ঠিকানা রেখে গেলাম আমি সোনালি বাঁশপাতার শুকনো শিরদাঁড়ায়, তুমি ফিরে এসো জংলি ঝুমকোর প্রতিটি বাক ভেঙ্গে ভর দুপুরে।তুমিও দেখে নিয়ো, আমিও একদিন নিরুদ্দেশ হব, আড়াল পেলেই নিখোঁজ হবো।প্রতিবাদের জয়ন্তী রেখায় তুমি নতুন করে কাঠ পেন্সিলের মূর্তি আঁকবে রাতের পর রাত।প্রহসনের প্রত্যাবর্তন তোমাকে অযথাই উদবিঘ্ন করে তোলে জানি, কিন্তু কি করবো বল?অবাধ্যতার সবগুলো বাস্প একে একে ফিরে গেছে মাঝ রাতের উন্মাদনায়, তারপরও মৃত্তিকার মাঠে কাদামাটির সুগন্ধিতে বিরুদ্ধতার বুক চিরে ইচ্ছেরা ছুটে চলে।বাঁশঝাড়ে জোসনার আতপ উত্তাপ এখনও একই রকম দুর্ভেদ্য,শুকনো পাতার মরমরে গুঞ্জন আর তার কোলজুড়ে চন্দ্রবোড়ার বাস।কখনও সুশীতল শান্ত, কখনও উদ্ভ্রান্ত বিষ নিঃশ্বাসে।এ পথেই আনাগোনা আমার, কারন আমি যে চন্দ্র গল্পের আরোহী লতা, এক ডাল বেয়ে অন্য ডালে যাই, তারপর অন্য ডালে।মান্দার কাঁটার অগুন্তি জন্ত্রনা আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়।প্রকৃতির মাঝে নিজেকে সমর্পণের অর্থ হচ্ছে কোথাও না কোথাও নিজেকে খুজে পাওয়া।আর আমি নিজেকে খুজে ফিরি শুধু তোমার ফিরে আসার অপেক্ষায়, মুক্ত আকাশে মুখ রেখে অট্টহাসিতে ভেঙ্গে পড়ি ,পাশ ফিরে নির্লিপ্ত চোখে তোমাকে আলতো করে খুঁজি আমার হাসির পাশেই।ফিরতি পথে আমার জন্য লুটকি ফুলের তোড়া নিয়ে এসো, বেগুনি রঙের পাপড়ি গুলো আমাকে অন্তহীন সুখে টানে, তোমার শাড়ীর আঁচলে জড়িয়ে দিতে চাই বেগুনি রঙ্গা বুনো সুখ।আমি জানি একটিমাত্র ভুলে যে বিন্দুতে আসা যাওয়া স্বপ্নের সব শেষ সেখানে মুখ ডুবিয়ে জীবনের খোঁজ করা কতটা সপ্নভাঙ্গার অভ্যেস।এ তল্লাটেই অনেকগুলো অননুমেয় অনুভুতির রোদেপোড়া ঘাসফুল স্বপ্ন মাড়িয়ে বেঁচে আছে,শবদেহের তীব্র প্রবাহও এই কষ্টযজ্ঞের বাহক।তারপরও সবগুলো অনুযোগের অনুর্বর প্রলেপ একের পর এক উড়ে যাবে চন্দ্রমল্লিকার সুরভীতে।আমার বাঁশপাতার ঠিকানা উন্মুক্ত হবে।ধুলোর পরতে যতবার স্পর্শ করবে ততবার আমার অবয়ব স্পষ্ট হবে।অবারিত খোলা মাঠে দৃশ্যমান হবে বেগুনি রঙের লুটকি ফুলের প্রানবন্ত উচ্ছ্বাস, সেই সাথে পুরনো স্বপ্নটিও, আমি জানি তুমিও স্বপ্নটিকে বাচিয়ে রাখতে চাও প্রানপন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬