গীতিমালা - ৩৮
বান্ধো রশি শক্ত করে ভাণ্ডারীর সনে
দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা আর থাকবেনা মনে।।
গুরু গুরু বলে তারে
ডেকে লও রে হৃদ মাজারে
ডাকিওনা যারে তারে ভাণ্ডারী বিনে।।
বন্ধো তারে প্রেমের তারে
থাকিও না দূরে দূরে
ভাণ্ডারী তোমারে ছেড়ে যাবে কোনখানে।।
ওরে আমার অবুঝ মনা
কুমন্ত্রনা আর শুনোনা
শয়তানে গুরু মানেনা রাখিও মনে।।
ভব জ্বালা লয়ে বুকে
তুমি মরিও না ধুকে ধুকে
বলে ফারুক মন তোমাকে কথা লও শুনে।।
রচনা কাল - ৩১/০৩/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৩৯
একবার দেখবো বলে তোরে
মনের ভিতর জাগে আশা
ভালোবেসে পেলাম নারে
পেলাম না তোর ভালোবাসা।।
নিঠুর বন্ধু রইলি তুই দূরে
খুঁজে বেড়াই আমি যে তোরে
তুই ধরা তো দিলিনা মোরে
করি আমি কার ভরসা।।
তোরে আমি ভালোবাসিয়া
তিস্তা জলে গেলাম ভাসিয়া
ওরে তুই রইলি চুপ করিয়া
দেখলি মোর করুন দশা।।
লজ্জা-শরম কলংকের ডর
নাইরে নাই পিরিতের ভিতর
দুইটি দেহ একটি অন্তর
দুটি পাখির একই বাসা।।
বলি কারে মনের বেদনা
নিঠুর বন্ধু ফিরে চাহে না
ফারুকের মন বুঝ মানেনা
ধরেছে পিরিতের নেশা।।
রচনা কাল - ২৭/০৫/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৪০
ভুলে গেছো আমায় তুমি মনে রাখো নাই
আমি তোমায় আজো বন্ধু ভুলতে পারি নাই।।
তুমি মোরে ভুলে গেছো চোখের আড়াল হয়ে
আমি বন্ধু আজো আছি তোমার অধীন হয়ে
জানো কি জানিনা আমি ভুলতে পারি না
বারে বারে মনে পড়ে তোমার-ই মুখটাই।।
স্মৃতিগুলো আজো মোরে নিরবে কাঁদায়
সব কথা ভুলে মন শুধু ভুলেনা তোমায়
পোড়া মন বুঝে না কাউকে সে খুঁজেনা
বলে তিস্তা নদীর কূলে যদি বন্ধুরে পাই।।
মন পাখি তাকাতাকি করে দিবা-রাতি
সাথি হারা দিশেহারা হারা নদীর গতি
বন্ধু হে ফিরে চাও ভুলত্রুটি ভুলে যাও
তুমি ছাড়া ফারুকের আর যে কেহ নাই।।
রচনা কাল - ০২/০৬/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৪১
প্রেম পিরিতি মনে-প্রীতি বান্ধিয়া কষে
নিদয়া বন্ধু রে তুই রইলি কোন দেশে।।
পিরিতের ফাঁদ পাতিয়া পতঙ্গ আমায় বানাইয়া
ধরলি রে আমারে অবশেষে
না আমি ছুটতে পারি
না তোরে ধরতে পারি
অঙ্গ জ্বলে তোর পিরিতের বিষে।।
পিরিতের বিষম জ্বালায় দিবানিশি অন্তর পুড়ায়
এই যন্ত্রণা বুঝবি রে তুই কিসে
আমি যদি তুই হইতি
নিশ্চয় যন্ত্রণা বুঝতি
এই জীবনের থাকতো নারে দিশে।।
দুঃখ নাই রে নিঠুর কালা তুই যদি চাস আরো জ্বালা
তবুও তুই থাকিস আমার পাশে
তুই যদি থাকিস দূরে
এই যন্ত্রণা দেখবে কেরে
ফারুকের দিন কাটেনা বৈদেশে।।
রচনা কাল - ০৯/০৬/২০১৬ ইং
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯