সব চিন্তা লেখা যায় না। লেখা গেলেও কাউকে জানানো যায় না। নিজের সাথে
নিজের কথা নিয়ে খেলতে হয়। শেষ রাতের স্বপ্ন সত্যি হয়, প্রার্থনা সত্যি হয় কিন্তু
মিথ্যেগুলো মিথ্যেই রয়ে যায়। জন্মগতভাবে মানবজাতি হিপোক্রিট। আমাদের
চিন্তা চেতনা যেমন, আমাদের কবিতার খাতা তার থেকে ভিন্ন। আমাদের কবিতার
গল্পের খাতা যেমন, আমাদের জীবন তারচেয়েও ভিন্ন। কিছু মানুষ নিজেকে
মুখোশে লুকিয়ে ফেলে, নিজেকে কারো কাছে ধরা দেয় না। একসাথে ঘুরে, হাঁসে,
কথা বলে কিন্তু নিজেকে বুঝতে দেয়না। এই গোলক ধাঁধাঁই নাকি ব্যাক্তিত্ব। সময়ের
মারপ্যাঁচে কাছের কেউ পর হয় আবার “কেউ না” কেউ হয়ে যায় “বিশেষ কেউ”।
অগোছালো শব্দেরা নানাদিক থেকে এসে দানা বাধতে বাধতে জমে যায়, বিক্ষিপ্তভাবে
এসে ধরা দেয়, আবার লুকোয়, কখনো খাতায়, কখনো গোপন কুঠোরিতে কখনো
তোমার এলোমেলো চুলে। হাজারবার হাজারদিক ঘুরে আসা চোখে হঠাতই বাসা বেধে
ফেলে শিমুলতলীর কাঠুরিয়ার কন্যা। হিবিজিবি হিবিজিবি আঁকা আঁকি কত বড় বড়
রত্নভান্ডার হয়ে শোভা পায় যাদুঘরে, আর লেখকের হাত হিবিজিবি হিবিজিবি হয়ে
হয়ে যায় অখাদ্য। তাই তো সব চিন্তা লেখা যায় না, বলা যায় না, শুধু ভাবা যায়।
নিজের সাথে ভাবনা। হিপোক্রেসী আর কন্ট্রাডিকশান নিয়ে বিস্তর আলাপ হয়ে যায়
আড্ডায়, আর বাড়ি ফিরে বন্ধুবরের নামে আমাদের ক্ষোভ! জমে ভালো। আমাদের
জীবনটা বড্ড ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দেখছি, শুধু ভালোবাসার প্রলেপটা আমাদের বিক্ষিপ্ত
করে দেয়। তাতেও কোন দোষ নেই, দোষ শুধু অগোছালো লেখকের, যার কলম জুড়ে
হাজার কলম বিক্ষিপ্ত লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৪