somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাষ্ট্রের পোপগিরি: রাষ্ট্রের পোপ কে হইবেন?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেই প্রশ্নটির আগেও আরো কিছু ভাব-ভাবনার ফয়সালা দরকার। রাষ্ট্রের পোপ হওনের আকাঙ্ক্ষা কেন, কনফেশন জিনিশটা কী, রাষ্ট্ররে নাগরিকের কনফেশন করানোর দায়িত্ব কে দিছে- এর পেছনে রাষ্ট্রের যে বাসনা ও চরিত্র দাঁড়ায় তার কোন নতুন সংজ্ঞায়ন সম্ভব বা দরকার কিনা-

তো একটি বহুল পরিচিত কৌতুকের দুই ধরনের পাঠের কথা আমার মনে পড়ছে।

এক. বিমান ক্র্যাশ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখে একজন ভয়াবহ খুনী, যে অই বিমানের যাত্রী, বিমানে অবস্থানরত বিশপের কাছে কনফেশন করা শুরু করলো, এবং তার যাবতীয় খুন এবং অপরাধের বিস্তারিত বর্ণনা দিল। এক পর্যায়ে দেখা গেল বিমান ঠিক মতই অবতরণ করছে কোনরকম প্রাণহানী ছাড়াই। খুনি ভাবল লে হালুওয়া, সব কীর্তি ফাঁস কইরা দিলাম, এখন কী হইবো- তো তখন সে করলো কী, বিশপ বেটারে খুন কইরা ফেলল, কারণ যদি বাঁইচা থাকি, কনফেশন করনের জন্য প্রচুর বিশপ রাস্তা ঘাটেই পাওয়া যাইবো।

দুই. অই বেটা বিশপ আদতে একজন ডিটেকটিভ, বিশপ সাজছে একজন খুনীরে ধরনের উদ্দেশ্যে। তো, বিশপের কাছে আদত মতো অপরাধী মহাশয় কনফেশন দিয়ে দিলেন। এবং অতঃপর পরবর্তীতে নিজ মূর্তিতে আবিভূত হইলেন বিশপ, অর্থাৎ, ডিটেকটিভ; এবং খুনীরে প্রেফতার করলেন। তো সমস্যা যেইটা দেখা দিল- সেইটা হল বিশপের কাছে করা কনফেশন কাস্টম অনুযায়ী কনফিডেনশিয়াল, অইটা প্রকাশ করাটা আরো গুরুতর অপরাধ- তাইলে আগে কার বিচার করবেন- ডিটেকটিভ ওরফে বিশপ ওরফে ডিটেকটিভের, নাকি খুনীর? আর বিশপের কাছে করা কনফেশনকে সাক্ষ্য হিশেবে নেয়া যায় কিনা-

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কথা হইল অইটারে বিশপ কওয়া যায় কিনা। অইটাতো আদতে ডিটেকটিভ।

এইটা নিছকই কৌতুকময় কথা। আমার ভিতরে উদ্রেক হল, তাই দিয়ে দিলাম। মোরাল হল দুই জনেই ভণ্ড, অথবা একজন ভণ্ড এবং অপরাধী দুইটাই, আর একজন স্রেফ অপরাধী। কে কার বিচার করবে, তাই ট্রুথ কমিশন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×