somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

সম্মান পেতে চাইলে, আগে সম্মান দাও

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কথায় আছে তুমি কাউকে সম্মান দিবে, তাহলে সেও তোমাকে মন থেকে সম্মান দিবে। এখন সেটা যেখানেই হোক,, ,।তুমি যদি চাও সবাই তোমাকে সম্মান দিয়ে কথা বলুক, তার আগে তাদেরকে সম্মান দিতে শিখো। এর চাইতে বড় আর সত্য দুনিয়াতে নাই। আমি শুধু কিছু উদাহরণ তুলে ধরবো, শুধুই ব্যক্তিগত। আপনি চাইলে আপনার নিজের মন্তব্য যুক্তি তুলে ধরতে পারেন। আমি শুনবো, বুঝতে চেষ্টা করবো
১)নারী পুরুষ সংঘাত ঃ দুনিয়ার সেই শুরু থেকেই দেখে আসছি। নারী পুরুষের কিছু সংঘাত আছে। নারীর পুরুষের প্রতি অনেক অভিযোগ। পুরুষের মনেও আছে অনেক অভিযোগ। আমার কথা সেখানে নয়। আমি শুধু বলতে চাই যদি স্বামী তার স্ত্রীকে সেই সম্মান দেয়, আর ভালো কি খারাপ কি সেই বিষয়ে খেয়াল রাখে তাহলে স্ত্রী কেন মন থেকে সম্মান করবে না?কেন সে বিরুদ্ধে চলে যাবে?

আবার ঠিক বিপরীতে কোন নারী যদি তার স্বামী /, প্রেমিক এর সাথে ধোঁকা না দেয়। সেই সম্মান দেয় তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা তো আমাদের মাঝে, আমরা নিজের মনের বিচারটাকেই যুক্তিটাকেই বেশি প্রাধান্য দেই। সামনে থাকা লোকটাও কিছু চায় সেটা কেউ ভাবেনা। সেটা যেকোন সম্পর্কে হতে পারে, পিতা >সন্তান, মার সাথে সন্তানের, স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক। সকল সম্পর্ক টিকে থাকে এই একটা জিনিসে যদি তুমি ভালোবাসা দাও ভালোবাসা পাবে। যদি তুমি সম্মান দাও, সম্মান পাবে। ধোঁকা দিলে কি পাবে?


২)রাজনীতির মাঠে ==রাজনীতি এমন একটা মাঠ /প্লাটফর্ম যেখানে আপনার বিরোধী মতবাদে লোক থাকবে, পক্ষে থাকবে, সবাই থাকবে। তারা কেউ আপনার ভালো চাইবে। আপনার ক্ষমতা চাইবে আবার কেউ চাইবে না। আপনি সরকারে যাবেন। আবার সময় এলে বিরোধী দলে যাবেন।
কথা হল সরকার হলে আপনি যদি বিরোধী দলের কোন কথার সম্মান না দেন। তাদের দমন, নিপীড়ন, করেন। কথায় কথায় হাজারটা মামলা দিয়ে জেলে ভরে রাখেন। আপনিও তেমনি পাবেন, যেমন আপনি করবেন।আর ভালো আচরণ না করে কি করে ভালো আচরণ প্রত্যাশা করবেন? আমাদের দেশের রাজনীতি আমরা চাইলেই পরিবর্তন করতে পারি। কে বলেছে পরিবর্তন আসবে না। শুরু হয়ে গেছে। আশা করি আগামী দিনে আরো ভালো দিন আসবে।

৩)সমাজে কিছু লোক আছে, বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য বিরোধিতা করে মানে এরা দেখতেছে যে, আমি যা বলেছি এটা শত ভাগ ঠিক না। তার পরেও উমুক আমার পছন্দের লোক না। তো সে যে কথায় বলুক। যত ভালো কথায় বলুক। আমি বলবো ঠিক না। সব ভুল বলেছো। মানে জেনে বুঝে নিজেকে বড় করে দেখানোর জন্য তারা অন্যকে অপমান করে। এরাও কোন দিন সম্মান পায়না। তারা কিছু সময়ের জন্য সম্মান পেলেও তাদের সেই সম্মান বেশি দিন থাকেনা।

৪)তুমি যদি কাউকে ভালোবাসা দাও, ভালোবাসা পাবে ভালোবাসা কথা আসলে চলে আসে প্রেম, ধোঁকা এসবের কথা। আমি মনে করি ভালোবাসা একতরফা কোন চুক্তি নয়। এটা দুটি মনের মিলন এটা যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই একই থিউরি। তুমি যাকে ভালোবাসো সে তোমাকে চায় কিনা? তার পর আসবে সম্মান করা, ভালোবাসা আরো অনেক কিছু।

৫)যার যার স্থানে থেকে নিজের অবস্থান ধীর রাখা তুমি আগে দেখো তুমি কোন অবস্থানে আছো। তোমার কোন কাজটা স্বাধীনতা আর কোন কাজটা স্বেচ্ছাচার হয়ে যাচ্ছে। তুমি যা চাইছো সেটা চাওয়া, না অতিরিক্ত লোভ? তুমি লোভ করতে গিয়ে নিজের কাছে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছো নাতো? লোভের কারন কি? সেটা কাউকে আঘাত দিতে পারেকি? সেটা কতটা যুক্তিগত? ভেবে দেখো?

৬)মানুষ জীবনে অনেক কিছু চায়। সব চাওয়ার মাঝে একটা চাওয়া থাকে। শিল্পি হতে চায়, ডাক্তার হতে চায়, ক্রিকেটার হতে চায়। সবাই, সব পেশার মানুষ চায় তাকে সবাই সম্মান করুক।

৭)সব মানুষ চায় তার কাছের মানুষ তাকে মূল্যায়ন করুক। ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিক জীবন। সেই জায়গাটা অবস্থানটা তুমিও পেতে পারো।ভালোবাসা পেতে হলে ভালোবাসা দিতে শিখো,
৮) নারীবাদি লেখক তোমাকে বলছি, শুনে নাও। হাজার লক্ষ পুরুষ সব খারাপ নয়। সবাই খারাপ, সবাই খারাপ বললেই তুমি সম্মান পাবেনা। দেখেছি অনেক, তোমাদের মাঝেই, কিছু নারীও তোমাদের দেখতে পারেনা। তাই সম্মান দাও। সম্মান নাও।

৯) আর সমাজের সকল পুরুষকে বলার আছে অনেক কথা। লেখা শুরু করলে রাত শেষ হয়ে যাবে। কথা একটাই ভালোবাসা পেতে চাইলে, সম্মান পেতে চাইলে, সম্মান দিতে হয় কিভাবে শিখে নাও। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখো। সম্মানের চোখে দেখো।


১০)আমাদের সমাজ বিভক্ত হয়ে যাক এটা আমরা চাইনা। তবে কিছু লোকের লেখা পড়লে মনে হয় তারা খুব চায়। মানুষ বিভক্ত হয়ে যাক। আর আলাদা আলাদা সমাজ গড়ে তুলুক। তারা এখন বিখ্যাত হতে কিছু বিষয়কে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে, তার মধ্যে একটি বিষয় এই নারী তারা দুই ভাবে বিভক্ত এক ভাগ নারীকে অপমান করে, অপর ভাগ পুরা পুরুষ জাতিকে গালি দিয়ে আনন্দ ভোগ করে। তারা চায় সবাই তাদের বিখ্যাত হিসেবে সম্মান করুক । অথচ তাদের মনে মানুষের জন্য সামান্য পরিমাণ ভালোবাসা সম্মান নাই

১১)গ্রামীণ জীবনে আজকাল একটা ঘটনা হয়ে থাকে। নারী অধিকার আঈনের অপব্যবহার। কিছু এলাকার নেতা শ্রেণীর লোকেরা যাকে তাকে, বিরোধী পক্ষকে অপমান করতে তারা ধর্ষণ মামলা দিয়ে দেয়।

১২)সম্মান কেউ কাউকে দেয়না। তাহলে সম্মান পাবে কি করে? সমাজে বিভক্তি তো আগে থেকেই আছে। কিছু বিভক্তি নতুন করে গড়ে ঊঠছে। এগুলো মিটিয়ে তুলতে চায়না কেউ। সবাই মজা নেয়।
দুই ভাই ঝগড়া লেগেছে? যাও ওইটা আরো বড় করে দাও। দর্শক হয়ে দেখো। আর উপদেশ দাও যা মামলা কর।


১৩)অন্যায় অত্যাচার নিজে করোনা, কাউকে অত্যাচার করতে দিয়োনা তুমি নিজে কোন দুর্বল মানুষকে অত্যাচার করোনা। যদি দেখো কেউ কাউকে অত্যাচার করছে বাধা দাও। ভোক্তভোগি, সে নারী হোক, পুরুষ হোক। এমন ও যদি হয় যে অত্যাচারী সে তোমার আপনজন। তার পরেও।
অনেক সময় আমরা এক চোখা আচরণে লিপ্ত হই। যাকে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। মানে যে অত্যাচারিত হচ্ছে। সে আমার পছন্দের না। বা তাকে আমি দেখতে পারিনা। সে আমার বিরোধী। এই জন্য তার সাহায্য করতে এগিয়ে যাইনা।
এটা বুঝিনা বিপদটা আমার কাছেও আসতে পারে।
১৪)তুমি অপরের যত ক্ষতি চাইবে,তার চেয়ে বেশী তুমি নিজেই ক্ষতির সম্মুখীন হবে ।তুমি যদি অপরের ক্ষতি করতে চাও, সেটা তোমার ক্ষতিই হবে। হয়তো সময় সাপেক্ষে। সেটা আজ না হয় কাল।
১৫) অপরের সাথে কখনও তেমন আচরণ করোনা, যেমন নিজে পছন্দ করনা।নিজে যদি চাও তোমাকে সবাই সম্মান করুক। তুমিও সবাইকে সম্মান কর।
হাদিসে আছে, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, অপরের জন্য সে-ই জিনিস পছন্দ কর যা নিজের জন্য পছন্দ কর। আর অপরের জন্যও তা অপছন্দ করবে যা নিজের জন্য অপছন্দ করে থাকো (অর্থাৎ- সকলেরই কল্যাণ কামনা করবে)। (আহমাদ)
ব্যাখ্যা: ‘‘তুমি মানুষের জন্য তাই পছন্দ করবে যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ কর’’। অর্থাৎ- ইহকালীন ও পরকালীন বৈধ বিষয়সমূহ এবং আনুগত্যমূলক কাজসমূহ লোকেদের জন্য তদ্রূপ পছন্দ করবে যেমন তা তুমি নিজের জন্য পছন্দ কর। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তুমি তাদের জন্য তা অর্জন হওয়া পছন্দ কর যা তুমি নিজের জন্য অর্জন হওয়া পছন্দ কর। বিষয়গুলো চাই ইন্দ্রিয়গত হোক বা না হোক। এর দ্বারা উদ্দেশ্য এটা নয় যে, তোমার নিকট যা আছে তা তার কাছে চলে যাওয়া তুমি পছন্দ করবে। অথবা হুবহু ঐ বস্তু তাদের নিকট থাকবে। কেননা একই বস্তু দুই স্থানে থাকা সম্ভব নয়। আর এ প্রকারের ভালোবাসা বা পছন্দ সাধারণ লোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর বিশেষ লোকেদের ঈমান তখন পূর্ণ হবে যখন সে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য পছন্দ করবে যে, সে তার চেয়েও উঁচু মর্যাদা সম্পন্ন হোক। এজন্য ফুযায়ল ইবনু ‘ইয়ায ‘উয়াইনাকে বলেছিলেন, তুমি মানুষের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ কল্যাণকামী হতে পারবে না যতক্ষণ না তুমি এটা পছন্দ করবে যে, প্রত্যেক মুসলিম তোমার চেয়ে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন হোক। আর এটা হিংসা বিদ্বেষ ও প্রতারণা পরিত্যাগ ব্যতীত অর্জন সম্ভব নয়।


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
« ﻻ ﺗَﺒَﺎﻏَﻀُﻮﺍ ﻭَﻻ ﺗَﺪَﺍﺑَﺮُﻭﺍ ﻭَﻻ ﺗَﻨَﺎﺟَﺸُﻮﺍ ﻭﻻﻳَﺒﻊْ ﺑَﻌﻀُﻜُﻢْ ﻋَﻠﻰ ﺑَﻴﻊِ ﺑﻌﺾٍ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻋِﺒَﺎﺩَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇﺧﻮﺍﻧَﺎً ».
“তোমরা একে অপরকে ঘৃণা করো না, দালালি করো না, তোমাদের কেউ অন্য কারো কেনা-বেচার উপর কেনা-বেচা করবে না। আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা ভাই ভাই হয়ে যাও”[26]।[27]
পাঁচ. মুসলিম ভাইদের ইজ্জত ও সম্মান করা, তাদের কোন প্রকার খাটো না করা[28] এবং তাদের কোন দোষ-ত্রুটি প্রকাশ না করা:
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
﴿ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﻟَﺎ ﻳَﺴۡﺨَﺮۡ ﻗَﻮۡﻡٞ ﻣِّﻦ ﻗَﻮۡﻡٍ ﻋَﺴَﻰٰٓ ﺃَﻥ ﻳَﻜُﻮﻧُﻮﺍْ ﺧَﻴۡﺮٗﺍ ﻣِّﻨۡﻬُﻢۡ ﻭَﻟَﺎ ﻧِﺴَﺂﺀٞ ﻣِّﻦ ﻧِّﺴَﺂﺀٍ ﻋَﺴَﻰٰٓ ﺃَﻥ ﻳَﻜُﻦَّ ﺧَﻴۡﺮٗﺍ ﻣِّﻨۡﻬُﻦَّۖ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻠۡﻤِﺰُﻭٓﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢۡ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻨَﺎﺑَﺰُﻭﺍْ ﺑِﭑﻟۡﺄَﻟۡﻘَٰﺐِۖ ﺑِﺌۡﺲَ ﭐﻟِﭑﺳۡﻢُ ﭐﻟۡﻔُﺴُﻮﻕُ ﺑَﻌۡﺪَ ﭐﻟۡﺈِﻳﻤَٰﻦِۚ ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢۡ ﻳَﺘُﺐۡ ﻓَﺄُﻭْﻟَٰٓﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤُﻮﻥَ ١١ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﭐﺟۡﺘَﻨِﺒُﻮﺍْ ﻛَﺜِﻴﺮٗﺍ ﻣِّﻦَ ﭐﻟﻈَّﻦِّ ﺇِﻥَّ ﺑَﻌۡﺾَ ﭐﻟﻈَّﻦِّ ﺇِﺛۡﻢٞۖ ﻭَ ﻟَﺎ ﺗَﺠَﺴَّﺴُﻮﺍْ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻐۡﺘَﺐ ﺑَّﻌۡﻀُﻜُﻢ ﺑَﻌۡﻀًﺎۚ ﺃَﻳُﺤِﺐُّ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢۡ ﺃَﻥ ﻳَﺄۡﻛُﻞَ ﻟَﺤۡﻢَ ﺃَﺧِﻴﻪِ ﻣَﻴۡﺘٗﺎ ﻓَﻜَﺮِﻫۡﺘُﻤُﻮﻩُۚ ﻭَﭐﺗَّﻘُﻮﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَۚ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﺗَﻮَّﺍﺏٞ ﺭَّﺣِﻴﻢٞ ١٢﴾ ‏[ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺤﺠﺮﺍﺕ : 12-11 ].
“হে ঈমান-দারগণ, কোন সম্প্রদায় যেন অপর কোন সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপ কারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোন নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপ কারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতনা নিকৃষ্ট! আর যারা তাওবা করে না, তারাই তো যালিম। হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোস্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবুল কারী, অসীম দয়ালু”[29]। [সূরা আল-হুজরাত, আয়াত: ১১-১২]
ছয়. বিপদ-আপদ, সুখে-দুঃখে মুমিনদের সাথে থাকা:
মুমিনদের সাথে বন্ধুত্বের পরিচয় হল, সুখ-দুঃখ, বিপদ-আপদ ও মসিবতের সময় মুমিনদের সাথে থাকা। তাদের কোনো বিপদে এগিয়ে আসা। কিন্তু যারা মুনাফেক তারা মুমিনদের অবস্থা যখন ভালো দেখে, তখন তাদের সাথে থাকে। আর যখন দেখে মুমিনদের উপর কোন বিপর্যয় বা বিপদ নেমে আসছে, তখন তারা তাদের সঙ্গ ছেড়ে দেয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুনাফেকদের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বলেন,
﴿ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺘَﺮَﺑَّﺼُﻮﻥَ ﺑِﻜُﻢۡ ﻓَﺈِﻥ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻜُﻢۡ ﻓَﺘۡﺢٞ ﻣِّﻦَ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﻗَﺎﻟُﻮٓﺍْ ﺃَﻟَﻢۡ ﻧَﻜُﻦ ﻣَّﻌَﻜُﻢۡ ﻭَﺇِﻥ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻠۡﻜَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ﻧَﺼِﻴﺐٞ ﻗَﺎﻟُﻮٓﺍْ ﺃَﻟَﻢۡ ﻧَﺴۡﺘَﺤۡﻮِﺫۡ ﻋَﻠَﻴۡﻜُﻢۡ ﻭَﻧَﻤۡﻨَﻌۡﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَۚ ﻓَﭑﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺤۡﻜُﻢُ ﺑَﻴۡﻨَﻜُﻢۡ ﻳَﻮۡﻡَ ﭐﻟۡﻘِﻴَٰﻤَﺔِۗ ﻭَﻟَﻦ ﻳَﺠۡﻌَﻞَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻠۡﻜَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ﺳَﺒِﻴﻠًﺎ ١٤١﴾ ‏[ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 141: ].
“যারা তোমাদের ব্যাপারে [অকল্যাণের] অপেক্ষায় থাকে, অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যদি তোমাদের বিজয় হয় তবে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না’? আর যদি কাফিরদের আংশিক বিজয় হয়, তবে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের উপর কর্তৃত্ব করিনি এবং মুমিনদের কবল থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করিনি’?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« ﻟَﻴْﺲَ ﻣِﻨَّﺎ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳُﻮَﻗِّﺮْ ﻛَﺒِﻴﺮَﻧَﺎ ﻭَﻳَﺮْﺣَﻢْ ﺻَﻐِﻴﺮَﻧَﺎ »
“যারা বড়দের সম্মান করে না এবং ছোটদের স্নেহ করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
« ﻫﻞ ﺗُﻨْﺼَﺮُﻭﻥَ ﻭﺗُﺮْﺯَﻗُﻮﻥَ ﺇﻻﺑِﻀُﻌَﻔَﺎﺋِﻚ ُﻡْ »
“তোমাদের মধ্যে যারা দুর্বল, অকর্মা ও অসহায়, তাদের বরকতেই তোমাদের রিজিক দেয়া হয় এবং সহযোগিতা করা হয়


★★ তোমার প্রতিবেশীর সঙ্গে উত্তম আচরণ করবে, এতে তুমি পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে।
★ নিজের জন্য যা পছন্দ কর, মানুষের জন্যও তা পছন্দ করবে। এতে তুমি প্রকৃত মুসলমান হবে। এবং
★★অত্যাধিক হাসি থেকে বিরত থাকবে। কেননা বেশি হাসলে (মানুষের) অন্তর মরে যায়।’ (মুসনাদে আহমদ ও তিরমিজি)

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২
১০টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×