somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শখের কবুতর থেকে আয়

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে প্রায় ১২০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রায় ২০ প্রকার কবুতর রয়েছে। এদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শষ্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অনেক আগে কবুতর দিয়ে খবর পৌঁছানোর পাশাপাশি খেলার পাখি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটা পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচেছ। এদের সুষ্ঠু পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।
বেকারত্ব ঘুচাতে অনেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতরের খামার স্থাপন করে আজ স্বাবলম্বী। এরকমই একজন পাবনা শহরের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা সাইদ। তার সংগ্রহে বিদেশী কবুতর দেখে আকৃষ্ট হন রানা। তিনি বাসার ছাদেই গড়ে তোলেন কবুতরের খামার। রানার প্রতিবেশী ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ জানান-প্রথমদিকে জানতাম সে শখ করে দুটো কবুতর পুষছে। পরে দেখি তারা এ থেকে আয়ও করছে।
রাজধানীর অনেক কবুতর ব্যবসায়ী এদের কাছে এসে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকার কবুতর কিনে নিয়ে যায়। সাইদ ও রানার কাছ থেকে জানা যায়- ২০০৬ সালে নব্বই হাজার টাকা নিয়ে কবুতর লালন-পালন শুরু করেন তারা। প্রথম দিকে কবুতরের অধিকাংশই চিকিৎসা ও অভিজ্ঞার অভাবে মারা যায়। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার টাকার মতো কবুতর ছিল। ওটাই শেষ পর্যন্ত পুঁজি হয়ে দাঁড়ায়। তারা আরও জানান, পাবনায় বর্তমানে দুইশর মত ব্যবসায়ী কবুতরের খামার করেছেন। রানা সাঈদের খামারসহ এসব খামারে রয়েছে বিরল প্রজাতির কবুতর এল-স্টার, বোখারা, নরেশ কোকার, স্টেচার, ফিলিগেচার ব্লু, ও হেনা পোর্টার।
রানা-সাঈদের কাছে প্রথম অবস্থায় বিদেশী কবুতর ছিল ৩০-৩৫টি। এখন তাদের সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে পুরনো আমলের চিঠি আদান প্রদানের বিউটি হোমার থেকে শুরু করে ব্লু-ম্যাকপাই, ভিয়েল সর্টফেস টামলার, স্যালো, শিল্ড ফিল্ডব্যাক, হলুদ দোভাস, হাইফিলার টামলার, ম্যাকপাই পোটার, পেমোরিয়ান পোটার, র্যান্ড কিং, দোভাস হাইফিলার, কমন্ন্যার, নান, ফিলিগিচার, জার্মান পোর্টার, ফিলব্যাক, সার্টিং, মুক্ষী, ন্যাকেট নিক, ডাউন ফেস, হোমার, বাগদাদ হোমার, মডেনা, লক্ষ্যাসহ নানা প্রজাতির কবুতর। এসব কবুতর সর্বনিম্ন দুশ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে ম্যাগপাই পোর্টার প্রতি জোড়া ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। দোভাস হাই হিলার ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও স্যালো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
কবুতর পালনের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী
প্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরের দৈহিক ওজন (জাতভেদে) ২৫০-৮০০ গ্রাম। পূর্ণবয়স্ক হতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগে। কবুতর প্রতিবার এক জোড়া ডিম দেয় (প্রথম ডিম দেয়ার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর দ্বিতীয় ডিম পাড়ে)। বাচ্চা উৎপাদনের বয়সকাল ৫ থেকে ৬ বছর। ১৭ থেকে ১৯ দিন বাচ্চা ফোটার জন্য ডিমে তা দেয় এই পাখিটি। ডিম থেকে ছানা বের হওয়ার পর ৪ থেকে ৫ দিনে বাচ্চা কবুতরের চোখ ফোটে। ১০ থেকে ১২ দিনে পালক গজায়। প্রায় একমাসের মধ্যে বাজারজাতকরণের বয়সে রূপান্তরিত হয়। কবুতর সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে।
কবুতর পালনের সুবিধা
বিনিয়োগ কম। প্রতিপালন অত্যন্ত সহজ এবং সংক্ষিপ্ত প্রজননকাল। বেকার যুবক এবং দুঃস্থ মহিলাদের আয় বাড়ানোর উৎস হতে পারে। অল্প জায়গায় এবং অল্প খাদ্যে পালন করা যায়। রোগ বালাই কম। মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পুরণের উৎস। কবুতরের মল জৈবসার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
কবুতরের বাসস্থান
ভালো বাসস্থান আপনার কবুতর পালনের জন্য খুবই দরকারী। উত্তম নিষ্কাশন, পর্যাপ্ত সূর্যের আলো এবং বাতাস চলাচল আছে এরকম উঁচু এবং বালুময় মাটিতে কবুতরের ঘর করতে হয়। যা খামারীর আবাসস্থল থেকে ২০০ থেকে ৩০০ ফুট দুরে এবং দক্ষিণমূখী হওয়া উচিত। মাটি থেকে ঘরের উচ্চতা ২০ থেকে ২৪ ফুট এবং খাচার উচ্চতা ৮ থেকে ১০ফুট হওয়া ভাল। একটি খামারের জন্য ৩০ থেকে ৪০ জোড়া কবুতর আদর্শ। কবুতরের খোপ ২ বা ৩ তলা বিশিষ্ট করা যায়। খোপের মাপ প্রতিজোড়া ছোট আকারের কবুতরের জন্য ৩০ সে. মি. x ৩০ সে.মি. x ২০ সে.মি. এবং বড় আকারের কবুতরের জন্য ৫০ সে. মি. x ৫৫ সে.মি. x ৩০ সে.মি.। ঘর স্বল্প খরচে সহজে তৈরি এবং স্থানান্তরযোগ্য যা কাঠ, টিন, বাঁশ, খড় ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা যায়। খামারের ভিতরে নরম, শুষ্ক খড়-কুটা রেখে দিলে তারা ঠোঁটে করে নিয়ে নিজেরাই বাসা তৈরি করে নেয়। ডিম পাড়ার বাসা তৈরির জন্য ধানের খড়, শুকনো ঘাস, কচি ঘাসের ডগাজাতীয় উপাদান দরকার হয়। খোপের ভিতর মাটির সরা বসিয়ে রাখলে কবুতর সরাতে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফুটায়।
কবুতরের খাবার

ভালো খাদ্য কবুতর এর জন্য খুবই দরকার। বাচ্চা ফোটার ৪ থেকে ৫ দিন পর কবুতরের বাচ্চার চোখ ফোটে। ফলে বাচ্চাগুলো কোন দানাদার খাবার খেতে পারেনা। এসময় স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর তাদের পাকস্থলী (ক্রপ) থেকে ঘন ক্রিম বা দই এর মত তরল নিঃসরণ করে যাকে কবুতরের দুধ বলে। এই দুধ অধিক আমিষ, চর্বি এবং খনিজ লবণ সমৃদ্ধ যা এক সপ্তাহ পর্যন্ত কবুতরের ছানারা খায়। বাচ্চাগুলো নিজে খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর দানাদার খাদ্যের সাথে দুধ মিশিয়ে ঠোঁট দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায়। কবুতরের জন্য তৈরি করা খাবার শর্করা, আমিষ, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, চর্বি এবং খনিজ লবণ সম্পন্ন সুষম খাদ্য হতে হবে। এই পাখি ম্যাশ বা পাউডার খাদ্যের তুলনায় দানাদার জাতীয় খাদ্য বেশি পছন্দ করে। ছোট আকারের কবুতরের জন্য ২০ থেকে ৩০ গ্রাম, মাঝারী আকারের জন্য ৩৫ থেকে ৫০ গ্রাম এবং বড় আকারের জন্য ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম খাবার প্রতিদিন দিতে হবে। দানাদার জাতীয় খাদ্যের মধ্যে গম, ধান, ভূট্টা, সরগম, ওট শতকরা ৬০ ভাগ এবং লেগুমিনাস বা ডাল জাতীয় খাদ্যের মধ্যে সরিষা, খেসারী, মাটিকলাই শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ সরবরাহ করতে হবে। কবুতরের ভিটামিন সররাহের জন্য বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন ছাড়া সবুজ শাকসবজি, কচি ঘাস সরবরাহ করা প্রয়োজন। প্রতিদিন ২ বার খাবার দেয়া ভাল। মাঝে মাঝে পাথর, ইটের কণা (গ্রিট) এবং কাঁচা হলুদের টুকরা দেয়া উচিৎ। কারণ এ গ্রিট পাকস্থলীতে খাবার ভাঙতে এবং হলুদ পাকস্থলী পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। কবুতরের ডিম দেয়ার সময় গ্রিট মিশ্রণ বা খনিজ মিশ্রণ, ডিম এবং ডিমের খোসা তৈরি এবং ভাল হ্যাচাবিলিটি বা ডিম তা দেওয়ার জন্য খুবই দরকারী। এই খনিজ মিশ্রণ বোন মিল (সিদ্ধ) শতকরা ৫ ভাগ, ঝিনুক শতকরা ৪০ ভাগ, লাইম স্টোন শতকরা ৩৫ ভাগ, গ্রাউন্ড লাইম স্টোন শতকরা ৫ ভাগ, লবণ শতকরা ৪ ভাগ, চারকোল শতকরা ১০ ভাগ এবং শিয়ান রেড শতকরা ১ ভাগ মিশিয়ে তৈরি করতে হবে ।
পানি সরবরাহ
প্রতিদিন গভীর বা খাদ জাতীয় পানির পাত্র ভালভাবে পরিষ্কার করে ৩ বার পরিষ্কার পরিচছন্ন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা উচিত। দুই সপ্তাহ পর পর পটাশ মিশ্রিত পানি সরবরাহ করলে কবুতর পাকস্থলীর বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
কবুতরের রোগ বালাই

বিভিন্ন প্রকার রোগ জীবাণু মাধ্যমে কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত খাদ্য এবং পানির মাধ্যমে জীবাণু কবুতরের দেহে প্রবেশ করে। তাছাড়া অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডাজনিত কারণেও অনেক সময় কবুতর দূর্বল ও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। কবুতরের সংক্রামক রোগ এবং ছত্রাকজনিত রোগ ছাড়াও ভিটামিন বা খনিজ লবণের অভাব জনিত রোগ, বদহজম জনিত সমস্যা, গেঁটেবাত, অন্তঃপরজীবি যেমন কৃমি এবং বাহ্যিক পরজীবি যেমনঃ মাছি, উকুন ইত্যাদি দ্বারাও কবুতর আক্রান্ত হতে পারে।
রাণীক্ষেত- আক্রান্ত কবুতর থেকে সুস্থ কবুতরের দেহে এ রোগের জীবাণুর বিস্তার ঘটে। মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। সবুজ ডায়রিয়া এবং প্যারালাইসিস ইত্যাদি এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। কবুতরকে জীবিত বা মৃত টিকা প্রয়োগ এবং খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস- অসুস্থ কবুতরের বমির মাধ্যমে এ সংক্রামক রোগ খামারের অন্যান্য সুস্থ কবুতরে বিস্তার লাভ করে। এ রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৪০ থেকে ১০০ ভাগ। দূর্গন্ধযুক্ত বাদামী বা সবুজ ডায়রিয়া, ঝিমানো, খাবারে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, বমি করা এবং হঠাৎ মারা যাওয়া এ রোগের লক্ষণ। এ রোগের কোন চিকিৎসা না থাকার কারণে আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলাই রোগের বিস্তার রোধ এবং প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
বসন্ত- সাধারণত শরীরের পালকবিহীন অংশ যেমন- চোখ বা মুখের চারিদিক, পা ইত্যাদি জায়গায় ফোস্কা বা গুটি দেখা যায়। আক্রান্ত কবুতরের চোখের পাতা ও চোখ ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং পানি পড়ে। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে ফোস্কা বা গুটিগুলোকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার করে আয়োডিন যৌগ যেমন পভিতেসপ বা আয়োসান দিয়ে মুছে দিতে হবে। কোন চিকিৎসা না থাকার কারণে খামারের জৈবনিরাপত্তা রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
সালমোনেলোসিস- আক্রান্ত পিতামাতা থেকে ডিমের মাধ্যমে, খাবার, পানি, খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কর্মরত শ্রমিক ও আগত অন্যান্য লোকজন, খাদ্য সরবরাহের গাড়ি, বন্যপ্রাণী যেমন ইঁদুর ইত্যাদির মাধ্যমে খামারে এ সংক্রমক রোগের প্রাদূর্ভাব ঘটে। শতকরা ৫ থেকে ৫০ ভাগ বা তারও বেশি কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত কবুতরের ডায়রিয়া, শুকিয়ে যাওয়া, পা এবং পাখায় প্যারালাইসিস এবং ডিম পাড়ার সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। আক্রান্ত কবুতর খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
এসপারজিলোসিস- আক্রান্ত কবুতর থেকে শ্বাস প্রশ্বাস মাধ্যমে সুস্থ কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। এই ছত্রাকজনিত রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। শ্বাস কষ্ট, ঝিমানো, শুকিয়ে যাওয়া, খাবারের প্রতি অনীহা, ওজন কমে যাওয়া এবং ঘন ঘন পিপাসা পাওয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। কার্যকরী ছত্রাক বিরোধী ঔষধ যেমন Amphotericine দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত কবুতর খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং খামারের জৈবনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
রক্ত আমাশয়- বিভিন্ন প্রজাতির প্রটোজোয়া দিয়ে এ রোগ হতে পারে। সংক্রামিত খাবার বা পানি থেকে মুখের মাধ্যমে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। রক্ত মিশ্রিত ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা এবং ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি এ রোগের প্রধান লক্ষণ। রোগ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত কবুতর কার্যকরী জীবাণুনাশক দিয়ে শেড ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং কঠোর জৈবনিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।
ক্যাঙ্কারঃ আক্রান্ত বয়স্ক পিতামাতা কবুতর থেকে দুধের মাধ্যমে বাচ্চায় প্রটোজোয়ার আক্রমণে এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। আক্রান্ত জীবিত কবুতর সারাজীবন এ রোগের জীবাণু বহন করে। মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। আক্রান্ত কবুতর অস্থির থাকে, পাখা উষ্কখুষ্ক হয়ে যায়, খাবার কম খায় এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায়। অসুস্থ কবুতরের মুখের চারিদিকে সবুজাভ বা হলুদ লালা লেগে থাকে। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
কবুতর পালনে আর্থিক লাভ
১০ জোড়া কবুতরের জন্য ১টি ঘর বানাতে (খাবারের পাত্র, পানির পাত্রসহ) আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জোড়া কবুতর কিনতে খরচ পড়বে প্রায় ১ হাজার টাকা। ১০ জোড়া থেকে মাসে প্রায় ৮ থেকে ৯ জোড়া বা”চা পাওয়া যায়। এগুলো বিক্রি করে মাসে গড়ে ৬০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
যেথায় পাবেন পায়রা
প্রতি শুক্রবার গুলিস্তানের কাপ্তানবাজারে কবুতর এবং কবুতরের খাবারের বিশাল হাট বসে। এখানে দেশী-বিদেশী প্রায় সব ধরনের কবুতর পাওয়া যায়। এ ছাড়া জিঞ্জিরায় শুক্রবার, ঢাকার পাগলায় শনিবার হাট বসে। কাপ্তানবাজার এবং কাঁটাবনে কিছু স্থায়ী দোকান আছে যেখানে সারা সপ্তাহ কবুতর ও খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া সোশ্যাল নেটওর্য়াক facebook.com/Bangladesh Pigeon Sales, বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় ওয়েবসাইট-এ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে কবুতর বেচা কেনা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন জাতের কবুতর এবং মূল্য
ম্যাগপাই ৫ থেকে ৭ হাজার। বুডারবল ৭ থেকে ১০ হাজার। লক্ষ্যা ১ থেকে ৭ হাজার টাকা। লালসিরাজী ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। সিলভার সিরাজী ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া বিভিন্ন দেশী কবুতর ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ব্লু-ম্যাকপাই, ভিয়েল সর্টফেস টামলার, স্যালো, শিল্ড ফিল্ডব্যাক, হলুদ দোভাস, হাইফিলার টামলার, ম্যাকপাই পোটার, পেমোরিয়ান পোটার, র্যান্ড কিং, দোভাস হাইফিলার, কমন্ন্যার, নান, ফিলিগিচার, জার্মান পোর্টার, ফিলব্যাক, সার্টিং, মুক্ষী, ন্যাকেট নিক, ডাউন ফেস, হোমার, বাগদাদ হোমার, মডেনা, লক্ষ্যাসহ নানা প্রজাতির কবুতর ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়।


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×