দুপুরর পর বারিস্তায় কফির আড্ডায় হঠাত আমার বন্ধু এটিএন বাংলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আসলাম শিকদার বললেন ,চলেন পুরান ঢাক্যয় ঘুরে আসি । অনেকটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোন কাজ ছাড়াই রিক্সা করে পুরান ঢাকায় ঘুরতে যাই ।
যেতে যেতে অনেক গল্প। অনেক কথা । সবই আমাদের কর্ম জীবন টেলিভিশনের নানান সুখ-দুঃখের গল্প।
প্রায় সন্ধ্যা নাগাদ বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে পৌছাই । আমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করার কথা নাট্যনির্মাতা নিলয় মাসুদ । নারিন্দা থেকে ওর আসতে দেরী দেখে আমরা দুজন বাহাদুর শাহ পার্কে ( পুর্ব নাম ভিক্টোরিয়া পার্ক) ঘোরাঘুরি ও ছবি তুলে সময় কাটাই।
ঘোরাঘুরি করে ভীষন ক্ষুধা পেয়েছিলো । নিলয় আসতেই জানতে চাইলাম ,এখানকার সবচেয়ে ভালো বিকেলের নাস্তা কি হতে পারে?
চলেন ভাই আপনাদের চৌরংগিতে নিয়ে যাই ।
ওখানে কি পাওয়া যায়?
আগে চলেন । যা খাবেন ,তা মনে হবে অমৃত খেলেন ।
আসলাম ভাই বললেন , চলেন চলেন আগে খেয়ে দেখি ।
আমরা হাটতে হাটতে বাংলা বাজারের দিকে যাই । এখানেই চৌরংগি রেস্টুরেন্ট। ছোট্ট দোকান । অসম্ভব ভীড় । বসার জায়গা পাওয়াই মুশকিল । কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে মানুষ উঠতেই একটা টেবিল দখল করে বসি । এ সময় আমার একসময়ের সহকর্মী ,বন্ধু এনামুল আসে। ওর বাসা এদিকেই । লুচি, আলুর দম, ডিম ভাজি খেতে খেতে আমাদের চারজনের আড্ডা জমে উঠে।
সত্যি বলছি , লুচি, আলুর দম, ডিম ভাজি দিয়ে বিকেলের নাস্তা যেন অমৃত ভোজন!
এরপর ঘুরতে ঘুরতে যাই সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ।সুন্দরবন লঞ্চে কিছু সময় আড্ডা শেষে ডেকে দাঁড়িয়ে চা খাই ।
রাতে ফেরার পথে বিখ্যাত বিউটি বোর্ডিংযে ভাত খাই ইলিশ মাছে, ভাগনা মাছ, রুই মাছ, লটপটি, ডাল দিয়ে । সব শেষে মহিষের দুধের দই।
আহা আজ কি বিকেল- সন্ধ্যাই না কাটলো!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪১