somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুড়ানো ( পর্ব - ২১) তেলিয়াপাড়া

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হবিগঞ্জের মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলো। এখানেই ৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন ২৭ কর্মকর্তা সহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের বৈঠক।



৪ এপ্রিল ১৯৭১, এদিন হবিগঞ্জের মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতাযুদ্ধের অংশগ্রহণকারী ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠক হয়েছিল।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বৈঠকেই দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল নেওয়া হয়।

৩ এপ্রিল, ১৯৭১ মেজর খালেদ মোশাররফ তেলিয়াপাড়ার চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় আসেন। তিনি কাজী কবির উদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী পাঠানকে তাঁর জীপে উঠিয়ে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে নিয়ে যান। চা বাগানের ম্যানেজারস বাংলোয় পৌঁছে তিনি জায়গাটি ভাল করে দেখেন এ জায়গাটি দেখভাল করতে বলেন তাঁদেরকে।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানের এ বাংলোটি ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী শহর সিমনার ঠিক উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। খালেদ মোশাররফ সেখানে নির্দেশ দিয়ে চলে আসার পর রাতের মধ্যেই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কিছু অফিসার ও সৈনিক সেখানে চলে আসেন এবং রাতের বেলায় তারাও এলাকাটি পাহারা দেন।

পরদিন (৪ এপ্রিল) আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে ভারতীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তৎকালীন কর্নেল এমএজি ওসমানী (এমএনএ) এবং তাঁর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার ভিসি পান্ডে সহ বাঙালী সেনা কর্মকর্তা মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, লে. কর্নেল রেজা, ক্যাপ্টেন নাসিম, ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভুঁইয়া, লে. ইব্রাহিম, লে. হেলাল মোর্শেদ খান, লে. নাসির উদ্দিনসহ অনেকে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে এ্যাডভোকেট মোস্তফা আলী (এমএনএ), কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী এমএনএ, মোস্তফা শহিদ এমপিএ, গোপাল কৃষ্ণ মহারত এমপিএ, মৌলানা আসাদ আলী এমপিএ, মাহবুবুল হুদা ভুইয়া ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত মাহাবুব উদ্দিন চৌধুরীসহ আরও অনেক এ আনুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দেন।

ওই বৈঠক শেষে জেনারেল ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাবার অঙ্গীকার করেন।

৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে, তেলিয়াপাড়া ম্যানেজারস বাংলোয় যে সিদ্ধান্ত আমাদের সামরিক কর্মকর্তরা গ্রহণ করেছিলেন তাঁর সমর্থন মেলে অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ১১ এপ্রিলের বেতারের ভাষণ থেকে। তাঁর এই ভাষণের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।



তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ



৪ এপ্রিল ১৯৭১, তেলিয়াপাড়ায় অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক আলোচনা স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য।

"Today a mighty army is being formed around the nucleus of professional soldiers from the Bengal Regiment and EPR who have rallied to the cause of the liberation struggle. These have been joined by the Police, Ansars and Mujahids and nwo by thousands of Awami League and other volunteers....

In the Sylhet/Comilla region, we have, commissioned Major Khaled Musharraf of the Bengal Regiment to take command of military operations in the region....

In Chittagong and Noakhali we have commissioned Major Zia Rahman of the Bengal Regiment to take full command of operations....

In the ¸mensingh/Tangail area, we have commissioned Major Safiullah of the Bengal regiment to take command of operations in the region....

The three commanders have already met and prepared a joint plan of battle designed to mop up surviving pockets of resistance in their respective areas preparatory to a combined onslaught on Dacca ..." (মূল ভাষণটির ইংরেজী অনুবাদ, সূত্র : বাংলাদেশ ডকুমেন্টস ভলিউম-২)

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×