সম্প্রতি আবুল 'ফেসবুক' নামক এক অদ্ভুত পুস্তকের সন্ধান পাইয়াছে।
এই পুস্তকের মাধ্যমে নাকি সুন্দরী উর্বসীদের সহিত যোগাযোগ করা যায়।
আবুলও সল্প সময়ে এক উর্বসী যোগাড় করিয়া ফেলিলো।
নাম তাহার এ্যাঞ্জেল জরিনা।
আবুলের পিতা নামী সাহিত্যিক হওয়ায়, আবুলও তাহার কিছু গুন পাইয়াছিলো।
সল্প সময়ে আবুল, সেই গুনের স্বদব্যবহার করিয়া,
তাহার অতি আধুনিক কবিতার 'ভুজুং ভাজুং' দিয়া,
সহজেই জরিনাকে হাত করিলো।
শেষে আগামী দিন বৈকালে জরিনা কোনো এক নির্জন গলির মাথায়
আবুলের সহিত দেখা করিবে বলিয়া কথাদান করিলো।
আবুল আগামীদিনের আসন্ন চাঞ্চল্য অনুভব করিয়া নিদ্রা গেলো
এবং স্বপনে তাহার পিতাকে দেখিলো।
আবুলের পিতা পুত্রের স্বপনে আসিয়া কহিলেন,
"ওরে আবুল, বাছা আমার
তুই যাসনে ঐ গলিরও মাথায়,
গেলে সেথা সব হারাবি
পাছে প্রান রাখা হবে দায়"
আবুলও ক্ষুদ্ধ স্বরে তাহার তীব্র বিরোধীতা করিয়া কহিলো,
"মহা প্রেমিক রণ ক্লান্ত
আমি সেই দিন হবো শান্ত,
যতদিন জরিনা আমায় ভালোবাসিয়া কাছে ডাকিবে না
যতদিন জরিনা আমার ঘরে আসিয়া বাসন মাজিবে না"
পরদিন বৈকালে আবুল যথাপোযুক্ত সাজসজ্জা করিয়া,
সেই অজানা গলির মাথায় দাড়াইয়া,
তাহার কলিজার বোটা জরিনার জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলো।
খানিকবাদে আবুল দেখিলো, লাল বস্ত্র পড়িয়া জরিনা তাহার পানেই আসিতেছে।
আবুল জরিনার কুরবানীর গরুর ন্যায় ডাগর দুটি চোখের দিকে
তাকাইয়া থাকিতে চাহিয়াও তাকাইয়া থাকিতে পারিলো না।
কারন সেই ডাগর দুটি চোখের ইশারা করিবা মাত্র,
চারটি বলবান যুবক তাহাকে ঘিরিয়া ধরিলো।
পরের ঘটনা অতি দ্রুত ঘটিলো। চার যুবক মিলিয়া,
আবুলকে এলোপাথারি কিল, ঘুষি, লাথী মারিয়া ভুপতিত করিলো।
কবিগুরু রবী ঠাকুর বোধ করি আবুলের এই
সম্ভাব্য দুরবস্তা টের পাইয়াই পুর্বে একখানা কবিতা রচনা করিয়াছিলেন..
"প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা সেদিন চৈত্র মাস,
তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ"...!!
চেতনা ফিরিলে, আবুল নিজেকে কেবলমাত্র
একটুকরো অর্ন্তবাস পরিহিতো অবস্থায় আবিস্কার করিলো।
আর এই রকম করিয়াই শত শত আবুল প্রতিনিয়ত
ডাইনি জরিনাদের পাল্লায় পড়িয়া,
'ফেসবুক' নামক আজব পুস্তক পাঠ করিয়া,
নিজের সর্বোস্ব বিসর্জন দিয়া চলিতেছে।
ᔕᕼᗩᕼEᗪᑌᒪ ᕼᗩᔕᗩᑎ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪