সীমান্তে খুনোখুনি ও বাংলাদেশে বিএসএফ এর মিডিয়া পার্টনার
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর খুনোখুনিতে বাংলাদেশের প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াগুলো গুরুতর অংশীদার এবং সে প্রেক্ষিতে যৌথ খুনিও। একই সাথে এরা বিএসএফ এর মিডিয়া সেলের কাজও করে। বাংলাদেশী মিডিয়াতে এইসব খুনোখুনির খবর এর ধরণ হলো, প্রথমত চেপে যাওয়া, দ্বিতীয়ত নিতান্তই যদি আসে, তাহলে 'অভিযোগ পাওয়া গেছে' ধরণের খবর। খবরের বিবরণীতে কখনোই আসে না, 'বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক খুন', বরং খবর হলো, 'খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে'। কেউ হয়তো ভেবে মরছে, বাংলাদেশী এইসব অসাধারণ মিডিয়া সংবাদ প্রকাশের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার তাগিদেই এমন লিখছে, কিন্তু সত্য কথা হলো বাকী সব বিষয়েই এরা এমন কি ঘটনা ঘটার আগেই প্রাথমিক খোঁজ খবর ছাড়াই কোন এক পক্ষকে আসামী বানিয়ে রায় দিয়ে দিতে ব্যাস্ত থাকে। আজকে প্রথম আলোর নিউজ দেখে এই প্রতিক্রিয়া।
হ্যাপি মাইক্রোব্লগিং!
তার আগেই নীল শার্টের রঙীন পুলিশ এসে আপনার কিবোর্ড জব্দ করবে। অবশ্যই, তার আগেই- যদি না আপনি নতুন ক্যামাফ্লোজ নিতে পারেন। হ্যাপি মাইক্রোব্লগিং!
উপন্যাস লিখিবার ইচ্ছা
রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তারা অশিক্ষিত ও গাধা হন, এটি খবর নয়। খবর হলো, তারা এবং তদসহযোগে মহামান্য আদালত এক্ষণে উপন্যাস লিখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন।
সংবিধানের হাইকোর্ট ভার্সন এবং দেয়াল
সংবিধানের হাইকোর্ট ভার্সনটি পাওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। পাইনি। দেয়ালের হাইকোর্ট ভার্সন কবে পাব?
স্শালারা সাংবাদিক দেখে মারতে পারিস না?
একই দিন উনিশ জন মানুষ স্রেফ সড়ক-দুর্টনায় মরেছে। বিডিনিউজে, এই খবরের পাশে একটি কলাম ঝুলছে: দৃষ্টান্ত দেশ বাংলাদেশ। তারপরে, টিভিতে, ইকবাল সোবহান চৌধুরীর ক্ষোভ দেখলাম: সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ব্যানার-বিক্ষোভ-ইত্যাদি। মানুষ আর সাংবাদিকের জীবন, দূরত্বটুক মাপার চেষ্টা করছি। নিশ্চয়ই পরেরটাই মূল্যবান। তাই তারা সব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা চাইতে ভুলে গেলেন। মনে মনে ড্রাইভারদের কষে একটা গালি দিলাম, স্শালারা সাংবাদিক দেখে মারতে পারিস না? হাঃ।
হাইকোর্ট এর মাজার ও ফখরুলদের লড়াই
‘লড়াই আদালতে হবে, রাজপথেও’- গর্ত থেকে বের হয়ে জামিন পাওয়ার পর ফখরুল সাহেবের হঠাৎ এমন উভমুখি/চালাকিপূর্ণ কথায় হাসি এল। হাইকোর্ট এর মাজারই আমাদের রাজনীতি, গণতন্ত্র ও আন্দোলনগুলোর ভাগ্য ও গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করবে- তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন। এখানে লড়াইয়ের কিছু নেই। তাদের জন্য খবর হলো, কিছুদিন পর এই মাজারের পীরদের থেকেও আত্মগোপনে থাকতে হবে তাদের। তখন ফখরুল সাহেবদের নতুন মুর্শিদ কে হবেন? গণবিরোধী শক্তিগুলোর ভরসা কখনোই জনগণ হয় না। মূলত তাদের ভরসা হয় আদালত, হিলারী, প্রণব ইত্যকার প্রপঞ্চগুলো।
আণ্ডারগ্রাউণ্ড সংগঠন বিএনপি
আমার মনে হয় বিএনপি আণ্ডারগ্রাউণ্ড সংগঠন হিশেবে ভাল করবে।
শ্রোডিঞ্জারের বেড়াল
শ্রোডিঞ্জারের বেড়াল নিয়ে ভাবছি। পরীক্ষাগারে ইলিয়াস আলী এবং আমরা প্রত্যেকেই এক একটি এমন বেড়াল। তবে বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সম্ভবত মরে আছি।
শেষ পর্যন্ত মনে হল, ইলিয়াস বেঁচে নেই
শেষ পর্যন্ত মনে হল, ইলিয়াস বেঁচে নেই। বুড়িগঙ্গার বুকে ধুলো বা জল বা ছাই হয়ে ডুবে গেছে। অথবা ইলিয়াস বেঁচে থাকলেই বা কী! হয়তো তার বাচ্চা আর বউ এর মুখে হাসি ফুটবে, আরো কয়েকজন ঘনিষ্টেরও। কিন্তু চৌধুরী আলম ছোটখাটো নেতা হওয়ায় বিএনপি তার জন্য হরতাল বা আন্দোলন কিছুই করে নি। যারা বিএনপি নয়- তাদের জন্য তো নয়-ই। আর শেখ হাসিনা, আমাদের সদাসুখী, হাস্যময়ী মহৎ প্রধানমন্ত্রী, ভ্রুকুটি কেটে দৃশ্যটি উপভোগ করতে করতে, উপন্যাসের পরবর্তী পৃষ্ঠা উল্টাবেন।
প্রতিকার ও ভরসা!!
“তার স্বামীকে সত্যিকার অর্থে উদ্ধার করতে হলে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।” / সৈয়দ আশরাফুল। সবচেয়ে বড় কথা, শেখ হাসিনার হাতেই/আয়ত্বেই ইলিয়াস আলী আছেন, নিরাপদ আছেন, এমন একটা ভরসা আমরা পাই আশরাফের বাণী থেকে। এখন শুধু তিনি গণমাধ্যমকে আরো জানালে হয়, কোন কোন শর্তে ইলিয়াসকে বিএনপি ফিরে পেতে পারে। এইটা শুধু বিএনপির প্রশ্ন নয়। পুরো জাতীয় মুক্তির প্রশ্ন। ইলিয়াস আলীর মুক্তির সাথে আমাদের জাতীয় মুক্তির প্রশ্ন জড়িত হয়ে পড়েছে। দু’দিক থেকে। তিনি না ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের হরতাল ধর্মঘট খুন খারাবি পুলিশ এইসব আরো বহুদিন পোহাতে হবে। এমনকি এক গুম চাপা দিতে/প্রতিশোধে আরো বহু গুম হতে পারে। দ্বিতীয়তঃ এর মাধ্যমে আমরা অপরাপর রাষ্ট্রীয় গুমসমূহের প্রতিকারের/প্রতিরোধের/ভরসার (শেখ হাসিনা) আশা পেতে পারি।: http://on.fb.me/JWQZjd
একটি বিরাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য তৈরী দেশ
দেশ সম্ভবত আর একটি বিরাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য তৈরী। এক এগারর পরের সব ধরণের নড়াচড়ারই গন্তব্য ছিল এমন। এমন কি সেই একদলীয় সংখ্যাগরিষ্টতার নির্বাচনও, যার দোহাই দিয়ে একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল এই বিরাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরীর নেতৃত্বে আছে। এর থেকে উত্তরণের কোন পথের আশাই থাকে না, যখন বৃহত্তম দলের মহাসচিবসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাদেরকে মাঠের পরিবর্তে গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপনে থাকতে হয়।
রম্য
হরতাল নিষিদ্ধে রিট আবেদনের শুনানি হল না হরতালের কারণে!
জগত বিভ্রম
জগত বিভ্রমে ভরা। হায়েনা, বাঘ, ভাল্লুক- সবই মিছে, স্রেফ মায়া। সত্য হলো কেবলই হাসিনা। শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, হাফিজুর রহমান কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি বার্তা লেখেন। ওই বার্তার কোথাও প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করা হয়নি। বার্তার একটি স্থানে তিনি ‘হায়েনা’ শব্দটি উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী এ সাধারণ ডায়েরি করেন। জানতে চাইলে এ বি সিদ্দিকী বলেন, ‘ওই লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করেই লেখা হয়েছে।’/ প্রথম আলো
এই আগুন কীভাবে শান্ত হবে?
সরকারী দলেও রেড এলার্ট। একা চলা ফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে নেতাকর্মীদের। তার মানে, এইসব গুম-হত্যা খেলা একটা ভয়ঙ্কর জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বলছেন, বিব্রতকর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলছেন খেলা। তারাও পরস্পরকে বিশ্বাস করতে পারছেন না সম্ভবত। এখন এই অবিশ্বাসের একটা ভয়ঙ্কর রূপ দাঁড়িয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ইলিয়াস নিখোঁজ- এই ঘটনার হরতালে পুলিশ পিকেটার গোয়েন্দা সংস্থা এইসবের হাতে আরো বহু খুন-গুম-নিহত-আহত-আগুনে পুড়ে মরছে। এই আগুন কীভাবে শান্ত হবে?
নির্ভয়ে হাঁটি। ঘুমুই। ভাত খাই। প্রেম করি। আহা।
ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনা ‘নাটক’/শেখ হাসিনা। মন্তব্য: আরো কিছু নাটক: সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড (বেডরুম পাহাড়া দেয়া সরকারের কাজ নয়), চৌধুরী আলম এর গুম (ইহা সাজানো ‘নাটক’), আইনজীবী মোহাম্মদ আলী খুন (এটি স্ট্রোক, খুন নয়!), সীমান্ত খুনোখুনি (এইসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়), সর্বশেষ ইলিয়াস আলী-তেও(ফের সাজানো ‘নাটক’ এর অভিযোগ!)। ঘটনাগুলোর বিচার হোক, সুষ্ঠু তদন্ত হোক, অপরাধীরা ধরা পড়ুক, এমন ভুলেও বলবেন না। এমন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীবর্গ আমাদের আছে, এই ভরসাতেই আমরা এখনো রাস্তায় নির্ভয়ে হাঁটি। ঘুমুই। ভাত খাই। প্রেম করি। আহা।
আস্তে আস্তে
আস্তে আস্তে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছি
অভিন্ন মা
তাজও পদত্যাগ করেছে। আমরা তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাইনি। সে এখনো দপ্তরবিহীন মন্ত্রী রয়ে গেছে/শেখ হাসিনা। মন্তব্য: জনগণের অর্থ অথর্ব লোকদের (যারা শুয়ে বসে মন্ত্রীত্ব উপভোগ করেন, দপ্তর বিহীন, হেডকোয়ার্টার আমেরিকা বা বেডরুম, অফিস নেই, স্রেফ একা্উন্টে টাকা জমা হয়।) বিলানোর ব্যাপারে শেখ হাসিনা এমন মাতৃপ্রতিম হওয়ায় আমরা খুশী। তাজ ও সুরঞ্জিত দুজনেই একটি অভিন্ন মা পেলেন।
ইতর
সুরঞ্জিতকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ নয়/ দুদক। মন্তব্য: দুদক ইতর বিশেষ, কিছুক্ষণের জন্য সিংহ হইছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর করস্পর্শে একটু পরেই কালো বেড়ালের প্রাণ ফিরে আসছে। তা দেইখা সিংহের প্রাণপাখি উড়ে গেছে। তিনি এখন বেড়ালের সামনে যেতে ভয় পান।
মিডিয়া
ওবামার ঘাড়ে রমনির নিঃশ্বাস/ এইটা সংবাদ শিরোনাম। মিডিয়াগুলো দুষ্টু আছে। স্বাভাবিক কৌতুহলে লিঙ্কে গিয়ে জানলাম, রমনি একজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রাথী। একটি জরিপে এক মাসের মধ্যে দু'জনের জনপ্রিয়তার ব্যবধান মাত্র ৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
মাইল ফলক
সুরঞ্জিতের সিদ্ধান্ত মাইল ফলক হয়ে থাকবে/হানিফ। মন্তব্য: আমরা কি সরকারের পক্ষ থেকেও এমন মাইলফলক আশা করতে পারি?
গত এক মাসের টাইমলাইন রিভিউ এটি