যাই হোক এইগুলি আমার ব্যক্তিগত মতামত তার প্রতি ।
আবার ‘ডিজিটাল টাইম’? শিরোনামে তিনি একটি আর্টিকেল ছাপান তার বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত পোষন করি না ।
উপরোক্ত বক্তব্যের যেই বাক্যের নিচে দাগ দেওয়া আছে সেই বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই ।
তবে যে বাক্যগুলি ইটালিক ফরমেটে আছে সেগুলোর সাথে আমি একমত্ ।
ড: জাফর ইকবাল সাহেব বলেন,
###
খবরের কাগজের ভেতরের পৃষ্ঠায় এক কোনায় একটা খবর ছাপা হয়েছে এবং সেটা দেখে আমি আঁতকে উঠেছি। সেখানে লেখা হয়েছে, মার্চ মাসের ৩১ তারিখ ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তন করা হবে (এটাকে কি এগিয়ে আনা বলা হবে, না পিছিয়ে দেওয়া বলা হবে—আমি সেটা বুঝতে পারি না বলে পরিবর্তন কথাটা ব্যবহার করছি)। কাজেই এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যেন বিষয়টা লক্ষ রেখে পরীক্ষা দিতে যায়। কারণ ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তনের কারণে সময়সূচিরও পরিবর্তন হয়ে যাবে।
আমাকে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে খবরটির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে। নিজের চোখে দেখেও আমার বিশ্বাস হতে চায় না যে এই দেশে এ রকম গুরুতর একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় একজন মানুষও নেই, যিনি পুরো ব্যাপারটা একবার ভেবে দেখবেন।
ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন বা বিদেশিদের ভাষায় ‘ডে লাইট সেভিংস’ আসলে বড়লোক দেশের এক ধরনের বিলাসিতা—গ্রীষ্মে দীর্ঘ একটা দিনে বিকেলে দিনের আলোয় তারা বেশি সময় ফুর্তি-ফার্তা করে, সে জন্য ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দেয়। শীতকালে সেটাকে আবার পরিবর্তন করতে হয়—বছরে দুবার এই কর্তন-কুর্দন তাদের দেশে মানিয়ে যায়, কিন্তু আমাদের এই দেশে? গত বছর সেটা পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং এ দেশে সেটা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। লঞ্চঘাটে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হতো, কয়টায় লঞ্চ ছাড়বে—অর্ধেক মানুষ বলেছে নয়টায়; অন্য অর্ধেক মানুষ বলেছে ১০টায়। দুজনেই সঠিক, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সরকারের অবিবেচকের মতো নেওয়া একটা সিদ্ধান্তের কারণে দুটি সময় চালু রেখেছে। একটাকে তারা ধরেছে সঠিক সময়, অন্যটিকে তামাশা করে নাম দিয়েছে ডিজিটাল সময়। এই সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্যে সময় নিয়ে এই তুঘলকি কাণ্ডটি হচ্ছে এক ধরনের টিটকারি—সরকারের বড় বড় মানুষের মধ্যে এটা বোঝার মতো কেউ নেই, সেটা ভেবে আমি এক ধরনের আতঙ্ক অনুভব করি।
ঘড়ির সময় কিন্তু কোনো মন্ত্রী বা কোনো আমলার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার নয়। এ ব্যাপারে সারা পৃথিবীর সব মানুষ একটা নিয়ম মেনে চলে। সেটা হচ্ছে, সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের ভেতরকার সময়ের ঠিক মাঝখানে ঘড়ির কাঁটার বারোটা হিসাবে ধরা হয়। এই মুহূর্তে আমাদের দেশে যে ঘড়ির কাঁটা রয়েছে, সেটা এই নিয়মটি মেনে চলছে। সরকার এটাকে পাল্টে দেওয়ার যে কুপরিকল্পনা করছে, সেটা করা হলে হঠাত্ করে এই অবস্থাটা পাল্টে যাবে। অন্য অনেকের থেকে আমার দুঃখ অনেক বেশি, কারণ ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখাটি ঠিক বাংলাদেশের মাঝখান দিয়ে গিয়েছে, আমি কিছুতেই এটা ভুলতে পারি না। কাজেই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমাদের যে ঘড়িটা চলছে, তার মধ্যে এক ধরনের সৌন্দর্য আছে, সেটাও আমি ভুলতে পারি না। দুঃখ হচ্ছে, যাঁরা কলমের এক খোঁচায় ঘড়ির কাঁটা সামনে-পিছে নিয়ে যান, তাঁদের কাছে আমার এই সৌন্দর্যবোধের কোনো মূল্য নেই।
আমি সরকারের কাছে করজোড়ে আবেদন করছি, আমাদের মতো দেশে ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের এই নিষ্ঠুর খেলা খেলবেন না। বিদ্যুতের সাশ্রয় হয় বলে যে যুক্তি দিয়ে এটা শুরু হয়েছিল, সেটা নেহাতই খোঁড়া যুক্তি। আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন করে এমন কোনো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়নি। সরকার ইচ্ছা করলেই ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন না করে শুধু দোকানপাট, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজের সময়সূচির পরিবর্তন করে অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সেটা হবে অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আমাদের কাতর অনুনয় না শুনে সরকার যদি সত্যি সত্যি ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন করে দেয়, তাহলে এ দেশের লাখ লাখ ছেলেমেয়ে এক ধরনের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়বে। আসল সময় কোনটা, কেউই সেটা জানবে না। সময়ের আগে যাবে, না পরে যাবে—সেটা নিয়ে এক বিশাল দুর্ভাবনায় সবাই দিশেহারা হয়ে যাবে। এ দেশে ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন করাটাই এক ধরনের অবিবেচকের সিদ্ধান্ত, আর এইচএসসি পরীক্ষার আগে আগে সেটা করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে অমানবিক সিদ্ধান্ত (পৃথিবীর বিলাসী দেশগুলো সেটা করবে আরও দুই মাস পরে)।
সত্যি সত্যি যদি ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে আমি এ দেশের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলব, আমি দুঃখিত, তাদের এই বিড়ম্বনাটুকু সহ্য করতে হচ্ছে। শুধু মনে করিয়ে দেব যে আমি কিন্তু তাদের এই বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা করার জন্য আমার পক্ষে যেটুকু সম্ভব, সেটুকু চেষ্টা করেছিলাম।
###
উপরোক্ত বক্তব্যের যেই বাক্যের নিচে দাগ দেওয়া আছে সেই বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই ।
তবে যে বাক্যগুলি ইটালিক ফরমেটে আছে সেগুলোর সাথে আমি একমত্ ।
-------
জনৈক ব্যক্তি(MN NABI CHOWDHURY) প্রথম আলো তে জাফর সাহেব এর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বলেন , Dr. Zafar Iqbal is an educated as well learned man. His opinion need to be taken into consideration. The education rate of our country is not high enough so that the people can understand & follow these changings twice in every year. It is better to change the institutional timings instead of clocks timings. Any way I have a little difference of opinion with Dr. Iqbal that rich countries change this timing for making fun and the other he said they will change the timinigs after 2 months - which are not correct. They actually change the timings to use the day light maximum thus saves power really and the other the USA already changed its timinigs i.e advanced their clocks's timing one hour from the mid night of March 14. My thanks to every body.
আমার মতে: বাংলাদেশে এই ১ ঘন্টা কমানো বাড়ানো উচিত । তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে । কারন লোডশেডিং আমারদের পুরাতন রোগ । যার নিরাময় এখনও হচ্ছে না । যদি আমরা সূর্যের শক্তি কাজে লাগাতে পারি তাহলে কেন করব না? এতে আমাদের সম্পদ বাচঁবে বৈ কমবে না । তবে ড: জাফর সাহেব যেভাবে বলেছেন তাতে লাগছে আমাদের কাজে লাগবে না ! কিন্তু আমি মেনে নিতে পারছি না । উনি কিন্তু বুঝতে পেরেছেন আমাদের নীতি নির্ধারকরা(বর্তমান সরকার) এই 'Daylight saving time' নিয়ে মজা করেছে । তারপরও কেন বলছেন যে তা আমাদের কাজে লাগবে না? উনি অনেক দিন বিদেশে থেকেছেন, সেখানে লেখাপড়াও করেছেন । উনার এসব ব্যাপারে ভাল জ্ঞান আছে । তার ধারনা বিদেশীরা এই সময়কে নিয়ে মজা করে । কিন্তু মূলত সূর্য আলোকে কাজে লাগানোর জন্যই এই ব্যবস্থা । আমি সব দেশের কথা বলতে পারি না । তবে আমার অভিজ্ঞতা যেখানে 'অস্ট্রিয়ার' কথা বলতে পারি । যেখানে এই ১ ঘন্টা আগে পিছনে করা হয় কিন্তু নিয়ম মেনে । এখানে বিদ্যুত কখনই যেতে দেখি নাই, না দেখেছি লোড শেডিং! বাংলাদেশের সরকার ১ ঘন্টা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু বাড়ানোর কথা ভুলে গিয়েছে, যা পরে ঠিক করে । সরকার কি মূর্খদের নিয়ে গঠন করল নাকি? তবে হ্যাঁ ডিজিটাল সময় নাম কে পরিবর্তন করে যদি দিনের আলো সংরক্ষণ সময় কিংবা সূর্য় সময় নামে রাখা যায় তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে ।
এমনিতে মানুষ ডিজিটার টাইম্ আর এনালগ নিয়ে লাফালাফি করে তা যদি বন্ধ হয় । আর সরকার যদি দক্ষতার সাথে যদি কাজ করত তাহলে লোডশেডিং হত না । যদি বিদ্যুতের খুটিঁ না কিনে বিদ্যুত কেন্দ্রে খরচ করত ।
আর সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করে লাভ নেই, কারণ বাংলাদেশ গরীব দেশ, ''ঘড়ির সৌন্দর্য থেকে দেশের বিদ্যুতখাত জরুরি বেশী'' । ঘড়ির সৌন্দর্যের কথা তখনই চিন্তা করবে যখন লোডশেডিং থাকবে না ।
তবে এই ইচ্ছামত ১ ঘন্টা আগে পিছে করলে দেশের পরীক্ষার্থীরা কষ্ট ভোগ করবে । যদি সরকার একটি ছক তৈরী করে, তারপর সেই ছক অনুযায়ী ১ ঘন্টা আগে পিছনে করবে তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:১৮