somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কমিউনিস্ট জোক্স কালেকশান ৬ ( উৎসর্গঃ কালাহনুর গোত্রভুক্ত মহান কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের )

২৬ শে জুন, ২০১২ সকাল ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবার ফিরে আসলাম কিছু জোক্স নিয়ে।

১।
একা রাশিয়ান গেছেন ইতালি ভ্রমনে । সেখানে কোদাল কাঁধে এক শ্রমিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হল । রুশ পর্যটক কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলেন,
-- হপ্তায় ক’দিনের কাজ পাও তুমি ?
-- মাত্র দু’দিনের, সিনর !
-- খুবই খারাপ । আচ্ছা কমিউনিস্টরা যদি ইতালির ক্ষমতায় আসে, তাহলে সপ্তাহে ক’দিন কাজ পাবে বলে আশা কর ?
-- ওহ সিনর, তাহলে তো আমাকে সাতদিনই কাজ করতে হবে -- দিবারাত্র ।
-- বাঃ তা কী কাজ কর তুমি ?
-- কবর খোঁড়াই আমার কাজ সিনর !

২।
রাজনীতি শিক্ষার ক্লাস চলছে । তরুন শিক্ষার্থীদের বোঝাচ্ছেন প্রবীন কমিউনিস্ট নেতা :
-- সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে ব্যবসা করে বেশ লাভবান হচ্ছে । যেমন ধর,রুমানিয়া মাটি পাঠায় আমাদের । সেই মাটি দিয়ে খেলনা হুইসল বানিয়ে আমরা পাঠাই মঙ্গোলিয়া । সেখানকার রাখালেরা ভেড়া চড়ায় ওই হুইসল বাজিয়ে ।
-- তারপর মঙ্গোলিয়া কি আমাদের ভেড়ার মাংস আর চামড়া পাঠায় ?
-- না, মাংস তারা নিজের খায়, আর চামড়া পাঠায় বুলগেরিয়ায় । সেই চামড়া দিয়ে বুলগেরিয়া বানায় গরম কোট ।
-- ওই কোটগুলো বুলগেরিয়া নিশ্চই আমাদের পাঠায় ?
-- না, রুমানিয়ায় পাঠায় ।
-- আর রুমানিয়া থেকে আমরা কি পাই ?
-- ওই যে, শুরুতে বললাম, মাটি !

৩।
মস্কোর কাছে এস্তোনিয়ার আকুল আবেদন :
-- আমাদের অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য স্বাধীনতা দেওয়া হোক ।
সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টিতে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হল । প্রেসিডেন্ট গর্বাচভ সবাইকে বোঝালেন পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতায় ওরা কি আর করতে পারবে ? দেওয়াই হোক পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতা ।
পরদিন ‘প্রাভদায়’ সংবাদ প্রকাশিত হল :
গতকাল বিকেল চারটেয় এস্তোনিয়া যুদ্ধ ঘোষনা করে সুইডেনের বিরুদ্ধে এবং চারটে বেজে চার মিনিটে আত্মসমর্পন করে ।

৪।

একবার শুয়োরের ফার্ম পরিদর্শনে গেছেন ক্রুশ্চেভ । প্রাভদা ইজভেস্তিয়া প্রভৃতি প্রধান প্রধান সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা গেছেন ওই ঘটনা ‘কভার’ করতে । নানান ভঙ্গিমায় ক্রুশ্চেভের প্রচুর ছবি তোলা হয়েছে । তাঁর বাঁ দিকে শুয়োর, ডান দিকে শুয়োর,।
যথারীতি রাতে সংবাদপত্রের এডিটর, নিউজ এডিটরের টেবিলে জমা পড়েছে সেই সব ছবি । কিন্তু ছবির ক্যাপশন কী হবে ? কেউ পরামর্শ দিলেন , ‘শুয়োরদের মাঝখানে কমরেড ক্রুশ্চেভ’ -- এ ক্যাপশন কেমন হয় ?
-- চলবে না । এডিটর তৎক্ষনাৎ খারিজ করে দিলেন ।
-- ‘তাহলে শুয়োর পরিবেষ্টিত কমরেড ক্রুশ্চেভ ?’
-- না তাও চলবে না । বললেন নিউজ এডিটর । ক্যাপসানে শুয়োর কথাটা থাকলে চলবে না ।
পরের দিন পত্রিকা প্রকাশিত হল । প্রথম পাতায় সেই ছবি । ছবির নিচে ক্যাপসন ।
‘কমরেড ক্রুশ্চেভ -- বাঁ দিক থেকে চতুর্থ ।’


৫।

ব্রেঝনেভের আমলের সোভিয়েত ইউনিয়নের গল্প এটি । ইথিওপিয়ার কমিউনিস্ট ফান্ডে সাহায্য করার জন্য স্কুলের ছাত্রদের দশ রুবল করে আনতে বলা হয়েছিল । সবাই আনল শুধু একজন ছাড়া । শিক্ষকমহাশয় কারন জানতে চাইলে সে উত্তর দিল :
-- বাবা বলেছে ইথিওপিয়ায় কমিউনিস্ট পার্টিই নেই !
এক মাস পরে ইথিওপিয়ায় সমাজতান্ত্রিক সরকারকে সাহায্য করবার জন্য আবার ছাত্রদের দশ রুবল করে আনতে বলা হল । সেই ছাত্রটি আবার এল খালি হাতে, বলল :
-- বাবা বলেছে ইথিওপিয়ায় সমাজতান্ত্রিক সরকারই নেই !
আবার এক মাস পরে ছাত্রদের উপর নোটিশ । এবারও বাড়ি থেকে দশ রুবল করে আনতে হবে, কারন ইথিওপিয়ায় দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুযকে সাহায্য করা ।
এবার সেই বালক একসঙ্গে ত্রিশ রুবল এনে শিক্ষকমশায়ের হাতে দিল । বলল :
-- বাবা বলেছে ইথিওপিয়ায় যদি দুর্ভিক্ষ থাকে, তাহলে সেখানে নিশ্চই কমিউনিস্ট পার্টি আছে, আছে সমাজতান্ত্রিক সরকারও !


৬।
নিক্সন জানতে চাইলেন ঈশ্বরের কাছে :
-- আমেরিকানরা কবে পুরোপুরি সুখী হবে ?
ঈশ্বর জানালেন আরও ৫০ বছর বাদে ।
-- ততদিন কি আর বেঁচে থাকব, আক্ষেপ করে বললেন নিক্সন ।
পম্পিদু জিজ্ঞেস করলেন ঈশ্বরকে
-- কবে পুরোপুরি সুখী হবে ফরাসীরা ?
ঈশ্বর জবাব দিলেন আরও ৮০ বছর লাগবে ।
ততদিন কি আর বেঁচে থাকব ? পম্পিদুর গলাতেও আক্ষেপের সুর ।
ব্রেঝনেভ প্রশ্ন করলেন ঈশ্বরকে :
-- সোভিয়েত দেশের মানুষ কবে সুখে শান্তিতে থাকবে ?
ততদিন কি আর বেঁচে থাকব ? আক্ষেপের সুরে বললেন স্বয়ং ঈশ্বর !

৭।
জনগন কি কি সংবাদপত্র পড়েন তা জানার জন্য সরকারী পর্যায়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল । সমীক্ষক দলের সদস্য এক সোভিয়েত নাগরিককে প্রশ্ন করলেন,
-- কোন পত্রিকা পড়েন এবং কেমন আছেন ?
উত্তরে বললেন ওই সোভিয়েত নাগরিক :
-- পড়ি প্রাভদা, নইলে ভাল আছি জানব কি করে?

৮।
প্রশ্ন : গণতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য কি ?
উত্তর : সাধারন চেয়ার ওর ইলেকট্রিক চেয়ারের মধ্যে যে পার্থক্য ।

৯।
মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টের গোলন্দাজ বিভাগের দেওয়ালে এক বিশাল ব্যানার । তাতে লেখ : আমাদের লক্ষ্য কমিউনিজম ।
[ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য : ওদেসা শহরের গোলন্দাজ প্রশিক্ষন কলেজে এক সময় এমন একটি ব্যানার সত্যিই ছিল ]

১০।
প্রশ্ন : বিদেশের খবর রাশিয়ানরা পায় কোথা থেকে ?
উত্তর : তাস এর প্রতিবাদ থেকে ।
[ তাস = টেলিগ্রাম এজেন্সি অফ দি সভারিন স্টেটস ]

১১।
প্রশ্ন : পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল বৃদ্ধাশ্রম কোনটি ?
উত্তর : ক্রেমলিন

১২।
প্রশ্ন : দেশে কমিউনিজম পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হবার পর প্রেম কি থাকবে ?
উত্তর : না । ওই সময় যেহেতু হাতে টাকা থাকবে না, তাই প্রেমও থাকবে না ।

১৩।
প্রশ্ন : কমিউনিজম প্রতিষ্ঠিত হলে সোভিয়েত দেশে কি চুরিবিদ্যা থাকবে ?
উত্তর : না । কারন সমাজতন্ত্রের পর্যায় শেষ হতে হতে চুরি করার মতো আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না ।

১৪।

প্রশ্ন : ইলেকট্রিক শেভিং রেজার কে আবিষ্কার করেন ?
উত্তর : ইভান সিদোরভ । এবং তিনি তা আবিষ্কার করেন মার্কিন দূতাবাসের পাশ্বর্বতী ডাস্টবিনে । (!)


১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×