অভি,নীরু,ইলিয়াস আলী, মালেক,রতন,সজল,পাগলা শহীদ, লাল্টু,শিশির,পিন্টু,মামুন,জুয়েল, কাদির,টুকু,জয়ন্ত,গুড্ডুসহ আরো অসংখ্য নাম আছে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মুর্তিমান আতংক ছিল। এদের প্রতিপক্ষের ক্যাডার, লাঠিয়াল, ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া, সীট দখলকারি,ছেচড়া চাদাবাজদের দৌরাত্ব্যও দেখেছি। যাদের নামের আগে সন্ত্রাসী ও বিশেষ বিশেষন ছিল। এদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যেমন জিম্মি ছিল, তেমনি তাদের দলের নেতারাও। না হলে এদের অনেকেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দল থেকে হলের এবং ডাকসু নির্বাচন করে কিভাবে? কিভাবে সংগঠনের শীর্ষপদে আসীন হয়েছিলেন?
তবে এরা দলের ভিতর কখনোই প্রথমসারির নেতা ছিল না, ছিল দলের লাঠিয়াল, ক্যাডার এবং প্রতিপক্ষ নিপীড়নের শক্তি। এ চরম সত্যি কথাগুলো মুছে দিয়ে নস্ট রাজনীতিবিদদের হাত ধরে রাজনীতিতে পূর্নবাসিত হয়েছিলেন এবং কেউ কেউ এখনো রাজনীতির মাঠে সক্রিয়।
যারা দলকানা অন্ধ তাদের কাছে এরা বিরাট নেতা। তারা অতীতটা ভুলে যান।ভুলে যান সন্ত্রাসীরা কখনো যে ভাল রাজনীতিবিদ হতে পারে না!
সেই সময়ে তাদের ঘটনা জানতে সহায়ক হতে পারে আসিফ নজরুলের লেখা উপন্যাস ' ক্যাম্পাসের যুবক ' এবং 'আক্রোশ' । বই দুইটি জুড়েই তাদের কীর্তিকলাপ ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়কার ঘটনাবলি উঠে এসেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫