ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলো ৫৭ ধারার চেয়েও ভয়ঙ্কর - নিপীড়নমূলক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ‘একটি কালো আইন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
কারন এটি পাস হলে মানুষের বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলেও কিছুই থাকবে না। সরকারের দুর্নীতি যাতে প্রকাশ না পায় বা কেউ প্রকাশ করতে না পারে সেজন্য এই ৩২ ধারার আইন করা হয়েছে। ৫৭ ধারার মত এ আইনেও সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন। এই আইন দ্বারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। গণমাধ্যম বা গণমাধ্যমকর্মিরা এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির সংবাদ তখনই প্রকাশ করতে পারবেন, যখন তারা স্বেচ্ছায় নিজেদের করা দুর্নীতির তথ্য- প্রমাণ নিজেরা সরবারাহ করবে। আর গণমাধ্যম কর্মিরা তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে মানে গোপণে তথ্য- প্রমাণ সংগ্রহ করলে, গুর্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত হবেন।তথ্য গোপণে সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশ করলে, তা গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত হবে।শাস্তি ১৪ বছরের জেল, ২০ লাখ টাকা জরিমানা।
প্রস্তাবিত ওই আইনে বাক স্বাধীনতাকে ‘অপরাধে’ পরিণত করা হয়েছে।মানুষের মুক্ত চিন্তা ,মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থি বলে বিবেচিত হবে।আশংকা করা অমলুক নয় যে, গণতন্ত্রকামীরাই ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত হবে এই আইনে। ফিরে যাওয়া হবে ১৯৭৫ সালের বাকশালী অন্ধকারে। কতিপয় লোকের হাতের পুতুল হয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষের বিবেকে তালা লাগিয়ে বসে থাকবে এটা কোন সভ্য দেশ সমাজ হতে পারে না?
সরকারের কাছে অনুরোধ ,এই আইন সংসদে পাস করার আগে আবারো পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬