পীথাগোরাসের পরিচিতিঃ
৫৭০ খ্রীষ্টপূর্বে প্রাচীন গ্রীকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্মরণ কালের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক পীথাগোরাস। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে উনি পারদর্শী হয়ে উঠেন। উনি ছিলেন একাধারে একজন গণিতবীদ, দার্শনিক। তবে উনার শ্রেষ্ঠত্ব ছিল সাহিত্যের ধারায়। উনি উনার সময়ে তো বটেই, এবং উনার পরে আরো ৩০০০ হাজার বছর পার হওয়ার পর এখনও শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। নোবেল পুরষ্কার তৎকালীন সময়ে চালু ছিল না। তাই তিনি নোবেল পুরষ্কারে কখনো ভূষিত পারেননি। নোবেল পুরষ্কারের কলঙ্ক – কারণ, এটা কখনো পীথাগোরাসের হতে পারেনি। উনার পূর্ণ নাম স্যার আইজ্যাক পীথাগোরাস্টাইন।
.. স্যার আইজ্যাক পীথাগোরাস্টাইনের মূর্তি ..
পীথাগোরাসের বই সমূহঃ পীথাগোরাস আসলে এত এত বই লিখে গিয়েছিলেন যে, উনার বইয়ের নামের তালিকা মনে রাখা খুব কঠিন। তবে উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে – আপেল কেন মাটিতে পড়ে?, স্বর্ণ পানিতে ফেলে দিলে, আগুন না নারী – কোনটার সাহচার্যে দ্রুত সময় কাঁটে? এবং অতিভুজ বাঁকা হয়েও কেন তার দুই বন্ধুর থেকে বেশি শক্তিশালী।
আমি সবগুলো বইয়ের রিভিউ দিতে পারব না। এত ভাল বইয়ের আসলে রিভিউ লেখা আমার মত সাধারণ একজন পাঠকের পক্ষে দেওয়া সম্ভবও না।
তবু আমি চেষ্টা করছি,
--- আপেল কেন মাটিতে পড়ে?
এই বইয়ের নায়ক চরিত্রে ছিলেন নিউটন হোমস নামের এক ছেলে। তার সারাদিন ক্ষুধা লেগেই থাকতো। তার বাবা ছিল একজন আপেল চাষী। তাই সারাদিন ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য সে আপেল গাছের নিচেই থাকতো। আপেল খেত, সেখানেই ঘুমাত। আবার উঠতো, আপেল খেত, আবার ঘুমাতো।
একদিন সে বেভোর ঘুমে ছিল। এমনিতে সবসময় গাছের নিচে ঘুমালেও ঐদিন কেন যেন সে আপেল গাছ থেকে একটু দূরে সরে ঘুমিয়েছিল।
সেটাই কাল হল তার জন্য। এক আপেল হুট করে মাথায় পড়লো। ঘুম ভেঙ্গে গেল নিউটনের। তীব্র ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আপেল গাছটার দিকে। আপেলটা হাতে তুলে নিয়ে ভাবলো – আপেল মাটিতেই কেন পড়লো? আপেলটা গাছ থেকে বিচ্যুত হয়ে উড়ে গিয়ে পানিতেও পড়তে পারতো। অথবা উপরে আকাশে গিয়ে ধাক্কা খেতে পারতো। কেন সোজাসুজি মাটিতে পড়লো।
রহস্য জেঁকে ধরলো তাকে। লেগে গেল রহস্য আবিষ্কারের নেশায়।
খুঁজে পেল কারণটা।
কী সেই কারণ? সেটা জানতে হলে পড়তে দুর্দান্ত বাঁকের রোমাঞ্চকর বই ‘আপেল কেন মাটিতে পড়ে?’
আমার রেটিংঃ ১০ এ ১০০।
--- স্বর্ণ পানিতে ফেলে দিলে
এই বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল গ্যালিম্যান। ইংল্যান্ডের মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় এক ছিমছাম রাজ্যে বাস করতো। এটা একটা রাজকীয় কাহিনী। রাজার সাথে প্রজার লড়াই। প্রজার সাথে স্বর্ণের লড়াই। স্বর্ণের সাথে পানির লড়াই। স্বর্ণকে পানিতে ডুবিয়ে মারার চক্রান্ত। রাজার ক্ষীপ্ততা...
আর আর... ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি।
অস্বাভাবিক রকমের জটিল একটা বই। যে একবার পড়বেন – তার বইটাকে পানিতে ডুবিয়ে মারার খায়েশ জাগবে।
আমার রেটিংঃ ১০ এ ১২০।
--- আগুন না নারী – কোনটার সাহচার্যে দ্রুত সময় কাঁটে?
এটা পীথাগোরাস্টাইনের দার্শনিক একটা বই। যেহেতু উনি দার্শনিক ছিলেন, তাই এই বইয়ে উনি উনার দর্শনবিদ্যার প্রদর্শন দেখিয়েছিলেন। আগুন না নারী – এসব বুঝাতে উনি কী সব যেন রিলেটিভিটি মিলেটিভিটি শব্দ আনছেন। নায়ক ছিল এই বইয়ে আইনস্টাইন নামের এক পাগলা। কত কত পাগলামি যে করছে। ট্রেন থেকে নায়ককে লাথি মেরে বের করে দিছিল – তারপর, আবার উঠলো।
আমি ঠিক বুঝি নাই গল্পটা। তবে নেটে দেখলাম, এটা নাকি তার সেরা বই!
আমার রেটিংঃ বুঝিই নাই। (তবে বইটা কিন্তু দুর্দান্ত, একবার পড়লে বারবার পড়তে ইচ্ছা করবে। আমি শুনেছি বইটা নাকি এখন বাজারে নেইও। স্টক শেষ হয়ে গেছে।)
আরো অনেক অনেক বই নিয়েই বলা যেত – কিন্তু পোষ্টটা বড় হয়ে যাবে। তাই আর বেশি বললাম না।
প্রাপ্তিস্থলঃ বইগুলো বেশির ভাগ পাওয়া যায় নেপালের রাজধানী নেপচুনের খুচরা বইয়ের দোকান গুলোতে। সেকেন্ড হ্যান্ড বই। সুলভ মুল্যেই পাবেন। একেকটা বইয়ের দাম হাতের নাগালেই। মাত্র ১০০০ ডলার করে। দামাদামি করা যায় না অবশ্য সেখানে। নেপচুনের মানুষ – একটু ‘ত্যাড়া’ কিসিমের।
তবে, সবগুলো বইই তরতাজা অবস্থায় পাবেন ইংল্যান্ডের মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়। একদম পানির দরে। বলতে গেলে আপনি যদি বরফ অতিক্রম করে চূড়ায় উঠতে পারেন – তাহলে একদম ফ্রি ই বইগুলো। তবে, সেখানে যাওয়াটা দুষ্কর বলে সবাই নেপালের নেপচুন থেকেই বইগুলো সংগ্রহ করে থাকে।
অনলাইনেও পাওয়া যায়। www.iamgpa5.com এ ঢুকলেই ডাউনলোড অপশন পাবেন। সেখানে পীথাগোরাস্টাইন সেকশনে ক্লিক করলে একসাথেই সবগুলো বই ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। তবে গুজব আছে। এই ওয়েব সাইটটা নাকি মিথ্যা। ঢোকা যায় না। আমি কিন্তু ঠিকই ঢুকতে পেরেছি। আপনি জিপিএ৫ পাওয়া হলে অবশ্যই ঢুকতে পারবেন।
আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ।
যদিও বুঝা যায় যে, এটা নাটক জাতীয়। কিন্তু, তারপরেও বিনোদনটা একদম খাঁটি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫