মাঝরাতে,
এ নগরের দম্ভ ভরা দালানগুলোও মন মরা হয়ে যায়,
যেতে হয়, এমনটাই নিয়ম।
মায়া মায়া মেয়েটার ছাদটাও একা হয়ে যায়,
কেউ আর কার্ণিসে এসে উঁকি দেয়না,
দালানগুলোর ফাঁক দিয়ে আকাশ দেখতে ।
ও এখন একলা ছাদ,
মন খারাপের ছাদ, সঙ্গ,
শুধুমাত্র এলোমমেলো ছেলেটার।
বোধহয় আজ ঘুম চোখে নেই, চুরি হয়েছে,
কোন এক পথের বাঁকে।
ছেলেটা একটা সিগারেট ধরায়,
একা ছাঁদ ভাবে কেউ একজন আছে,
পাগলা ছেলেটা ভাবে... কোথায় যেন একটা কেউ আছে।
ওরা প্রবঞ্চনা দেয় দুজন দুজনকে প্রতিরাতে।
ছেলেটা গান গায় ভাঙা গলায় প্রাণ খুলে,
আর ছাঁদটা ছটফট করে মরে, বল হয়না,
"ছেলেটা ঘুমাতে যাও, রাত অনেক হলো "
আমি একা থাকাই ভালো, আরেকটা একা সত্তা মাঝরাতে সহ্য করাটা অসহ্যকর হয়ে যাচ্ছে।
নগরী তোমার দালান যাক গুড়িয়ে,
ছেলেটাকে মুক্ত করে দাও, ছাঁদটাকে মুক্তি দাও,
ওরা বড্ড ক্লান্ত মাঝরাতে।
নগরের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত জুড়ে জ্বলুক হলদে বাতি,
আজ তোমার ছুটির দিন ব্যাস্ততা,
ছাঁদ ফেলে আজ আসছে এক এলোমেলো আগন্তুক,
দূর থেকে, বড্ড দূর থেকে,
নগরী জ্বালাও বৈরাগ্যের বাতি,
আসছে এক আগন্তুক তোমাদের এই নগরে,
তোমাদের এই চেনা অচেনা রাজপথে।
রুদ্র রাফি