somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসনাত আব্দুল হাই ও প্রথম আলোর ক্ষমা প্রার্থনা এবং অন্যান্য সম্ভাবনা

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাসনাত আব্দুল হাইয়ের ‌"টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি" গল্পটি পড়ার মনে হলো, ইমাজিনেশন আর ফ্যাসিবাদিতা-যে অবশ্যই দুই জিনিস তা বুঝি সাধারণ মানুষ বুঝে না_পাঠকে এমন বোকা ঠাওরানোর মতো একটা বাজে কাজ এটি। ইমাজিনেশন লেখকের স্বাধীনতাকে প্রসারিত করে। অন্যটি লেখকের পলায়নবাদিতাকে, এবং গণবিরোধী স্বেচ্চাচারকেই শক্তিশালী করে, শক্তিশালী করে ফ্যাসিবাদি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে। এই রাজনৈতিক ডামাঢোলের সময়ে আর যোদ্দাপরাদীর বিচার বানচাল করার চেষ্টায় নিযোজিত গোস্ঠীকে খুশি করবেএই গল্পটি_ এ হয়তো পি-আলো আর লেখক ভালই জানতন। আর তা-ই হয়তো তাদের এ কর্মে এই উৎসাহিত করে থাকবে। হয়তো তাই ফিকশন ফিকশনই-এমন দাবীর তীব্র অপব্যহার ঘটিয়েছেন লেখক।
যে দাবী জনগণের প্রাণের সাথে ওতপ্রোত হয়ে আছে সেই দাবী নিয়ে তীব্র আলোড়িত ও জীবন্ত এক বর্তমান আন্দোলনকে নিয়ে লেখকের সেল্ফমিথিফিকেশন-পক্রিয়াটির পক্ষে ফ্যাসিজম কী তীব্র সহযোগী হয়ে উঠতে পারে তার নিকৃষ্ট নমুনা হয়ে রইলো হাসনাত আব্দুল হাইয়ের এই গল্পটি। তাছাড়া গল্প হিসেবেও তা বেশ কাঁচা। যার কারণে, গায়ের লোম দাড়ানোর বদলে লোমকুপই দাড়িয়ে যায়। জনসমর্থিত ,ইতিহাস সমর্থিত, আর বোদ্ধা-সমাজ সমর্থিত বর্তমেনের চলমান বড়ো ধরণের এই শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে এমন ফ্যাসিবাদিতার নজির দ্বিতীযটি নেই।
মনে হয় ব্যবসায়ি প্রথম আলো বর্তমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তার বিএনপি-জামাত-পাঠকদের হারাতে বসেছিলো। আমার মনে হয়, তাদের খুশি করার যৌথ প্রকল্পই এটি। একইসাথে সামনের নির্বাচনে জয়ের সম্বাবনা আছে এমন বিরোধী দল বিনএপিকে খুশি করার একটি সচেতন প্রকল্প বাস্তবায়ন নাকরলেই হয়তো নয়।
শাহবাগ মঞ্চের বিপরীতে ইনকিলাব, আমার দেশ. মাহমুদুর রহমান ও ফরহাদ মজহার যখন শাহবাগের তরুণদর নাস্তিকের তকমা দিয়েছেন, আর বিএনপি তা লুফ নিয়েছে। এবং বিএনপি. আর জামাতের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবীতে পরিনত হয়েছে। আর এ ক্সেত্রে নিঃসন্দেহে প্রথম আলো পিছনে পড়ে গেছে বহুত। একটি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন পূর্ব বর্তমান ব্যবসা, আর নির্বাচন পরবর্তী ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এ প্রকল্পের সচেতন বাস্তবায়ন হয়েছে_ এ সম্ভানা উড়িয়ে দেয়া কি ঠিক হবে? প্রথম আলো কোন কাজ অসাবধান বশত করে বলে মনে হয় না। আর ক্ষমা চাওয়াও এ প্রকল্পের পূর্বপরিকল্পিত অংশ ছিলো বলেই মনে হয়। আর লেখক হিসেবে নিজেকে ভুল পথে জনপ্রিয় করার একটা বাজে চিন্তাও যে লেখকের মাথায় বাসা বাধেনি সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
এসব সম্ভনার বাইরে, লেখক আর পি-আলোর পেছনে একাধিক রাজনৈতিক দলের প্ররোচনা ও প্রেরণা, অর্থযোগ থাকার সম্বানাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিভিন্ন মত ও দলকে তুষ্ট রেখেই তাদের এই জনপ্রিয়তা_ একথা মনে রাখলে, একই সময়ে সবাইকে তারা খুশি রাখতে পারে না, তাই ক্সতিপুরণের এই কাজটি তাদের ব্যবসায়িক দায় বলেই মনে হয়, তা যতো ন্যাক্কার জনই হোক না কেন।
এ গল্পের ভেতর দিয়ে শাহবাগের নেতাকর্মী লেখক, সর্মথকদের গায়ে ধর্ষণকারীর যে অশ্লীল ও মিথ্যে অপবাদটি চাপিয়ে দেয়া বাকি ছিলো, সেটি সম্পন্ন করা হলো প্রথম আলো ও হাসনাত আব্দুল হাইয়ের যৌথ কর্মে। আর বিএনপি জামাতের কাছেও ফের গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠার কাজটিও সেরে নিতে পারলো তারা। সামনে বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে হয়তো নাস্তিক, ইসলাম বিরোধী এমন সব মিথ্যে শ্লাগানের পাশাপাশি এবার তব্রিভাবেই উচ্চারিত হতে থাকবে ধর্ষণকারী অপবাদটিও। শাহবাগের নেতা কর্মী সমর্থকরা ধর্ষণকারী। নাস্তিকতার পর যোদ্ধাপরাধ বিরোধী দলগোষ্ঠীর বহুদিনের চাওয়া শাহবাগের তরুণদের, নেতাদের ধর্ষনকারী বলা হোক। এই চাওয়াটি বাস্তবায়ন করলো প্রথম আলো আর এই গল্পকার। এর পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্ভবনার কথা মাথায় রাখতেই হবে আমাদের।

ফ্যাসিবাদিতা থেকে সতর্ক থাকুন, ঘৃণা করুন এ সচেতন ফ্যাসিবাদিতাকে। ঘৃণা করুণ সমস্ত ধরনের ফ্যাসিবাদকেই।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×