somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জোনাক শহর

১৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সময়কাল ২০০৯। রাজশাহী যাচ্ছি। একা যাবার প্রশ্নই ওঠে না। একা একা আমি নিউমার্কেটেও যাই না। আর রাজশাহী তো পুরো আরেকটা বিভাগ! আব্বাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে আমার সফরসঙ্গী হিসেবে। আমাদের বাহন, বাস। বাসে কোনো কান্ড হবে না, কিন্তু রাজশাহী পৌঁছে তিনটা ঘটনা ঘটতে পারে। এক, আব্বা হারিয়ে যাবে। দুই, সে আমাকে হারিয়ে ফেলবে। তিন, আমরা দুইজন ভুলভাল জায়গায় নেমে পড়ব এবং একসাথে হারিয়ে যাব। শেষের দুই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম। কিন্তু আব্বা হারিয়ে যেতেই পারে। তার হারিয়ে যাবার স্বভাব আছে। আগে এরকম হয়েছে। একাধিকবার। প্রতিবারই আমার হাপুশহুপুশ কান্নাকাটি অবস্থা। যাইহোক, পরে কখনো সে কাহিনী বলা যাবে। কিন্তু এবার হারিয়ে গেলে মুশকিলে পড়ব।

পথে বারদুয়েক ভ্রমনবিরতি ছিল। সৌভাগ্যক্রমে আমরা কেউ হারিয়ে গেলাম না বরং গল্পগুজব করতে করতে বেশ নির্বিঘ্নেই বাস আর রিকশা মিলিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী হাউসে পৌঁছে গেলাম। এখানে আসার একটা হেতু আছে। আসলে আমাকে পাঠিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আনোয়ারুল আজীম আখন্দ স্যার। আখন্দ স্যার আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আবার আমার মাস্টার্সের থিসিস সুপারভাইজারও বটে। থিসিস নামক রসকশহীন ব্যাপারটাকে একটা বৈচিত্র্য দেবার জন্যে স্যার আমার থিসিসকে উপলক্ষ্য করে একটা কোলাবরেশন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ডঃ খালেদ স্যারের সাথে। এরই অংশ হিসেবে তাঁর ল্যাবে কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করব। জ্ঞানার্জনে চীন দেশ পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে। আর ঘরের কাছের রাজশাহী তো কব্জির নাগালের ভেতর। তাই খুব আগ্রহের সাথে আর্সেনিক আক্রান্ত ইঁদুরের রক্তের নমুনা একটা মাঝারি আকারের ড্রাই আইসের বাক্সে পুরে বগলদাবা করে নিয়ে এসেছি ।

পরদিন সকাল নয়টায় জুবেরী হাউস থেকে বেরোলাম নাস্তা করতে। নরম রোদে চারপাশটা স্নিগ্ধ হয়ে আছে। একটু হাঁটতেই পাওয়া গেল রাস্তার পাশে বাংলা রেঁস্তোরার সারি। তামান্না রেঁস্তোরা আমাদের মনে ধরল। সেখানে পরোটা আর ডিম ভাজি দ্যে নাস্তা সেরে চায়ের জন্যে বললাম। প্রায় সাত কি আ্ট মিনিট পর জানা গেল তামান্না হোটেলে চা পাতি নাই। কে যেন আনতে গেছে। তার ফিরতে দেরি হবে। দায়সারা ভঙ্গীতে এই তথ্য জানিয়ে দোকানের ম্যানেজার ডুবে গেল তার হিসেবের খাতায়। ভাবখানা এমন যেন নিউটনের ক্যালকুলাস মেলাচ্ছে! কি আর করা। অনর্থক অপেক্ষায় না থেকে বের হয়ে আসলাম সেখান থেকে। সামনে দুই পা এগোতেই চায়ের টঙ পাওয়া গেল। শীতের সকালে তাড়িয়ে তাড়িয়ে চা খাওয়া একটা আনন্দদায়ক ব্যাপার। আমরা কাঠের বেঞ্চে বসে পা দোলাতে দোলাতে মালাই চায়ে চুমুক দিতে থাকলাম। এই রকম একটা দিন ভাল না গিয়েই পারে না। চা পান পর্ব শেষ হল। রিকশা নিয়ে রওনা দিলাম ক্যাম্পাসের দিকে।

দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন খুঁজে বের করতে হবে। ক্যাম্পাসের আয়তন বিরাট। রাজশাহী ক্যাম্পাস নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস। কথা মিথ্যা না। মুগ্ধ হয়ে গেলাম চারপাশ দেখতে দেখতে। আর ঢাকার রুক্ষতা নেই রাজশাহীতে। বরং অনেক বেশী সবুজ। সবুজ, গাঢ় সবুজ, হালকা সবুজ, ফ্যাকাসে সবুজ; কত ধরনের সবুজ দেখতে চাও!! বসন্ত কালে আসতে হবে এখানে। না জানি কি মারাত্মক অবস্থা হয় তখন। আবার আসতে হবে। মন স্থির করে ফেললাম। দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন খুঁজে পাওয়া গেলো। তার চার তলায় বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগ। খুঁজে পেতে পৌঁছে গেলাম এনভায়ারমেন্ট হেলথ সাইন্স ল্যাব। খালেদ স্যারের ল্যাব। ছোট ল্যাব। কিন্তু গোছানো। সবার সাথে পরিচয় হল। খুব অমায়িক মনে হল সবাইকে। আব্বা আমার সাথেই ছিল। তাকে খালেদ স্যার জোর করে দিনের দ্বিতীয় কাপ চা খাইয়ে দিলেন। ফজল ভাইকে নিয়ে কাজে লেগে গেলাম। একটু পর খায়রুল ভাই এসে হাত লাগালেন। আব্বার সাথে কথায় কথায় বের হল সে হচ্ছে আব্বার খুব প্রিয় ছাত্র ফরিদের ভাগ্নে। দেখলাম তাদের বেশ ভাল খাতির জমে উঠেছে। তাও ভাল, আব্বার সময়টা খায়রুল ভাইয়ের সাথে গপসপ করে কেটে যাবে। আমার স্যাম্পল কম। কিন্তু তা দিয়ে যতগুলি টেস্ট করা যায় সেটাই উদ্দেশ্য। এর মাঝে ফজল ভাই চটপট চা বানিয়ে ফেললেন। এরপর আরো বার পাচেঁক চা কফি বানাতে হয়েছে তাকে। নইলে রাত আটটা পর্যন্ত টিকে থাকা মুশকিল। জোরাজুরি করে লাভ হল না। আমাকে চা বানাতে দেয়া হল না। তবে এক পর্যায়ে কাপগুলি ধুয়ে দিতে চাইলে আর আপত্তি করলেন না।

ল্যাবের পাট চুকিয়ে যখন বেরলাম তখন ঘড়িতে রাত সাড়ে আটটা। খালেদ স্যার জোর করে তার ছাত্র খায়রুল ভাইকে সাথে দিয়ে দিয়েছেন। সে আমাদেরকে জুবেরী হাউসে নিয়ে যাবে। ভালই হল। নইলে এত বড় ক্যাম্পাসে আমরা বাপ-বেটি হারিয়ে যাব। যেতে যেতে দেখি সবুজ একটা আলো চোখের সামনে নাচছে। এটা কি?? আমি তো অবাক। একটু বাদেই বুঝলাম জোনাকি পোকা। কি যে মজা লগাল। মানুষেরো নিজেদের আলো থাকা দরকার। যখন ইচ্ছা জ্বালিয়ে রাখব, যখন ইচ্ছা নিভিয়ে দেব।

জুবেরী হাউসে ল্যাপটপ, খাতাপত্র ইত্যাদি নামিয়ে রওনা দিলাম সাহেববাজারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার আগে বাসের টিকেট করে ফেলতে হবে। খায়রুল ভাই কিছুতেই যাবে না। টিকেট কাউন্টারে নিয়ে গিয়ে টিকেট করে দিয়ে সাহেববাজারের জন্যে রিকশা ঠিক করে দিয়ে তবেই সে বাড়ি যাবে। ভাল নাছোরবান্দা লোক। কাউন্টারে গিয়ে দেখি লোকজন গালে হাত দিয়ে টিভি দেখছে। গানের একটা রিয়েলিটি শো না কি যেন হচ্ছে। আজকে নাকি তার চুড়ান্ত পর্ব। লাইভ প্রোগ্রাম চলছে। খুব কাছেই রাজশাহী স্টেডিয়ামে নাকি প্রোগ্রামটা হচ্ছে। এজন্যেই রাস্তাঘাট এখনো সরব। তিন বার করে বলার পর খুব অনিচ্ছাসহকারে তাকালো লোকটা। দায়সারা ভাবে কোনো রকমে খসখস করে টিকেট লিখে দিল আমাদের। তার মন এখন আবার টিভি পর্দায়। এক সুন্দরী উপস্থাপিকা উপস্থাপনার নামে প্রচুর কথা বলে যাচ্ছে। কথার তোড়ে আমার মাথা ধরে গেল। বাইরে বেরিয়ে এসে বাঁচলাম। খায়রুল ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় দিলাম। এই মানুষগুলোর সরলতা আর আতিথয়তা মনে থাকবে চিরদিন।

এরপরের গন্তব্য সাহেববাজার। উদ্দেশ্য তিলের খাজা কেনা। সাথে আরো টুকিটাকি জিনিস কেনা হল। দেখলাম আমি ধারসে কিনেই যাছি। থামাথামি নেই। প্রিয় মানুষদের জন্যে কেনাকাটায় ক্লান্তি থাকে না। প্রিয় মানুষ বলতে বাসার জন্যে আর আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় শিক্ষকরা। দেখতে দেখতে প্রায় চার কেজি খাজা কিনে ফেলেছি। কেনাকাটা শেষে রাতের খাবারও খেয়ে নিলাম বাইরে। ফাস্ট ফুড টাইপের দোকান। মনে হয় বিশ্বখিদা লেগেছিল। চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর মাউন্টেন ডিউ পেটে চালান দেয়ার পর আব্বার জন্যে আসা ধোঁয়া ওঠা ফ্রাইড রাইস আর চিকেনের প্লেটটার অর্ধেক নিজের প্লেটে নামিয়ে আনলাম। খাওয়া মোটামুটি শেষ, এমন সময়ে চোখের কোনা দিয়ে দেখলাম ওয়েটার আরেক টেবিলের জন্যে থাই স্যুপ নিয়ে যাচ্ছে। এই তো লেগে গেল চোখের খিদা। অর্ডার দিলাম থাই স্যুপের। সেটার সদগতি করতে বেশি সময় লাগল না। আইসক্রিমও নেয়া যেত। খাবার পর মিষ্টি খাওয়া নাকি সুন্নত। যাইহোক মিষ্টিমুখ আর হল না। কারণ তাড়া ছিল। কিন্তু মন পড়ে থাকল আইসক্রিমের কাছে।

একটা রিকশা ধরে জুবেরী হাউসের দিকে ফিরতি পথ ধরলাম। বাতাস কেটে রিকশা চলছে। পথের একপাশে পদ্মা নদীর বাঁধ। রিকশা থামিয়ে নামলাম। সিড়ি দিয়ে উঠে দেখি মাঠের মত জায়গা। প্যান্ডেল খাটিয়ে অনুষ্ঠান টাইপের কিছু একটার আয়োজন করা হচ্ছে। তাহলে মাতঙ্গিনী পদ্মা কই? বুঝলাম না। লোকজনকে জিজ্ঞেস করতে নির্লিপ্ত উত্তর আসল, আরো দেড় কিলোমিটার হাঁটলে পরে পদ্মার দেখা মিলবে। সুতরাং ক্ষান্ত দিলাম আমরা। ঠিক হল কালকে খুব ভোরে আসব। কিন্তু আমি তো আমাকে চিনি। ভোরে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে তোলা যাবে না। তাছাড়া আজকে যে খাটুনি গেছে, এরপর ঘুমটা হবে মারাত্মক গাঢ়। মনে মনে পদ্মাকে বিদায় জানিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশায় উঠলাম।

পরদিন সকাল। ঢাকার বাস ধরতে হবে। আগেভাগে বাস স্টেশনে এসে বসে থাকলাম। বাস ছাড়ার কথা নয়টায়। ঘড়িতে বাজে নয়টা তিরিশ। আধা ঘন্টা লেট। কিন্তু বাসটা ভাল। ভলভো বাস। বসে আরাম লাগছে। গ্লাস খোলা যায় না। তাই ধুলা নেই। এতোটা পথ বসে থেকে থেকে একঘেয়ে হয়ে যাব। তার উপর সকালে নাস্তা করা হয় নি সময়ের অভাবে। সময় যত গড়াচ্ছে, খিদেটাও আস্তে আস্তে একটা আকার পাচ্ছে। খাদ্যচিন্তা থেকে বেরোতে পারছি না। এরা নিশ্চয়ই মাঝপথে কোথাও থামবে। কিন্তু ততক্ষণে আমি খিদায় হজম হয়ে যাব মনে হচ্ছে। বোকামি হয়ে গেছে। ধুস! ক্ষুধরাজ্যের বাস্তবতা থেকে বেরোতে চোখের ঝাঁপি ফেলে আঁকাবাঁকা হয়ে বাসের সিটে গা এলিয়ে দিলাম। দেখা যাক, কল্পনার জগতে ডুবিয়ে দিয়ে খিদেটাকে ধুয়ে ফেলা যায় কি না। মনে মনে ডাকলাম গত সন্ধ্যার জোনাকিটাকে। আর কি আশ্চর্য্য! সবুজাভ আলোর মায়া নিয়ে বিশাল এক জোনাক পোকা হাজির। আমিও এক লাফে তার পিঠে চেপে বসলাম। জোনাকিটা আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে থাকলো এক মাঠ সন্ধ্যা ফুরে, সবুজ এক রাজ্যে, নাম যার রাজশাহী।

- ড. রিম সাবরিনা জাহান সরকারঃ মিউনিখ, জার্মানী
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৮
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×