somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রূপান্তরিত অনুগল্পঃ তিনটি প্রশ্ন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
মূলঃ লিও টলস্তয়
রূপান্তরঃ এই অধম :|




একদা এক রাজার মনে কিছু প্রশ্ন জাগলো। সে কি আসলেই জানে কোন কাজ করার সঠিক সময় কোনটা? সে কি আসলেই জানে কাদের কথা শুনলে ভাল হবে এবং কাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে? সর্বোপরি, সে কি আসলেই জানে কোন কাজ করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যেটা করলে সে কখনো ব্যর্থ হবে না?

প্রশ্নগুলো জাগায় সে রাজ্যে ঘোষণা করে দিল। প্রতিটা কাজ করার সঠিক সময় কোনটা, কারা তার জন্য সবচেয়ে দরকারি ব্যক্তি এবং সে কীভাবে জানতে পারবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটা – এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যে সঠিক ভাবে দিতে পারবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।

জ্ঞানী-গুণী অনেক ব্যক্তিই এসে উপস্থিত হল রাজার দরবারে। কিন্তু তারা সবাই ই ভিন্ন ভিন্ন উত্তর জানালো।

প্রথম প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন বললো, প্রতিটা কাজ করার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে হলে একজনকে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে। তাকে দিন, মাস, বর্ষপঞ্জির তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে এবং যথাযথ ভাবে সেই তালিকা মেনে চলতে হবে। তাহলেই, প্রতিটা কাজ একদম সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা যাবে। কয়েকজন বললো, প্রতিটা কাজের জন্য সঠিক সময় আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা অসম্ভব। তবে তার মানে এই না যে এতে কেউ অলস ভাবে পড়ে থাকবে। তার চারপাশে কী ঘটছে সেটার উপর নজর রাখতে হবে এবং যেটা সবচেয়ে জরুরী সেই কাজটা করতে হবে। অন্যরা বললো, মানুষের পক্ষে আগে থেকে প্রতিটা কাজের সঠিক সময় ভেবে রাখা অসম্ভব। তবে, এর জন্য রাজা গুণী মানুষদের একটা দল সাথে রাখা উচিৎ। তারা সঠিক সময়ে কাজ করার ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করতে পারবে।

এটা শুনে অন্যরা বলে উঠলো যে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো সভায় সকলের সামনে উত্থাপন করা যাবে না। সেইসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে সেই সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কী ঘটতে যাচ্ছে সেটা সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে। একমাত্র জাদুকররাই তা জানতে পারবে। তাই, যদি কেউ প্রতিটা কাজই সঠিক সময়ে করতে চায়, তাহলে কোন জাদুকরের সাথে তার পরামর্শ করা উচিৎ।

মনোযোগী রাজা চুপচাপ থেকে তাদের কথা শুনছে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবেও একেকজন একেক উত্তর দিল। কেউ বলল, রাজার জন্য সবচেয়ে দরকারি ব্যক্তিবর্গ হল তার সভাসদেরা। আবার কেউ বলল, পুরোহিতদের কথা। কেউবা ডাক্তারদের কথা। আবার কয়েকজন বলল, যোদ্ধারাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কোন কাজটা করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ – এই প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন বললো, পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিজ্ঞান। আবার কেউ বলল যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষতার কথা। আবার কয়েকজন বলল ধর্মবিশ্বাসের কথা। একেকজন একেকরকম করে উত্তর দিচ্ছে। রাজা তাদের কারো সাথেই একমত হতে পারছে না। তাই কাউকে পুরস্কৃতও করলো না। কিন্তু, তার প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার আকাঙ্ক্ষা রয়েই গেছে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল বনে বাস করা এক জ্ঞানী সন্ন্যাসীর কাছে উত্তরগুলো জানতে চাইবে।

নিজের জ্ঞানের জন্য বিখ্যাত সন্ন্যাসী কখনো তার বনের কুঁড়েঘরের বাইরে যায় না। সাধারণ মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে আতিয়েতাও দেয় না। তাই রাজা সাধারণ পোশাক পরে যাত্রা করলো। ঘোড়ায় চড়ে সন্ন্যাসীর কুঁড়ের সামনে পৌঁছে রাজা তার দেহরক্ষীদের বাইরে রেখেই ভিতরে প্রবেশ করলো। ভিতরে ঢুকে দেখে সন্ন্যাসী তার ঘরের সামনের উঠোনে মাটি খনন করছে। রাজাকে দেখে স্বাগত জানিয়ে আবার মাটি খোঁড়ায় লেগে গেল বৃদ্ধ। বৃদ্ধ সন্ন্যাসী এতই জরাগ্রস্ত এবং দুর্বল যে কোদাল দিয়ে মাটিতে কোপ দিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। প্রতিটা কোপের সাথে সাথে জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে।

রাজার তার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো, ‘বিজ্ঞ সন্ন্যাসী, আমি আপনার কাছে তিনটা প্রশ্নের উত্তর জানতে এসেছি। কীভাবে আমি সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সম্পর্কে জানতে পারবো? কে আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী এবং কাদের প্রতি আমি অন্যদের থেকে বেশি মনোযোগ দিব? আর, কোন কাজটা করা সবচেয়ে বেশি জরুরী এবং কোনটার প্রতি আমার ত্বরিত নজর পড়া প্রয়োজন?’

বৃদ্ধ সন্ন্যাসী রাজার কথা শুনলো কিন্তু কোন উত্তর দিল না। তার হাতে থুতু লাগিয়ে আবারো তার মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করলো।

‘আপনি অনেক ক্লান্ত,’ রাজা বলে উঠলো, ‘কোদালটা আমাকে দিন। আমি আপনার হয়ে কিছুক্ষণ কাজ করে দেই।’

‘ধন্যবাদ!’ বলে বৃদ্ধ সন্ন্যাসী তার হাতের কোদালটা রাজাকে দিয়ে মাটিতে বসে পড়লো।

দুইটার মত বেড খোঁড়া হয়ে গেলে রাজা আবারো তার প্রশ্নগুলো করলো। বৃদ্ধ সন্ন্যাসী এইবারও কোন উত্তর দিল না। উঠে দাঁড়িয়ে কোদালের জন্য হাত বাড়িয়ে বলল, ‘এখন কিছুক্ষণ বিশ্রাম নাও। আমাকে অল্প কাজ করতে দাও।’ কিন্তু রাজা তাকে কোদাল দিল না। নিজেই মাটি খুঁড়ে যাচ্ছে। এভাবে এক ঘণ্টা চলে গেল। তারপর আরেক ঘণ্টা। গাছে পিছনে থাকা সূর্যটা ডুবতে শুরু করেছে। কাজ শেষ করে কোদালটা মাটিতে গেঁথে রাজা বললো, ‘বিজ্ঞ সন্ন্যাসী, আমি আপনার কাছে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে এসেছিলাম। যদিও আপনি আমাকে উত্তর না দিতে চান, তাহলে আমাকে বলে দিন। আমি বাড়ি ফিরে যাই।’

‘কেউ একজন দৌড়ে এদিকেই আসছে,’ বৃদ্ধ সন্ন্যাসী বলে উঠলো, ‘গিয়ে দেখি কে এই লোক।’

রাজা ঘুরে দেখলো দাড়িওয়ালা এক লোক বনের দিক থেকে দৌড়ে আসছে। লোকটা তার হাত দিয়ে পেট চেপে ধরে রেখেছে। তার হাতের নিচ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। লোকটা রাজার সামনে এসে মাটিতে পড়ে গেল। দুর্বলভাবে গোঙাচ্ছে। রাজা আর সন্ন্যাসী মিলে লোকটার কাপড় খুলে নিল। পেটে আঘাতের একটা বড় ক্ষত দেখা যাচ্ছে। রাজা তার সাধ্যমত ক্ষত পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ার জন্য তার রুমাল এবং সন্ন্যাসীর দেওয়া একটা তোয়ালে দিয়ে লোকটার ক্ষতের উপর ব্যান্ডেজ করে দিল। রক্ত পড়া বন্ধ হচ্ছে না দেখে বার বার একই কাজ করে দিল। শেষমেশ লোকটার ক্ষত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হল। কিছুটা স্বস্তি পেয়ে লোকটা তার কাছে পান করার জন্য কিছু চাইলো। রাজা তার সাথে করে নিয়ে আসা পরিষ্কার পানি দিল তাকে। ততক্ষণে সূর্য পুরোপুরি ডুবে গেছে। আবহাওয়াও শীতল হতে শুরু করেছে। তাই, রাজা সন্ন্যাসীর সাহায্য নিয়ে লোকটাকে উঠিয়ে বৃদ্ধের ঘরে নিয়ে গেল এবং বৃদ্ধের খাটে শুইয়ে দিল। বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার পর লোকটা চোখ বন্ধ করে শান্ত হয়ে গেল। হেঁটে আসায় এবং সারা দিন কাজ করায় রাজা ক্লান্ত হয়ে ঘরের মুখে বসেই ঘুমিয়ে পড়লো।

সকালে যখন ঘুম ভাঙলো তখন সে ঠিকমত বুঝতে পারলো না যে সে এখন কই আছে বা বিছানার উপর থাকা অপরিচিত দাড়িওয়ালা মানুষটা তার দিকে এমন জ্বলজ্বলে দৃষ্টিতে কেন তাকিয়ে আছে।

‘মাফ করুন আমাকে!’ রাজাকে জেগে উঠে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে দুর্বল গলায় বলে উঠলো লোকটা।

‘আমি আপনাকে চিনি না। আর, আপনি এমন কিছু করেননি যে আপনাকে ক্ষমা করব।’ রাজা বলল।

‘আপনি আমাকে চিনেন না, কিন্তু আমি আপনাকে ঠিকই চিনি। আমি আপনার ঐ শত্রু যে আপনার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ করেছিল। কারণ, আপনি তার ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন এবং তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। আমি জানতাম যে আপনি বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর সাথে দেখা করার জন্য একা একা আসবেন। ফেরার পথে আপনাকে হত্যা করব – এই উদ্দেশ্যই ছিল আমার। কিন্তু সারাদিন পেরিয়ে গেলেও আপনি ফিরলেন না। তাই আমি লুকানোর স্থান থেকে আপনাকে খোঁজার জন্য বের হলাম। পথে আপনার দেহরক্ষীদের কবলে পড়লাম। তারা আমাকে চিনতে পেরে আমাকে আহত করলো। আমি তাদের থেকে পালিয়ে বাঁচলেও, আপনি আমার ক্ষত পরিষ্কার করে না দিলে রক্ত ঝরার ফলে আমি মরেই যেতাম। আমি আপনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম এবং আপনিই আমার জীবন রক্ষা করলেন। এখন, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আপনার একজন বিশ্বস্ত ভৃত্য হয়ে আপনার সেবা করে যেতে চাই। আমার সন্তানদেরকেও একই কাজে খাটাব। মাফ করুন আমাকে।’

শত্রুর সাথে এত সহজে শান্তিচুক্তি করতে পেরে বেশ আনন্দিত হল রাজা। সাথে সাথে একজন বন্ধুও জুটিয়ে ফেলতে পেরেছে। সে শুধু লোকটাকে ক্ষমাই করলো না, তার দেখা শোনা করার জন্য নিজের কর্মচারী ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে পাঠানোর কথাও বলল। তার সম্পত্তি তাকে ফিরিয়ে দিবে এই কথাও দিল।

আহত লোকটাকে ছেড়ে রাজা বারান্দায় এসে দাঁড়ালো বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর খোঁজে। চলে যাওয়ার আগে তার মনে জাগা প্রশ্নগুলোর উত্তর সে জেনে যেতে চায়। বৃদ্ধ উঠানেই ছিল। উবু হয়ে আগের দিন খনন করা মাটিতে বীজ বপন করছে।

রাজা তার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো, ‘বিজ্ঞ ব্যক্তি, এই শেষবারের মত আমি আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো জানানোর জন্য আপনার কাছে মিনতি করছি।’

‘এতক্ষণে তুমি নিজেই উত্তরগুলো দিয়ে ফেলেছো।’ উবু হয়েই তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজার দিকে তাকিয়ে বলল বৃদ্ধ সন্ন্যাসী।

‘কিভাবে উত্তর দিলাম? কী বলছেন আপনি?’ রাজা জিজ্ঞেস করলো।

‘তুমি ধরতে পারোনি?’ বলল বৃদ্ধ সন্ন্যাসী। ‘গতকাল আমার দুর্বলতা দেখে যদি তোমার মনে দয়া না জাগতো এবং তুমি যদি আমার জন্য মাটিটা না খুঁড়ে চলে যেতে – তাহলে ঐ মানুষটা তোমাকে আক্রমণ করতো এবং তুমি আমার সাথে এখানে থাকোনি বলে অনুতাপ করতে। তুমি যখন মাটি খুঁড়ছিলে, সেটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমিই ছিলাম তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আমার উপকার করে দেওয়াটাই ছিল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তারপর, যখন লোকটা পালিয়ে আমাদের এখানে আসলো – তখন তার সেবা করাটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। যদি তুমি ঐ সময় তার সেবা না করতে তাহলে সে তোমার সাথে শান্তি স্থাপন না করেই মারা যেত। তখন সে ই ছিল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তার জন্য করা সেবাটাই ছিল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
মনে রাখবে, একটা সময়ই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ – সেটা হল বর্তমান সময়! এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কারণ এই একটা সময়ের উপরই তুমি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
সে ই হল তোমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যে বর্তমানে তোমার সাথে আছে। কারণ কেউ ই জানে না যে সেই ব্যক্তিটা পরবর্তীতে অন্য কারো সাথে থাকতে পারবে কি না!
আর, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সাথে থাকা ঐ মানুষটার জন্য ভাল কিছু করা। কারণ, এই একটা মাত্র উদ্দেশ্যেই মানুষকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে।’

--- ০ ---
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫১
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×