somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ষণ সচেতনতা নিয়ে একটি অনুবাদ গল্প পড়ুনঃ শি ডিসার্ভ এবরিথিং শি গেট

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শি ডিসার্ভ এভরিথিং শি গেট
ডেনা জনসন
অনুবাদ: রাবেয়া রব্বানী





আমরা সবাই আগুনের কুণ্ডলীর চারপাশে বসে কিভাবে ধর্ষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে কথা বলছি।আমরা উপদেশ দিচ্ছি।আমাদের মতামত আছে,চাইলে নির্দেশনাও দিতে পারি,কেননা আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক এবং গার্ট্রুড এখনো বাচ্চা মেয়ে।আমরা সবাই কলেজ পার করেছি বহু আগে।তাই আমরা ভালভাবেই জানি কি বলছি না বলছি।
গার্ট্রুড অন্যরকম মেয়ে।সে তার গ্রাজুয়েশন উপলক্ষে ছুটি কাটাতে এসেও আমাদের কথা রাত জেগে শুনছে।বাধ্যগত মেয়েরা যেমন হয় সে ঠিক তেমন।কাউকে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলতে জানে না।বড়রা যখন তার সাথে কথা বলতে যায় তখন তাকে মোবাইল নিয়ে গুঁতোগুঁতি করতে দেখা যায় না। না!তাকে কখনো বাজে কথা বা গালাগাল করতে শোনা যায় না।“যে যা ভাবুক” শব্দটা তার অভিধানে নেই।সে মানিয়ে চলতে জানে এবং ভদ্রও বেশ।তাই তার বাবা মায়ের মুখে সব সময় এই কথাটা শুনতে পাওয়া যায়, “ও যা যা পায় সবই ওর প্রাপ্য।” হ্যাঁ!মেয়েটা পায়ও বাবা!যখন যা চায় তাই তার সামনে হাজির করা হয়।সে বিশ্বাস করে সব কিছু তার জন্যই।প্রিয়াস ব্রান্ডের গাড়িটা তার জন্যই কেনা,বাড়িটাও তার বাবা-মা তার জন্যই কিনেছে যাতে কলেজে উঠার পর সে সেখানে থাকতে পারে।এই যে সান-ডিয়েগোতে এই ছুটিতে ঘুরতে আসলাম সবাই মিলে, এটাও তার জন্য।কোন ছাতার সংবাদ পত্রে যেন সে এই বাড়িটার ছবি দেখেছিল আর ওমনি আবদার আর সেই আবদার রক্ষায় সবার কী দৌড়ঝাঁপ!এই যে আগুনের চারপাশে বসে ধর্ষণ থেকে নিজেকে করার রক্ষা করার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করছি ,এই মুহূর্তের এত এত বক্তৃতা সবই এই মেয়েটির জন্য।
গার্ট্রুডের চাচা এবং আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে বলে, “ওর ব্যাপারে তোমার এত জ্বলে কেন?”
আমার স্বামী বলে এটা স্বাভাবিক না।তার ধারণা এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমি মধ্য বয়স্কা।আমি হয়তো তার মেদহীন পেট এবং বয়সের ছাপহীন চোখকে হিংসা করি।তার নিয়ম ভাঙ্গার ক্ষমতাতে জ্বলে যাই।আমার স্বামী বলে “এটা টিন এজ মেয়ের প্রতি তোমার এক রকম হিংসা।তুমি ভেবে দেখো ব্যাপারটা ভালো করে।”
আর তারপর আমি চোখ পাকিয়ে বলি,
হলে হবে।তোমার কি?
ধর্ষণ সম্পর্কে এখন কথা বলা যাচ্ছে কেননা তার ছোট ভাই বোন এখন উপর তলার বাচ্চাদের ঘরে ঘুমাচ্ছে।তাদের ছাদ আর দেয়াল তারায় মোড়া আর পুরো মহাবিশ্ব তাদের হাতের মুঠোয় বন্দি।
এটা দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া।এখানে দিনে গরম এবং শীত।আগুনের কুণ্ডলীটা উঠানের মাঝে তৈরি করা হয়েছে।সেটা সান ডিয়েগো সমুদ্রের দিকে আগুনের ফুলকি উড়াচ্ছে।কুয়াশার কারণে সমুদ্র আমরা এখান থেকে কেউ দেখতে পাচ্ছি না।আমরা শুনতে পাচ্ছি বিশাল বিশাল অনুভূতির মত বিশাল বিশাল ঢেউ এসে গর্জন করছে, তীরে এসে আছড়ে পড়ছে।ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ প্রথমে “ধরাস” হয় তা থেকে একেবারে “হিসসস” এ পরিণত হচ্ছে।শব্দটা তেমন একটা জোরালো না হলেও চেষ্টা করলে ঠিক শোনা যায়।
গার্ট্রুডের বাবা এখন মাতাল তাই সে এখন তার ভাইয়ের মতো কথা বলছে। সে বলল,
“কিছু ছেলে-ছোকরা তোমার সাথে ঘেঁষা-ঘেঁষি করতে চাইবে বুঝলে? তোমার বুঝতে হবে কি করা উচিত কি করা উচিত না”।
গার্ট্রুড তার মাথা নাড়ল।লাল পনিটেল দুলিয়ে দুলিয়ে বলল,
“আমি জানি।তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারো।”
তার মা বলল
“শয়তানগুলো তোমার শরবতের পেয়ালায় কিছু মিশিয়ে দিতে পারে।যেমন তারা উপরে উপরে করোনা বিয়ারের মগ গ্লাসে গ্লাসে ঠুকে উল্লাস জানাবে।আসলে তারা তোমাকে রুফি ড্রাগস দিবে”।
তার চাচা ও আমার স্বামী বলল,
“কোন অবস্থাতেই কোন ফালতু ছেলেকে তোমার জন্য পানীয় কিনতে দিবে না।নিজের পানীয় নিজে কিনে খাবে।তাকে বলবে তোমার কাছে যা টাকা আছে তাতে তুমি তাকেই উল্টো পুরো এক বছরের পানীয় কিনে দিতে পারবে।তুমি জানো কেন?”
“আমি জানি ।মা বলেছে।”
আমি বললাম,
“তোমকে আসলেই অনেক অনেক সতর্ক থাকতে হবে।কেউ কখনো আমাকে রুফি দিতে সাহস করেনি।আমার পরিচিত কেউও নয়।আমি কোন নেশাগ্রস্থ গাধার সাথে কথা বলিনি।কখনো এমন কাউকে বিশ্বাস করবে না যে বলবে সে তোমার খুব খেয়াল রাখবে।এদের দশজনের মধ্যে নয়জনই ভুয়া”।

যেহেতু গার্ট্রুড কলেজে যাচ্ছে তাই সবাই যার যার স্মৃতি ঝালিয়ে নিতে চাইল। তার বাবা তার স্কুল জীবনে খুব দুরন্ত ছিল।মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো থেকে মেয়েদের সাথে ঝোলাঝুলি থেকে আজেবাজে কাজ কম করে নি।তাই সে তার মেয়েকে বারণ করে এরকম কাজ কখনো যাতে না করে। তার মা ছাত্র সংগঠনে জড়িত ছিল।শান্তি ও সুবিচারের পক্ষে ছিল সে।আজ রাতটা তার সেই সময়ের স্মৃতি উশকে দিয়েছে।আর আমার জন্য কলেজ-জীবন অনেক উচ্চমূল্যের ছিল।আমি যা যা চাইতাম তা পেতাম না।গার্ট্রুড আমাকে জিজ্ঞেস করল,
“তোমার কলেজ জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বিষয় কি?”
আমি বললাম,
“আমাকে কয়েক মিনিট ভাবতে সময় দাও”
তারপর আমি আগুনের চারপাশে বসা সবগুলো মানুষের মুখের দিকে তাকালাম।কেমন জানি ভুতুড়ে পরিবেশ।আর কুয়াশার কথা কি বলব!দূর থেকে ঘন দেখা গেলে কি হবে, এটা ফিনফিনে।আমাদের চারপাশে স্থির হয়েও নেই। কাছ থেকে অদৃশ্য এবং তা কাছাকাছি বসা আমাদের মুখ কোনমতেই আড়াল করতে পারছে না।
আমার স্বামী কিছুক্ষণ পর বলল,
“সে গান খুব পছন্দ করত।”
যদিও সে আমাকে তখন চিনত না তবে সে ঠিক বলছে।আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
গার্ট্রুড বলে উঠল,
“আশির দশকের স্টাইলই সেরা।”
সে আসলেই আশির দশকের সেই কচ্ছপের খোলের ছাপ দেয়া বিশ্রী চশমাটা পরে আছে।এটা আমিও পড়তাম সেসময়।আমার অবশ্য অন্য কোন উপায় ছিল না তাই পরতে হতো।কেবল এই চশমাটা পড়ার সামর্থ্যই আমাদের ছিল।আমার ও জোসেফার।জোসেফা আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী।আমাদের সেই চশমাটা কেনার সামর্থ্য ছিল না যেটা মুখে একেবারে সেঁটে থাকত।ঠিক বাইনোকুলারের মতো ছিল যেটা।আমরা যেমন মেয়ে ছিলাম তাদের তারা বলা হয় “আজব”।এযুগে এটা কিছুটা প্রশংসনীয় শব্দ হলেও তখন সেটা তেমন কোন ভালো উপাধি ছিল না।আমরা জানতাম না আমরা কে।আমি ও জোসেফা।যে জোসেফা কলেজে যেতে চাইতো না কিন্তু তার আমার সাথে কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল।আমি স্কুল পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম।এখনকার মতো নির্বাচিত কলেজে না,তখন আমি সকল কলেজের ফরম পূরণ করেছিলাম।আমার বাবা মাও সহায়তা করেছিলেন।জোসেফা এ নিয়ে ঝোলাঝুলি করে নি।সে বলেছিল, “আমার কখনোই ভর্তি হওয়া হবে না।” যেহেতু আমি পাশ করেছিলাম আর সে পাশ করে নি।আমি তাকে বলেছিলাম, “সপ্তাহ শেষে চলে এসো।”
সে বলেছিল, “পারব না।ধুর।আমাকে কাজ করতে হবে। কিন্তু এক রাতে আমি তোমার ঘাড়ে এসে চাপবো ঠিক।”
তাই সে একদিন এসেছিল।
আমি জোসেফাকে দেখাতে চাচ্ছিলাম সে কোন কোন জিনিস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং কি কি তার প্রাপ্য ছিল।কিন্তু সে যখন এসেছিল আমার মতো তারও কিছু ছিল না ।একটা প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে তার কিছু জামা কাপড় ছাড়া সে কিছু নিয়ে আসে নি।ঠিক স্টিন ব্যাকের উপন্যাসের হোবোর মতো। হোবোর মতো তার হাতে শুধু লাঠিটাই ছিল না।সে সান গাব্রিয়াল ভেলী থেকে এসেছিল।সেখানে সে মুদী সদাইয়ের প্যাকেট করার কাজ করতো আর বাজারের গাড়ি ঠেলত।আমার চাকরীটাও তেমন যুতের ছিল না।লোকজনকে গিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতাম, তারা আলু ভাজা খাবে কিনা। তখনও জোসেফার চেয়ে আমার রুচি-বোধ সূক্ষ্ম ছিল। অন্তত এটা বুঝতাম এমন একটা চাকরী বেশিদিন করা যাবে না।যাই হোক যখন জোসেফা দরজায় ঘণ্টি বাজিয়েছিল আমি রুমমেটদের সাথে সে এপার্টমেন্টে থাকতাম সেখানে তখন ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছিল।হল রুমে মানুষ-জন ভরে গিয়েছিল।মারিয়া ফার্নান্দ তার সোফায় বসে তার ক্যাসেট প্লেয়ারে রিক জেমস এবং আর ই এম বাজাচ্ছিল।মারিয়া ফার্নান্দ।যাকে প্রথমবার ভুল করে মারিয়া ডেকেছিলাম বলে সে বলেছিল, “এক সাথে বল।দুই নাম একসাথে করে আমাকে ডাকবে।”
আমি সেটাকে মারিয়া ফার্নান্দার সোফা বলছি বলছি কারণ সেটা তার সোফাই ছিল। এপার্টমেন্টের সাথে যে পুরনো সবুজ সোফাটা ছিল,যেটা দিনের পর দিন ছাত্রছাত্রীদের পশ্চাৎ-ভাগের ঘষা খেয়ে এসেছিল সেটাকে সে বসার উপযোগী ভাবেনি।আমি যেদিন বাসাটায় উঠেছিলাম তার একদিন পরই সে উঠেছিল সেখানে।লম্বা,ঝাঁকরা চুল আর সোনালী বালা পরা মেয়েটা।সোফাটার দিকে তাকিয়ে সে দাঁতে জিভ চুকচুক শব্দ করেছিল, “কি জঘন্য!”খুব সুন্দর ইংরেজিতে সে উচ্চারণ করছিল।দা থ্রি স্টুজেজ টিভি সিরিয়াল থেকে সে এভাবে কথা বলা শিখেছিল।দুই দিন পর সেই মলিন সোফাটার বদলে সে সময়ের কেতাদুরস্ত সাদা সোফাটা চলে এসেছিল।আমি সেখানে কখনো বসি নি।
মারিয়ার অতিথির সেখানে এভাবে বসেছিল যেন সেটা তাদেরই বাড়ি।আমি তাদের রান্নাঘর থেকে দেখছিলাম আর মুখের ভেতর চিতোস চিপস ঠুসছিলাম।বয় জর্জের মতো একটা লোক ছিল সেখানে।সে সময়ে একটা উপন্যাসে এমন চরিত্র ছিল মনে হচ্ছিল সেটা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি।একজন মানুষ যে একি সাথে মহিলা ও পুরুষ।যার মাথায় নানান রঙের জট।কালো মানুষদের চুল যেমন হয় তেমন।আমি জোসেফাকে দেখতে পাব বলে খুশী হয়েছিলাম।কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না সে সঠিক ভাবে পথ চিনে আসতে পারবে কিনা।সব এপার্টমেন্টই দেখতে একি রকম ছিল প্রায়।একি রাস্তার উপর রোদে পোড়া ,ওটমিল রঙ্গা সার সার দাঁড়িয়ে।তাই আমি দরজার চেরা অংশের ফাটল দিয়ে বাইরে উকি দিচ্ছিলাম।সে এসে ভেতরে ঢুকেছিল এবং তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল।তার দৃষ্টি বয় জর্জের উপর গিয়ে পড়েছিল।ঠিক যেভাবে গ্রাম্য মানুষেরা শহুরে মানুষ দেখে সেভাবে তাকিয়ে ছিল সে এবং এটা সত্য আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে আমরা এমন মানুষ কখনো দেখিনি।কেননা আমাদের অভিভাবকরা কষ্ট করে আমাদের বড় করতেন।তারা চাইতেন না আমরা দেখতে প্রথা বিরোধী হই।জোসেফা তাদের দিকে তাকিয়ে হাত নেড়েছিল তারপর তাড়াতাড়ি তাদের অতিক্রম করে রান্নাঘরের মেঝেতে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগটা হাত থেকে নামিয়ে রেখেছিল।তার মাথায় সে লাল ফুল তোলা ব্যান্ডটা ছিল,কোঁকড়া চুলের কারণে তার অনেকটাই ঢাকা পড়ে গিয়েছিল।আমি তাকে জড়িয়ে ধরে আমার ঘরে নিয়ে গিয়েছিলাম।আমার ঘরে তেমন আসবাব ছিল না।ছিল একটা বাজে খাট আর কাঠের পরত উঠে যাওয়া বাদামী একটা টেবিল, আর ছিল ইংল্যান্ডের কোন এক ইটের তোরণের পাশে দাঁড়ানো স্মিথের একটা পোষ্টার।আমি জোসেফার প্ল্যাস্টিকের ব্যাগটা আমার জিনিসপত্রের মধ্যে সাবধানে আড়াল করে রেখেছিলাম।ময়লা পোশাকের ঝুড়ির ঠিক পেছনে।কেননা এমন এক জায়গায় আমাদের জন্ম হয়েছিল যেখানে সাবধানী না হলে লোকে ভালো ভাবে নিত না।
“তুমি এলে তবে”
আমি বলেছিলাম,
জোসেফা মাথা নেড়েছিল, “সেই সোফাটা। আচ্ছা সেটা কতদিন আর সাদা থাকবে?”
আমি কাঁধ ঝাঁকিয়ে, চোখ পাকিয়ে বলেছিলাম, “আরে একটা নষ্ট হলে আর একটা আনবে ও।”
আমি বলতে যাচ্ছিলাম যে, “আমার রুমমেট কত বোকা কিভাবে টাকা নষ্ট করছে।” এটা না বলে বরং আমিও ফুটানি করেছিলাম।
জোসেফা একটু গোছগাছ করে, তার মাথার লাল ব্যান্ড উঁচিয়ে, পিঠ সোজা করে বলেছিল, “চল বয় জর্জকে দেখে আসি।”

গার্ট্রুডের বাবা বলল,
“আমরা সবাই তোমাকে নিয়ে গর্বিত। তুমি কখনো আমাদের সমস্যায় ফেলোনি।”
তার মা বলল, “তুমি এমন একটা সন্তান যে যেকোনো জায়গায় যেতে পারে।প্যারিস, মরক্কো।”
সে আমার দিকে তাকাল।আর আমার স্বামী বলল,
“গার্ট্রুড মায়ের মতো হয়েছে।এই বাসাটা দেখো। কত সুন্দর তাই না?একটা ছুটি কাটানোর মতো বাড়ি।এটা এমন, ঠিক যেমনটা আমি চাই।গ্রাজুয়েশনের খুশিতে দুই সপ্তাহের জন্য এই বাড়ীটায় সবাই মিলে থাকতে চাওয়া ওর বয়সী মেয়ের জন্য অবিশ্বাস্য।অন্য ছেলে-পেলে হলে আকাশের চাঁদই চেয়ে বসতো।সে এতকিছু চায় নি।কেবল সান-ডিয়েগোতে আসতে চেয়েছে।বাড়ি থেকে মাত্র ছ-ঘণ্টার পথ।”
আমি আমার স্বামীর দিকে তাকালাম।সে কথাগুলো বলার সময় আমার দিকে খুব সতর্ক ভাবে তাকিয়ে ছিল।কিন্তু আমার চেহারা?আমার চোখ তাকে কিছুই বলেনি।
সে জিজ্ঞেস করল,
“তুমি কি আর একটু শ্যাম্পেইন খাবে?”

কলম্বোবাসীরা আসবে বলেই আমি সেই সপ্তাহ শেষের ছুটিতে জোসেফাকে আসতে বলেছিলাম।আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম।যারা এসেছিল তারা ছিল মারিয়া ফার্নান্দার চাচাতো ভাই।মারিয়া এমন একজন যাকে আমি কখনো কলেজ জীবনে কল্পনা করিনি।এরকম মানুষকে কখনো জানা যায় না।সে কখনোই আশেপাশে থাকত না, কেবল যখন বাড়িতে হই-হল্লা,নাচ, মদ্যপান আর উচ্চস্বরে কথা বার্তা হতো তখন তাকে পাওয়া যেত।মারিয়া ফার্নান্দ আমার উপর বিরক্ত হতো আমি বুঝতাম। সে যে সব বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করতো আমি তার কিছুই জানতাম না।যে সব জায়গায় সে গিয়েছিল আমি সেখানে যাই নি।বরফে স্কী কিংবা নদীতে ভেলায় চড়ে ঢেউয়ে দোল খাওয়া।আমি কি আর এসব করেছিলাম কখনো?ছোট রাবারের নৌকায় চড়ে বড় বড় ঢেউয়ের উপর চড়ে বেড়ানো?মলিন সোফা চাইতেই বদলে ফেলা? তখন সে একটা উৎসব করতে তার ভাইদের দাওয়াত করেছিল।আমি যাদের ছবি দেখেছিলাম।তিনজনই দেখতে সুদর্শন ছিল।একটি ছবিতে দেখেছিলাম, একটি রূপালী কাঠামোতে তারা একটা পিরামিড বানাতে চাচ্ছিল কিন্তু তা হতে পারেনি।ছোট ভাইটি উপর থেকে পড়ে যাচ্ছিল এবং তাদের সবার গালেই টোল পড়া হাসি ছিল।আমি চাচ্ছিলাম জোসেফা সেখানে থাকুক।আমি চাচ্ছিলাম জোসেফা কলেজ জীবনের প্রেমে পড়ুক।আমরা আমাদের মায়েদের মতো হতে চাই নি।তাদের মতো চাকরী ধরে রাখতে মরিয়া হওয়া,একাধিক বাচ্চা নেয়া।আমাদের মায়েদের কথা শুনলে মনে হতো পুরুষদের পেতে হলে যুদ্ধ করতে হবে।

আগুনের কুণ্ডলীটা হঠাৎ উশকে উঠল। আমি ভয় পেলাম।কিন্তু বুঝতে পারলাম আমার পিছনে আমার স্বামী ,সে নিজেই আগুনকে আরও প্রজ্বলিত করতেই এসেছে।
তার ভাই বলল।
“বেশি হয়ে গেছে নাকি রে? কত আগুন আমাদের লাগবে আর?”
আমার স্বামী বলল, ঠিক আছে।
তার রিডিং গ্লাস তার সামনের দিকের পাতলা চুল হয়ে নাকে এসে পড়তে সে বাঁকা হাসি হাসল।
আমি দেখছি আগুন আরও লম্বা হয়ে দৈত্যের মতো নাচছে।
ম্যাডাম।
আমার স্বামী একটা পরিষ্কার গ্লাসে করে শ্যাম্পেন দিয়ে গেল।প্রথম গ্লাসটা সে নিয়ে গেল কারণ তাতে আমার আঙ্গুলের ছাপ আছে।আমার একটা অভ্যাস যে আমি একটু পর পর একটা পরিষ্কার গ্লাস চাই।আমি আমার দ্বারা নোংরা করা কিছু বা গ্লাসে লিপস্টিকের দাগ দেখতে পছন্দ করিনা।আমি চাইনা এগুলো অন্যে দেখুক।
গার্ট্রুড কম্বলে মুড়ে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে পরিষ্কার করে ধোঁয়া কম্বলটা।চশমার কাচের ভেতর দিয়ে তার মা আগুনের দিকে তাকিয়ে আছে।আমরা সবাই তাকিয়ে আছি।আগুন এমন কেন? আমাদের তাকাতেই হয় কেন তার দিকে?আমরা সবাই চুপ হয়ে গিয়েছি।এটা হয়ত বিয়ার,মদ এবং হুইস্কির প্রভাব।কিংবা এটা কুয়াশার কারণে।গার্ট্রুড হাই তুলে বলল,“কেউ একটা ভুতের গল্প বল না?”তারপর তার বাবা চালকের গল্পটা বলে।আমরা সবাই তা শুনেছি।কিন্তু এটা এমন একটা গল্প যা সবাই শুনেছি কিন্তু কেউই ঠিকঠাক মনে রাখতে পারিনা ।যেখানে আপনার মনে হবে একজন চালক মানুষকে গাড়িতে নিয়েছে কিন্তু আসলে সে একটা ভূত।এবং ভুতকেই বারংবার নিচ্ছে সে।আহ এটা শোনার পর কে অপরিচিত লোক তার গাড়িতে নেবে?

তারা ছিল তিন ভাই। উচ্চতার ভিত্তিতেও পরপর তিনজন। তারা সব সময়ই সব অনুষ্ঠানেই ওভাবে দাঁড়াতো।বড় থেকে মাঝারি তারপর ছোট।লম্না জন টেকো, লম্বা নাকের অধিকারী।মধ্য জনের হাত অতিরিক্ত নরম, ছোট এবং আদ্র।আমার হাত ঝাঁকানোর সময় আমি বুঝেছিলাম।সবচেয়ে ছোট যে, তার চোখ সবুজ।আর হাত একদম সঠিক উচ্চতা, আর্দ্রতার এবং সঠিক সহনীয় মাত্রার সুঠাম।রান্নাঘরের যেখান থেকে আমি তাদের খেয়াল করছিলাম আমি বুঝতে পারছিলাম সে জোসেফাকে পছন্দ করেছে।সে জোসেফাকে খেয়াল করছিল।আর জোসেফা সে খাবারের মতো একের পর এক জেলো ফ্লেবারের এলকোহল পানীয় পান করে যাচ্ছিল।তখন আমি জানতাম না সেটা কি?কিন্তু এখন জানি সেগুলো খাওয়া ঠিক না।
সে যখন রান্নাঘরে পানি খেতে এসেছিল।আমি তার হাত মুচড়ে দিয়ে বলেছিলাম, “তোমার কি ছেলেটাকে ভালো লেগেছে?”আমি চাচ্ছিলাম তার ভালো লাগুক।আমি তার দিকে ভ্রূ উঁচিয়ে হেসেছিলাম।তার ভালোর জন্যই চাচ্ছিলাম সে যেন ছেলেটাকে পছন্দ করে।জোসেফা বলেছিল,“সে দেখতে খুব সুন্দর।হ্যাঁ,আমার মনে হয় আমি তাকে পছন্দই করেছি।সে একজন ডক্টর হতে চায়।”
“বাহ!তুমি মেক্সিকান আর সে কলোম্বিয়ান।দারুণ তো।জোসেফা আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলেছিল, তোমার কি মনে হয় এ দু দেশের মানুষের কোন মিল আছে?” সে যখন হেঁটে ফিরে যাচ্ছিল আমার দিকে ফিরে তাকিয়ে হেসেছিল।কিছু দূরে গিয়ে তার আঙ্গুল সযত্নে একটি সাদা দেয়ালে ছন্দ তুলেছিল।আমি তখন দিব্য চোখে যা যা দেখেতে পাচ্ছিলাম তা হল, স্কী ভ্রমণ, নদীতে ভেলায় করে ঢেউয়ে ভাসা, সীমান্তবর্তী শহরে লম্বা কাঠের টেবিলে অভিজাত রাতের খাবার।বাতাসে টেবিল-ক্লথের উড়তে চাওয়া।আমি আরও অনেক কিছু দেখছিলাম যার কোন অস্তিত্ব বাস্তবে ছিল না।
কিছুক্ষণ পর রাতটা বাজে রূপ নিয়েছিল।কেউ একজন আলো নিভিয়ে দিয়েছিল।উচ্চস্বরে গান বাজছিল।এবং কেমন করে যেন ঘরগুলো শান্ত হয়ে গিয়েছিল ।আমি দেখেছিলাম বেশির ভাগ মানুষ জোড়া বদ্ধ,দেখেছিলাম মারিয়া ফার্নান্দ মেঝেতে দুইজন পুরুষের মাঝখানে শুয়ে আছে।আমি দেখেছিলাম লম্বা সোনালি চুলের একজন লোক চেয়ারে বসেছিল।প্রথমে কেবল বসেই ছিল সে।একটু পর বমি করা শুরু করে।কেউ একজন পিঠে চাপড় দিচ্ছিল আর তাকে বলছিল, “আরে তোর কি হয়েছে? গ্রস তুই ঠিক আছিস?” এবং একজন মাতাল লোকের কামুক হাতের স্পর্শ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি শুধু শুধুই সেখানে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করেছিলাম।মনে হচ্ছিল আমি সারা জীবন ধরে,বহুদিন ধরে জোসেফাকে খুঁজছি।তাকে খোঁজার আর মাত্র তিনটা ঘর বাকি ছিল।আমি প্রথমে গোসলখানাগুলোতে খুঁজেছিলাম।প্রথম দরজায় কড়া নাড়তে কেউ একজন আমাকে টেনে ভেতরে নিয়ে গিয়েছিল।সেটা ছিল বয় জর্জ এবং আর একটা লোক।সে বলেছিল দেখো আমরা কিভাবে চুমু খাই।আমি দেখেছিলাম এবং তারপর বয় জর্জ আমাকে চুমু খেয়েছিল।সে আমার মুখ বিড়ালের মতো চেটেছিল।আমি নিজেকে বাঁচাতে বাঁচাতে বলেছিলাম, “আমি ভেবেছিলাম তুমি একজন সমকামী”।সে হেসেছিল।তার লাল লিপস্টিক আমার মুখে ছড়িয়ে গিয়েছিল আমার থুতনিতে আমার গালে সবখানে ছিল লাল রঙ।অনেকক্ষণ মোছার পর যখন আমি আমার হাতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম সেখানে লাল রঙ ছিল।আমি পরবর্তী ঘরে গিয়েছিলাম।সেখানে তিন ভাইয়ের এক ভাই একা বসেছিল।সেই টেকো জন।সে আমার দিকে কিছু একটা এগিয়ে দিয়েছিল একটি রূপালী পেয়ালা।বলেছিল, “এটা পান কর”। আমি তা করেছিলাম।সে আমার মুখে সেই পেয়ালাটা ধরেছিল তাই আমাকে গিলতে হয়েছিল।আমার মনে আছে আমি বলেছিলাম, এহহহহ!এবং সে বলেছিল “এটা হচ্ছে এমন একটা স্কচ যা টাকা দিয়েও পাবে না।তুমি কিচ্ছু জানো না দেখছি।” কিন্তু আমি জানতাম,আমি জানতাম সেটা ছিল একদম বাজে কিছু।আমি তাকে সেখানে ফেলে পরের ঘরে গিয়ে সেই ঘরের দরজা আস্তে আস্তে খুলেছিলাম।জোসেফা মাঝখানে শুয়েছিল আর ছোটভাইটা তার উপর উঠে কি যেন করছিল। আমি জোসেফার গোঙ্গানি শুনতে পাচ্ছিলাম।ভাবছিলাম,সে কি ঠিক আছে?আমি ঘরের ভেতর ঢুকেছিলাম।কিন্তু সে জোসেফার হাত পুলিশের মতো উঁচিয়ে বলেছিল, “হ্যাঁ সে ঠিক আছে।দরজা ভেজিয়ে যাও।”জোসেফা বলছিল,উমমম। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করব, বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছিল।তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তার যত্নই নিচ্ছে ছেলেটা, তাকে দেখেই রাখছিল সে।কিন্তু সেখানে অনেক অন্ধকার ছিল।হল রুম থেকে অল্পই আলোতে কিছু দেখা যাচ্ছিল না।আমি শুনেছিলাম সে কাঁদছিল না।সে আমার নাম ধরেও ডাকে নি।ছোট ভাইটি বলেছিল, সে ভালো আছে।

আমার পাশে যে বসে আছে, যে আমাকে পরিষ্কার গ্লাস এনে দিল, সে আমার স্বামী।আমি তার কাছে একটা বাড়ি বিক্রি করেছিলাম এভাবেই আমাদের পরিচয় হয়েছিল।আমি কোমর বেঁধে নামা ব্যবসায়ী, হাই হীল পায়ে কাঠের মেঝের বুকে ব্যথা দিয়ে, উচ্চস্বরে ছন্দ তুলে হেঁটে যাওয়া ব্যবসায়ী।আমি ওয়েস্ট এলো এ এর প্রাসাদের মতো বড় একটা বাড়ি তার কাছে বিক্রি করেছিলাম।যেখানে আমি স্কুল জীবন কাটিয়েছি।আমি এমন একজন আজব মানুষ যে বেড়ে উঠেছি লোকজনের কাছে তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘরের বাড়ি বিক্রি করার জন্য।আমি তার বন্ধুর একটা চিলেকোঠা বেচে দিয়েছি যা দশ বছর আগে থেকে পরিত্যক্ত ছিল।যেখানে পিঠ সোজা করা যায় না, আলো নেই ,পানি নেই।আমার স্বামী বলে বেড়াতে পছন্দ করে “আমার বউ রিয়েল এস্টেট জগতের মোঘল সম্রাট”।
গার্ট্রুড কেঁপে কেঁপে বলল, “আমি এখন শুতে যাব”।আসলেই তার সকালে উঠতে হবে সার্ফিং করার জন্য।সে তার কুৎসিত চশমা জোড়া নাকের ডগায় ঝুলিয়ে থামিয়ে রাখল।
তার মা বলল,
“আমরা তাকে জ্বালিয়েছি।তবে তার এটা জানা প্রয়োজন ছিল।”
“জানি জানি জানি।নিজেকে ধর্ষিত হতে দিব না।” এটা বলে সে একে একে সবাইকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানাল।সবার শেষে আমাকে বিদায় জানাতে আসল সে।আমি তার কনুই ধরে টান দিয়ে বললাম, “আশা করি তুমি তোমার বাবা মায়ের কথা শুনছো।মানে আমি বলতে চাচ্ছি সত্যিকারের মেনে চলা।”
“আমি শুনেছি সব সময়।শুনিনি?”
তার ঠোট উপরের এক কোনে বেঁকে গেল।আমি মনে মনে বলি,”ফাজিল মেয়ে। তোমাকে যেমনটা দেখা যায় তুমি তেমনটা নও।তোমার ভালো হোক।”
তারপর তার মুখ আবার গম্ভীর হয়ে গেল।টানা চোখে নেমে এলো নরম সরলতা।সে তার ঘরের দিকে হেঁটে গেল, সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠল।এমন একটা ঘর সেটা যেখানে সব কিছু সাদা,যেখানে মনোরম বাতাসে দোল খায় সাদা পর্দা।

বিঃদ্রঃ অনুবাদটি ভোরের পাতা দৈনিক পত্রিকার চারুপাতা বিভাগে ১৪ই মে ২০১৭ সালে প্রকাশিত।



সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×