু ছোট হলে ভালো লাগবে তোমাকে। এই রঙ এর ফুল হাতা শার্ট টা তোমাকে দারুণ লাগবে।
অথচ আপনি অন্যরকম ভাবে থাকতে পছন্দ করেন। আপনার সব অন্যরকম ভালো লাগা। এর মাঝেও আপনার পরিবর্তন চলে এসেছে যা আপনি জানেন না,কিন্তু সে জানবে।
সে মানুষটা আপনাকে দেখবে,এক পলক দেখে হাজার বার আপনাকে চোখের সামনে ভাসিয়ে রাখবে আর আপনার পরিবর্তন দেখতে পাবে। যা আপনি হাজার বার তার মনের ভেতর প্রবেশ করেও জানতে পারবেন না।
সে কাউকে কিচ্ছু জানাবেনা,চুপচাপ আপনাকে জানার চেষ্টা করবে। তার মস্তিষ্কে আপনি একটা অংকের মত ডুকে যাবেন,কোনরকম অন্যদিকে মন না দিয়ে সে অংক কষতে থাকবে।
আপনি জানতে পারবেন না,বুঝতে পারবেন না। এই গ্রহে অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে যা আপনার অজানা। তার মধ্যা আপনার পরিবর্তনটাও পড়ে যায়। যা কিনা আপনি জানেন না সে জানে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৫