somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেই রাতের ঘটনা--এক ভয়ঙ্কর সত্য ঘটনা।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন জরুরি একটা কাজে পান্থপথে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি প্রায় ১ বছর আগের। অনেকেই হয়তো বলবেন এতোদিন কেন ঘটনাটি বলিনি। এতোদিন বলিনি কারণ এতোদিন শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একজন মনোবিজ্ঞানীর তত্থাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলাম। বলার ইচ্ছে থাকলেও বলার সুযোগ হয়নি। অবশ্য বলার মতো পরিস্থিতিও ছিলনা। তবে এতোদিন অনেক না বলা কথা আজ বলতে চাই। বলতে চাই কেন হঠাৎ আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এবার বলি আমার কাহীনি:

সেদিন জরুরি একটা কাজে পান্থপথে গিয়েছিলাম। সেদিন আবার বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট ছিল। মহাখালি থেকে শুরু করে ধানমন্ডির বেশ কয়েকটি রাস্তা তারা ব্লক করে রেখেছিল। যার ফলে গোটা ঢাকা শহরে সাংঘাতিক ট্র্যাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছিল। এরকম বিশাল জ্যাম আগে কখনো দেখিনি। যেহেতু আসার সময় মহাখালিতে জ্যাম দেখেছিলাম তাই আমি ড্রাইভারকে বললাম যে ধানমন্ডি হয়ে মিরপুর ও সেখান থেকে আশুলিয়ার রাস্তায় উঠে টান দিয়ে উত্তরা যেতে। বিপদ যে সেখানেই ঘটবে তা ঘুনাক্ষরেও জানতামনা। ধানমন্ডি ২৭নং এর ওখানে গাড়িতে বসে আছিতো আছিই। একই জায়গায় বসে রয়েছি। পরে আর না পেরে আমি গাড়ি থেকে নেমে পরে হাটা শুরু করলাম। আমার ড্রাইভারকে বললাম যে অবস্থা তা তে মনে হয় সারারাত এইভাবেই থাকা লাগবে তাই হাটা শুরু করলাম। জ্বি! আপনারা ঠিকই ধরেছেন। ধানমন্ডি থেকে উত্তরা হেটেহেটে আসারই পরিকল্পনা করলাম। চিন্তা করলাম দফায় দফায় থেমে থেমে হাটবো। দেরী না করে গাড়ী থেকে নেমে হাটা শুরু করলাম। ধানমন্ডি ২৭ নং থেকে মহাখালি পর্যন্ত হেটে আসলাম। মূল জ্যামটা ধানমন্ডিতেই ছিল। এছাড়া অন্য রাস্তা বেশ খালিই দেখলাম। ঠিক মহাখালির শাহিন স্কুলের সামনে যখন আসলাম তখন আমার গাড়ি দেখতে পেলাম। ড্রাইভার বললো কিছুক্ষণ আগে রাস্তা ক্লিয়ার হয়েছে। যাক, আবার গাড়িতে উঠলাম। এরপর বনানি ক্রস করেই দেখি আবার জ্যাম শুরু হলো। তখন আমরা বনানি ফ্লাইওভারের ওপর। চিন্তা করলাম এই জ্যাম নিশ্চিত উত্তরা পর্যন্তই হবে তাই মিরপুরের মাটিকাটার দিকে মোড় নিয়ে গাড়ি ঘুরানো হলো। প্ল্যান হলো যে মিরপুরের বাউনিয়া দিয়ে ঠিক যে রাস্তা দিয়ে সরাসরি এয়ারপোর্টের পিছন দিয়ে উত্তরা আসা যায় সে রাস্তা দিয়ে আসবো। সেই রাস্তায় কিছুদূর এসেই দেখি মহা জ্যাম। এই ছোট রাস্তায় কোন যানবাহনই সরছে না। ড্রাইভারকে বললাম আমার পক্ষে আর অপেক্ষা করা সম্ভব না তাই আবার নেমে পরলাম। ড্রাইভারকে বললাম ধীরে ধীরে আসতে। আমি হাটা শুরু করলাম। এরপর ঘটলো এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

বাউনিয়ার এখানে একটাই রাস্তা যে রাস্তা দিয়ে সরাসরি উত্তরা আসা যায়। এখানে একটি জায়গা আছে খুবই ভয়ঙ্কর। রাস্তায় নেই কোন লাইট। আমি হেটে যাচ্ছি। সরু রাস্তার দু'ধারে যেসব দোকানপাট রয়েছে সেসব দোকানগুলোর যে লাইট সে লাইটটাই রাস্তায় এসে পড়ছে আর যার ফলে যারা রাস্তায় হাটছে তাদের জন্য একটু সুবিধে হচ্ছে। আমি কিন্তু একাই হাটছিলাম না আশেপাশে আরোও লোকজন হাটছিল। কিন্তু ঠিক একটি নির্দিষ্ট জায়গা আছে যেখানে সম্পূর্ণ অন্ধকার, দু'ধারে নেই কোন দোকানপাট তবে বাসা-বাড়ি রয়েছে কিন্তু রাস্তায় আলো কিছুই আসছিলনা। ঠিক এরকম একটি জায়গায় যখন আসলাম তখন কে যেন আমাকে পিছন থেকে "ঐ, এদিক আয়" বলে ডাক দিল। পিছে তাকায় দেখি কেউ নেই। ইতোমধ্যে খেয়াল করলাম যে এতক্ষণ আশপাশে যে লোকজন ছিল হঠাৎ পুরো রাস্তা লোকশূন্য হয়ে গেল। আমি কি একেবারে অন্যমনস্ক হয়ে হাটছিলাম যে টেরই পেলাম না যে কখন রাস্তা একেবারে ফাকা হয়ে গিয়েছে? যাই হউক মনের মধ্যে বেশ ভয় ঢুকলো।

আমি হাটতেই থাকলাম। এবার দেখি কে বা কারা যেন শীষ দিচ্ছে। আবার কে যেন বলে উঠলো "ঐ, এদিক আয়"। আমি কিন্তু এবার রীতিমতো ভয় পেলাম। ক্ষণিকের জন্য হাটা বন্ধ করলাম। বুঝে উঠে পারছিলাম না কি করবো। কারো বাসায় ঢুকে পড়বো নাকি দৌড় দিব। এই যে এসব চিন্তা করছিলাম তা বোধহয় আর কতক্ষণ হবে, বড়জোড় ৩--৪ সেকেন্ড ঠিক এরই ভিতর খেয়াল করলাম পিছনে খানিকটা দূরে ৩--৪ জন দাঁড়ায় আছে।

আমি আর কোন উপায় না দেখে দৌড় দেওয়া শুরু করলাম। তারাও আমাকে তাড়া করতে থাকলো। কোন অজানা উদ্দেশ্যে যে দৌড়াচ্ছি তা ঠিক জানি না তবে আকামে যে দৌড়াতে হবে সেটা বেশ ভালভাবেই বুঝলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তা কিছুই দেখা যাচ্ছে না। দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাৎ খেয়াল হলো রাস্তা বাম পাশে একটা মাঠ মতো জায়গা। মাঠটার পাশে যে বাড়িটি রয়েছে সে বাড়ি থেকে আলো এসে মাঠে পড়ছিল বিধায় বুঝতে দেরী হলো না যে এখানে একটি ফাকা জায়গা যে রয়েছে। আমি খালি মাঠটার দিকে গেলাম। যারা তাড়া করছিল আমাকে তাদের দৌড়াদৌড়ির শব্দ পাচ্ছিলাম কিন্তু ঠিক তারা যখন মাঠ বরাবর আসলো তাদের পায়ের শব্দটা থেমে গেলো। তাহলে কি তারা টের পেয়েছে যে আমি এখানেই আছি?

মাঠটার পাশে যে বাড়িটি রয়েছে সেটি ৪তলা বাসা। ১তলা, ২তলা, ৩তলার কোনটাতেই আলো জ্বলছিলনা একমাত্র ৪তলা ছাড়া। আমি এতক্ষণ বাড়িটির দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ধরে পড়ে যেতে পারি দেখে আমি দেওয়াল টপকিয়ে বাসাটার সীমানার ভেতর ঢুকে গেলাম। চুপটি মেরে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। আমি কিন্তু ওই লোকদের কথার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। ফিসফিস করে কি যেনো একে ওপরকে বলছে। শুধু এতোটুকুই শুনতে পেলাম একজন যখন বলে উঠলো, 'হয়তো সে এখানে নেই'।

এরপর আরো মিনিট দশেক অপেক্ষা করেছিলাম। কোন সারাশব্দ পেলাম না। কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা। ভাবলাম ওরা যদি ওৎ পেতে থাকে যে আমি বের হওয়া মাত্রই আমাকে ঝাপটে ধরবে তাহলেতো আমি শেষ! তাই চুপচাপই থাকলাম আরো কিছুক্ষণ। যে বাড়িটির ভিতর ছিলাম সেই বাড়িটির চারতলা থেকে টিভির আওয়াজ আসছে। আমি আস্তেআস্তে এগুতে থাকলাম। উকি মেরে দেখলাম বাসাটিতে কোন দারোয়ান আছে কিনা। দেখি মেইন গেইটে কেউ নেই তবে গেইটটি বন্ধ। বাড়িটির মূল প্রবেশ পথে আসলাম। কোলাপসেবল গেইট পুরোটাই খোলা। আমার হাথে তখন দুটি সুযোগ। চিন্তা করছিলাম দেওয়াল টপকিয়ে দৌড় দিব নাকি যেহেতু কলাপসেবল গেইট খোলা রয়েছে উপরে গিয়ে বাড়ির লোকজনদের সাহায্য চাইবো। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। শেষমেষ ভাবলাম এই বাড়িতে যারা রয়েছে তারা নিশ্চয়ই এখানকার লোক, এখানেই হয়তো বসবাস করছে তাই উপরে যাবারই সিদ্ধান্ত নিলাম। সে যে কি বিশাল বড় এক ভুল ছিল তা এখনো প্রতিটি মূহুর্তে উপলব্ধি করি।

আমি ৪তালায় গিয়ে কলিংবেল টিপলাম। কোন সারাশব্দ পেলাম না। বেশ কিছুক্ষণ পর আবার কলিংবেল দিলাম। ভিতর থেকে কিন্তু টেলিভিশনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। টিভি থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে যা শুনে বুঝলাম হয়তো কোন হরোর সিনেমা দেখছে বাসার লোকজন। কোন এক অদৃশ্য শক্তি আমাকে বার্তা দিচ্ছিল ওখান থেকে সরে যাবার। ঠিক যেই মূহুর্তে চিন্তা করলাম যে না থাক আর কলিংবেল না টিপে নেমে পড়ি ঠিক তখনই একজন ভেতর থেকে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই দরজাটি খুলে দিল। আমি একটু অবাক হলাম। সাধারনত বাইরে যে দাঁড়িয়ে থাকে তাকে ভেতর থেকে কেউ না কেউ জিজ্ঞেস করে। যাই হউক দরজাটি একজন লোক খুলে দিল। চেহারা দেখে তার বয়স মনে হলো ৪০--৪৫ এর কোটায়। তাকে দেখেই আমি মরিয়া হয়ে বললাম আমাকে সাহায্য করুন কয়েকজন লোক আমাকে তাড়া করছে আমি না পেরে আপনাদের বাসার দেওয়াল টপকিয়ে নিচে লুকিয়ে ছিলাম। আমার চেহারায় অসহয়াত্বের ছাপ দেখে লোকটি আর কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে আমাকে ভেতরে আসতে বললেন। আমাকে শ্বান্ত হয়ে সোফায় বসতে বললো। ঘাবড়ানোর কিছু নেই আপনি শ্বান্ত হয়ে বসুন, কি হয়েছে সেটা বলুন। যে রুমে সোফায় আমি বসে ছিলাম। সে রুমে আরো কয়েকজন ছিল। সকলেই আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। কেমন যেন লাগলো আমার কাছে। বাসার পরিবেশটা খুব একটা ভালো লাগলো না আমার কাছে। আমি তাদেরকে আমার পুরো ঘটনাটা বললাম। আমার পুরো ঘটনাটি শুনে তারা আমাকে বিশ্বাসই করলো। আমাকে বললো যে আপনার ভয়ের কিছুই নেই আমরা এখানে যারা রয়েছি আমরা সবাই এখানকার স্থানীয় লোকজন। প্রয়োজনে আজ রাত এখানে থাকতেও পারেন। আমি বললাম না সেটার কেন প্রয়োজন হবে। বের হয়ে পড়বো যদি নিশ্চয়তা পাই। আমার কথা শুনে আমার ঠিক সামনে একজন মহিলা বসে ছিলেন, এতক্ষণ সে আমার কথা চুপচাপ শুনছিল, সে বলে উঠলো তাহলে আমাদের এখানে এসেছেন কেন? এখানে না এসে সোজা আপনার গন্তব্য হাটা শুরু করলেইতো পারতেন। মহিলাটিকে আরেকজন থামালো। আমি আর কিছু বললাম না। যে লোক দরজা খুলে দিয়েছিল সে বললো যে হয়তো কোন খারাপ লোকজন আমাকে তাড়া করছিল তারা যদি আমাকে ধরেই ফেলতো হয়তো উর্দ্ধে তারা আমার কাছে থাকা টাকা পয়সা বা মোবাইল ফোনই নিয়ে নিত। এরকম ঘটনা নাকি এখানে প্রতিনিয়তই হচ্ছে। আমাকে আশ্বস্ত করলো যে কিছুক্ষণ এখানে থেকে তারপরেই বের হতে যদি আমার আজকে এতই যাওয়া লাগে বাসায়। আর মোবাইল ফোনতো রয়েছেই প্রয়োজনে আমার ড্রাইভারকে কল দিয়ে কাছাকাছি কোথাও আসতে বলা হউক যাতে আমি গাড়িতে উঠে যেতে পারি।

আমি দেরি না করে ড্রাইভারকে ফোন দিলাম। ড্রাইভার তখনো ঐ একই জায়গায় আটকে আছে। বললো যে গাড়ি সামনের দিকে এগুতে পারবেনা তাকে আবার ঘুরে যেতে হবে। কথাটা শুনে একটু নিরাশ হলাম। এখনতো তাহলে আমাকে হয় আজকের রাতে এদের সাথেই থাকতে হবে অথবা বের হয়ে যেতে হবে রিস্ক নিয়েই। সত্যই কথা বলতে কি এই বাসার লোকজনদের আমার তেমন একটা ভালো লাগছে না। কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে আমার কাছে। পরিস্থিতিতে পরে থাকতে হচ্ছে। এখানে এসে আবার আরেকটা বিপদে পড়লাম নাতো?

এদের ভেতর একজন লোক আছে সে কিছুক্ষণ পরপর খিকখিক করে হেসে উঠছিল আর কাকে যেন বলে উঠলো আজ রাতটা বেশ ভালো যাবে, আজ রাতটা বেশ ভালো যাবে। কথাটি সে বেশ কয়েকবার বললো। একজন এসে তাকে থামালো। আরেকটা ঘরে এক ৬০--৭০ বয়সের বৃদ্ধ সমানে বিড়ি টেনেই যাচ্ছিল আর এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।

আমার কাছে বেশ ভয় লাগছিল কিন্তু কোথাও ছুটে পালাবার রাস্তা ছিলনা। কি যে এক বিপদের মধ্যে পড়েছিলাম! মিনিট দশেক পর দেখি তারা খাবার ঘরের টেবিলে খাবার পরিবেশন করছে। আমাকেও তাদের সাথে বসতে বললো। আমি বললাম যে আমার তেমন খিদে নেই। একটা কথা না পেরে বলেই ফেললাম, আপনারা দেখি বেশ আন্তরিক! আমি এক অচেনা লোক, আমাকে আপনারা চিনেন না অথচ আমি এসে সাহায্য চাইলাম আর আপনারা কোন সন্দেহ না করেই আমাকে ঢুকতে দিলেন আবার এখন খেতেও দিচ্ছেন, আসলে আপনারা বেশ ভালো মানুষ। যে মহিলা আমাকে বলেছিল এখানে কেন এসছি, নিজের গন্তব্য হাটা শুরু করলেইতো পারতাম সেই মহিলা বলে উঠলো, বিপদে যখন কেউ পড়ে তখন তাকে অত প্রশ্ন করাটা ঠিক না। তাকে সাহায্য করাটাই উত্তম। আর যেহেতু আপনি এখন আমাদের মেহমান তাই খাবারের কথা বলা হয়েছে। কথাটা শুনে নিজের কাছে বেশ ভালো লাগলো।

এরপর সবাই খাবার টেবিলে বসলাম। আমাকে তারা আপ্পায়ন করতে লাগলো। বেশ বড় এক টেবিলে মাংস রাখা। দেখতে গরুর মাংসের মতোই লাগছিল। আমাকে একজন বললো, এটা কি জানেন, পাশ থেকে সেই খিকখিক হাসি দেওয়া লোকটা জোড়ে হেসে উঠলো। আমাকে তারা সেটি দিতে চাইলো। আমি বললাম হয়তো গরুর মাংস কারণ সেরকমইতো লাগছে। সেই মহিলাটি আমার সামনে এসে সেই বাটি থেকে মাংসটি আমার প্লেটে তুলে দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম এটাকি গরুর মাংস। মহিলাটি রাগান্বিত হয়ে বললো খাবার জিনিষ খেতে দিয়েছি খেতে হবে এতো প্রশ্ন করার কি হলো। আমি যেই বললাম আমি না জেনে এটি খাবোনা সবাই আমার দিকে কটমট করে কেমন যেন ভয়ঙ্কর চেহারা করে আমার দিকে তাকালো। মনে হলো আমি কি যেন এক অপরাধ করে ফেলেছি। একটু ঘাবড়ানি লাগলো। প্রায় ১৫-২০ সেকেন্ডের মতো নিশ্চুপ থেকে আমার দিকে সবাই তাকিয়েই রইলো। যে লোকটি দরজাটি খুলে দিয়েছিল সে মুখে সেই বাটি থেকে মাংসটি নিয়ে চিবাতে চিবাতে আমাকে বললো, আপনার কি মনে হয় আপনাকে আমরা অখাদ্য কোন খাবার দিব, হুম? আপনিকি এটি খাবেন, নাকি! কথাটি বলে সে মুখ কটমট করে আমার দিকে তাকায় রইলো। আমি আবারও বললাম যে আমার খিদে নেই। না খাওয়ার একটা পথতো খুঁজতে হবে। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তারা একে ওপরের দিকে তাকাচ্ছিল। মিনিটের মতো চরম নীরবতা চারিদিক। একজন আমার দিকে তাকিয়েই রইলো।

ঠিক সেই সময়ে কলিংবেল বেজে উঠলো। খিকখিক করে যে লোকটি সমানে হেসে যাচ্ছিল সে বললো ওই যে ওরা হ্য়তো এসছে। ওই যে ওরা হ্য়তো এসছে। ওই যে ওরা হ্য়তো এসছে। বলতেই থাকলো। আমি ভ্র কুঁচকে তাকালাম তার দিকে। যে লোকটি আমি আসার সময় দরজা খুলে দিয়েছিল সেই উঠলো দরজা খুলতে। এবারও দেখি কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে দরজা খুলে দিল। খাবার ঘর থেকে ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছিলনা কে বা কারা আসলো তবে যে বা যারা এসছে তাদের সাথে যে সেই লোকটির ফিসফিস করে কথা হচ্ছিল সেটা বুঝতে পারছিলাম। সন্দেহ হচ্ছিল কিন্তু কিছুই করার ছিলনা। খাবার টেবিলের সামনে সেই লোকটি এসে আমাকে বললো জানেন কারা এসছে? আমি এবার রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম। কিছু বলবার আগেই দেখি টেবিলের সামনে ৩--৪জন লোক এসে হাজির। তাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো, কি ভাই পালালেন না কেন? আমিতো তাদেরকে অন্ধকারে তাদের চেহারা দেখিনি তবে বুঝতে আর দেরি হলোনা যে এরাই হলো তারা যারা আমাকে তাড়া করছিলো। তাহলে এরা সবাইকি একই গ্রুপের? এ কি করলাম আমি। সুযোগ থাকতে ইচ্ছে করে বিপদে পা ফেলার মতো অবস্থা। নিচ থেকে পালাতে চেয়েছিলাম তা না করে উপরে এসে এদের পাল্লায় পরে আরো বিপদে পড়লাম।

ঠিক এসব জিনিষ ভাবতে না ভাবতেই ঐ মহিল এবার আমার তুই করে বলা শুরু করলো, জানিষ ওটা কিসের মাংস? এটা মানুষের মাংস! কথাটি শুনেই আমার মাথা ঘুরে উঠলো। সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। আমি খুব করুণ কন্ঠে বললাম আমি কি দোষ করিছি আমাকে প্লিজ ছেড়ে দেন। একজন বললো, আমরা মানুষের মাংস খাই আর এতো কষ্ট করে তোকে পেলাম তোকে এখন কেমন করে ছেড়ে দেই? তোকে ছেড়ে দিলে আমরা কি খাব? আমি তাদেরকে বললাম আমার বিশ্বাস হয়না এটি যে মানুষের মাংস। তখন একজন আচমকাভাবে আমার শার্টের কলার জোড় করে ধরে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ঘরটির লাইট জ্বালায় আমাকে বললো, এই দেখ!

একটি মৃত মানুষের নগ্ন শরীর দেওয়ালে ঝুলানো রয়েছে যার এক পা পুরোটি নেই। পুরো শরীর রক্তে মাখা। লোকটি আমাকে দৃশ্যটি জোড় করে দেখিয়ে বলে, ঐ যে দেখছিস যে তার পা নেই, সেটাই আজ রাতে রান্না হয়েছে। খাবি, পা খাবি, মানুষের পা খাবি?

আরেকজন বললো, তুই এখন যতই চিৎকার দে কেউই এগিয়ে আসবেনা কারণ এই গোটা এলাকার সবাই মানুষখেকো। এই বলে দুইজন আমাকে জোড় করে ধরে আমার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নিল। আমি একটু প্রতিরোধ করাতে আরেকজন এসে আমার গালে এক থাপ্পর দিয়ে ওদের বললো আমাকে সেই ঘরে নিয়ে যেতে। আমি ছিটকাচ্ছিলাম, ছুটে যাবার চেষ্টা করলাম, তারা বললো একবারে চুপচাপ থাকতে। আমি বললাম আমাকে কোন ঘরে নিয়ে যাবার কথা বলছেন আপনারা। আমার কথা শুনে আবার দেখি সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। এরপর দেখি একটি ঘরে ঢোকালো আমাকে। বিশ্রী গন্ধ বের হচ্ছিল ঘরটি থেকে। ঘরটির লাইট জ্বালানোর পর আমি যে দৃশ্য দেখলাম তা দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। বেশ কয়েকজনার লাশ সারিবদ্ধভাবে রাখা আছে। আমাকে তারা এই ঘরে রেখে দিল। একজন বললো তুই এখানে কয়েকদিন থাকবি। তোর যখন সময় হবে তখন তোকে খাওয়া হবে। আমি অনেক আকুতি করলাম, প্রাণ ভিক্ষা চাইলাম কিন্তু কোন কিছুতেই তাদের মন গলেনা। কি করবো, আসলে কিছুইতো করার ছিলনা। আমাকে ঘরটির ভেতর রেখে তারা চলে গেল। আমার হাতদুটো দড়িদিয়ে বেধে রাখা হয়েছিল। মরা লাশগুলো দেখতে খুব ভয় লাগছিল। একজন ঘরে আসলো খানিক্ষণ পর। তার হাতে বড় লম্বা এক ছুরি। সে আস্তে আস্তে আমার দিকে এগুচ্ছিল। তার মুখখানা একটি মুখোশ দিয়ে ঢাকা। ছুরিটা আমার সামনে ধরে সে বললো যে আমাকে নাকি জ্যান্ত অবস্থায় ছিলা হবে। সে বললো, এই যে মুখোশটা আমি পড়ে আছি এটা ঐ যে দেখতে পাচ্ছিস শেষমাথায় যার লাশ ঝুলে আছে তার মুখের চামড়া। সে জ্যান্ত থাকা অবস্থায় চামড়া তোলা হয়েছিল, কথাটি বলেই সে হাসা শুরু করলো। আমার আত্মা একবারে শুকিয়ে গেল। আবার সে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। আমি একা একা চিন্তা করছিলাম কি করা যায়। পরবর্তী ঘন্টা দুয়েকের ভেতর ঘরটিতে আর কেউ প্রবেশ করেনি। আমি পালাবো কেমন করে সে চিন্তাটাই করছিলাম।

বাইরের ঘর থেকেও কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিলনা। আমার হাতযে বাধা সেটা খোলার চেষ্টা করলাম। খুব কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু চেষ্টাতো করে যেতে হবে তাইনা! এমন সময়ে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম। ঘরের ভেতর আসলো সেই লোকটি যে এর আগেরবার ছুরি নিয়ে এসছিল। এবারে তার হাতে একটা হাতুড়ি দেখতে পেলাম। বুকটা আমার দুপদুপ করে কাপছিল। সে কোন কথাবার্তা বললো না আমার সাথে যেদিকে লাশগুলো রাখা ছিল সেখানে গিয়ে কিসব কাজ যেন করছিল। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন মরা লাশ থেকে কিন্তু সাংঘাতিক বিশ্রী গন্ধ বের হয়। লাশ পচা গন্ধ শুকার অভিজ্ঞা যাদের রয়েছে তারাই জানে পচা লাশের গন্ধ কেমন। বহুবার বকি আসছিল, সহ্য করতে পারছিলাম না একদমই আর যেখানে একটা লাশের গন্ধই সহ্য করা যায়না সেখানে ৭--৮টা লাশ।

লোকটি এবার হাতুরি নিয়ে আমার কাছে আসলো। ভয়ানক চেহারা করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো বেশ কিছুক্ষণ। আমি এক গ্লাস পানি খেতে চাইলাম। সে বললো সে রক্ত খাওয়াতে পারবে কিন্তু পানি খাওয়াতে পারবেনা। আমি বিরবির করে বললাম কে আপনারা? আপনারা এমনটি করেন কেন? সে আমার কানের কাছে এসে বলে, কি বললি আবার বল? আবার বিরবির করে বললাম, আপনারা কারা?, সে বললো, তোর কথা এখনো শুনি নাই আবার বল।

ঠিক সেই সময় আমি আমার দুই হাত দিয়ে তাকে শক্ত করে ধরে তার কানে খুব জোড়ে কামড় দিয়ে বসলাম। সে ঘরে ঢোকার আগেই দড়ি বাধাটা খুলে ফেলতে পেরেছিলাম। লোকটি বুঝতে পারিনি আমি যে দড়ি ছুটিয়ে নিয়েছিলাম। তার কান কামড় দিয়ে দু-হাত দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলাম। সে মাটিতে পরে গেল। তার হাতের হাতুড়িটা পড়ে গেল। হাতুড়িটা আমি নিয়ে নিলাম। সে চিৎকার দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু কেউ শুনতে পেয়েছি কিনা সেটাতো তখনও টের পাইনি। লোকটি কানে বেশ ব্যথা পেল কিন্তু তারপরেও সে উঠার চেষ্টা করলো, আমি হাতুড়িটা দিয়ে এবার তার পিঠে একটা জোড়ে বারি মারলাম। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।

এখন পালানোর সময়! আমি আস্তে করে দরজাটা ফাঁক করলাম। দেখি কেউ নেই। দরজা খুলে কোণা বরাবর দৌড় দিলে সেই ঘর যে ঘরে এই বাসায় ঢোকার মেইন দরজা। সে ঘরটি দেখা যাচ্ছে কিন্তু এখন যদি সেই দরজাটি তালা দিয়ে লাগানো থাকে ও আমার দৌড় দেওয়াটা যদি কারোর নজরে আসে তাহলেতো আমি পুরা ধরা। কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমি হাতুড়িটা নিয়ে আস্তে করে বের হলাম। চার দিকে অন্ধকার। শুধু একটা ঘর থেকেই আলো আসছিল। বুঝলাম ঐ ঘরেই হয়তো সব লোকজন রয়েছে। আবার সবাই নাও থাকতে পারে তা কি আমি জানি?

আমি চুপে চুপে ঐ ঘরটায় গেলাম। মেইন দরজার সামনে দাঁড়ালাম। দরজাটিতে দুটো ছিটকিনি। ভাগ্যিস কোন তালা দেওয়া ছিলনা। আমি আস্তে করে দরজাটা খুললাম। দরজার ওপারেই ওদের একজন গার্ড হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। সে আমাকে দেখে যেই চিৎকার করে সতর্ক করতে যাচ্ছিল ওদের অন্য লোকদের তখুনি আমি হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় দিলাম একটা বারি। সে উঠে দাঁড়ালো। প্রতিরোধ করবার চেষ্টা করলো। আমি আরো একবার বারি মারলাম, সে মাটিতে পরে গেল। লোকটি চিৎকার দেবার ফলে সবাই টের পেয়ে গেল। দরজার সামনে দুইজন চলে আসলো। আমি আর কিছু না চিন্তা করে দৌড় দিয়ে সিরি দিয়ে নামতে থাকলাম।আমার পিছন পিছন দু'জন আসতে থাকলো। আমি যত জোড়ে পারি দৌড়াচ্ছিলাম। আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম নিচের কলাপ্সেবল গেইটটা যেন না বন্ধ থাকে। আমার কপালটা ভাল ছিল যে কলাপ্সেবল গেইটটা বন্ধ ছিলনা। আমি তাড়াতাড়ি বাসাটি থেকে বের হয়ে মেইন রাস্তায় উঠলাম। এবার আর কিছু না ভেবে দৌড়াতে থাকলাম তো থাকলাম। কোন থামা নেই। এভাবে বেশ অনেকক্ষণ দৌড়ানোর পর আমি হাপাতে শুরু করলাম। পিছে ফিরে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। শরীর বেশ খারাপ লাগলো। আমি জ্ঞান হারিয়ে পরে গেলাম।

এরপর চোখ দুটো যখন খুলি তখন দেখি আমি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুয়ে আছি। সেই সময় বেশ মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। পুলিশকে বলেছিলাম সেই বাড়িটির ব্যাপারে পুলিশ নাকি ঐ এলাকায় সেরকম কোন বাসায়ই খুঁজে পাইনি। এরপর আমি আর সে ব্যাপারে জানার চেষ্টা করিনি, ভুলে থাকার চেষ্টা করিছি সেই রাতের ঘটনা।


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
১৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×