তাদেরকেই বলতে হবে “কাউয়া” - তারাই প্রকৃত অর্থে “কাউয়া” –
৩৯ জন স্বাধিনতা বিরোধি হাইকোর্টের আইনজিবির নামের তালিকা - স্বাধিনতা বিরোধিদের তালিকা প্রনয়ন করুণ ও প্রকাশ করুণ – হাতে গোনা গুটি কতক স্বাধিনতা বিরোধি বাদে - গোটা জাতি সে দিন স্বাধিনতার পক্ষে ছিলেন – যে যে ভাবে পেরেছেন স্ব স্ব অবস্থান থেকে মুক্তিবাহিনি ও মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন –
২৫ মার্চ ১৯৭১ খৃঃ শুরু হয় বাংলাদেশের নিরস্্র মানুষের ওপর পাকিস্থানি হানাদার বাহিনির নির্মম হত্যাযজ্ঞ – একটি দখলদার বাহিনি বিজিত দেশের ওপর যে ভাবে হত্যা- ধর্ষণ- অগ্নি সংযোগ- লুটপাট চালায় - ইয়াহিয়া খানের স্বসস্র সেনাবহিনি ঠিক সেই বিভৎসতা নিয়ে ঝপিয়ে পড়ে নিরিহ নিরস্র বাঙালির ওপর। শুরু হয় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ – ইয়াহিয়া – মুজিব- ভুট্টোর আলোচনা – ষড়যন্ত্র- বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের খবর সংগ্রহ ও সরবরাহের জন্যে ৩৫ জন বিদেশি সাংবাদিক ঢাকায় ছিলেন । পাকিস্থানি হানাদার বাহিনির নায়করা বুঝতে পেরেছিলেন – এই বিদেশি সাংবাদিকরা থাকলে সব অপকর্ম ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বময় – হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে ৩৫ জন বিদেশি সাংবাদিকে নিয়ে যাওয়া হয় করাচিতে । তাদের সকল নোট বুক, ক্যামেরা, ফিল্ম, ছবি, বাজেয়াপ্ত করা হয় । কঠোর সেন্সরশিপ আরোপ করা হয় বিদেশে সংবাদ পাঠানোর ওপর। কিন্তু তারপরেও গোপন রাখতে পারেনি বাংলাদেশে পাকিস্থানি বাহিনি ও তাদের দেশিয় দোষরদের বর্বরতম হত্যা- ধর্ষণ- অগ্নি সংযোগ- লুটপাট কাহিনি । বিভিন্ন পথে চলে আসে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থান সাহসি সাংবাদিকগণ । ভারত সরকার ও ভারতিয় প্রচার মাধ্যম “ আকাশ বাণী” অসিম সাহসিকতা নিয়ে আমাদের পাশে দাড়ায় সর্বাগ্রে । ইয়াহিয়া খানের স্বসস্র সেনাবহিনির গণ হত্যার নিন্দা জানিয়ে ভারতিয় পার্লামেন্ট ৩১ মার্চ ১৯৭১ নিন্দা প্রস্তাব পাশ করেন। যার প্রেক্ষিতে ঢাকা হাইকোর্টের ৩৯ জন আইনজিবি বিবৃতি দেন – পাকিস্থানের অভ্যন্তরিণ ব্যাপারে ভারতের নগ্ন ও নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের নিন্দা করেন । বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেন তারা হলেন : (১) জনাব ফরিদ আহমেদ (২) ফজলুল হক (৩) জনাব মইনুল হক (৪) জনাব এ ডব্লিউ চৌধুরী (৫) জনাব শফিকুর রহমান (৬) জনাব আহমেদুর রহমান খান (৭) জনাব জুলমত আলি খান (৮) জনাব মোদাব্বর হুসাইন (৯) জনাব এ এম এম এ জলিল (১০) জনাব নাসিরউদ্দিন (১১) জনাব আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (১২) জনাব ইউসুফ আলি খান (১৩) জনাব মোঃ গিয়াসুদ্দিন ভুইয়া (১৪) জনাব এ কে রফিকুল হোসেন (১৫) জনাব নাসিরুদ্দিন চৌধুরী (১৬) জনাব নাসিম এ রহমান (১৭) জনাব মোহিতুর রহমান চৌধুরী (১৮) জনাব আকবর হোসেন আমিন (১৯) জনাব আবু সালেক (২০) জনাব আব্দুর রশিদ (২১) সৈয়দ মুহম্মদ আলি (২২) জনাব মোঃ কোরবান আলি (২৩) জনাব মোজাম্মেল হক (২৪) জনাব মোঃ নুরুল হক (২৫) জনাব মশিহুল ইসলাম (২৬) জনাব এম. এন. আলি (২৭) জনাব আজিজুর রহমান (২৮) জনাব নুরুল হুদা খোন্দকার (২৯) জনাব ফজলুল হক (৩০) জনাব এ কে ফজলুল হক চৌধুরী (৩১) জনাব আহম্মদ আলি মন্ডল (৩২) জনাব মোমতাজুদ্ধিন আহমেদ (৩৩) জনাব শামসুল ইসলাম (৩৪) জনাব সিরাজুল ইসলাম (৩৫) জনাব ফরমান উল্লাহ খান (৩৬) জনাব আবু সাঈদ (৩৭) জনাব এইচ. কে. আব্দুল হাই (৩৮) জনাব এম.এস .ভূইয়া এবং (৩৯) জনাব মাহবুবুর রহমান ।
এদর কেউ কেউ যদি স্বাধিনতার পরে “মুকিযোদ্ধা” সনদ নিয়ে – খেতাব নিয়ে থাকে বা তাদের সন্তানরা বাবা দাদা নানার স্বাধিনতা বিরোধি নাম ঘুচাতে আওয়ামি লিগে বা মহাজোটের কোনে দলে নাম লেখায়ে থাকে – বড়ো নেতা হয়ে থাকে – সংষদ সদস্য বা মন্ত্রি হয়ে থাকে – তাদেরকেই বলতে হবে “কাউয়া” - তারা প্রকৃত “কাউয়া” –
( পৃঃ ৭০ – ৭১ - একাত্তরের ঘাতক দালাল – যা বলেছে যা করেছে – নুরুল ইসলাম সম্পাদিত )
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৪