গীতিমালা - ২৯
আমি হয়েছি অপরাধী তোমার আদালতে
মারো ছুঁড়ে ঘৃণার পাথর দিলাম রে বুক পেতে।।
ডোররা মারো বুকে পিঠে শক্তি যত আছে
আঁহা-উঁহু করবো না রে প্রেম যদি হয় মিছে
অনুরোধ তোমার কাছে দিও ভালোবাসিতে।।
রক্ত ঝরে ঝরুক আমার চেয়ে দেখো না
চালাইও চাবুক তোমার যতক্ষণ রয় ঘৃণা
ঘৃণার কালি মুছে গেলে বান্ধিও পিরিতে।।
কাছে এসে ভালোবেসে দূরে কেনো যাও
অপরাধ করিলে আমায় ফাঁসিতে ঝুলাও
মরার আগে দিও শুধু তোমারে দেখিতে।।
অজানা এক অপরাধে দুষি ফারুক বলে
বন্ধু তুমি ঘৃণা করে প্রেম দিও না ফেলে
ধুয়ে শুদ্ধ করে নিও তিস্তা নদীর জলেতে।।
রচনা কাল - ১৮/০৩/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৩০
কেউ বলতে পারোনি ওগো তারে দেখছোনি
সোনা বন্ধের সোনা মুখ হারাইছি গো আমি।।
চলে গেলো ভুলে মোরে আসবে না তো আর
ডাকবে না মোর নামটি ধরে আর তো বারে বার
সে যে ফাঁকি দিলো আঁখি মোদে আমার নয়নখানি।।
সেছিলো মোর সুখে-দুখে পরম আপনজনা
সে হারালো হারালো মোর সকল স্বপ্ন বুনা
ওগো বন্ধু হারা পাগলপাড়া আমি পাগলিনী।।
কে বুঝে গো দুঃখ সখি দুখের দুখি বিনে
দরদী বুঝিতো দরদ দুঃখ-সুখের দিনে
ওরে রইলাম পড়ে এই ভুবনে হইয়া একাকিনী।।
তার জীবনের স্মৃতি সখি ভুলবো কেমন করে
আমায় ফাঁকি দিয়ে সে যে চলে গেলো দূরে
ফারুকের মন রয়না ঘরে কাটেনা রজনী।।
রচনা কাল - ১৮/০৩/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৩১
ভাণ্ডারী ভাণ্ডারী বলে চল রে আমার মন-তরী
ভয় কেনো রে প্রেম সাগরে আছে দয়াল ভাণ্ডারী।।
পাঞ্জাতনের পাক নিশান ভাণ্ডরের ভাণ্ডারী শান
মাইজভাণ্ডারী খেয়া ঘাটে বান্ধোরে মন প্রেম-তরী।।
সুরতে তার প্রেম খেলায় ভাবের দেশে নিরালায়
মাইজভাণ্ডারে খেলছে খেলা নূরি বাবা ভাণ্ডারী।।
ভাণ্ডারে বসাইছে মেলা দয়াল বাবা আহমদ উল্লা
প্রেম সাগর গোলামু রহমান দয়াল বাবা ভাণ্ডারী।।
রহমান বাবার প্রাণের প্রাণ শফি বাবা সোনার চাঁন
শফি বাবার নয়ম মণি মজিব বাবা ভাণ্ডারী।।
ফারুক পাগল গোনাগার ভরসা তার হক্ব ভাণ্ডার
চায়না টাকা চায়না কড়ি সোনাদানা-ঘরবাড়ি।।
রচনা কাল - ১৯/০৩/২০১৬ ইং
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭