ওরা কাউকে ছাড়বে না
একদিন তোমাকেও সে হিংস্র ছোবলে ক্ষত বিক্ষত করবে....
-মাসুদুল হাসান রনি
প্রকাশক , মুক্তমনা লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন শাহজাহান বাচ্চু। তিনি একসময় মুন্সীগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ সজ্জন, মুক্তমনা মানুষটি সোমবার বিকেলে তার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদী গ্রামে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা চার দুর্বৃত্তের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও নিন্দা জানাই।
আমার কিছু ছোটভাইয়ের বন্ধু বিপাশার পিতা শাহজাহান বাচ্চু । সেই সুত্রে জানা, উনার জীবননাশের হুমকি ছিল।অনেকে তাকে দেশের বাহিরে চলে যেতে বারবার অনুরোধ করেছিলেন।এমনকি ঘনিষ্টজনরা তার জন্য সাউথ আফ্রিকায় পলিটিক্যাল এসাইলামের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সবকিছুই প্রত্যাখান করেছিলেন স্বদেশে থাকবেন বলে। মৃত্যুর ভয়ে তিনি কখনোই ভীত ছিলেন না। এমন স্বদেশপ্রেমি মানুষটিকে বর্বররা হত্যা করল তার গ্রামের বাড়িতেই!
প্রায় তিন বছর ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের অফিসে খুন হন জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন। একইদিন দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতরও আহত হয়ে প্রানে বেচে যান প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল ও আরো ২ জন।
ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়।
অভিজিতের পর ব্লগার নীলাদ্রী নিলয়, অনন্ত বিজয় দাশ ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর বাবুকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এদের উপর হামলার জন্য জঙ্গিদের সন্দেহ করা হলেও শাহজাহান বাচ্চুর উপর কারা হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪২