পানি নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা অনেক দিনের। আন্তর্জাতিক আইনকে অবজ্ঞা করে পদ্মা থেকে এবং তিস্তা থেকে পানি প্রত্যাহার করে ভারত বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে কঠিন সংকটে। আর এর মাঝে জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কারণে বৃষ্টি গেছে কমে- পানির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে তীব্রভাবে। আবার সভ্যতার বিকাশে পানির ব্যবহারও বেড়েছে।
বাংলাদেশে পানি সমস্যা সমাধানের বিষয়টি তিন দিক বিবেচিত হওয়া উচিত।এর কোনোটিকে কম গুরুত্ব দেওয়া চলবে না।
প্রথমতঃ আন্তর্জাতিক নদী থেকে এক তরফা পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক জনমতকে পক্ষে নিয়ে আসার জন্য কাজ করা উচিত। সরকার এক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্ব পালন করতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ নদী খনন, জলাধার বৃদ্ধি, ইত্যাদি অবকাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে যেটুকু পানি আছে তার সর্বোচ্চ ও কাম্য ব্যবহার নিশ্চিত করা। নদী দূষণ বন্ধ করা, জলাধারের পানিকে সংরক্ষণ করা্ খুবই জরুরি।
এবং তৃতীয়তঃ পানির অপচয় বন্ধ করা ও পানি সাশ্রয়ী বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা। প্রতিদিনের ব্যবহারে এবং কৃষি ক্ষেত্রে পানি সাশ্রয়ী কৌশল উদ্ভাবন করে পানির অর্খনৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
মুস্কিল হলো- প্রথমটা নিয়ে আমরা রাজনীতি করি। এটা কূটনৈতিক ও আনর্জাতিক বিধি মালা অনুযায়ী সমাধানেরে চেষ্টা কম। আর সমস্ত ব্যর্থতার দায়টিও এর উপর চাপিয়ে দিতে পারি সহজে।
দ্বিতীয়টা নিয়ে দুর্নীতি করি। এবং নদী খনন, নদী দূষন ক্ষেত্রে দুর্নীতির মাত্রা অনেক বেশি।
তৃতীয়টিটি নিয়ে অবহেলা করি। যা উদ্ভাবনা আছে তার প্রয়োগ নাই, উদ্ভাবনের জন্য বিনিয়োগ নাই, অপচয় রোধে সচেতনতা নেই।
নিয়ত সঠিক না থাকলে কোনো সমস্যাই সমাধান করা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৩