somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"এবার বোধহয় গল্পটা বলা যায়"

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একুশে বইমেলা শেষ হয়েছে একমাস হলো। বইমেলার ঘটনা এতো পড়ে বলার কারণ হলো, বইমেলা চলার সময় এটা বললে কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারতেন বইয়ের কাটতি বাড়াতে হয়তো বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছি। কিংবা ফাপড় নিচ্ছি।

সে যাই হোক, বইমেলা যেহেতু শেষ হয়েছে অনেক আগেই। আর বইয়ের প্রথম সংস্করণও যেহেতু শেষ, আগামী বইমেলার আগে দ্বিতীয় সংস্করণের কোন সম্ভাবনা নেই, তাই গল্পটা এবার বোধহয় বলা যায়।

সত্যি ঘটনাকে গল্প বলা মোটেই ঠিক নয়। কিন্তু আমার কাছে এটা তো গল্পই। কারণ এমন ঘটনা তো একজন তরুণ লেখকের জীবনে বারংবার হয় না। নবীন থেকে প্রবীণ হলে লেখনির কালি ফুরাতে থাকলে তখন হয় তো অহরহই হতে পারে।

সে যাই হোক, মূল ঘটনায় আসি।

২৭ ফেব্রুয়ারি। একুশে বইমেলা শেষ হবার ঠিক আগের দিনের কথা। ঐ দিনের মেলা শেষ হবার আধঘন্টা আগে এক পাঠক এলেন দোয়েল প্রকাশনীর স্টলে। স্টলে এসেই সরাসরি চাইলেন আমার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ "ভালোবাসার অবাক চোখ"। আমি তখন স্টলের একটু দূরেই পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডায় মশগুল। স্টলের সকলে মনে করেছে ক্রেতা বোধহয় আমার পরিচিত। কিন্তু তারা যখন বুঝলো ক্রেতা আমাকে চেনেন না, তখন তারা আমাকে দেখিয়ে বললেন, বইতে লেখকের অটোগ্রাফ নিতে পারবেন।

ক্রেতা বই নিয়ে আমার কাছে এসে অটোগ্রাফ চাইলেন। অটোগ্রাফ দেবার সময় স্বাভাবিকভাবেই তার নাম জানতে চাইলাম। সে তখন বললো, এর আগে একদিন এসে আমার বইটি সে কিনে নিয়ে গেছে। কিন্তু বইটি ভালো লাগায় তার এক বন্ধু তাকে না জানিয়েই বইটি নিয়ে গেছে। আর তাকে পরে ফোনে বলেছে, দরকার লাগলে সে যেন আরেকটি বই কিনে নেয়। সে কেবল আবার এই বইটি কিনতেই মেলায় এসেছে।

একজন নবাগত লেখকের কাছে এ কথাগুলো যে কতটা অনুপ্রেরণামূলক সেটা লিখে বোঝানো যাবে না। তাকে অটোগ্রাফ দেবার পর বললাম, "আসেন ভাই, একটা ছবি তুলি।" সে তখন বললো, "ভাই, আমি তো কোন সেলিব্রেটি নই।" প্রত্যুত্তরে তাকে বললাম, "আপনিই আমার কাছে সেলিব্রেটি। কারণ সেলিব্রেটিদের কেউ কেউ হয়তো মন রক্ষার্থে বইটি কিনেছে। কিন্তু আপনার মতো এরকম ভালোবেসে কেউই কেনে নি।"
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×