আজকাল নিজের মতো করে স্বপ্ন লিখতে বসি,ক্রমাগত নিঃশেষ হওয়া অথর্ব পাগলামি কিংবা অনুভূতির চারপাশের যত তিক্ততার অয়নবৃত্ত তাকে সাধ্যমত উর্বর করে অপ্রাপ্তির পুনরাব্রিত্তি করি।অগনিত মৌসুমে অপনীত হচ্ছে আমার ফেলে আসা সবগুলো সন্ধ্যাকালীন দীর্ঘশ্বাস।হোক সে হৃদ্যতার অসামঞ্জস্য নির্বাপণ কিংবা শেষ রাতের সপ্রতিভ উন্মাদনা।রাত জাগাতে এখন আর অনন্তকালের কৃতিত্ব অনুভব করিনা,এখন অনাগত বিভীষিকার উন্মত্ত অশনিতে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটাই।আমি অবাক হয়ে দেখি জনসমুদ্রে তোমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার নিরবছিন্ন মন্ত্রপাঠ।একটিবারও তুমি পিছু ফিরে চাইবেনা জানি,স্রোতস্মীনির ঘূর্ণিবাতেও থমকে আছে আমার অব্যাক্ত অস্থিরতা।যাক,তাও তুমি স্থির হও অন্তত, তোমার বিবেকের বিভক্তি হাজার বার সাঁঝবাতি জ্বালিয়ে গোধূলির রং এলোমেলো করে দেয় ঝাপসা হয়ে আসা চোখের অয়নবাতি।পিছু ফিরে যদি একটিবার দেখতে,স্বপ্নের রং অবারিত সুখ হয়ে থমকে আছে ধেয়ে আসা অতীতের উপকূল জুড়ে।অনুভুতিহীন মানুষ অবস হল নাকি সপ্রতিভ হল তার কারন জেনে নিজেকে কত আর শ্বাসরুদ্ধ করবে?উপেক্ষার সবগুলো প্রস্থরখন্দ আলগা করে সাদাকালো ব্যাথার জমাটবদ্ধ সুখ উন্মোচন করেছি।যতই জ্বলছি, স্নিগ্ধতা আর কমনীয়তার সুবাস গায়ে মেখে শ্বেত পাহাড়ের চুড়ায় জটলা ভেঙ্গে উড়ে চলা মেঘের শুভ্রতা অনুভব করছি।তুমি সূর্যালোকের উপাসক, জানকি? স্বৈরিতার ও নিজস্ব সুখ আছে, নিজেকে আঁধারে রেখে সেও তোমায় আলোকিত করবেনা তোমার অবান্তর আরাধ্যে।এখনও যদি তোমার বুক পাঁজরের বাম পাশে নীল ব্যাথা চিনচিনে সুখ দেয়, ভেবে নিয়ো কোনও এক বিমূর্ত মুখ তোমার অনাবৃত মুখোস ভেবে কেদে চলেছে অনবরত ,যার ব্যাপ্তি তোমার চিত্তকান্না স্পর্শ করে চলেছে এযাবতকাল জুড়ে।তুমি বুঝবেনা জানি, যার পারিপার্শ্বিক উচ্ছ্বাস চার দেয়ালের শ্যাওলা কে উপেক্ষা করে মসৃণ উন্মাদনায় রোদ মাখে,তার কাছে উপাসনার কান্না আর বৃত্তের চক্র হৃদয়ের চারপাশে সারাক্ষন থেকেও ভীষণ অপ্রতিভ।তাই অনুযোগের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করলাম, ভীষণ একঘেয়ে মনে হলে ভুলে যেও,শুধু দু চোখ বন্ধ করে আমাকে ভেবনা যেন।আমিও তোমাকে ভুলতে বসেছি, আমি জানি তুমিও তাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৮