গল্প (১) “থুথু”
বস্তীর পাশেই নির্মাণাধীন বহুতল ভবন। স্বামী পরিত্যাক্তা হীরামন পেটের দায়ে পলিথিন,নষ্ট বাঁশ-কাঠ ইত্যাদি সংগ্রহ ও বিক্রির টাকায় দিনাতিপাত করে। তার জীবন অভিধানে পেট_ক্ষুধা, চুল_উকুন অথবা বস্তী_টোকাই শব্দগুলোই বেশি আপন হয়ে মিশে আছে।
মাঝ বয়সী ম্যানেজারের আড়চোখ এড়াতে পারে না প্রকল্পের কোন কিছুই। হীরামনের পরিত্যাক্ত যৌবনের মলিন দ্যুতি গোপনে ঢেউ তোলে তার বিকার মনের মজা পুকুরে। অভাব শুধু মানুষের স্বভাবকে নষ্টই করে না কখনো কখনো তা মানুষকে করে নির্মোহ আর অবিচল।
সেদিনের কর্মময় বিকেলটা নির্জন আর বিষণ্ণতায় মোড়ানো । লম্পট ম্যানেজারের সুযোগ সন্ধানী কামনা দানব জেগে ওঠে। পলিথিনওয়ালীকে কৌশলে ডেকে নেয় তার কামরায়। বড় একটা চকচকে নোট মেলে ধরে তার ময়লা মুখের সামনে।
হীরামনের পাথর মন কেঁপে ওঠে। কামাতুর চোখ আর নোটের দিকে তার দৃষ্টি নিবন্ধিত হয়। কঠিন জীবনের সরল অভিধান হতে দৃঢ় চেয়ালের ফাঁক গলে সজোরে বেরিয়ে আসে একটিমাত্র শব্দঃ “শুয়োর” । আর নোটের উপর আছড়ে পড়ে একদলা থুথু!
গল্প (২) “বদভ্যাস”
মরার আগে সব ছেড়ে দিয়েছিল সে। মদ,সিগারেট আর ওগুলো ছাড়া!
গল্প (৩) “মরণ”
মৃত্যু হয়েছিল কবিতাটির,সুমধুর কোন গান হয়ে ওঠার আগেই!
ছবিঃ সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১