গীতিমালা - ৪৬
আমার কথা ভুলেও কি তোর মনে পড়েনা
ও বন্ধু আমি কি তোর হলাম অচেনা।।
আপন মানুষ পর ভাবিলে দুঃখ সহেনা
অতীতের সেই দিনগুলি কি মনে পড়েনা
পারিনা পারিনা তোরে ভুলতে পারিনা।।
ভালোবেসে দিন গেলো মোর কাঁদিতে কাঁদিতে
একদিনও আসলি নারে তুই আমার খুঁজ করিতে
ওরে ব্যথা দিতে বন্ধু কি তোর মায়া লাগেনা।।
রেখে গেলি আমারে তুই সুদূর পরবাসে
প্রেম যাতনা আমায় দিয়া রইলি আয়েশে
তোরে নিঠুর কালা ভালোবেসে সুখ দেখিলাম না।।
ফারুকের এই দুঃখ-জ্বালা কেউ তো বুঝেনা
প্রেম আগুনের চিতা জ্বলে লোকে দেখেনা
ওরে দিবানিশি এই যন্ত্রণা আর তো সহেনা।।
রচনা কাল - ২৪/০৬/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৪৭
আমি দুষি হইলাম জগতে বন্ধুরে বান্ধিয়া নিঠুর পিরিতে
ভালোবেসে গেলাম ভেসে নিদারুন তিস্তার স্রোতে।।
বন্ধু আমার কথা বলে না
মনের ব্যথা কি জানি তা মুখে বলে না
মন যে আমার আর মানে না চায় তাহারে দেখিতে।।
বন্ধু আমার কোথায় লুকাইলো
কোন আকাশের মেঘ তাহারে আড়াল করিলো
ওরে আমারে পাগল করিলো পারি না সই সহিতে।।
বাঁকা চান্দে ঈদের আনন্দে
গানে ছন্দে নাচে না মন নিরবে কান্দে
ওরে চাহিয়া দেখেনা বন্ধে কী জ্বালা মোর বুকেতে।।
বন্ধু আমার একবার ফিরে চাও
তিস্তা নদীর ঘাটে প্রেমের ভিরাইলাম এই নাও
ব্যথিত অন্তরটি জুড়াও ফারুকের মিনতিতে।।
রচনা কাল - ০৭/০৭/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৪৮
আমি তোমায় ভালোবাসি মনো-প্রাণ দিয়া
যাইওনা নিঠুর কালা আমারে ছাড়িয়া।।
তোমায় ছাড়া আমার প্রাণ
বাঁচে না গো প্রাণের প্রাণ
থেকো না আমায় ভুলে দূরে দূরে যাইয়া।।
অমাবস্যায় আঁধার রাত
বন্ধুয়া পূর্ণিমার চাঁদ
মেঘলা আকাশ তাহারে দিও না ঢাকিয়া।।
দেখে তোমার চন্দ্র মুখ
দুঃখ ভুলে পেলাম সুখ
নিও না বন্ধু আমার সুখের দিন কাড়িয়া।।
বহুদিন পর বন্ধু মোর
খুলিয়াছো মনের দোর
দিও না বন্ধ করে আবার ভুল বুঝিয়া।।
ফারুক তাহার অন্তরে
বেন্ধেছে তার বন্ধুরে
আসিয়া দেখো বন্ধু বুকের চাম কাটিয়া।।
রচনা কাল - ২৩/০৭/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৪৯
প্রেম রাখিলে অন্তরে ভব জ্বালা যায় দূরে
প্রেমিক যারা মরেও তারা মরে না বেড়ায় ঘুরে।।
ভবের এই রঙ্গের বাজার
সকাল বিকাল কিংবা সন্ধ্যার
ভাঙ্গে বাজার হইলে আন্ধার
প্রেমের বাজার ভাঙ্গে নারে।।
প্রেম তরঙ্গে উজান তরী
বায় যারা গো হয় চাতুরী
প্রেম রসিকে দেয় গো পাড়ি
গুরু গুরু নাম ধরে।।
ফারুক বলে কপাল মন্দ
বাজার করে নাই পছন্দ
মনে মনে করে দ্বন্দ্ব
প্রেমের কপাট খুলে নারে।।
রচনা কাল - ২৪/০৭/২০১৬ইং
গীতিমালা - ৫০
মন মন্দিরে বসে তুমি বাজাও বাঁশি
বাঁশি শুনে বাঁশির প্রেমে হয়েছি উদাসী।।
বাঁশির সুরে ঘরে বসা দায়
উচাটন বাঁশিটি বাজে গো সদায়
পোড়া বাঁশি মানে নারে দিবস আর নিশি।।
বাঁশি বাজাও ও বাঁশিওয়ালা
যাদুর বাঁশি আমারে করে উতলা
বাঁশিওয়ালার বাঁশিটিরে বড় ভালোবাসি।।
বাঁশি শুনে হয়েছি বিভোর
প্রেমাবেশে মাখামাখি বাঁশিটির সুর
বাঁশিওয়ার প্রেমে পড়ে হলাম আমি দুষি।।
বাঁশিওয়ালা বাঁশিতে দেয় ফুঁ
মন চলে যায় বাঁশিওলার পিছু পিছু
বাঁশির প্রেমে মজে ফারুক ঘর ছেড়ে বিদেশী।।
রচনা কাল - ২৫/০৭/২০১৬ ইং
গীতিমালা - ৫১
তোরে আমি ভুলি বন্ধু কেমনে কেমনে
মনে পড়ে আজো তোরে গোপনে গোপনে।।
তুই নাই পাশে আমার
নাই রে কেউ দুঃখ বলার
পাবো কিনা তোরে ফিরে কে জানে কে জানে।।
তোরে আমি ভালোবাসি
সবার চেয়ে একটু বেশি
তবু কেনো পরবাসী বহুদূরে দুজনে দুজনে।।
ভাগ্যের এই নিয়ম-নীতি
দুঃখ-জ্বালা বাড়ায় অতি
ভেঙ্গে দিলো প্রেমোপ্রীতি তুফানে তুফানে।।
ফারুক বলে মনের জ্বালা
লোক সমাজে যায়না বলা
চিকন কালা ভাসে দুইটি নয়নে নয়নে।।
রচনা কাল - ১২/০৮/২০১৬ ইং
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১