somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিখ্যাত উপন্যাসিক পীথাগোরাসের বইয়ের রিভিউ

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পীথাগোরাসের পরিচিতিঃ

৫৭০ খ্রীষ্টপূর্বে প্রাচীন গ্রীকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্মরণ কালের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক পীথাগোরাস। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে উনি পারদর্শী হয়ে উঠেন। উনি ছিলেন একাধারে একজন গণিতবীদ, দার্শনিক। তবে উনার শ্রেষ্ঠত্ব ছিল সাহিত্যের ধারায়। উনি উনার সময়ে তো বটেই, এবং উনার পরে আরো ৩০০০ হাজার বছর পার হওয়ার পর এখনও শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। নোবেল পুরষ্কার তৎকালীন সময়ে চালু ছিল না। তাই তিনি নোবেল পুরষ্কারে কখনো ভূষিত পারেননি। নোবেল পুরষ্কারের কলঙ্ক – কারণ, এটা কখনো পীথাগোরাসের হতে পারেনি। উনার পূর্ণ নাম স্যার আইজ্যাক পীথাগোরাস্টাইন।



.. স্যার আইজ্যাক পীথাগোরাস্টাইনের মূর্তি ..

পীথাগোরাসের বই সমূহঃ পীথাগোরাস আসলে এত এত বই লিখে গিয়েছিলেন যে, উনার বইয়ের নামের তালিকা মনে রাখা খুব কঠিন। তবে উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে – আপেল কেন মাটিতে পড়ে?, স্বর্ণ পানিতে ফেলে দিলে, আগুন না নারী – কোনটার সাহচার্যে দ্রুত সময় কাঁটে? এবং অতিভুজ বাঁকা হয়েও কেন তার দুই বন্ধুর থেকে বেশি শক্তিশালী।


আমি সবগুলো বইয়ের রিভিউ দিতে পারব না। এত ভাল বইয়ের আসলে রিভিউ লেখা আমার মত সাধারণ একজন পাঠকের পক্ষে দেওয়া সম্ভবও না।

তবু আমি চেষ্টা করছি,

--- আপেল কেন মাটিতে পড়ে?

এই বইয়ের নায়ক চরিত্রে ছিলেন নিউটন হোমস নামের এক ছেলে। তার সারাদিন ক্ষুধা লেগেই থাকতো। তার বাবা ছিল একজন আপেল চাষী। তাই সারাদিন ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য সে আপেল গাছের নিচেই থাকতো। আপেল খেত, সেখানেই ঘুমাত। আবার উঠতো, আপেল খেত, আবার ঘুমাতো।
একদিন সে বেভোর ঘুমে ছিল। এমনিতে সবসময় গাছের নিচে ঘুমালেও ঐদিন কেন যেন সে আপেল গাছ থেকে একটু দূরে সরে ঘুমিয়েছিল।
সেটাই কাল হল তার জন্য। এক আপেল হুট করে মাথায় পড়লো। ঘুম ভেঙ্গে গেল নিউটনের। তীব্র ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আপেল গাছটার দিকে। আপেলটা হাতে তুলে নিয়ে ভাবলো – আপেল মাটিতেই কেন পড়লো? আপেলটা গাছ থেকে বিচ্যুত হয়ে উড়ে গিয়ে পানিতেও পড়তে পারতো। অথবা উপরে আকাশে গিয়ে ধাক্কা খেতে পারতো। কেন সোজাসুজি মাটিতে পড়লো।
রহস্য জেঁকে ধরলো তাকে। লেগে গেল রহস্য আবিষ্কারের নেশায়।
খুঁজে পেল কারণটা।
কী সেই কারণ? সেটা জানতে হলে পড়তে দুর্দান্ত বাঁকের রোমাঞ্চকর বই ‘আপেল কেন মাটিতে পড়ে?’

আমার রেটিংঃ ১০ এ ১০০।

--- স্বর্ণ পানিতে ফেলে দিলে

এই বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল গ্যালিম্যান। ইংল্যান্ডের মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় এক ছিমছাম রাজ্যে বাস করতো। এটা একটা রাজকীয় কাহিনী। রাজার সাথে প্রজার লড়াই। প্রজার সাথে স্বর্ণের লড়াই। স্বর্ণের সাথে পানির লড়াই। স্বর্ণকে পানিতে ডুবিয়ে মারার চক্রান্ত। রাজার ক্ষীপ্ততা...

আর আর... ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি।

অস্বাভাবিক রকমের জটিল একটা বই। যে একবার পড়বেন – তার বইটাকে পানিতে ডুবিয়ে মারার খায়েশ জাগবে।

আমার রেটিংঃ ১০ এ ১২০।

--- আগুন না নারী – কোনটার সাহচার্যে দ্রুত সময় কাঁটে?

এটা পীথাগোরাস্টাইনের দার্শনিক একটা বই। যেহেতু উনি দার্শনিক ছিলেন, তাই এই বইয়ে উনি উনার দর্শনবিদ্যার প্রদর্শন দেখিয়েছিলেন। আগুন না নারী – এসব বুঝাতে উনি কী সব যেন রিলেটিভিটি মিলেটিভিটি শব্দ আনছেন। নায়ক ছিল এই বইয়ে আইনস্টাইন নামের এক পাগলা। কত কত পাগলামি যে করছে। ট্রেন থেকে নায়ককে লাথি মেরে বের করে দিছিল – তারপর, আবার উঠলো।
আমি ঠিক বুঝি নাই গল্পটা। তবে নেটে দেখলাম, এটা নাকি তার সেরা বই!

আমার রেটিংঃ বুঝিই নাই। (তবে বইটা কিন্তু দুর্দান্ত, একবার পড়লে বারবার পড়তে ইচ্ছা করবে। আমি শুনেছি বইটা নাকি এখন বাজারে নেইও। স্টক শেষ হয়ে গেছে।)

আরো অনেক অনেক বই নিয়েই বলা যেত – কিন্তু পোষ্টটা বড় হয়ে যাবে। তাই আর বেশি বললাম না।

প্রাপ্তিস্থলঃ বইগুলো বেশির ভাগ পাওয়া যায় নেপালের রাজধানী নেপচুনের খুচরা বইয়ের দোকান গুলোতে। সেকেন্ড হ্যান্ড বই। সুলভ মুল্যেই পাবেন। একেকটা বইয়ের দাম হাতের নাগালেই। মাত্র ১০০০ ডলার করে। দামাদামি করা যায় না অবশ্য সেখানে। নেপচুনের মানুষ – একটু ‘ত্যাড়া’ কিসিমের।

তবে, সবগুলো বইই তরতাজা অবস্থায় পাবেন ইংল্যান্ডের মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়। একদম পানির দরে। বলতে গেলে আপনি যদি বরফ অতিক্রম করে চূড়ায় উঠতে পারেন – তাহলে একদম ফ্রি ই বইগুলো। তবে, সেখানে যাওয়াটা দুষ্কর বলে সবাই নেপালের নেপচুন থেকেই বইগুলো সংগ্রহ করে থাকে।

অনলাইনেও পাওয়া যায়। www.iamgpa5.com এ ঢুকলেই ডাউনলোড অপশন পাবেন। সেখানে পীথাগোরাস্টাইন সেকশনে ক্লিক করলে একসাথেই সবগুলো বই ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। তবে গুজব আছে। এই ওয়েব সাইটটা নাকি মিথ্যা। ঢোকা যায় না। আমি কিন্তু ঠিকই ঢুকতে পেরেছি। আপনি জিপিএ৫ পাওয়া হলে অবশ্যই ঢুকতে পারবেন।

আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ।

যদিও বুঝা যায় যে, এটা নাটক জাতীয়। কিন্তু, তারপরেও বিনোদনটা একদম খাঁটি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×