ওহাবীরা জানে মদিনার রাসুল, চিনেনা প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স.)-কে
এজিদের বীজ থেকে ওহাবীদের জন্ম। আসুন ভাই মুসলমানগন আপনাদেকে বলি এজিদ কে এবং ওহাবী কারা? তারা কি সত্যিই নবী প্রেমিক মুসলমান (?) সৌদি সরকার ওহাবী, মুয়াবিয়া বীজের বংশ তারা। সুতরাং আজ তারা প্রিয় নবীর রওজা পাক সরিয়ে নেয়ার যে জঘন্য কাজে এগিয়ে যাচ্ছে, এর চেয়ে জঘন্য কাজ এই বংশের লোকেরা এর আগেও করে গেছেন যা ইতিহাস সাক্ষী হয়ে আছে। আসুন আমরা চিনে নেই এই সৌদি রাজ বংশ আসলে কারা।
আরবের বড় বড় কাফের আবু লাহাব, আবু জেহেল, আবু সুফিয়ান ছিলো প্রিয় নবীর ঘোর শত্রু। এদের মধ্যে আবু সুফিয়ান ছিলো নবী পাক (স.)-এর জঘন্যতম শত্রু। আরেকজন ঘোরতর শত্রুর নাম ছিলো ওতবা। ওই ওতবার মেয়ের নাম ছিলো হিন্দা। পাপিষ্ঠা রাক্ষসী হিন্দা ওহুদের যুদ্ধে প্রিয় নবী (স.)-এর চাচা হামজার পেট চিরে কলিজা বের করে চিবিয়ে খায় এবং হাত ও নাক কেটে নেয় গলার অলংকার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। ওই কলিজা ভক্ষনকারীর ছেলের নাম মুয়াবিয়া। মুয়াবিয়ার পিতার নাম আবু সুফিয়ান। মহানবীর ঘোর দুশমন আবু সুফিয়ান আর হিন্দার পুত্র মুয়াবিয়া ইসলাম পরবর্তী জীবন ব্যবস্থায় গনিমতের মাল ভক্ষন ও ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করা ছাড়া ইসলামের প্রতি ত্যাগ ও মোহাব্বতের একটি দৃষ্টান্তও কেউ দেখাতে পারবেন না। ঈমান (মৌখিক ঈমান) আনার পরও মহানবীর প্রতিষ্ঠিত মহান আদর্শগুলোকে একে একে হত্যা করেছে আর প্রিয় নবীর পবিত্র বংশধররা সে আদর্শ বাচিয়ে রাখার জন্য অকাতরে জীবন কোরবানি দিয়েছেন। মুয়াবিয়ার কুলাঙ্গার পুত্র ইয়াজিদ।
আরেকটু জেনে রাখুন- ইতিহাসের কালপ্রবাহে বনি কুরাইশ দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে যায় একটি ইমাইয়া আরেকটি হাশেমী। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মহানবী (সা.)-এর আদি পুরুষ হাশিম থেকেই এদুটি গোত্রের মধ্যে জ্ঞাতি বিদ্বেষের বিষাক্ত ধারা প্রবাহিত হয়ে আসছে। হযরত হাশিমের নেতৃত্ব, যোগ্যতা ও প্রতিপত্তির কারনে তৎকালীন কুরাইশে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছিলেন। হযরত হাশিমের নেতৃত্ব ও যোগ্যতা তার ভ্রাতুষ্পুত্র আবদে শামসের পুত্র উমাইয়া কিছুতেই সহ্য করতে পারতো না। হযরত হাশিমের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেয়ার জন্য সবসময় কূট-কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করতো ক্ষমতা লোভি উমাইয়া। আরবের রেওয়াজ অনুযায়ী এই শত্রুতা চলতে থাকে বংশানুক্রমিক ভাবে। হযরত উসমান (রা.) খেলাফতপ্রাপ্ত হলে উমাইয়া নেতারা একে একে খলিফার ঘরে অভ্যর্থনা জানাতে আসছিলেন। আবু সুফিয়ান তখন অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। পথে তিনি সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করলেন- তোমাদের মধ্যে বনি উমাইয়া ছাড়া অ্ন্য কেউ নেই তো? হ্যাঁ সূচক উত্তর পাওয়ার পর আবু সুফিয়ান সঙ্গীদের বললেন- দেখো, বহু কষ্ট আর সাধনার পর ক্ষমতা আমাদের হাতে এসেছে। এটাকে বলের ন্যায় বনি উমাউয়ার এক হাত থেকে অন্য হাতে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে এটা (খেলাফত) যেনো আর কোনোদিন বনি হাশিমীদের ঘরে ফিরে না যায় (রউফুল হেজাব) আবু সুফিয়ানের পুত্র আমির মুয়াবিয়া ক্ষমতা, মসনদ, ব্যক্তিস্বার্থ ও গোত্রীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেননি।
আজ চৌদ্দ শো বছর পর আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে ইসলামের ঘোর শত্রুদল। তারা নামে মুসলমান। তারা লম্বা জামা পরে। কপালে নামাজের কালো দাগ। মুখে দাড়ি আছে, মাথায় টুপি। আসলে তারা নকল মুসলমান। আজ শিরকের দুহাই দিয়ে প্রিয় নবীর পাক রওজাতে বোলডেজার চালাতে প্রস্তুত। তারা প্রায় ১০০ বছর আগে জান্নাতুল বাকীতে অবস্থিত প্রিয় নবীর আহলে বায়াতের নাম নিশানা মিটিয়ে দিয়েছে সেখানে অবস্থিত সমস্ত রওজাগুলিকে ধ্বংশের মাধ্যমে। তারা এবার প্রিয় নবীর পবিত্র রওজা শরীফের দিকে এগিয়ে আসছে বোলডেজার নিয়ে।
ভাই মুসলমান, শুনে রাখুন- যাদের অন্তরে প্রিয় নবীর প্রেম মহাব্বত নেই, যারা সকলের চেয়ে প্রিয় নবীকে বেশি ভাল না বাসবে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- একটি শুচের ছিদ্র দিয়ে যদিও একটি উট প্রবেশ করতে সক্ষম হয় কিন্তু তাদের দ্বারা বেহেস্তে প্রবেশ করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয় যাদের অন্তরে প্রিয় নবী মুহাম্মদ মুস্তফা (স.)-এর প্রেম ভক্তি সকল বস্তুর চেয়ে বেশি না হবে। এখন চিন্তা করে দেখুন সৌদিরা আদৌ মহানবীকে ভালবাসেন কিনা। ভালোই যদি বাসতেন তাহলে তারা শিরকের দুহাই দিয়ে প্রিয়নবীর রওজা মোবারকে বোলডেজার চালাতে প্রস্তুত হতো না। নবীর প্রতি মুসলমানদের প্রেম-ভক্তি-ভালবাসা সৌদিদের কাছে শিরক। তাহলে তারা কোন আল্লাহর ইবাদত করে একটু ভেবে দেখুন তো? যে আল্লাহ বলছেন- মুহাম্মদকে সৃ্ষ্টি না করলে এ জগতের কিছুই সৃ্ষ্টি করতাম না। যে এনেছেন নামাজ সেই নামাজ পড়ে পড়ে কপালে কালো দাগ বানিয়ে প্রিয় নবীর সাথে দুশমনি করছেন সৌদি রাজ পরিবার। তারা আবার কেমন মুসলমান (?) তারা কি আদৌ মুসলমান (?)
আপনাদেরকে বলতে চাই, হ্যালো মি. ওহাবী গং আপনারা যারা শিরক শিরক করে চিৎকার করছেন তারা তো ভয়ংকর শিরক করছেন জনাব শয়তানকেও হার মানিয়ে। শয়তানও তো এত বড় পাপ কাজ করে নাই মনে হয় যা আপনারা মি. ওহাবী গং শুরু করেছেন। যাকে সৃষ্টি না করলে কায়েনাতে একটি জলকণাও সৃষ্টির প্রশ্ন ওঠতো না সেই মহানবী হযরত আহাম্মদ মুস্তফা মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) এর সম্বন্ধে কথা বলছেন। সাবধান!! যিনি আল্লাহ সাথে স্বশীরিরে মিরাজ করেছেন। জিবরাইল (আ.)-ও যেখানে আর একটু এগুতে পারলেন না। সেই সিদরাতুল মুনতাহা, সৃষ্টির শেষ সীমানা। তখন জিবরাইল বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ আমার আর এক চুল পরিমান সামনে যাওয়ার ক্ষমতা নাই্। আমি আর এক চুল পরিমান এগুলেই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবো। সুতরাং আপনি একাই এগিয়ে যান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করুন। নবী মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করলেন। তার সাক্ষাত ছিলো দুই ধনুকের ব্যাবধান বা আরো একটু কাছাকাছি। দুই ধনুক বলতে আমরা বুঝি দুটি অর্থ বৃত্ত। দুটি অর্ধ বৃত্তকে একত্রিত করলে দেখা যায় একটি পূর্ন বৃত্ত হয়ে যায়। আল্লাহ আর নবী মুহাম্মদ (স.) যদি একটি পূর্ন বৃত্তের মাঝে আবদ্ধ হয়ে যান তখন আর ফাকা থাকলো কোথায়? কিন্তু তারপরও বলা হয়েছে দুই ধনুকের ব্যাবধান বা আরো কাছাকাছি। আল্লাহর নূরে বিলিন হয়ে গেছেন আল্লাহর হাবীব। এই সমস্ত কথা আপনারাদের কানে ঢুকবে না। কারন, আপনাদের কানগুলোকে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে। কোরান পড়ুন। সুরা বাকারাতেই পাবেন আপনাদের কানের সমস্যার কথা। তিনি ওই নবী যিনি আল্লাহর মাহবুব, প্রিয় বন্ধু। যার নামের দরূদ না পাঠ করলে নামাজ পড়তে পড়তে কপালে তিন ইঞ্চি পরিমান কালো কহর ফেলে দিলেও আল্লহর কাছে গ্রহনীয় হবে না ও নামাজ। তিনি ওই রাসুল যিনি হায়াতুল মুরসালিন। তোমরা কী করে বুঝবে নবীকে। তোমরা তো নবী বংশকে ধ্বংশ করে নবীর বংশের দরূদ পাঠ করো। হোসাইন (আ.) এর মস্তক দ্বীখন্ড করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লে। তোমরা তো ওই নামাজী যারা তাড়াতাড়ি আসরের নামাজ পড়ে নিলে কারন হোসেইনের মস্তক কেটে আনতে হবে। তোমাদের হৃদয়ে নবী প্রেম নাই। তাই তোমরা প্রিয় নবীর পাক রওয়ায় বোলডেজার চালাতে তোমাদের অন্তর কাপে না। তোমরা তো ইয়াজিদ, তোমরা তো হিন্দার বংশধর। তোমরা আসলে নামে মুসলমান। শুধু শিরক শিরক ধ্বনীতে ব্যবসা বানিজ্য করে যাচ্ছো।
ইমাম হোসাইন শুধু কোনো মাজহাবের নাম নন, কোনো গোত্রের বা দলের নাম নন। মওলা আলী বলেছেন- আমার চোখের জ্যোতি হোসাইন। ফাতেমা যাহারা বলেছেন, আমার কলিজার টুকরা হোসাইন। আমার নবী মুস্তফা বলেছেন, আল হোসাইন মিন্নি ওয়া আনা মিনাল হোসাইন (আমি হোসাইন হতে হোসাইন আমা হতে)। সেই ইমাম হোসেইনকে আপনারা এজিদ পন্থি ওহাবী গং স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করেছেন। কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেইন বললেন, আলাম তাসমাও আলাইসা ফি কুম মুসলিম? আমার কথা কি শুনতে পাওনা? তোমাদের মাঝে কি একটি মাত্র মুসলমানও নাই? খাজা আজমেরী (রহঃ) যেমন বলেছে, ইমাম হোসাইন আসল এবং নকলের ভাগটি পরিষ্কার করে দেখিয়ে গেলেন। সে রকম অর্থ বহন করেছে ইমামের শেষ ভাষনটিতে, কারন এজিদ সৈন্যবাহিনীতে একজন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি অথবা অন্য কোনো ধর্মের লোক ছিলো না। সবাই মুসলমান অথচ কি সাংঘাতিক এবং ভয়ংকর ভাষণ, তোমাদের মাঝে কি একটি মুসলমানও নাই? অথচ এজিদের দলের সবাই ছিলো মুসলমান। কিন্তু না, একটিও সত্যকার ও আসল মুসলমান ছিলো না। যারা ছিলো সবাই ছিলো নকল মুসলমান। (বিস্তারিত দেখুন-শানে পাক পাঞ্জাতন - রেজা মাহবুব চিশতীর বইটিতে)
নবী করিম (স.) বলেছেন, হে ওমর আমি তো চিন্তিত এই ভেবে যে আমার শেষ যামানার উম্মতের মধ্যে এমন এমন লোক থাকবে যারা তুমি ওমরের চেয়েও বেশি পরহেজগার দেখাবে। তাদের দাড়ি লম্বা হবে। গায়ে লম্বা জুব্বা থাকবে। কপালে নামাজের দাগ থাকবে। কিন্তু তাদের মধ্যে ইমান থাকবে না। তাদের ইমান গলার নিচে নামবে না। তারা মুখে বলবে ইমানদার কিন্তু আসলে তারা মুনাফেক। আজ সৌদি সরকার যে পায়তারা করছে আর তা শুনে আমাদের দেশের নাম-কা-ওয়াসতে মুসলমানদের খুশির বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তারা তো ওই সৌদি বা ওহাবী গংদের পা চাটা কুকুর, এর চেয়ে আর বেশি সম্মান তাদেরকে দিতে পারিনা। নবীর রওজা স্থানান্তর করে যেখানেই নেক না কেনো যাদের অন্তরে নবী প্রেম আগুনের মতো জ্বলজ্বল করছে তাদের হৃদয়ের আগুন পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই যে নিভাতে পারে। তারা প্রিয় নবীর হাদিসটিতে ইচ্ছে মতো কাটছাট করে সাজিয়েছে। এবং চালিয়ে দিয়েছেন মাটির মতো সাদাসিদা মুসলমাদের কাছে।
আসল ইতিহাস শুনে রাখুন- বিদায় হজ্ব শেষে মক্কা থেকে প্রিয় নবী মদিনার পথে গাদীরে খুম নামক স্থানে উপস্থিত হলেন। ইসলামের ইতিহাসে গাদীরে খুম-এর ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়, যা আজ প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে সব শ্রেনীর মুসলমানদের কাছে ঢাকা পড়ে আছে। কোনো ইসলামী জলসা, মাদ্রাসা, মসজিদের বয়ানে, তাফসির মাহফিলে, মৌলানাদের ওয়াজ-নসিহতে, কোথাও এর আলোচনা নেই। ধর্মপ্রান মুসলমান আজো সঠিক ভাবে জানে না গাদীরে খুম কী? এবং মওলার অভিষেক কেনো? সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তি ও নবীবংশবিরোধী চক্রান্তকারীদের কারসাজিতে অনেক ঐতিহাসিক সত্য আজ ঢাকা পড়ে আছে। আবার ইসলামের নামে অনেক মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী সমাজে প্রচলিত হয়ে আছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহু দলমত ও ফেরকার সৃষ্টি হয়েছে। তার খবর অনেকেই রাখেন না। যদিও সাধারনভাবে কোনো জাকজমকপূর্ণ ইসলামী জলসায় এর কোনো আলোচনা চর্চা প্রচলিত নেই্, তবু আজও নবী এবং নবীর আহলে বায়াত (পাক পাঞ্জাতন)-এর সত্যিকার আশেক তারা ১৮ জিলহজ্ব এই দিবসটিকে জীবনের শ্রেষ্ঠ খুশির দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। যাদের অন্তরে প্রিয়নবী ও তার পবিত্র বংশধরদের প্রতি মোহাব্বত নেই তাদের ইমান আকিদা পরিশুদ্ধ নয়, এটা কোরানের কথা। সুরা শুরার ২৩ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলছেন- বলে দিন (হে প্রিয় রাসুল) আমি চাই না তোমাদের এই বিষয়ে (নবুয়াত) প্রচারে আমার নিকটবর্তীগনের (আহলে বায়াতের) মোয়াদ্দত (প্রাণাধিক) ভালোবাসা ব্যতীত যে ব্যক্তি এই আদেশের সদ্ব্যবহার করে আমি তার শ্রী বৃদ্ধি করে থাকি। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহপাক আহলে বায়াতের মোহাব্বত উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য ওয়াজিব করে দিয়েছেন। নবীর আহলে বায়াতের উপর ভালোবাসা উম্মতের ইচ্ছের উপর ছেড়ে দেয়া হয়নি। নবী যে রিসালতের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন আল্লাহ তার বান্দার কাছে থেকে তার পারিশ্রমিক বাবদ নবীর আহলে বায়াতের ভালোবাসাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। উক্ত আয়াত নাজিল হলে সাহাবীগন জিজ্ঞাস করলেন- ইয়া আল্লাহর রাসুল (স.) কারা আপনার নিকটবর্তী যাদের ভালোবাসা আমাদের জন্য ওয়াজিব করে দিয়েছেন? উত্তরে নবী করিম (স.) বললেন- আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন। (তফসির করিব/তফসিরে দোররে মানসুর/তফসীর তাবারী/ইয়া নবীউল মোয়াদ্দাত/মুসনদে আহাম্মদ)
গাদীরে খুম নামক স্থানে আয়াতগুলো নাজিল হওয়া মাত্র নবী করিম (স.) থমকে দাড়িয়ে গেলেন এবং যারা বিভিন্ন দিকে চলে গিয়েছিলেন সবাইকে ফিরিয়ে আনার জন্য লোক পাঠালেন। সব লোক জমায়েত হওয়ার পর হামদ ও সালাত সম্পন্ন করলেন। উটের উপর যে গদি ছিলো তার উপর আরো গদি স্থাপন করেলেন যেনো উচু হয়। এরপর শিষ্যবর্গকে বললেন- মুসলমানগন তোমরা কি জনো না যে আমি মোমিনদের নিকট প্রত্যেকের নিজ নিজ আত্মা অপেক্ষাও তোমাদের হিতৈষী বন্ধু। শিষ্যগন বললেন- হে আল্লাহর হাবিব, আমাদের আত্মা অপেক্ষা অধিক প্রিয় সুহৃদ। অতঃপর তিনি তাদের বললেন- হে মুসলমানগন আল্লাহ আমাকে আহ্বান করেছেন, আমিও তার কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তোমরা জানিও যে আমি তোমাদের মধ্যে দুটো সমপরিমান ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি এ দুটোকে আকড়ে ধরে থাকো তাহলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা। যদি একটিকে ছাড়ো তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। তার প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার আহলে বায়াত (আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন) এ দুটো কখনোই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হবেনা যতক্ষন না হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত হবে। তাই লক্ষ্য রেখো তাদের সাথে তোমরা কিরূপ আচরন করবে এটা আমি দেখবো। (সিরাতুন্নবী আল্লামা শিবলী নোমানী/বোখারী/মুসলিম/তিরমিজি মসনদে হাম্বল/তফসিরে কবির/হিলায়তুল আউলিয়া (১ম খন্ড) তফসিরে দোররে মনসুর/উসদুল গাবা। মোল্লাগন এই গুরুত্বপূনূ হাদিসটিকে বলে থাকেন এভাবে- একটি আল্লাহর কিতাব আরেকটি রাসুলের হাদিস। তারা তারা রাসুলের বংশধর তথা পাক পাঞ্জাতন বলতে চান না। রাসুল পাক আরো বললেন- তোমরা জেনে রাখবে খোদাতায়ালা আমার প্রভু আর আমি বিশ্ববাসীর প্রভু। পরে তিনি আলীর হস্ত ধারন করে বলতে লাগলেন- মান কুনতুম মাওলাহু ফাহাজা আলাউন মাওলাহু। আমি যার মওলা আলীও তার মওলা। হে আল্লাহ যে ব্যক্তি তাকে বন্ধু বানায় তুমিও তাকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো এবং যে ব্যক্তি আলীর সাথে শক্রতা করে তুমিও তার সঙ্গে শত্রুতা করো। অতপর উমর (রা.) আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ও অভিনন্দন জানালেন এবং বললেন- স্বাগতম, স্বাগতম হে আবু তালিব সন্তান, প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর মওলা হিসেবে অভিনন্দিত হয়ে তুমি সকাল করবে, সন্ধ্যা করবে। (মেশতাত ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৫৪৮) ফজলুল করিম/সুসনদে আহম্মদ/তফসীরে দুররে মনসুর/জালাল উদ্দিন সিউতি ২য় খন্ড মিসর/মুসলিম/মোস্তাদরাক হাকিম। এক নরুল ইসলাম ফারুকী শহীদ হয়েছেন আরো লক্ষ লক্ষ ফারুকী মওজুদ আছে এবং থাকবে ইনশা আল্লাহ। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আজ এত বড় অন্যায় কাজ হাতে নিচ্ছো ইজিদি সৌদি সরকার এর পরিনাম ভয়াবহ যেনো রেখো।
তথ্য সূত্রঃ (১) শানে পাক পাঞ্জাতন – রেজা মাহবুব চিশত
(২) কারবালা ও মুয়াবিয়া – সৈয়দ গোলাম মোরশেদ
(৩) শরিয়তি শয়তান মারেফতি শয়তান – ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী
(৪) কোরানে সালাতের কথা – ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী