'এই মসজিদে যে নামাজ পড়বি সব অ্যারেস্টেড হবি'।
এভাবেই তিনি পিস্তল হাতে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বের করে দিচ্ছিলেন । তিনি হলেন গেণ্ডারিয়ার ওসি মিজান।
আরেকজন পুলিশ কর্তা ওসি মিজানকে শান্ত থাকতে বলেন, 'আরে পিস্তল দেখাইয়েন না' । সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওতে মুসল্লিদের এভাবে পেটাতে দেখা যায়।
খবরে প্রকাশ, গেণ্ডারিয়া কাপুরিয়া নগর এলাকায় হিন্দুদের বসবাসই তুলনামুলক বেশী। সেখানে কোন মসজিদ ছিলো না তাই এলাকার তরুন মুসলমানরা এবং পাড়ার মুরুব্বি কয়েকজন মিলে একটা মসজিদ তৈরি করছে, যা এখনও সম্পূর্ণরূপে হয়নি । শুক্রবার দিন জুম্মার নামাজও পড়েছে এলাকাবাসী । মসজিদের ব্যাপারে হিন্দুদের শান্তি বিনষ্ট ও নিরাপত্তার অভিযোগ এনে হিন্দুরা গেণ্ডারিয়া থানায় অভিযোগ করে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছেও অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পুলিশ এসে জোহরের নামাজের পর সকল মুসল্লিকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেয় ।
অনেকে বলছেন, মুসুল্লিদের সাথে এই ধরনের আচরণ কোন মুসলমান দেশে সম্ভব সত্যি অবাক লাগে। পুলিশ কিভাবে বয়োজৈষ্ঠ নামাজিদের তুই-তোকারি করতে পারে?
গেন্ডারিয়া এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গেন্ডারিয়া শাখার পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় একটি জিডি করার পর আজ রোববার দুপুরে সেখানে পুলিশ যায়।
গেন্ডারিয়ার স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দাবি করছেন যে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে একটি মন্দির ছিল। মিলব্যারাক সমাজকল্যাণ সংগঠনসহ ৫ব্যক্তির নামে স্থানটি লিজ নেয়া হয় এবং ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই স্থানে কোনো মন্দির ছিল না। গত শুক্রবার মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি সেখানে নামাজ পড়া শুরু হয় এবং রোববার মসজিদটিতে জোহরের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। কিন্তু গেন্ডারিয়া থানায় জিডি করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুসল্লিদের উপর হামলা করে।
# ভিডিও দেখতে --
http://www.bd-desh.net/newsdetail/detail/200/223736
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৬