প্রাথমিক ভাবে যেটা প্রথম আলোড়ন তোলে তা হচ্ছে -
মায়ান ক্যালেন্ডার- -
মায়ান রা ছিলো এক রক্তপিপাসু জাতি।তাদের অন্যতম শক্তি ছিল তাদের-নিখুত জোতির্বিদ্যা আর তার জন্য তৈরী যন্ত্রপাতি। তাদের নির্মিত পিরামিডে রক্ষিত ছিল তাদের এই হাজার বছরের ক্যালেন্ডার।শত হাজার বছর পুর্বেই তারা বলে যে পৃথিবীর শেষ তারিখ হবে ২১ ডিসেম্বর।
মায়ান পিরামিড-চেচেন ইজা
সৌর ঝড়-
পৃথিবীর সৌরবিশেষজ্ঞ রা মতামত দিয়েছে যে সূর্যে প্রতিনিয়ত সৌরশক্তি তৈরী হচ্ছে ।এবং সূর্যে প্রতিনিয়ত ই ঝড়ের সৃষ্টি হয়।কিন্তু এ বছর সৌরঝড় হচ্ছে ফেব্রুয়ারী থেকে এবং এর তেজসক্রিয়তার চুড়ান্তে পৌছাবে
২০১২ এর ডিসেম্বরের কোন এক সময়ে।এই ঝড়ের কারনে পৃথিবীর পাওয়ার গ্রিড ও স্যাটেলাইট বিপর্যয়ের মূখে পড়বে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন--(আমার মতামত নয়।বিভিন্ন জনের মতামত ই তুলে ধরার চেস্টা করেছি-
প্রাচীন মায়ান রা মনে করছে এ ঘটনা কে একটি নতুন সভ্যতা বা একটি নতুন সূর্যের আবির্ভাব হিসেবে।তারা আভিহিত করেছে এটাকে ৫ম বিশ্ব বা ৫ম সূর্য নামে।প্রাচীন হিন্দুরা বলছেন-এটা হচ্ছে পৃথিবীর মহা শুদ্ধিকরণ।আনেক হিন্দুর মতে এটা কলিকালের শেষ যুগ-লৌহ যুগের পত্তন।মুসলমানেরা দেখছে ইমাম মাহদীর আগমনী বার্তা হিসেবে জোতির্বিদের ধারনা শুরু হচ্ছে কুম্ভের যুগ যে যুগে পৃথিবী পরিস্কার হবে পূর্বের শত শত বছরের পন্কিলতা থেকে।চীনের একটি বই আই চিং এ এসময়ের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে-ইতিহাসের শেষ।এমনকি বাইবেল ও নাকি বর্নিত আছে যে আরমাগেডন-ইশ্বর ও শয়তানের যুদ্ধ নাকি এ সময়েই হবে।
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি-
ইয়েলোস্টোন ন্যশনাল পার্ক-আমেরিকায় অবস্হিত এই পার্কটি উষ্ন ঝর্ণা ও উষ্ন প্রসবণের জন্য বিখ্যাত।কারণ জানেন এই পার্কটি পৃথিবীর সবচাইতে বড় সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উপর অবস্হিত যার নাম ইয়েলোস্টোন।এই আগ্নেয়গিরি ৬৫০০০০ বছর পর পর অগ্নুতপাত ঘটায়।ভুতত্ববিদেরা ধারণা করছে তা এই বছরের শেষে কোন এক সময়ে হতে পারে কারণ ইতিমধ্যে ৬৫০০০০ বছর পার হয়ে গেছে।যদি এই আগ্নেয়গিরি অগ্নৎপাত ঘটায় তবে তা বায়ুমন্ডলে এত ধোয়ার সৃষ্টি করবে যা সূর্যকে ১৫০০০ বছর পর্যন্ত ঢেকে দিবে যাতে করে পৃথিবীতে নেমে আসবে বরফযুগ।
মেরুসরণ পক্রিয়া-
আমরা জানি পৃথিবী ঘিরে রয়েছে- চৌম্বক ক্ষেত্র। এই চৌম্বক মেরু প্রতি ৭৫০০০০ পরপর পরিবর্তিত হ্য়।প্রতি বছর মেরু গুলো সরে আসছে প্রায় ২০-৩০ কি:মি করে এবং এই গতি ক্রমশ বাড়ছে যাতে বুঝা যায় খুব দ্রুত ই সময় এগিয়ে আসছে।কারণ মেরু পরিবর্তনের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০০০০ বছর সময় বেশী পার হয়ে গেছে।যদি মেরু পরিবর্তন হ্য় তবে চৌম্বক ক্ষেত্র বিনষ্ট হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে প্রায় ১০০ বছরের জন্য যার ফলে অতিবেগুনী রশ্মি আমাদের ভস্ম করে দিবে।
নুবেড়ু বা প্লানেট এক্স-
কয়েক লক্ষ বছর আগে এক বৃহৎ উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে আঘাত হানে যার কারনে অতিকায় ডায়নোসর যুগ লোপ পেয়েছিল-এবার পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে নুবেড়ু যা প্লুটোর সমান।ইহার আঘাতে পৃথিবীতে ঘটতে পারে ভুমিকম্প,সুনামী,পাওয়ার ফেইলিওর,ও অগ্নুৎপাত।কল্পনা করূন অন্ধকার এক পৃথিবী..........।সূর্যের আলো নেই, তেজস্ক্রিয়তার জন্য মাটিতে ফসল ফলেনা।এর মধ্যে সুনামী আর ভুমিকম্প।কিজানি পৃথিবী ধ্বংস না হলেও হয়ত মানব সভ্যতার উপর ভয়াভ দূর্যোগ নেমে আসছে।
পরবর্তি পোস্ট-২০১২ তে পৃথিবী ধ্বংস হবেনা-পক্ষের যুক্তি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৩৪