স্থিতিকালের কোনও সময়ে অপ্রাসঙ্গিক বিরুদ্ধ আবেগ জীবনের মাঝ পথে আলোড়ন তুলে ভালবাসার দ্বৈত সঙ্গিত কে যদি আচ্ছাদিত করে যায়,সেখানে কি আদতে কোনও নীল পদ্মের উদ্গিরন হয়? তুমি কি জানো একটি চেনা মুখোস কতটা বীভৎস হতে পারে?কখন কখনও তোমার নিজ হাতে চিত্রিত মৃৎপাত্রটি অনায়াসে রং পাল্টায়।চিরহরিৎ বৃক্ষের মতো ঠাই বিমূর্ত দাঁড়িয়ে থাকা সময়ের চুড়া স্পর্শ করা ভীষণ দুর্বোধ্য।তোমার দুষ্পাঠ্য চোখ আমাকে বারে বারে অলীক আলেয়ার দীক্ষা দিয়েছে। একটিবারের জন্য ও পিছু ফিরে জীবন ও ভালবাসার ধংসস্থুপ যাচাই করিনি।বিশ্বাসের বর্ণমালা নির্দ্বিধায় মুখস্ত করে রেখেছি জীবন ভর।তোমার সঙ্কীর্ণ চিত্তের বিশাল উচ্ছ্বাস গুলো ঢেউয়ের মতো অনুরণন তুলে আগাগোড়া অনবস্থিতির বীজ বপন করে গেছে।এ কোনও অনুযোগ নয়, নয় অবনমিত অনুভুতির লহরী, এ শুধু মেঘমুক্ত আকাশে শীতল বাতাসের অন্তর্ভুক্তি, যার উপরটা প্রশান্তিময় আর নিচটা গুমোট,কর্কশ।তোমার সুপেয় চুমুর আস্বাদনে আমার আমিত্তের বশ্যতা অবধারিত।তাই বিভ্রান্তির ছালবাকল উপেক্ষা করে শুধুই অনুরক্ত তোমাতে।তারপরও অকারন ছলনার আকস্মিক ঘূর্ণিবাত সপ্নপাত ঘটায় প্রতি মুহূর্তে,কখনও তোমার সুবিদিত সুবর্ণ চাহনীতে ভর করে ,আর কখনও উন্মুক্ত আকাশ আর মাটির মাঝে তোমার অন্তর্বেদনায় পরিখিন্ন হওয়া।হৃদপিণ্ড জুড়ে ঘন শাঁসালো এক বুক আবেগ নিয়ে শেষ প্রহরের সুখ কিনতে চেয়েছিলাম।স্নায়ুর সঙ্গমে রক্তের উল্লাস নির্বিঘ্নে শ্বেত সমুদ্র পাড়ি দেয় চকমকি পাথরের কোল ঘষে। প্রেমলীলার আজন্ম আয়োজনের এ এক চন্দ্রনীল বৈভব।এখনও মুহুরমুহ জোস্না শানিত হয় অবাক অট্টালিকার চিলেকোঠায়।তুমি বলেছিলে একদিন মেঘ হবেই হবে,তাই করতলে এখনও আকাশের নীল নিয়ে হাঁটি।নির্বাক আঁধারের নিরন্তর সুখ ফেলে ডুব দিয়ে ভেসে উঠি মাঝ নদীতে।স্বৈরিতার উত্তাপে প্রতিদিন খুলে রাখি অপেক্ষার অবিধান।প্রহরের প্রহর যায় অবিশ্বাসের কাঁচ ভেঙ্গে অদেখা যন্ত্রণাগুলো এখনও অবমুক্ত হয়না, শান্তির মৃদু তাপে আমি নিজেকে ছেঁকে নেই রাতভর, কখনও মন পোড়ে সে তাপে কখনও শরীর।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪